22/07/2025
আজকে অনেকদিন পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পুনরায় মিলিত হলাম, আমার প্রাণপ্রিয় স্যার জনপ্রিয় আইসিটি বইয়ের লেখক মাহবুবুর রহমান স্যার, আমার পূর্বের কলেজের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক মহোদয়, অনেক ভালো লাগলো,, মনে হচ্ছিল যেন ওভার পূর্বের লাইভে ফেরত গেছি,, হাসিঠাট্টা আনন্দ মজাই কাটল ২-৪ ঘন্টা সময়,,
তবে খারাপ লাগলো ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উত্তর পত্র বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ে, প্রথমে দু-একজন স্যার বক্তৃতা দিলেন,, আইসিটি বিষয় শিক্ষক কতজন আছেন জানতে চাইলে প্রায় দেড়শ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ৩০ -৩৫ জন হাত তোলেন,, বাকি ১২০জন সবাই অন্য বিষয়ে শিক্ষক, কেউ ইসলামের ইতিহাস, কেউ দর্শন, কেউ ভূগোল, কেউ ব্যবস্থাপনা, এমন কি কেউ শারীরিক শিক্ষক,,
অবাক লাগে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানার পরও এদের হাতে খাতা মূল্যায়নের জন্য দিতেছে,, বেশ কয়েকটা স্যার আমার পরিচিত ছিল,, যারা আইসিটি বিষয় বিন্দুমাত্র কোন ধারণা রাখেনা,, হয়তো গড় পরতা এভারেজ মার্ক দিয়ে সবাইকে পাশ করিয়ে দিবে,, এখানে দুইটা জিনিস ক্ষতি হবে,
১. যারা ভালো স্টুডেন্ট এ প্লাস পাওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা হয়তো এ প্লাস পাবে না, কেননা এই শিক্ষকগুলোর উত্তরপত্রে যা আছে হুবহু তা ছাড়া বিকল্প উত্তর লিখলে এরা নিজেরাও বুঝবে না, ও মার্কও কম দেবে।
২. যারা কিছু না বুঝে ভুল ভাল লিখবে তাদেরকে এভারেজ মার্ক দিয়ে পাস করিয়ে দেবে।
কবে আমাদের শিক্ষা বোর্ড এই অবস্থা থেকে মুক্ত হবে,, কবে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সত্যিকার অর্থে আইসিটি শিক্ষক দ্বারা খাতা মূল্যায়ন করার সুবিধা পাবে,,
আরেকটু বিশেষ অনিয়ম লক্ষ্য করলাম, প্রত্যেক শিক্ষককে ৩০০ করে খাতা দেওয়া হয়েছে,, তবে যারা খাতা বহন করছিল অর্থাৎ কুলি, তারা আবার অফার করছিল ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০০ করে খাতা তারা এনে দিবে,, এবং অনেক শিক্ষকে দেখলাম এই ঘটনা ঘটছে। এই অনিয়মকে কখনো দূর হবার নয়।
Collect: Murad Sir