05/06/2025
বয়স মাত্র ১৫। নবম শ্রেণিতে পড়ে আরিফুল।
কিন্তু জীবন এত অল্প বয়সে তার, কাঁধে তুলে দিয়েছে সংসারের দায় আর বাবার অসমাপ্ত লড়াই।
পথে ছিল গরুভর্তি ট্রাক। পেছনে বাবা, পাশে ছেলে। ঈদের হাটে গরু বিক্রি করে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বাড়িতে অপেক্ষায় ছিল নতুন জামাকাপড়, আর খালার সঙ্গে বাড়ি ফেরা।
কিন্তু জীবনের গল্পটা সিনেমার মতো নয় টাঙ্গাইলে সেই ট্রাক উল্টে গেল। আরিফুলের বাবার শরীরটা থেমে গেল চিরতরে। দায়িত্বটা ঠিকই চলল সামনে।
বাবার লাশ দাফন করে, চোখের জল লুকিয়ে,
নতুন জামাকাপড় নামিয়ে রেখে। আবার ঢাকায় ছুটে এলো সে। হাতে তিনটা গরুর দড়ি। কারণ গরু বিক্রি না হলে ঋণের টাকা ফেরত যাবে না।
সংসার চলবে না। মা খাবে না। এটাই পুরুষের জীবন। জীবন থেমে গেলেও হিসাব থামে না।
পুরুষেরা কাঁদে না, কাঁদতে পারে না, তাদের কাঁদার সময় নেই। তারা বাবার মৃত্যু ভুলে সংসার টানে। তারা চোখে জল রেখেও দরদাম করে।
আরিফুল একা নয়। এই দেশে লাখো আরিফুল আছে, যাদের জীবনের প্রথম শিক্ষাই হয়, "তুই ছেলে, কাঁদিস না, সামলে নে।"
আমরা কেবল চোখের সামনে দেখি গরুর হাটে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরটাকে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে শুনতে পাই, সে আসলে একটা গোটা প্রজন্মের দীর্ঘশ্বাস।