M ã ϻ ǘ ň ツ

M ã ϻ ǘ ň ツ প্রেম এ না পড়ে বই পড়ুন। কারণ-প্রেম এ জীবন ন*ষ্ট আর বই এ জীবন আলোকিত।
মুসলিম

মেয়েরা যদি ইলেক্ট্রনিক কাজ করতো 🙂
17/08/2025

মেয়েরা যদি ইলেক্ট্রনিক কাজ করতো 🙂

14/08/2025

আমি বিবাহিত +আমার দুইটা বাচ্চা আছে, আমার জামাই একজন ব্যবসায়ী কিন্তু আমার জামাই আমাকে এড়িয়ে চলে ঠিক মতো আমাকে টাকা বা বাচ্ছার খরচ কিছু দিতো না। আমাকে বলতো ওনার ব্যবসায় অনেক লস খাইছে, আমাকে বলতো তা আমি বিশাস করতাম। এজন্য আমাকে দেশের বাড়ি রেখে আসছে, আমি দেড় বছর এর মতো থাকি সেখানে কিন্তু আমার জামাই যেখানে ব্যবসা করে সেখানে আমরা থাকতাম। দেড় বছর পর সে আমাকে আবার নিয়ে আসে তার কাছে,আমি আসার পর থেকে দেখি যে উনি বাসায় আসলে মোবাইল বন্ধ করে রাখে কিন্তু বাহিরে গেলে খোলা রাখে আর আমাকে তার মোবাইল ধরতে দিতো না।

আমার কেমন জানি তাকে সন্দেহ হয়।

একদিন আমি তার মোবাইল লুকিয়ে আমার কাছে নেই তখন জানতে পারি সে আমাকে রেখে একটা বয়স্ক মহিলাকে মাজার সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছে দুই বছর আগে💔 ঐ মহিলার ছেলে আমার বয়সী, মোবাইল এ চ্যাটিং বয়েস এ বলেছে ওনারা বিয়ে করেছে। এটা নিয়ে আমার সংসারে অনেক অশান্তি চলছে সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে তারপর ও আমার জামাই মানতে নারাজ সে বিয়ে করছে + থাকছে এই নিয়ে অনেক বিচার শালিশ হয় ঐখানে স্বীকার করে কিন্তু বাসায় আমার সাথে এটা নিয়ে অনেক অশান্তি করে। আমার বাবা মা আমাকে নিয়ে যেতে চায় বাপের বাড়িতে, আমি গেলে আমার বাচ্চার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমি যেতে চাইছি না। এজন্য তারা ও রাগ আছে,আমি আর পারছি না এই অশান্তি সহ্য করতে আমাকে সাজেশন দিবেন সবাই আমি কি করবো? আমি সবার মতামত আশা করছি😭

পাঠিয়েছেন

মিতু

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) স্ত্রীকে বললেন- ‘প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি বেশিক্ষণ বাঁচ'বো বলে মনে হচ্ছে না। তুমি আমার সারাটা শরীর পর...
09/08/2025

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) স্ত্রীকে বললেন- ‘প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি বেশিক্ষণ বাঁচ'বো বলে মনে হচ্ছে না। তুমি আমার সারাটা শরীর পরীক্ষা করে দেখ, এমন কোনো স্থান কি আমার শরীরে আছে যেখানে শত্রুর তরবারীর আঘা'ত নেই’?

দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষা করে স্ত্রী উত্তর দিলেন- ‘না। আল্লাহর রাস্তায় আপনি এত বেশি যুদ্ধ করেছেন যে আপনার সারাটা শরীরেই শত্রুর আঘা'ত আছে’।

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) তখন দুঃখ নিয়ে বললেন- ‘আল্লাহর কসম, প্রতিটা জিহাদে আমার নিয়ত থাকতো যেন আমি ময়দানে শত্রুর আঘা'তে মারা যাই, তাতে যেন শহীদের মর্যাদা পাই। কিন্তু আফসোস, দেখ আজ যুদ্ধের ময়দানে মৃ'ত্যু না হয়ে আমার মৃ'ত্যু হচ্ছে আমারই বিছানায়! আমায় কি আল্লাহ শহীদদের মাঝে রাখতে চান না’?

স্বামীর আফসোস দেখে স্ত্রী কিছুক্ষণ মৌন রইলেন। এরপর করলেন সেই বিখ্যাত উক্তি :- ‘আপনার নাম স্বয়ং রাসুল (সা.) রেখেছিলেন সাইফুল্লাহ/আল্লাহর তরবারী (⚔️) এমন কোনো তরবারী কি দুনিয়ায় আছে যেটা আল্লাহর তরবারীর মোকাবিলা করতে পারে? তাইতো ময়দানে আপনার মৃ'ত্যু হয়নি কারণ আল্লাহ তার তরবারী মাটিতে লুটিয়ে যেতে দেননি’।

সুবহানাল্লাহ❤️💚🖤

একজন আলেম তার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি কলম ধার নেন।তখন তিনি সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন কলমটি ফেরত দিয়েছেন।সফর শেষে যখন...
08/08/2025

একজন আলেম তার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি কলম ধার নেন।

তখন তিনি সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন কলমটি ফেরত দিয়েছেন।

সফর শেষে যখন বাসায় ফিরেন, তখন দেখতে পান কলমটি তার কাছেই রয়ে গেছে!

তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন কলমটি তার বন্ধুকে ফেরত দিতে যাবেন।

ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর আগের। সেই যুগে প্লেন ছিলো না, গাড়ি ছিলো না। হেঁটে, উট-ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ করতে হতো।

সেই আলেম বন্ধুকে কলম ফেরত দিতে গেলেন।

চিন্তা করতে পারেন 'সামান্য' একটি কলম ফেরত দিতে তিনি কতো দূর ভ্রমণ করেন?

মার্ভ থেকে সিরিয়ার দূরত্ব প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার। গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছে একটানা বিশ্রাম ছাড়া হেঁটে গেলে ৬৫৬ ঘণ্টা লাগে। একটানা হাঁটলে প্রায় ২৭ দিন!

আমানত রক্ষার ব্যাপারে সেই আলেম কতোটা মনোযোগী ছিলেন ভাবা যায়?

সেই আলেম হলেন তৎকালীন যুগের হাতেগোনা মুহাদ্দিসদের একজন যিনি 'আমিরুল মুমিনিন ফিল হাদিস' তথা হাদীস বিশেষজ্ঞ উপাধি লাভ করেছিলেন।

তাঁর নাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহিমাহুল্লাহ।

[সিয়ারু আ-লামিন নুবালা: ১৫/৪১১]

ইসলামের ইতিহাসে বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন মসজিদে হতো, তেমনি যুদ্ধের ময়দানেও বিয়ে হতো!এমন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ইসলামের ইতিহাসে ব...
07/08/2025

ইসলামের ইতিহাসে বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন মসজিদে হতো, তেমনি যুদ্ধের ময়দানেও বিয়ে হতো!

এমন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ইসলামের ইতিহাসে বেশ প্রসিদ্ধ।

যুদ্ধের সময় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। স্বামী চাইলেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিতে৷ স্ত্রী বললেন, "আমরা তো এখনো শত্রুবাহিনীর নাগালের মধ্যে আছি। কিছুদিন পর না হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হোক?"

স্ত্রীর কথা শুনে স্বামী আস্তে করে বললেন, "কিন্তু, এই যুদ্ধে তো আমি শহীদ হয়ে যেতে পারি!"

স্বামীর এমন আবেগমাখা কথা শুনে স্ত্রী আর আপত্তি জানালেন না।

একটি ব্রিজের ওপর ওয়ালিমার অনুষ্ঠান হলো। সৈন্যদের খাওয়াদাওয়া তখনো শেষ হয়নি।

ঠিক সেই মুহূর্তে শত্রুবাহিনী আক্রমণ করলো।

একজন শক্তিশালী রোমান সৈন্য মুসলিম বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানালো- "কে আছো আমার সাথে লড়বে?"

তার আহবানে সাড়া দিলেন নববিবাহিত সাহাবী, যার বিয়ের অনুষ্ঠান তখনো শেষ হয়নি।

বিরত্বের সাথে যুদ্ধ করে সত্যি সত্যি শাহাদাতবরণ করলেন!

আর সেই নারী? নববিবাহিতা নারী? বিয়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যিনি বিধবা হলেন, তিনি কী করবেন? স্বামীর শোকে কান্নাকাটি?

না, তিনি বরং নিজের কাপড় মজবুতভাবে কোমরে বেঁধে তাবুর খুটি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন।

স্বামীর হত্যাকারীদের ওপর ক্ষিপ্র গতিতে ঝাপিয়ে পড়লেন। এমনকি ৭ জন রোমান সৈন্যকে হত্যা করলেন সেই নারী।

সেই নারী সাহাবির নাম ছিলো উম্মু হাকিম বিনতে হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা। তাঁর স্বামী ছিলেন খালিদ ইবনে সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।

পরবর্তীতে সেই যোদ্ধা নারীকে বিয়ে করেন উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু।

একজন সাহাবীর প্রয়োজন মেটানোর জন্য নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইহুদির কাছ থেকে ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের সময় বিধা...
06/08/2025

একজন সাহাবীর প্রয়োজন মেটানোর জন্য নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইহুদির কাছ থেকে ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের সময় বিধান হলো ঋণ ফেরতের তারিখ নির্ধারণ করা। নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদিকে একটি তারিখ বলেন, যে তারিখে তিনি ঋণ ফেরত দিবেন।

একদিন নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে নিয়ে একটি জানাযা থেকে ফিরছেন। তাঁর সাথে ছিলেন আবু বকর, উমরের (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) মতো মহান সাহাবী।

ঠিক সেই সময় ঐ ইহুদি লোকটি নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গলার চাদরে ধরে রাগতস্বরে, অভদ্র ভাষায় বললো-

“ও মুহাম্মদ! আমার কাছ থেকে যে ঋণ নিয়েছিলে, সেই অর্থ কোথায়? আমি তো তোমার পরিবারকে চিনি। ঋণ নিলে তোমাদের আর কোনো খবর থাকে না!”

নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর কথায় সাহাবীরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে পারেন। তিনি যদি সাহাবীদেরকে একটু ইশারা দেন, তাহলে সাহাবীরা তার (ইহুদি) গর্দান উড়িয়ে ফেলবেন। তাঁকে সবার সামনে এতো বড়ো অপমান করা হলো? অথচ ঋণ পরিশোধের যে তারিখ ধার্য করা হয়েছিলো, সেটা এখনো বাকি আছে। সময়ের আগেই সুন্দরভাবে না চেয়ে এভাবে অভদ্র ভাষায় দাবি করতে হবে?

উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সহ্য করতে পারলেন না। তিনি তাঁর স্বভাবজাত সেই বিখ্যাত উক্তিটি বললেন- “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি অনুমতি দিন, তার গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলি?”

নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক্ষেত্রে যেমন ক্ষমতা ছিলো, তেমনি তিনি ন্যায় ছিলেন (কারণ, ঋণ পরিশোধের সময়ের পূর্বেই ইহুদি লোকটি তাঁর চাদর ধরে অপমান করেছে)। ইহুদির অমার্জিত আচরণকে তিনি শাস্তি দিতে পারেন। ইহুদিরা তাঁকে নবী বলে স্বীকৃতি না দিক, তারা তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান, চিফ জাস্টিস হিশেবে তো স্বীকৃতি দেয় (মদীনা সনদের আলোকে)। নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবার অধিকার রাখেন।

কিন্তু, তিনি উল্টো উমর ইবনুল খাত্তাবকে (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন:

“উমর, তোমার কাছ থেকে তো উত্তম ব্যবহার আশা করা যায়। তুমি এভাবে না বলে বরং আমাকে বলতে পারতে- ‘আপনি তাঁর ঋণ পরিশোধ করুন’। কিংবা তাকে বলতে পারতে- আপনি সুন্দরভাবে ঋণের কথা বলতে পারতেন।”

অসুন্দরের জবাব সুন্দর দ্বারা, অনুত্তমের জবাব কিভাবে উত্তম দ্বারা দিতে হয় সেটা নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সহ সাথে উপস্থিত সাহাবীদেরকে শেখালেন।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরকে (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নির্দেশ দিলেন-

“উমর, যাও তার সাথে এবং তাকে তার ঋণ পরিশোধের পর আরো বিশ সা’ (৩২ কেজি) খেজুর দিও। কারণ, তুমি তাকে ভয় দেখিয়েছো।”

উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ইহুদিকে সাথে নিয়ে গেলেন। তাকে তার প্রাপ্য ঋণ প্রদান করলেন এবং সাথে আরো ৩২ কেজির মতো খেজুর দিলেন। ইহুদি তো অবাক! সে একে তো সময়ের আগেই পাওনা দাবি করেছে, তারউপর সবার সামনে নবিজীকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপমান করেছে; তবুও নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে পাওনা দিয়ে দিলেন, সাথে দিচ্ছেন আরো ৩২ কেজি খেজুর!?

সে জিজ্ঞেস করলো, “অতিরিক্ত এগুলো কেনো?”

উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, “কারণ, আমি তোমাকে হুমকি দিয়েছি। সেটার কাফফারা হিশেবে নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগুলো দিতে বললেন।”

এটা শুনে ইহুদি বললো, “উমর, তুমি কি জানো আমি কে?”

উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, “না, আমি জানি না। তুমি কে?”

ইহুদি বললো, “আমি যায়িদ ইবনে সু’নাহ।”

তার নাম শুনে উমরের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) চক্ষু চড়কগাছ! যায়িদ ইবনে সু’নাহ? মদীনার সেই বিখ্যাত ইহুদি রাবাই (ইহুদিদের আলেম)? উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার নাম জানতেন, কিন্তু তিনিই যে ঐ ব্যক্তি, সেটা তিনি জানতেন না।

যায়িদ ইবনে সু’নাহ বললেন, “হ্যাঁ, আমিই সেই ইহুদি রাবাই। আমাদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবী হবার প্রমাণের যতো ভবিষ্যৎবাণী পাওয়া যায়, সবগুলোই আমি তাঁর মধ্যে পেয়েছি। শুধু দুটো বিষয় পরীক্ষা করা বাকি ছিলো।”

সেই দুটো ছিলো:

তাঁকে কেউ রাগালে তিনি সহনশীলতা দেখাবেন।

কোনো মূর্খ তাঁর কাছে এসে মূর্খের মতো আচরণ করলে তিনি বরং সেই মূর্খের সাথে ভালো আচরণ করবেন। অর্থাৎ তিনি মন্দের জবাব ভালোর মাধ্যমে দিবেন, অনুত্তমের জবাব উত্তমের মাধ্যমে।

যায়িদ ইবনে সু’নাহ নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মধ্যে সেই দুটো গুণও এবার দেখতে পান। তিনি নবিজীকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগানো সত্ত্বেও নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে রাগ করেননি; উল্টো তার পাওনা অর্থের বেশি তাকে দিয়েছেন।

এবার যায়িদ ইবনে সু’নাহ বললেন:

“ও উমর, তুমি সাক্ষী থাকো- আমি আল্লাহকে আমার রব হিশেবে, ইসলামকে আমার ধর্ম হিশেবে এবং মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নবী হিশেবে মেনে নিলাম। আমার অনেক সম্পদ আছে। আমি আমার অর্ধেক সম্পদ ইসলামের তরে দান করে দিলাম।”

তথ্যসূত্র:

সহীহ ইবনে হিব্বান: ২৮৮, আল-বায়হাকী: ১১০৬৬, মুস্তাদারক হাকিম: ৬৫৪৭। ইমাম হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন।

01/08/2025

এত সুন্দর একটা সকাল উপভোগ করার জন্য আল্লাহ্ আমাদেরকে আবার জীবিত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ।

31/07/2025

সর্বোত্তম যিকির হলো
'লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ'
সর্বোত্তম দু'আ হল
'আলহামদুলিল্লাহ

“ভাই, মরিচ কত করে?”--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বা...
31/07/2025

“ভাই, মরিচ কত করে?”
--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বাকি। ঘড়ির কাঁটা তখন সবে আটটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ চোখে পড়লো, একজন লোক, পরনে টি-শার্ট আর লুঙ্গি, মলিন তার পায়ের স্যান্ডেল, বসে আছেন রেললাইনের উপর, পাশে একটা বড় পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ ভর্তি লাল আর সবুজ বোম্বাই মরিচ।

কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, মরিচ কত করে?”
জিজ্ঞেস করতেই লোকটি মাথা নিচু করে বলল, “ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

আমার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ব্যাগ ভর্তি মরিচ নিয়ে বসে আছেন, অথচ বলছেন বেচবেন না? আমি হেসে বললাম, “মরিচ নিয়ে বসে আছেন আর বলছেন বেচবেন না! কাহিনী কী ভাই?”

লোকটি মাথা নিচু করে ছিল, মুখ তুলতেই বুঝতে পারলাম এতক্ষন কান্না করছিলো। চোখে পানি আর কান্না জড়ানো কণ্ঠে লোকটি যা বললো শুনে আঁতকে উঠলাম।
ঠোঁট কাঁপছিলো তার, কণ্ঠে অসহায়ত্ব আর কান্নার মিশ্র ধ্বনি।

“এই মরিচগুলা আমি আমার মাইয়ার জন্য আনছিলাম, ভাই, কিন্তু আমার মাইয়াটা আর নাই, আর আমার নিজের কিছুই নাই।”

আমি চুপ করে গেলাম। আমার মনে হল সময় থেমে গেছে।
আমি বসে পড়লাম তার পাশে, রেললাইনে। বললাম, “মেয়ের জন্য মরিচ আনছিলেন কেন? আর মেয়ে নাই মানে, কি হইছে আপনার মেয়ের?”

আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল লোকটি । একটু সময় নিলো-
আমার বাড়ি কালীগঞ্জ আড়িখোলা, ছোড একটা জমি আছে, তাতেই ক্ষেত খামারি করতাম।
আমার একটাই মাইয়া, নাম রাখছিলাম রুহি। ফুটফুইট্টা মাইয়াডা আমার সারাক্ষন খালি হাসতো। বকলেও হাসতো, মারলেও হাসতো। জন্মের সময় ওর মায় মইরা গেছিলো। এই একটা মাইয়ার মুখের দিকে চাইয়াই বাইচা আছিলাম।

রুহির বয়স এহন সাত, তিন মাস ধইরা জ্বর, ওষুধেও জ্বর কমে না । গেরামে ডাক্তার দেখাইলাম, কইলো নরমাল জ্বর, সাইরা যাইবো।
কিন্তু জ্বর কমে না, মাইয়াডা আমার আর হাসে না, খালি চাইয়া থাকে, কি জানি কইতে চায়, বুকের মইদ্দে তার কত কতা জইম্মা আছে কিন্তু মুখ ফুইট্টা কইতে পারে না।
শহরে নিয়ে আইলাম, ডাক্তার পরীক্ষা কইরা কইলো, লিউকেমিয়া।

খালি দেখলাম মাইয়াডা কেমন হুগায়া যাইতাছে, চুলডি সব পইড়া যাইতাছে, আর দিনে দিনে চোক দুইডা কেমন ঘোলা হইয়া যাইতাছে।
রুহি একদিন কইলো, “আব্বা, আমি মরতাম চাই না। আমি স্কুলে যামু, ডাক্তার হমু , তোমার লাইগা টাকা কামাই করমু।”

জমিডা বেইচা দিলাম, একটা দুধের গরু আছিলো, হেইডাও বেইচা দিচ্ছি, তাও টেহা কম পরে।
চক্ষে মুখে আন্ধার দেহি, একটা মাত্র মাইয়া আমার, তারে কি বাচাইতে পারুম না?

একদিন রুহি কইলো, “আব্বা, তুমি বাড়িত গেলে আমার লিগ্গা লাল-সবুজ রঙ্গের বোম্বাই মরিচ আনবা।”
আমি কইছিলাম, “ব্যাগ ভইরা তোর লাইগা বোম্বাই মরিচ আনমু মা।”

শুইন্না হেইদিন কি সুন্দর হাসি সে দিছিলো, কেডায় জানতো ওই আমার মায়ের শেষ হাসি।

গতকাল কেমোথেরাপি দেওনের পর বাড়িত গেছিলাম, কয়ডা টেহা ধার করেনের লেইগ্গা। আইজকা সকালে ট্রেনে কইরা আহনের সময় হাসপাতাল থন ছোড বাই ফোন দিয়া কইলো আমার রুহি আর নাই।

টেরেনের মইদ্দে হাজার হাজার মানুষ, দুনিয়াডা জুইড়া কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু আমার এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই, আমার আর কিছুই নাই এই এক ব্যাগ লাল-সবুজ বোম্বাই মরিচ ছাড়া. আমি এই মরিচ কাউরে দিমু না বাই, কাউরে না।

আমার ট্রেন চলে এসেছে, কিন্তু আমার পা জোড়া এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে সেখান থেকে উঠে আমার ট্রেন পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি ছিল না।

আমি কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চারপাশে শহরের কোলাহল, ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে গেলো বাঁশি বাজিয়ে, এর সবই যেন এক অসহায় বাবার কান্নায় মিশে যাচ্ছিলো।

গলার কাছে কান্না টা দলা পাকিয়ে উঠেছিল আমার। কি শান্তনা তাকে আমি দিবো, কোন ভাষায় তাকে আমি ভোলাব সে আমার জানা ছিল না।

অনেক কষ্টে বললাম, “হাসপাতালে যান, মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যান. আপনার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল বোম্বাই মরিচ খাওয়ার। তার কবরে অনেক গুলো বোম্বাই মরিচের গাছ লাগিয়ে দিবেন।
আর দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।“

পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তার হাতে দিতেই সে বললো, “বাই আমার টেহার দরকার নাই আর”, আমার রুহি নাই, টেহা দিয়া আমি আর কি করমু”?
এই দুনিয়াতে আমার কষ্টের কথা শোনার আর কেউ নাই, আপনি শুনছেন, এটুকুই যথেষ্ট।

তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। বললাম, “রুহির নামে আমিও একটা বোম্বাই মরিচের গাছ লাগাবো, আরও যারা রুহির কথা জানবে সবাইকে বলবো একটা করে গাছ রুহির নামে লাগাতে, রুহি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে”।

চোখ থেকে তার তখন অনবরত পানি পড়ছিলো, ঠোঁট কাঁপছিলো, শুধু হাতটা শক্ত করে ধরে রাখা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিলো না ।

আমার ট্রেন আসে, জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে তার হাত ছাড়িয়ে ছুটতে হয় ট্রেন ধরবার জন্য। সবার গন্তব্য আছে, তাড়া আছে, রুহির বাবার কোনো গন্তব্য নেই, আর কোনো তাড়া নেই। মেয়ের ওষুধ কিনবার জন্য তাকে আর ছুটতে হবে না, চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবার জন্য আর এর ওর কাছে হাত পাততে হবে না। রুহির কথা আমরা হয়তো ভুলে যাবো, ছোট্ট রুহি যে জীবনের শেষ আবদারে তার বাবার কাছে বোম্বাই মরিচ খেতে চেয়েছিলো । আমাদের সন্তানের মাঝে ছায়া হয়ে রুহি বেঁচে থাকুক। ❤️

©কায়াস হোসেন

31/07/2025

সারাদিন অনেক কাজের ব্যস্ততার কারণে আল্লাহ্ নাম নিতেই ভুলে যাই তাই ঘুমানোর আগে সবাই একবার বলি আল্লাহ 🤲

31/07/2025

পুরুষ যতক্ষন ঘুমিয়ে থাকে ততক্ষণী সে পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ..!

31/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ 🤲

Address

Mymensingh
Mymensingh Baghara
322

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when M ã ϻ ǘ ň ツ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share