26/11/2025
চিতই পিঠার ইতিহাস সুপ্রাচীন, এবং এটি বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা মূলত চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। হাজার হাজার বছর আগে বৈদিক যুগ থেকেই পিঠার প্রচলন ছিল এবং তখন যবের গুঁড়া গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি হতো। এই ঐতিহ্য সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়ে আধুনিক চিতই পিঠার রূপ নিয়েছে, যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খুবই জনপ্রিয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
প্রাচীন উৎস: পিঠার ধারণাটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং এর উল্লেখ বৈদিক সাহিত্যেও পাওয়া যায়। সেখানে "অপূপ" নামক একধরনের পিঠার কথা বলা হয়েছে, যা যবের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হত।
প্রচলিত নাম: চিতই পিঠা বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন আসকে পিঠা, ঢাকা পিঠা, চিকুই পিঠা, সরা পিঠা ইত্যাদি।
আঞ্চলিক ঐতিহ্য: বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এর প্রচলন অনেক বেশি এবং গ্রামাঞ্চলে নতুন ধান ওঠার পর থেকে পিঠা তৈরির উৎসবের আমেজ শুরু হয়।
তৈরির কৌশল
উপকরণ: চিতই পিঠা মূলত চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয়, তবে অন্যান্য শস্যের গুঁড়াও ব্যবহার করা যায়।
প্রস্তুত প্রণালী: এটি একটি পাতলা পিঠা যা গরম সরায় বা ছাঁচে তৈরি করা হয়, যা এর নামের (চিতই বা চিতুই) একটি কারণ। এর উপরে ছিদ্র ছিদ্র দাগ থাকে যা রান্নার সময় তৈরি হয়।
ভোজনরীতি: শীতকালে গরম গরম চিতই পিঠা, মাংসের ঝোল বা গুড় দিয়ে খাওয়া হয়।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
ঐতিহ্য: পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
শীতকালীন খাদ্য: শীতকালে পিঠাপুলি বাঙালি সমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করে।
নগরায়ণ: বর্তমানে শহরগুলোতেও চিতই পিঠার অনেক দোকান দেখা যায় এবং এটি একটি জনপ্রিয় রাস্তার খাবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
#চিতই_পিঠা
Mr Minar