23/07/2025
কালকে কে,কে স্কুল থেকে ঘাটে গেলাম আমার কাছ থেকে ৫০ টাকা রিকশাভাড়া নেয়। আমি অবাক হয়ে রিকশাওয়ালাকে বললাম, “মামা, এতো ভাড়া কীভাবে হয়?” রিকশাওয়ালা রেগে গিয়ে বলল, “জিগায় উঠতে পারেন নাই?”
তখন কিছু বলিনি, কারণ নিজের সম্মান রক্ষা করাই ভালো মনে করেছি। আজকাল রিকশাওয়ালাদের অনেকের আচরণ এমনই হয়ে গেছে—ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন করলেই রেগে যায়, খারাপ ব্যবহার করে।
এটা শুধু আমার একার অভিজ্ঞতা নয়, এটা মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রতিদিনের চিত্র। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই শহরে মানুষ এর থেকে , রিকশা হয়ে গেছে বেশি। মুন্সীগঞ্জ শহরে ৯০% জ্যামের জন্য দায়ী এই অসংখ্য রিকশা। কাচারি, সুপার মার্কেট—যেদিকেই তাকান না কেন, রিকশার সারি লেগেই আছে।
বেশিরভাগ রিকশা চলাচল করে গ্যারেজ ভিত্তিতে। দিনের শেষে তাদের গ্যারেজ মালিককে জমা দিতে হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং তাদের ইনকাম এর অংশ । ফলে, রিকশাওয়ালারা দিনের বাকি সময়টা যেভাবেই হোক সেই টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এজন্য তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, যেন রীতিমতো ডাকাতি করছে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি। প্রশাসনের উচিত শহরের যান চলাচল ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা এবং রিকশাভাড়া নির্ধারণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। না হলে সাধারণ মানুষকেই বারবার হয়রানির শিকার হতে হবে।