EDUCATION TV বাংলা

EDUCATION TV বাংলা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from EDUCATION TV বাংলা, TV Channel, Mymensingh.

The official page of EDUCATION TV বাংলা
Our Slogan: Discover the Joy of Learning.

▪️YouTube:
https://youtube.com/.bangla

▪️ Facebook Community:
EDUCATION TV BANGLA
ই-লার্নিং.কম | e-Learning.Com

📞Helpline
01970-906360
(WhatsApp Only)

১৬ জুলাই ২০২৪আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করতে আজকের এই দিনে খুনের খাতা খোলে হাসিনা সরকার। একের পর এক গুলি ছুড়ে ঝাঁজরা কর...
16/07/2025

১৬ জুলাই ২০২৪

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করতে আজকের এই দিনে খুনের খাতা খোলে হাসিনা সরকার। একের পর এক গুলি ছুড়ে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় ছয়টি তরতাজা প্রাণ। শহীদ হন আবু সাঈদ, ওয়াসিম, শান্ত সহ অন্যরা।

সেই রক্তস্নাত দিনেও আবু সাঈদের প্রসারিত দুই বাহু যেন হয়ে ওঠে সাহসের প্রতীক যার ওপর ভর করে ছাত্র-জনতা এগিয়ে চলে একক লক্ষ্যে: স্বৈরাচারের পতন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

জামালপুরের কৃষকের ছেলে ফরহাদ হোসেন ৪৪তম বিসিএস (প্রশাসন) সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।জামালপুর সদর উপজেলার জাফরশাহ...
14/07/2025

জামালপুরের কৃষকের ছেলে ফরহাদ হোসেন ৪৪তম বিসিএস (প্রশাসন) সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

জামালপুর সদর উপজেলার জাফরশাহী গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া ফরহাদ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। এসএসসি পর্যন্ত বাবার সঙ্গে মাঠে কৃষিকাজ করেছেন, আবার নিয়মিত ক্লাসেও ছিলেন প্রথম সারিতে। খেলাধুলায়ও ছিল তার আগ্রহ।

২০১৪ সালে ময়মনসিংহ কেবি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকেই বিসিএস-এর স্বপ্ন শুরু। ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে ব্যর্থ হলেও থেমে থাকেননি। ২০২৩ সালে কৃষি ব্যাংকে অফিসার পদে যোগ দেন এবং চাকরির পাশাপাশি চালিয়ে যান প্রস্তুতি।

অবশেষে অদম্য ইচ্ছাশক্তি, পরিবার ও স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ৪৪তম বিসিএসে দেশের প্রথম হয়েছেন তিনি। তার এই সাফল্যে পুরো জেলায় বইছে আনন্দের ঢল।

ফরহাদ বলেন, “আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন কৃষকের ছেলে। বাবা-মার স্বপ্ন ছিল আমি বিসিএস ক্যাডার হবো, আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।”

তার স্ত্রী নুসরাত-ই-জান্নাত বলেন, “তিনি যখন ব্যর্থ হন, তখনো আমি বলতাম—চেষ্টা চালিয়ে যাও, একদিন সফল হবেই।”

ফরহাদ হোসেনের গল্প আমাদের শেখায়—অভাব কখনো স্বপ্নের বাধা নয়। পরিশ্রম, সাহস আর অটুট ইচ্ছা থাকলে যে কেউ পৌঁছাতে পারে সাফল্যের শীর্ষে।
পরিশ্রম করুন, লেগে থাকুন—সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

নবম ও দশম শ্রেণি : অর্থনীতিপ্রথম অধ্যায় : অর্থনীতি পরিচয়অনুধাবনমূলক প্রশ্ন১।  দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?উত্তর : দুষ্প্...
13/07/2025

নবম ও দশম শ্রেণি : অর্থনীতি
প্রথম অধ্যায় : অর্থনীতি পরিচয়

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১। দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : দুষ্প্রাপ্যতা বা স্বল্পতা বলতে বোঝায় জনগণ তাদের অভাব পূরণের জন্য যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা ভোগ করতে চায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত হওয়া। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এল রবিন্স বলেন, ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান, যা অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দুষ্প্রাপ্য সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত মানবীয় আচরণ বিশ্লেষণ করে।’


২। অসীম অভাব বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : মানুষের জীবনে অভাবের শেষ নেই। কোনো একটি দ্রব্যের অভাব পূরণ হলে আবার নতুন অভাবের জন্ম হয়। যেমন—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অভাব। এ অভাব পূরণ হলে সে উন্নত জীবনযাপন করতে চায়।
এভাবে মানুষের অভাব বাড়তে থাকে। এ জন্য বলা হয় অভাব অসীম।

৩। অ্যাডাম স্মিথের প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।


উত্তর : অ্যাডাম স্মিথের প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা, ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ অনুসন্ধান করে।’

৪। আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : একটি সরল অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রতিনিধি থাকে। ভোক্তা বা পরিবার এবং উৎপাদক বা ফার্ম। এই দুই ধরনের প্রতিনিধির মধ্যে আয়-ব্যয় ফার্ম তার প্রয়োজনীয় উৎপাদনের উপকরণগুলো (ভূমি, শ্রম ও মূলধন) পায় পরিবারগুলো থেকে।

এর বিনিময়ে পরিবারের সদস্যরা ফার্ম থেকে পায় খাজনা, মজুরি ও সুদ। এখানে ফার্মের যা ব্যয় পরিবারের তা আয়। আবার পরিবারগুলোর প্রাপ্ত আয় ফার্ম উৎপাদিত দ্রব্য কেনার জন্য ব্যয় করে, যা ফার্মের আয়। এভাবে পরিবার এবং ফার্মের মধ্যে আয়-ব্যয়ের চক্রাকার প্রবাহ বিদ্যমান থাকে।


৫। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী?

উত্তর : যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দামব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থায় একদিকে যেমন সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে তেমনি সামাজিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এটি পণ্য উৎপাদন ও বিনিময়ের এমন এক স্তর যেখানে সমাজের মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে পুঁজি কেন্দ্রীভূত থাকে এবং সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সম্পত্তিহীন শ্রমিকে পরিণত হয়। এ সম্পত্তিহীন শ্রমিক জীবনধারণের জন্য পুঁজিপতিদের নিকট শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

৬। মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী?

উত্তর : ‘মিশ্র অর্থনীতি’ বলতে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা উভয়ই স্বীকৃত। মিশ্র অর্থনীতিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি অবস্থান করে। ধনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের একটি সংমিশ্রিত রূপই হলো মিশ্র অর্থনীতি। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ধনতন্ত্রের ন্যায় সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা ও মুনাফা অর্জন এবং ব্যক্তি উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে। আবার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক খাতগুলো এবং কিছু কিছু বৃহৎ ও মৌলিক শিল্পের পর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে।

৭। অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : অর্থনীতি বলতে মানুষের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং সীমিত সম্পদ ও অসীম অভাবের সমন্বয় সাধন সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে বোঝায়। অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ‘Economics’ গ্রিক শব্দ‘Oikonomia’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। গ্রিক শব্দ‘Oikonomia’ শব্দের অর্থ হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে অর্থনীতি হলো গৃহস্থালি বিষয়াদির ব্যবস্থাপনা। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল অর্থনীতিকে ‘গৃহ পরিচালনার বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেন।

৮। কোন ব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ধনতন্ত্রে দামব্যবস্থা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে। ধনতন্ত্রে উৎপাদনকারী মুনাফার জন্য উৎপাদন করে। কাজেই উৎপাদনের পরিমাণ দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। আবার ভোক্তার ভোগের পরিমাণও দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। কোনো দ্রব্যের দাম কমলে ভোক্তা দ্রব্যটি বেশি পরিমাণ ভোগ করে। দাম বাড়লে কম পরিমাণ ভোগ করবে। এভাবে দামব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালনা করে থাকে।

13/07/2025

আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল।
আজ রবিবার
১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ মহররম, ১৪৪৭ হিজরি

10/07/2025

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫

এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ- ৫ দুটি কমেছে। এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ এবং জিপিএ ফাইভ ১৩৯০৩২।

গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

জিপিএ ৫-এর ‘পাগলা ঘোড়া’ তবে থামছেএসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোর মতো জিপিএ ৫ পাওয়ার ‘ঢল’ এ বছর থামতে পারে। পরীক্...
09/07/2025

জিপিএ ৫-এর ‘পাগলা ঘোড়া’ তবে থামছে

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোর মতো জিপিএ ৫ পাওয়ার ‘ঢল’ এ বছর থামতে পারে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যার যতটুকু প্রাপ্য, শিক্ষকদের ততটুকু নম্বরই দিতে বলা হয়েছে, এর বেশি নয়। উত্তর সঠিক না হলে নম্বর দেওয়া যাবে না। এভাবে খাতা দেখা ফিরছে আগের রীতিতে।

এ বছর থেকে জিপিএ ৫ উল্লম্ফন থামানোর এমন উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্ত শিক্ষা বোর্ড।
২০০১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়। ওই বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৭৬ জন, পাসের হার ছিল ৩৫.৮১ শতাংশ। এরপর ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোটামুটি গতিতে জিপিএ ৫ ও পাসের হার বাড়তে থাকে।

এর পর থেকে জিপিএ পাওয়ার হার অনেকটা ‘পাগলা ঘোড়া’র মতো ছুটতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন এবং পাসের হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি ও সমমানে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হলেও সেখানকার অবস্থা একই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর তাদের নিজেদের সাফল্য দেখাতে শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

যেহেতু দেশের প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষার্থী রয়েছে, তাই তারা পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের সাফল্য দেখিয়ে অভিভাবকদের মন জয় করার চেষ্টা করেছে। এতে উদার হাতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু লিখলেই খাতায় নম্বর দিতে বাধ্য করা হয়েছে শিক্ষকদের। এমনকি বেশি বেশি নম্বর দেওয়ার পরও পাস মার্ক থেকে চার-পাঁচ বা জিপিএ ৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৮০ নম্বর থেকে তিন-চার নম্বর কম পেলে তা দিয়ে দেওয়া হতো। এতে শিক্ষার মানে বড় ধরনের ধস নামে।

সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেনি বিগত সরকার।

সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৫ মে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ২৬ জুন থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ বছর থেকে জিপিএ ৫-এর উল্লম্ফন থামানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্ত শিক্ষা বোর্ড। খাতা দেখা ফিরছে আগের রীতিতে। এরই মধ্যে শিক্ষকদের এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদার হাতে নম্বর দেওয়া যাবে না। এতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ উল্লেখযোগ্য হারে না কমলেও উল্লম্ফনের যে ধারা ছিল তা কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

আন্ত শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহবায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের খাতা সরবরাহের আগে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তাঁদের বলেছি, একজন শিক্ষার্থী খাতায় যেভাবে লিখবে, সেভাবে মার্ক পাবে। অতিরিক্ত নম্বর বা কম নম্বর দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা খাতা খুব সাবধানে দেখতে বলেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকটায় লক্ষ রাখতে শিক্ষকদের বলেছি।’

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসিতে ২০০১ সালে পাসের হার ছিল ৩৫.২২ শতাংশ। ৭৬ জন শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো জিপিএ ৫ পায়। ২০০২ সালে জিপিএ ৫ পায় ৩২৭ জন, ২০০৩ সালে এক হাজার ৩৮৯ জন, ২০০৪ সালে আট হাজার ৫৯৭ জন, ২০০৫ সালে ১৫ হাজার ৬৪৯ জন, ২০০৬ সালে ২৪ হাজার ৩৮৪ জন, ২০০৭ সালে ২৫ হাজার ৭৩২ জন এবং ২০০৮ সালে পায় ৪১ হাজার ৯১৭ জন।

২০০৯ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪৫ হাজার ৯৩৪ জন, ২০১০ সালে ৫২ হাজার ১৩৪ জন, ২০১১ সালে ৬২ হাজার ২৪৪ জন, ২০১২ সালে ৮২ হাজার ২১২ জন, ২০১৩ সালে ৯১ হাজার ১২২ জন, ২০১৪ সালে এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন, ২০১৫ সালে এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন, ২০১৬ সালে এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন, ২০১৭ সালে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন, ২০১৮ সালে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন, ২০১৯ সালে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন, ২০২০ সালে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, ২০২১ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন, ২০২২ সালে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন এবং ২০২৩ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী।

জানা যায়, ২০০৩ সালে এইচএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়। ওই বছর প্রায় পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পায় মাত্র ২০ জন। পাসের হার ছিল ৩৮.৪৩ শতাংশ। এরপর ধারাবাহিকভাবে জিপিএ ৫ ও পাসের হার বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে জিপিএ ৫ পায় এক লাখ ৬১ হাজার ১০৭ জন, ২০২১ সালে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন, ২০২২ সালে এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। তবে ২০২৩ সালে তা কমে আসে ৯২ হাজারে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এইচএসসিতে অংশ নেয় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।

তবে প্রতিবছর জিপিএ ৫ বাড়লেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ শতাংশই ফেল করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটেও ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। এক হিসাবে দেখা যায়, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েও প্রায় সোয়া এক লাখ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর পরীক্ষার খাতা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সব পরীক্ষককে সহানুভূতির সঙ্গে খাতা দেখতে বলে দিত। ফেল করলে শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে যাবে। অনেকে পড়ালেখা বাদ দেবে। পরীক্ষকদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে বলা হতো।

জানা যায়, শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষকদের কাছে খাতা বুঝিয়ে দেওয়ার পর প্রধান পরীক্ষকরা তাঁদের আরেক দফা উদারভাবে খাতা মূল্যায়নের জন্য চাপ দিতেন। শিক্ষার্থীরা ফেল করলে পরীক্ষকদের শাস্তি পেতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হতো। ফলে শিক্ষকরা উদার হস্তে নম্বর দিতেন।

জানা যায়, পরীক্ষক হতে না পারলে একজন শিক্ষকের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়। এতে তাঁর কোচিং-প্রাইভেটে প্রভাব পড়ে। ফলে সব শিক্ষকই পরীক্ষক হতে চান। এ ছাড়া বেতন-ভাতার বাইরে খাতা দেখা থেকেও পরীক্ষকরা অর্থ পান। ফলে বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে এত দিন উদারভাবে নম্বর দিতে বাধ্য হতেন পরীক্ষকরা।

কয়েকজন পরীক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে এত দিন বেশ কিছু অলিখিত নিয়ম-কানুন ছিল। কোনো শিক্ষার্থী ২০ নম্বরের বেশি পেলে তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ৬০-এর বেশি পেলে তাকে ৭০ বানিয়ে ‘এ’ গ্রেড, ৫০-এর বেশি পেলে তা ৬০ বানিয়ে ‘এ মাইনাস’, ৪০-এর বেশি পেলে ৫০ বানিয়ে ‘বি’ গ্রেড এবং ৩০-এর বেশি পেলে ৪০ বানিয়ে ‘সি’ গ্রেড করা হয়েছে। আর ৭০-এর বেশি নম্বর পেলে সব সময় চেষ্টা থাকে তাকে জিপিএ ৫, অর্থাৎ ৮০ নম্বর দেওয়ার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিটি সরকার চায় পাসের হার ও জিপিএ ৫ বাড়াতে। এ জন্য ওভারমার্কিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাচ্চারা যা লিখবে তাতেই নম্বর দিতে বলা হয়। ফলে যে এ প্লাস পাওয়ার যোগ্য নয় সে-ও পেয়ে যায়। গত ১৫ বছর এটা বেশি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে তখন ৯০ শতাংশই পাস করে না। এতে মার্কিংয়ের গলদ বোঝা যায়। অথচ সরকার এই পাসের হার বাড়ানোকে তাদের সফলতা মনে করে। আসলে এটা একটা আত্মঘাতী কাজ, বুমেরাং আইডিয়া। এর লাগাম টানা দরকার।’

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ শিক্ষার মান নিশ্চিত করা। তবে প্রথমে ক্লাসে পড়ালেখা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা কম বেতন পান। ফলে তাঁরা ক্লাসে না পড়িয়ে প্রাইভেট-কোচিংয়ে পড়ান। আমাদের ভালো শিক্ষক নিতে হবে। কিন্তু তাঁরা তো কম বেতনে আসবেন না। এ জন্য শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের জবাবদিহিও নিশ্চিত করতে হবে।’

09/07/2025

The Battle for Bangladesh: Fall of Sheikh Hasina - BBC World Service Documentaries

09/07/2025

এই একটি ভিডিও আপনার জীবন বদলে দিতে পারে! | HSC বিজ্ঞান বিভাগের পর করণীয় | Career after Scienceবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোন বিষয়ে অনার্.....

08/07/2025

বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের আত্মবিশ্বাস কম। মোটা দাগে এর দুইটা কারণ—

০১. বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা অর্থনৈতিক সংগ্রামের মধ‍্য দিয়ে বড়ো হয়। অর্থনৈতিক সংগ্রামের মধ‍্য দিয়ে বড়ো হলে, মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে।

০২. দুর্বল ও অনাধুনিক শিক্ষা ব‍্যবস্থার কারণে, সময়ের প্রস্তুতিটা সময়ে হয় না। ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ‍্যে গুরুত্ব দেয়া হয় কম। ফলে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ের মধ‍্যে নলেজ এবং স্কিলের একটা গ‍্যাপ থাকে। আত্মবিশ্বাসের একটা ঘাটতি থাকে।

মানুষের আত্মবিশ্বাস হলো সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র। এটা জাগিয়ে তুলতে পারলে, মানুষ অজেয় হয়ে উঠে। কনফুসিয়াস যেমনটা বলেছিলেন, Our greates glory is not in never falling, but in rising every time we fall.

নতুন দিনের রাজনীতিতে এই ফোকাস রাখতে হবে। কি করে এই বিপুল তরুণদেরকে আরো আত্মবিশ্বাসী করা যায়, কি করে অদম‍্য করা যায়—সেই পলিসি নিতে হবে।
………………..
Rauful Alam

07/07/2025

SSC ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত হবে।

মির্জা আব্বাসের কথাই কী তাহলে সত্যি হতে যাচ্ছে!দুই মাস আগে তিনি ক্ষমতায় গেলে ইন্টেরিমের হাতের সংস্কার চেইঞ্জ করে ফেলার হ...
05/07/2025

মির্জা আব্বাসের কথাই কী তাহলে সত্যি হতে যাচ্ছে!

দুই মাস আগে তিনি ক্ষমতায় গেলে ইন্টেরিমের হাতের সংস্কার চেইঞ্জ করে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন।

আজ আবার বলা হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যুক্ত করতে নারাজ বিএনপি। সালাউদ্দিন সাহেব জানিয়ে দিয়েছেন আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র চলে না!

দুই হাজার মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের সেই জুলাই নাকি রাজনীতিবিদদের কাছে স্রেফ আবেগ!

১৯৯০ এর স্বৈরাচার পতনের পর সব দল মিলে একটা রূপরেখা করেছিল, নাম দিয়েছিল তিন জোটের রূপরেখা। সেখানে বলা হয়েছিল যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা এদেশের গণতন্ত্র বজায় রাখবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ জারী রাখবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

জানেন কী হয়েছে? বিএনপি ক্ষমতায় এসেই মাগুরার উপ-ইলেকশনে সেই রূপরেখা ভঙ্গ করেছে, ৯৬'এর ১৫ ফেব্রুয়ারী নিজের দলের অধীনে একপাক্ষিক নির্বাচন করে সেই তিনদলীয় রূপরেখার কমিটমেন্ট ভায়ালেট করেছিল।

দীর্ঘ দশ বছরের সামরিক শাসন সরিয়ে ছাত্র জনতা নব্বইয়ে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনলেও, সব দল মিলে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনার রূপরেখা করলেও, বিএনপি সেটা ভয়ালেট করতে পেরেছে কারণ সেই রূপরেখার কোন সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না।

আজ যখন তারা জুলাইকে আবেগ হিসেবে ট্রিট করে, জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যুক্ত না করার কথা বলে। তখন কেবল ঐ নব্বইয়ের কথাই মনে পড়ে।

আপনারা জানেন জুলাই পরবর্তী আগামী বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সেটা নিয়েই তৈরি হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে সংস্কার বিষয়ক যেসব প্রস্তাবে প্রায় সব দল একমত হচ্ছে সেগুলোই থাকবে জুলাই সনদে। আর জুলাই ঘোষণাপত্র হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রামাণিক দলীলস্বরূপ।

যে-ই ক্ষমতায় আসুক সেই ঘোষণাপত্র যেন মেনে চলে তাই তার সাংবিধানিক ভিত্তি দরকার।

না-হয় নব্বইয়ের মতো ক্ষমতায় গিয়ে রক্তের উপর মাড়িয়ে তৈরি হওয়া জুলাই সনদকেও মানবে না রাজনৈতিক দলগুলো। সাংবিধানিক ভিত্তি না থাকলে জীবনে দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ নয়, তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল নয় ইত্যাদি যেসব যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে সবাই একমত হচ্ছে সেগুলো ক্ষমতায় এসেই ভায়ালেট করা শুরু হবে।

সেজন্যই কেউ বলছে ওদের হাতের সংস্কার ক্ষমতায় গেলে চেইঞ্জ করে ফেলবো, আর কেউ বলছে জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়া যাবে না। কারণ সাংবিধানিক ভিত্তি দিলে ওদের হাতের সংস্কার আর ক্ষমতায় গেলে চেইঞ্জ করা যাবে না।

সিদ্ধান্ত এখন আপনাদের। এই প্রজন্ম তাদের নব্বইয়ের রূপরেখা ভঙ্গ করা, শাহাবুদ্দিন সরকারের ২৯টি সংস্কার কমিটির রিপোর্ট না মানা, লতিফুর সরকারের ১৫ সংস্কার কমিটির কথা না শুনা এসব অতীত ইতিহাস সবই জানে। আগামী দশ বছর পরে গিয়ে নতুন প্রজন্ম এসে লিখবে জুলাই সনদ ভায়ালেট করলো বিএনপি, সেই সুযোগ আর হতে দিবে না।

যে প্রজন্ম হাসিনাকে ছত্রিশ দিনে ফেলে দিসে, সেই প্রজন্মের সাথে কেউ গাদ্দারি করে ছয় দিন টিকে থাকাও মুশকিল হয়ে উঠবে। আগামীর বাংলাদেশ এতোটা সহজ হবে না রাজনীতিবিদদের জন্য

জুলাইয়ের এই প্রজন্ম দীর্ঘজীবী হোক।

© Mohhamd Miraj Mia

04/07/2025

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক প্রাবন্ধিক বিশ্বজিৎ রায় শৈশবে কীভাবে বাংলা বানান শিখেছিলেন সে অভিজ্ঞতা পড়েছিলাম তাঁর একটি লেখায়। বেশ মনে ধরেছিল ‘আবিষ্কার’, ‘পুরস্কার’ জাতীয় বানান কীভাবে ঠিক লেখা যায় সে ব্যাপারটা। ‘ইষ্কার’ যোগ হলে ‘ষ’ কিন্তু ‘অস্কার’ যোগ হলে ‘স’। মজার এই টোটকাটা জানা থাকলে আর কী ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে পরিষ্কার, পুরস্কার জাতীয় বানান লেখায়!

Address

Mymensingh

Telephone

+8801608615208

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when EDUCATION TV বাংলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to EDUCATION TV বাংলা:

Share

Category