03/06/2024
অনেকে বিদেশি বিড়াল বিক্রি করা হারাম বলে থাকেন।
বিদেশি বিড়াল বিক্রি করা কি আসলেই হারাম?
সত্যি বলতে, বিড়াল বিক্রি করা হারাম নয়! অনেকে একে মাকরু বলেছেন। মানে অনুচিত বা অপছন্দনীয়।
💥💥 তবে বিদেশি বিড়াল বিক্রি করা জায়েজ৷ ❤️
দেখুন, কুকুর পালন করা সরকারি হারাম! তবে ট্রেনিং করা কুকুর, পালন করা জায়েজ, বিক্রি করাও জায়েজ। কোন বিষয়কে হারাম বলার আগে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
যে বিড়ালের পিছনে আপনার কোন খরচ নেই, সেই বিড়াল বিক্রি করা নিষিদ্ধ। যেমন, দেশি বিড়াল! এই বিড়াল এমনিতেই আশেপাশে ঘুরে বেড়ায় খাবার খায়৷ এই বিড়াল আপনি কিসের ভিত্তিতে বিক্রি করবেন?
তবে বিদেশি বিড়ালের পিছনে অনেক খরচ! কারণ এরা ট্রেনিং প্রাপ্ত।
১. এরা লিটারে পায়খানা, প্রেরসাব করে।
২. খাবার হিসেবে মাছ, মাংস, ক্যাট ফুড খায়। ৩.ভ্যাকসিন দিতে হয়।
৪. নিয়মিত দামী সেম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়।
৫.চুল আঁচড়ে দিতে হয়।
৬.নখ কেটে দিতে হয়।
৭.কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়।
৮.এদের সাথে খেলাধুলাও করতে হয়।
৯.অসুস্থ হলে বিড়াল বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হয়।
১০. মাঝেমধ্যে ভিটামিনও খাওয়াতে হয়।
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন! এদের পিছনে সময়, টাকা, শ্রম তিনটাই ইনভেস্ট হচ্ছে।
একটা মা বিড়াল, বছরে ৩ বার করে ৫ টা বাচ্চা দিলেও ১৫ টা বাচ্চা জন্মনিবে। আবার এই ১৫ টা থেকে অসংখ্য বাচ্চার জন্ম হবে ! যা লালন পালন করা অসম্ভব৷
এত টাকা খরচ করে লালন পালন করে, এদের বাচ্চা কেউ ফ্রিতে দিবে? দিবে না! এটাই স্বাভাবিক।
আমার দেশি বিড়ালের বাচ্চা, আমি ফ্রিতে সবাইকে দিয়েছি। তবে পার্সিয়ানের বাচ্চা দেওয়া অসম্ভব।😊
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের এই বিষয়ে মতামত -
বিদেশী বিড়াল ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে কি.??বিদেশি বিড়াল কেনা বেচা কি হারাম.? #শায়খ_আহমাদুল্লাহ #ইসলামিক_ভিডিও ...