18/06/2025
অনেকেই হয়তো ভাবছেন, ইরান এতো এতো মিসাইল ছোড়ার পরেও কেন ইসরাইলের এতো কম ক্ষতি হচ্ছে।
--------------------------------------------[
“যখন ইরান ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, তখন হয়তো ৮ টি বা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলে পৌঁছায়।
তার কারণগুলো—
১.
যখন ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসফাহান থেকে ইসরায়েলের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়, তখন সর্বপ্রথম তাকে থামানোর চেষ্টা করে:
ইরাকে অবস্থানরত আমেরিকান সেনা বাহিনী,
সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধবিমান (যেগুলো সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি পায়),
এবং পারস্য উপসাগরে টহল দেওয়া ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামক বিমানবাহী রণতরী ও অত্যাধুনিক মিসাইল ডেস্ট্রয়ারগুলো।
২.
যদি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এই আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়,
তাহলে তাকে থামাতে আসে—
জর্ডানের বিমানবাহিনী,
জর্ডানে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটি,
এবং সাইপ্রাস থেকে উড়ে আসা ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের টাইফুন ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।
৩.
এই সকল প্রতিরক্ষা স্তর পার হয়ে গেলেও,
তাকে থামাতে এগিয়ে আসে ইসরায়েলের বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:
Arrow-3: ২০০০ কিলোমিটার দূরে থেকেই মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
Arrow-2: যদি তা ব্যর্থ হয়, তাহলে এই সিস্টেম ১৫০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করে।
৪.
এরপর রয়েছে David’s Sling,
যেটি ৩০০ কিলোমিটার থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধাওয়া করে।
৫.
সবশেষে ক্ষেপণাস্ত্র যদি এত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়েও এগিয়ে আসে,
তাহলে তাকে থামাতে প্রস্তুত থাকে Iron Dome,
যেটি ৭০ কিলোমিটার থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে
পৃথিবীর আর কোনো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে গিয়ে এত বাধার সম্মুখীন হয়?
এবং মনে রাখতে হবে, ইরানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করেছে,
কিন্তু এগুলোকে প্রতিহত করতে যে সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে, সেগুলো বিভিন্ন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ফসল।
হে আল্লাহ, ইরানকে গায়েবি সাহায্য দান করো।
আমিন, সুম্মা আমিন।