12/02/2025
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর Nuruzzaman Kafi'র বাড়িতে মধ্যরাতে আগুন দেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই কাফির কবিতার নিম্নমান এবং বইমেলার স্টলের কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার তোলপাড় ছিলো। সেটার সূত্র ধরেই আগুন দেয়া হইসে বইলে ধারণা করি। আওয়ামীলীগ এই কাজ করে সমালোচনাকারীদের উপর দোষ চাপাইতে চাইবে। সেই প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে শুরুও হয়েছে।
কাফির সাথে আমার পরিচয় বছরখানেকের হলেও আমাদের গোটা সার্কেলের সাথেই ও ২০১৮-১৯ এর দিক থেকেই কানেক্টেড। ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ও আমাদের সমসাময়িক ছিলো। ওর কবিতা, কন্টেন্ট নিয়ে আপনারা নানারকম প্রশ্ন করতেই পারেন। কোনো সমস্যা নাই। কাফি মেয়েদের সাথে কিভাবে মেলামেশা করবে, সেটাও ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। যতক্ষণ এটা অন্য কারো অধিকার ভায়োলেট না করে। কিন্তু, মানতে হবে কাফি গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা। বরিশালে ও সামনের সারিতে আন্দোলন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ও ভোকাল ছিলো, যখন বহু কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আওয়ামীলীগের পা চেটেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও ভা-র-তের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিছিলে কাফির সাথে আমার দেখা হয়েছে।
যারা কাফির কবিতা এবং নারীকে ফুল প্রদানের সমালোচনা করেছিলেন, তারা কাফির ঘর-বাড়ি পোড়ানোর বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন কিনা? যদি না দাঁড়ান, তাহলে গণঅভ্যুত্থানকে বানচাল করার যে চক্রান্তে আমরা ঘোরপাক খাচ্ছি, আপনারা সেটারই অংশ হয়ে যাবেন। আপনারা সমালোচনা করেছেন, সেটাকে পুঁজি করে অন্যদের ফায়দা লুটতে দিবেন না, অনুগ্রহ করে। সমালোচনা করেও কাফির পাশে থাকতে হবে আমাদের। আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ আমাদের উপর এখন নানা সুরতে সওয়ার হয়ে অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে চাইবে। কখনো বইমেলায় স্টল কাহিনী হিসেবে, কখনো কাফির ঘরবাড়ি পোড়ানো হিসেবে। তারা প্রমাণ করতে চায় - অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ভালো নাই। লোকেরা অভ্যুত্থান করে ঠকেছে। কাফির ধারণা, এটা স্থানীয় আওয়ামীলীগ করেছে। যারাই এহেন কাজ করেছে, তাদের সবার বিচারের জন্য আমি লড়বো। আপনাদেরও লড়তে হবে।
একজন মানুশের কবিতা উচ্চমার্গীয় না হলে, তিনি পুরাপুরি দ্বীনদার মুসলিম না হলে তার ঘরবাড়ি পোড়ানো যাবে না, পোড়ানো যায় না। এই কথা স্পষ্টভাবে বলতে হবে, লিখতে হবে। না পারলে হিপোক্রেসি হবে। সকল রকম মানুশের সম্মিলনে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিলো। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের পাশে থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের প্রতি কেউ যাতে ফ্রাস্টেটেড না হয়ে পড়ে, সেটা রক্