09/08/2025
এক পুলিশ ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট
মাইলস্টোনে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার পাইলট স্যারের সঙ্গে স্মৃতিময় একদিন
আজ হঠাৎ গুগল ফটো ঘাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ে একটি পুরনো ছবি—যেটি তোলা হয়েছিল একজন বিনয়ী, ভদ্র ও সদা হাস্যোজ্জ্বল পাইলটের সঙ্গে। ছবিটি দেখে প্রথমে চিনতে পারিনি, কিন্তু একটু পরেই হৃদয়ে কড়া নাড়ল এক বিশেষ স্মৃতি।
২৫ শে জানুয়ারি ২০২৪ সালে সকালে প্রায় দেড় বছর আগে মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ডিউটিতে থাকার সময়, ওই হাসপাতালের এক কর্মচারী একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, আইডি কার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র কুড়িয়ে পেয়ে তা আমার হাতে দেন। আইডি কার্ডে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে জানতে পারি, সেগুলোর মালিক একজন পাইলট—তৌকীর ইসলাম স্যার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আছে, তখন স্যার আমার কাছে আসতে চাইলে আমি তাঁকে অনুরোধ করি জাহাঙ্গীর গেট শাহীন স্কুলের সামনে দেখা করতে, কারণ আমার সন্তান সেখানেই পড়ে।
স্কুল ছুটির সময় আমি বাচ্চাকে নিতে গেলে স্যারের সঙ্গে দেখা করি এবং তাঁর হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান কাগজপত্রগুলো হাতে তুলে দিই। সেদিন আমাদের একটি ছবি তুলেছিলাম—সেই ছবিটিই আজ আবেগে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার সংবাদে তৌকীর ইসলাম স্যারের ছবির সঙ্গে যখন আমার পুরনো ছবিটি মিলিয়ে দেখলাম, তখন নিজের চোখকেই অবিশ্বাস্য মনে হলো। পরে ছবির মিলন ও আইডি কার্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হলাম—এই ছবির মানুষটিই সেই পাইলট স্যার। স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠল তাঁর বিনয়, শালীনতা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সেদিনের মুহূর্তগুলো।
আল্লাহ তৌকীর ইসলাম স্যারসহ এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলকে জান্নাতবাসী করুন, আর আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করে তাঁদের স্বজনদের মাঝে ফিরে যাওয়ার তৌফিক দিন। আমিন।