09/09/2025
বাইক এক্সিডেন্ট করে এবার যতটা ব্যাথাই ভুগেছি তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি, এন্টিবায়োটিক নিয়ে। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুটা সতর্ক থাকি। তাই সব সময় চেষ্টা করি কিছুটা গুগল করে নেওয়ার।
কিছুদিন আগে হাইওয়েতে সি এন জির সাথে বাইক এক্সিডেন্ট করে হাটূতে মারাত্তক ব্যাথা পায়, পায়ের কিছু অংশ ছিলে যায়। যে জায়গায় এক্সিডেন্ট করি তার সামনেই একটা ফার্মেসি ছিল। মানুষ জন ধরে ফার্মেসি পর্যন্ত নিয়ে যায় সেখান থেকে ড্রেসিং করে চারটা ট্যাবলেট দিল, ১টা গ্যাস এর ট্যাবলেট, ১টা এন্টিবায়োটিক একটা ব্যাথার আরেকটা কিসের নাম ভেরিয়েন্ট কিছুই বুঝা যাচ্ছিলনা।
আমার আবার অই দিন এক্সাম ছিল, তাই গ্যাস এর টা খেয়ে নেই বাকিগুলো পরে খাব বলে সাথে নিয়ে নেই। ব্যাথা কমার জন্য সম্বভত শক্তিশালি একটা ট্যাবলেট দিছিল, সিংগেল ট্যাবলেট নাম অর্ধেক ছিলনা, ভেরিয়েন্ট কিছুটা বুঝা যাচ্ছিল, চ্যাক দিয়ে বুঝলাম সার্জারি করে সম্ভবত ব্যাথা কমার জন্য এটা দিয়ে থাকে। পরে এটা খেয়ে নিছিলাম, ব্যাথা সহ্য হচ্ছিলনা। আরেক টা যেটার নাম পড়তে পারতেছিলাম না সেটা আর এন্টিবায়োটিক খাইনাই।
এখান যেটা নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম, আমাকে যে এন্টিবায়োটিক দেয় নাম হচ্ছে সেফিক্সিম ২০০ সরকারি ওষুধ, যেটা আমার মনে আছে হসপিটাল থেকে একবার নিছিলাম অন্য কোনো রোগের জন্য। এখন আমার মনে প্রশ্ন হাসপাতালে গেলে প্রায় ই এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়না আর এগুলোর দাম ও অনেক হয়ে থাকে, সেখানে সরকারি ওষুধ লোকাল ফার্মেসি তে কিভাবে আসল!
এন্টিবায়োটিক খেলে এর কোর্স সম্পন্ন করতে হয় নাহলে সমস্যা হয়, তাই অবাক হলাম যে ফার্মেসি আমাকে ১ পিস এন্টিবায়োটিক দিছে! যদিও আমি খাইনি, এর পর প্রায় ১ঘন্টা রেস্ট নিয়ে বাইক রেখে অন্য গাড়ীতে করে এক্সাম দিয়ে চলে আসি, যদিও আমার এখানে একটা ভুল ছিল, সরাসরি হাসপাতালে যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু এক্সামের জন্য এক্সাম দিছি পরে অই ব্যাথার ওষুধ এমন ভাবে ব্যাথা কমাইছে মনে হচ্ছিলো ঠিক আছি, তাই আর যাওয়ার চিন্তা মাথায় আসেনি।
অইদিন রাতে বাজার থেকে বলে ব্যাথার ট্যাবলেট ক্লোফেনাক আনি কারন বুঝতেছিলাম ভালো ব্যাথা পাইছি রাতের পর আরো বাড়বে, ট্যাবলেট খাওয়ার পর টানা দুই তিন দিন কোনো ব্যাথায় বুজিনাই।
বিপত্তি বাজে এর পর, ট্যাবলেট খাওয়া বাদ দেওয়ার পর চরম ভাবে ব্যাথা বাড়তে থাকে সেই সাথে যেই যায়গা গুলো ছিলে গেছিলো সেগুলা আর শুকাচ্ছিলনা কিন্তু বস্টির মত হওয়া শুরু হচ্ছিল যেখানে ভিতরে সমস্যা বুজাই যাচ্ছিল, তাই চিন্তায় পরে যাচ্ছিলাম। এন্টিবায়োটিক হয়ত লাগবেই।
তাই হাসপাতালে যাই ডাক্তার দেখায়, অখানে ডাক্তার ফ্লোক্সোসিলিন ২৫০ দেয় ৬ ঘন্টা পর পর ৭ দিন, সাথে জিংক / আর ব্যাথার কথা বলার পর ক্লোফেনাক নিতে নিষেধ করে এবং ব্যাথা করলে প্যারাসিটামল খেতে বলে। এরপর মাংনা ওষুধ নিতে যায়, যা হওয়ার কথা সরকারি হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক নাই। প্যারাসিটামল আর আয়রন ট্যাবলেট এর পাতা ধরায় দেয়।
এরপর ফার্মেসি তে যায় এন্টিবায়োটিক কিনতে, ফ্লোক্সাসিলিন ২৫০ শুনে যেন আকাশ থেকে পরল, আমাকে বলতেছে আমার শরীরের জন্য বলে ৫০০ ধরকার, সেখানে ২৫০ কেন! পরে বুঝতে পারলাম কেউ যদি ফার্মেসি থেকে নিতে আসে তাহলে নিশ্চয় তারা ফ্লোক্সাসিলিন ৫০০ ধরায় দেয়। যায়হোক এরপর আমি ২৫০ টায় নেই যেহেতু ডাক্তার দিছে জেনে বুজেই দিছে।
বিপত্তি এখানে আরেক জায়গায় সেইম ভ্যারিয়েন্ট এর ওষুধ আলাদা কম্পানির আলাদা দাম, তফাদ টাও অনেক, এ নিয়ে আর কিছু বললাম না। এক কম্পানির ওষুধ ৫ দিনের নিয়ে আসলাম।
এরপর ৫ দিন পর, অন্য এক জায়গায় ছিলাম অখানের এক ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে যায়, অই ফার্মেসি থেকে শুনেও অভাক আমার শরিরের জন্য ২৫০ কি করে দেয়! অবশ্যই ৫০০ অর্থাৎ পাওয়ার উলা এন্টীবায়োটিক দরকার। বুঝলাম তারাও নিশ্চয় এটা দেয় কারন আমাদের দেশে মানুষ হাসপাতাল থেকে ফার্মেসি তে যায় বেশি।
আমার ছিলে যাওয়া অংশ গুলো ধির গতিতে শুকাচ্ছিল মনে হচ্ছিল,তবে শুকাইছে। ত এই পোস্ট লিখার কারন, সংবাদ মাধ্যমে পড়ে দেখলাম আমাদের দেশে এন্টিবায়োটিক অনেকের শরিরে কাজ কম করার কারন ভুল এন্টীবায়োটিক আর কোর্স সম্পন্ন না করা।
আমার কথা হল, আমার জন্য যেটুক যথেষ্ট সেইটুক ওষুধ ই নেওয়া উচিত, দেশে ভুল ভাবে এন্টিবায়োটীক নেওয়ার কারনেই হয়ত বা কম পাওয়ার এন্টিবায়োটিক ঠিক ভাবে কাজ করেনা। এ ব্যাপারে অনেক ডাক্তার রা কথা বলেন ফেইসবুকে যেন ফার্মেসি এন্টিবায়োটিক রেজিস্টার্ড ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন ছাড়া না দেয়, কিন্তু এমন দেশে আছি মনে হয়না এটা আদো বাস্তবায়ন হবে। আমাদের সবার এন্টীবায়োটিক এর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।