Shahrin Subha

Shahrin Subha Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Shahrin Subha, Digital creator, Muksudpur.

17/02/2025

প্রথম অনুভব:
পর্ব ৩:

"অনামিকা চুপচাপ চিঠিটা খুলল, হাত কাঁপছে সামান্য। রুদ্র আর অভি, দুজনেই অপেক্ষায়।

অভি বলল: "তুমি আজও চুপ? এটাই কি তোমার উত্তর?"

রুদ্র বলল: "এই চিঠিতে কী আছে?"

অনামিকা ধীরে বলল: "আমি এই চিঠিটা পাঁচ বছর আগে লিখেছিলাম…"

অভি বিস্মিত হয়ে বলল: "তাহলে এটা আমার কাছে এলো কীভাবে?"

অনামিকা বলল: "আমি ফেলে দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম কেউ পাবে না।"

রুদ্র বলল: "কিন্তু এতে লেখা কী?"

অনামিকা চোখ বন্ধ করে বলল: "আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম, অভি। কিন্তু বলতে পারিনি…"

অভির মুখে বিস্ময়, রুদ্র নিঃশব্দে তাকিয়ে রইল।
রুদ্রর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।

অভি বলল: "তাহলে তুমি কিছু বলোনি কেন?"

অনামিকা শান্ত কণ্ঠে বলল: "কারণ ভয় পেয়েছিলাম… "হারানোর ভয়।"

রুদ্র বলল: "তাহলে এখন বলছ কেন?"

অনামিকা এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল: "কারণ আজ আর লুকিয়ে রাখার কোনো মানে নেই…"

অভি গভীরভাবে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল: "তুমি কি জানো, আমি আজও সেই দিনের জবাব খুঁজছি?"

অনামিকা ধীরে বলল: "জানি… কিন্তু ততদিনে অনেক কিছু বদলে গেছে, অভি।"

রুদ্র বলল: "তাহলে এখন কী করবে?"

অনামিকা চুপ রইল। মনে হলো যেন সময়ও থমকে গেছে।

অভি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল: "এই উত্তরটা কি আজও পাওয়া যাবে না?

অনামিকার ঠোঁট কাঁপল, কিন্তু সে কিছু বলল না।

রুদ্র এবার খানিকটা কঠিন স্বরে বলল: "তোমাকে ঠিক করতে হবে, অনামিকা।"কি চাও তুমি?

(চলবে…)
___

(আপনারা চাইলে গল্পের চতুর্থ পর্ব লিখতে আগ্রহী হবো)

16/02/2025

প্রথম অনুভব:
পর্ব ২:

বৃষ্টি তখন আরও ঘন হয়ে নেমেছে। ক্যাম্পাসের বাতাসে ভিজে পাতার গন্ধ, এক ধরনের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। রুদ্র আর অনামিকা তখনও বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে, কথোপকথনের মাঝেই হঠাৎ অভির আগমন।

অভি সোজা এসে অনামিকার সামনে দাঁড়াল, চোখে তীব্র একরকম আবেগ।

অভি বলল: "অনামিকা! আমি তোমার সাথে এখনই কথা বলতে চাই।"

অনামিকা একটু অবাক হয়ে বলল: "তুমি এখানে? হঠাৎ?"

অভি বলল: "হ্যাঁ, তোমার সাথে জরুরি কথা আছে।"

রুদ্র অভির দিকে তাকিয়ে একটু ভ্রু কুঁচকালো।

রুদ্র বলল: "তুমি কে?"

অভি রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল: "আমি অভি। অনামিকার ছোটবেলার বন্ধু। তবে শুধু বন্ধু নই..."

অনামিকা কিছু একটা বলতে যাবে, ঠিক তখনই অভি ব্যাগ থেকে একটা পুরোনো চিঠি বের করল। চিঠিটা অনেক পুরোনো, কাগজের ধারে হালকা ভাঁজ আর পানির দাগ স্পষ্ট।

অভি চিঠিটা সামনে ধরে বলল: "এটা কি তোমার হাতের লেখা নয়, অনামিকা?"

রুদ্র অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। অনামিকার মুখ হঠাৎই ফ্যাকাশে হয়ে গেল।

অনামিকা ধীরে ধীরে চিঠিটা নিল, আঙুল কাঁপছিল।

রুদ্র বলল: "এই চিঠিতে কী আছে?"

অভি গভীর শ্বাস নিয়ে বলল: "অনামিকার অতীত আছে এতে। আমার আর ওর গল্পের একটা অংশ আছে, যা হয়তো কেউ জানে না..."

রুদ্র চুপচাপ অনামিকার মুখের দিকে তাকাল। সে যেন কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা করছে।

অনামিকা ফিসফিস করে বলল: "অভি, এটা তুমি কোথায় পেয়েছ?"

অভি কঠিন চোখে তাকিয়ে বলল: "তোমারই দেওয়া, কয়েক বছর আগে। আমি ভেবেছিলাম, এই চিঠির উত্তর একদিন তুমি দেবে। কিন্তু তুমি কিছুই বলোনি। আজ আমি জবাব চাই!"

রুদ্র এবার অনামিকার দিকে তাকিয়ে বলল: "অনামিকা, আমি জানি না এই চিঠিতে কী আছে। কিন্তু তুমি যদি কিছু লুকিয়ে থাকো, তাহলে সেটা বলার সময় এসেছে।"

বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি আরও জোরে পড়তে লাগল।

অনামিকা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল। যেন তার মনে এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

সে কি সত্যিই কিছু লুকিয়ে রেখেছে?

এই চিঠির ভেতরে কী এমন লেখা আছে, যা অভি এত বছর পরেও ভুলতে পারেনি?

রুদ্র এবার কী করবে?

বৃষ্টি যেন সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে চলেছে…

(চলবে...)

(আপনারা চাইলে গল্পের তৃতীয় পর্ব লিখতে আগ্রহী হবো.....)

প্রথম অনুভব:পর্ব ১:বৃষ্টিভেজা এক বিকেল। কলেজের বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে রুদ্র। কফির কাপ হাতে নিয়ে একদৃষ্টিতে সামনের রাস...
13/02/2025

প্রথম অনুভব:
পর্ব ১:

বৃষ্টিভেজা এক বিকেল। কলেজের বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে রুদ্র। কফির কাপ হাতে নিয়ে একদৃষ্টিতে সামনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। বাতাসের সাথে হালকা শীতল অনুভূতি মিশে আছে, আর আকাশ ধূসর হয়ে এসেছে।

ঠিক তখনই পেছন থেকে পরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো।

অনামিকা বলল: "তুমি এখানে?"

রুদ্র চমকে তাকাল। অনামিকা তার দিকে এগিয়ে এলো, চুলগুলো ভিজে গলায় লেপ্টে আছে, চোখে কৌতূহল।

রুদ্র বলল: "হ্যাঁ, একটু ভাবছিলাম। তুমি?"

অনামিকা বলল: "বৃষ্টি উপভোগ করতে বের হলাম। কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি যেন খুব গভীর চিন্তায় ডুবে আছো!"

রুদ্র কফির কাপের দিকে তাকিয়ে থাকল, যেন নিজের ভাবনার সাথে যুদ্ধ করছে। তারপর ম্লান হাসি দিয়ে বলল, "আসলে কিছু পুরোনো কথা মনে পড়ছিল। জানো, বৃষ্টি আমার কাছে একধরনের স্মৃতির দরজা খুলে দেয়।"

অনামিকা বলল: "স্মৃতির দরজা? সেটা আবার কী?"

রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের বিশাল বটগাছের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর চোখ সরিয়ে অনামিকার দিকে তাকিয়ে বলল, "তোমার কি কখনো এমন হয়েছে, যখন মনে হয়েছে কেউ তোমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?"

অনামিকা কিছুক্ষণ চুপ রইল। ঠোঁটের কোণে এক রহস্যময় হাসি ফুটে উঠল। তারপর নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, "হয়তো হয়েছে… বা হয়তো হতে চলেছে।"

রুদ্র তার দিকে তাকিয়ে থাকল, অনামিকার চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করল। বৃষ্টি ততক্ষণে আরও বেড়ে গেছে।

রুদ্র বলল: "বৃষ্টি মানে শুধুই জল নয়, এটা অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। পুরোনো মুহূর্ত, কিছু অসমাপ্ত কথা, কিছু না বলা অনুভূতি।"

অনামিকা বলল: "সব অনুভূতি কি বলা যায়?"

রুদ্র এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল, "হয়তো যায় না। কিন্তু কিছু অনুভূতি বোঝানো যায়।"

অনামিকা একবার চোখ তুলে তাকাল, তারপর হালকা হাসল।

বৃষ্টি তখনও ঝরছে। মনে হচ্ছে, এই বৃষ্টির মধ্যেই এক নতুন গল্প শুরু হতে চলেছে…

(চলবে…)

---

(আপনারা চাইলে গল্পের দ্বিতীয় পর্ব লিখতে আগ্রহী হবো......)

Address

Muksudpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahrin Subha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share