27/05/2025
আলহামদুলিল্লাহ, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উত্থাপিত ৬ দফা দাবির প্রেক্ষিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছে।
এই রূপরেখার মাধ্যমে দেশের কারিগরি সেক্টরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। মূল যে পরিবর্তনগুলো উল্লেখযোগ্য:
১. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে পরিবর্তন:
ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবী পরিবর্তন করে ‘ল্যাব সহকারী’ করা হবে। তারা ১৬তম গ্রেডে প্রবেশ করে সর্বোচ্চ ১১তম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। নিয়োগবিধি সংশোধন করা হবে এবং হাইকোর্টের অবৈধ রায় দ্রুত বাতিল করা হবে।
২. ভর্তি নীতিমালার পরিবর্তন:
আগামী সেশন থেকেই সকল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হবে। পাশাপাশি বয়সসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে – এসএসসি পরীক্ষার পর সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে ভর্তির সুযোগ থাকবে। সময় সাপেক্ষে প্রবিধান ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরের পরিকল্পনাও রয়েছে।
৩. চাকরি নিয়োগে ন্যূনতম গ্রেড নিশ্চিতকরণ:
সকল সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) পাসকৃত শিক্ষার্থীদের ১০ম গ্রেডের নিচে কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ, তাদের জন্য ১০ম গ্রেড বজায় থাকবে।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন:
কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য একটি ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
৫. ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি:
নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে তিনটিতে পলিটেকনিক পাস শিক্ষার্থীদের ভর্তি সুযোগ রাখা হবে। সম্ভাব্যভাবে ২০২৬-২৭ সেশন থেকেই চালু করা হবে।
এই রূপরেখা বাস্তবায়নের পেছনে রয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের নিরলস প্রচেষ্টা, ত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আন্দোলনের ফসল। এই ছয় দফাই কারিগরি সেক্টরের মুক্তির সনদ।
বিজয় মিছিল নয়,
এখন প্রয়োজন শক্তিশালী ঐক্যের!
আমরা আশা করি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই রূপরেখা বাস্তবায়ন করে দেশের কারিগরি শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
মো: সাজ্জাদুল ইসলাম সাগর
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি(মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট)
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন,বাংলাদেশ
MUPI Timeline