
07/06/2025
—আজ পবিত্র ইদের রাত্রির পরের রাত্রী। আর আমাদের প্রাণের মোজাহারদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছে একটা বেইজের ছাত্ররা। এ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, কোনো আয়োজন নয়—এ যেন হৃদয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আসা এক স্বতঃস্ফূর্ত মিলন।
একঝাঁক সাবেক শিক্ষার্থী, যাদের একেকজন এখন ছড়িয়ে আছে নানা প্রান্তে, তারা সবাই এসে জড়ো হয়েছে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু মুহূর্তের —এই স্কুল মাঠে, এই শহিদ মিনারের পাদদেশে। মুখে ঈদের হাসি, চোখে স্মৃতির জল, আর বুকে বন্ধুত্বের গভীর টান।
তারা এসেছে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে, বলার মতো না-বলা কথাগুলো বলতে, একসাথে হাঁসতে, হয়তো বা চুপ থেকেও কিছু অনুভব করতে। এসেছে তাদের কৈশোরের গোপন হাসিগুলো, দুপুরবেলার ক্লাস পালানো, কিংবা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার স্মৃতি একে অপরকে শোনাতে।
এই জড়ো হওয়া শুধু কিছু বন্ধুদের দেখা হওয়া নয়—এ এক আত্মিক পুনর্মিলন। এখানে হাসির মাঝে লুকানো আছে কষ্ট, গল্পের ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসছে কিছু পাওয়া —না পাওয়ার কথা, আর প্রতিটি ক্লাস রুমে লেগে আছে হাজারো স্মৃতির সুগন্ধ।
মোজাহারদী উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, আমাদের অনুভবের একটি জীবন্ত স্মারক।
— ঈদের রাত আমাদের মনে করিয়ে দিল—সময় বয়ে গেলেও কিছু সম্পর্ক, কিছু ভালোবাসা, কিছু জায়গা—চিরদিন অমলিন থাকে।
–হাফিজ মাহমুদ
এসএসসি বেইজ–২০২৩
বি:দ্র:
এই জড়ো হওয়া তরুণেরা কোনো পূর্বনির্ধারিত বেইজ ছিল কি না—সত্যি বলতে আমি জানি না।
তবে আজ শহিদ মিনারে বসে যখন তাদেরকে কথা বলতে দেখলাম, তখন মনে হলো—এইটা যেন আমাদের বিদ্যলয়ে পড়া কোনো একটা বেইজের পড়া ছাত্ররা জড়ো হয়েছে।