Md Rakib Jaker Official

Md Rakib Jaker Official manob Shavai porom thermo - kajababa kuttubbaghi সুন্নিয়তের সত্য বানী প্রচার করা একমাত্র মুল লক্ষ

17/04/2025

24/01/2025

Khajababa Shahsufi Maulana Hazrat
SyedZakir Shah Naqshbandi Mojaddedi
Kutubbaghisaid, Tasawwuf is the name of
being immersedor busy in the remem-
brance of Almighty Allahby turning the
mind away from everything in theworld
except Almighty Allah.

19/11/2024

আলহামদুলিল্লাহ! মহাপবিত্র ওরছশরীফ ও বিশ্বজাকের ইজতেমা ২০২৫ইং সালের দাওয়াত নামাটি সকলের কাছে শেয়ার করে প্রচারের কাজে খেদমত করুন।

14/10/2024
সূরা ফাতেহার অনুবাদ ও ব্যাখ্যাশাহসুফি হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী (মা.জি.আ.)“বিসমিল্লা-হির রহ্‌মা...
01/10/2024

সূরা ফাতেহার অনুবাদ ও ব্যাখ্যা

শাহসুফি হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী (মা.জি.আ.)

“বিসমিল্লা-হির রহ্‌মা-নির রাহীম”
অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।

সূরা ফাতেহা
মক্কায় অবতীর্ণ, রুকু-১, আয়াত-৭

১) “আল্হামদু লিল্লা-হি রাব্বিল্ আলামিন।”
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টি জগতের পালন কর্তা।

২) “আর রাহ্‌মানির রাহীম।”
অর্থ: যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।

৩) “মা লিকি ইয়াও মিদ্দীন।”
অর্থ: যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।

৪) “ইয়্যাকা না’বুদু অইয়্যাকা নাস্তাঈন।”
অর্থ: আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

৫) “ইহ্দিনাছ ছিরাত’ল মুস্তাক্বীম।”
অর্থ: আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন।

৬) “ছিরাত’ল্লাযীনা আন্-আম্তা আলাইহিম।”
অর্থ: সেই সকল মানুষের পথে, যাঁদেরকে আপনি নিয়ামত এবং বাতেনী চক্ষু দান করেছেন।

৭) “গাইরিল্ মাগ্দুবি আলাইহিম, ওলাদ-দ্বোয়াল্লীন।”
অর্থ: সেই সমস্ত মানুষের পথে নয়, যে সমস্ত মানুষ আপনার গজবে নিপতিত এবং পথভ্রষ্ঠ হয়েছে।

সূরা ফাতেহার ব্যাখ্যা
ইসলাম শুধু শরীয়তে নয়, তরিকতে নয়, হাকিকতে নয়, মারেফতে নয়। শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফতের সমন্বয়ই পরিপূর্ণ ইসলাম।

রাসুল (সাঃ) বলেন, “আস শরীয়তু আকওয়ালী, আত তরিকতু আফওয়ালী, আল হাকীকতু আহওয়ালী, আল মারেফাতু আসরারী।” অর্থ: শরীয়ত আমার বাক্য, তরিকত আমার কাজ, হাকিকত আমার অবস্থান, ইলমে মারেফত আমার নিগুঢ় ভেদ ও রহস্য।

ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, “যে শুধু শরীয়ত করে সে ফাছেক, আর যে শুধু মারেফাত করে সে হলো জিন্দিক বা কাফের। আর তোমরা যদি মুমেন হতে চাও বা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চাও, তাহলে উভয় ইলেম শরীয়ত ও মারেফাত আমল কর।”

আমাদের হানাফি মাজহাবের ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ফিকাহ কিতাবের মধ্যে বলেন, “লাউ লা সিন্তানি হালাকা নুমান।” অর্থ: আমি নুমান যদি দুই বছর আমার পীর বাকের (রহঃ)-এর খেদমত বা গোলামী না করতাম তবে ধ্বংস হয়ে যেতাম। তিনি আরো বলেন, “ইলমে শরীয়ত বাইরের দিককে পরিশুদ্ধ করে। আর ইলমে মারেফাত ভিতরের দিককে পূত-পবিত্র করে।”

মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী (রহঃ) বলেন, “খোদ বা খোদ কামেল না শোধ মাওলানা রুম, তা গোলামে শামছে তাবরিজি না শোধ।” অর্থ: আমি ততক্ষণ পর্যন্ত মাওলানা হতে পারিনি, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার পীরে মোর্শেদ মাওলানা শামছুদ তাবরীজির দাসত্ব বা গোলামী বা আনুগত্য না করেছি। তিনি আরো বলেন, “দর হাকিকত গাশ্তে দুরাস খোদা, গরশুভি দুরআজ ছোহবতে আউলিয়া।” অর্থ: সত্যিকারে ঐ ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে দূরে আছে, যে ব্যক্তি অলি-আল্লাহগণের নিকট থেকে দূরে থাকে। তিনি আরো বলেন, “গারতুখাহী হাম নাসিনী বা খোদা, গোনশিনি দর হুজুরে আউলিয়া।” অর্থ: তোমরা যদি আল্লাহর দরবারে বসতে চাও, তবে আউলিয়াদের সামনে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বসে যাও। যাঁর খেদমত করলে দেল নূরানী হয়, মুর্দা দেল জিন্দা হয় ঐ গুণের লোক যদি মিসকিনও হয়, তবুও জানেমালে খেদমত করে তাঁর কদমে জীবন নেছার বা উৎসর্গ করে দাও।

আরো উল্লেখ রয়েছে ‘গারতু চাহে আচলে হক আয় বেখবর, কামেলুকা খাকে পা ছের বছর।’ অর্থ: হে বেখবর! তুমি যদি আল্লাহর সাথে মিশতে চাও, তবে একজন কামেল পীরের পদধুলী হয়ে যাও।

গরিবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) বলেন, “আমি ধ্যান বা মোরাকাবা করলে একটি নূর দেখতে পাই, সেই নূরের আলোতে তামাম কুল-কায়েনাত আলোকিত হয়ে যায়। এর জবাবে বড়পীর (রহঃ) বলেন, হে মঈনুদ্দিন চিশতী উনি হলেন মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ)। তাঁর নূরের কাছে আমাদের সকল তরিকা জিন্দা থাকবে।”

সুরা ফাতাহ’র ১০ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “ইন্নাল্লাযীনা ইয়ুবায়িঊনাকা ইন্নামা ইউবায়িউনাল্লাহ্ ইয়াদুল্লাহি ফাওক্বা আইদীহিম।” অর্থ: হে রাসুল (সাঃ)! যারা আপনার হাত মোবারকে বাইয়্যাত গ্রহণ করল, তারা যেন আমি আল্লাহর হাতে বাইয়্যাত গ্রহণ করল। আমার হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।

আমি খাকছার জাকির বলছি যে, যারা কোনো কামেল মুর্শেদ বা নায়েবে রাসুলের হাতে হাত দিলেন তারা যেন রাসুল (সাঃ)-এর হাতে হাত দিলেন, আর যারা রাসুল (সাঃ)-এর হাতে হাত দিলেন তারা যেন আল্লাহর হাতে হাত দিয়েছেন।

সূরা কাহাফের ১৭ নং আয়াতে আল্লাহপাক আরো বলেন, “অমাই ইয়ুদলিল ফালান্ তাজ্বিদা লাহু অলিয়্যাম র্মুশিদা।” অর্থ: যারা পথভ্রষ্ট হতভাগা, গোমড়া, পথহারা তাদের ভাগ্যে কখনো পথ প্রদর্শনকারী ও কামেল মুর্শেদ মিলবে না। যে সমস্ত মানুষের ভাগ্য ভালো, তারা কোনো না কোনোভাবে শেষ জামানায় কামেল মুর্শেদ পাবেন।

সূরা তওবাহ্’র ১১৯ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “ইয়া-আইয়্যু হাল্লাযীনা আ-মানুত তাকুল্লাহা অকুনু মা-আছ ছোয়াদিক্বীন।” অর্থ: হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় করার মতো ভয় কর, ছাদিকিন ও কামেল মুর্শেদের সঙ্গী হয়ে যাও।

সূরা লোকমানের ১৫ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, ওয়াত্তাবি সাবীলা মান্ আনাবা ইলাইয়্যা।’ অর্থ: আমার দিকে যে ব্যক্তি রুজু হয়েছে, আমাকে চিনেছে, পেয়েছে ও আমাকে চেনার কায়দা জানে তাকে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুস্মরণ (ফলো) কর।

সূরা শূরার ২৩ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “ক্বুল্লা আস্ আলুকুম আলাইহি আজ্বরান ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল ক্বুারবা।” অর্থ: হে আমার রাসুল (সঃ)! আপনি মানব জাতিকে বলে দিন,তামাদের কাছে রিসালাত পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে, তোমাদের কাছে কিছু চাই না। শুধু তোমরা আমার আহলে বাইয়াত, পাক পাঞ্জাতন আমার সাহাবা ও আমার আসহাবে সূফ্ফাদের ভালোবাসা। নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আহলে বাইয়্যাতের উদাহরণ হযরত নূহ (আঃ)-এর কিস্তির মতো, যারা এই কিস্তিতে উঠেছিল তারা নাজাত পেয়েছিল। (তিরমিযি ও মুসলিম শরীফ)

সূরা: নিসার ১৫০ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “ওয়া ইয়ুরীদুনা আই ইয়ু ফাররিকু বাই নাল্লাহি ওয়া রুসুলিহি।” অর্থ: তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে পৃথক করিও না।

সূরা : নিসার ৮০ নং আয়াতে আল্লাহপাক আরও বলেন, “মাই ইয়ুত্বিইর রাসুলা ফাক্বাদ আত্বোয়া আল্লাহ।” অর্থ: যে রাসুল (সাঃ)-এর আনুগত্য করল, দাসত্ব করল, পায়রবী করল, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল। দাসত্ব ও পায়রবী করল।

টীকা : যে কামেল মোর্শেদের গোলামী বা পায়রবী করল, সে রাসুল (সাঃ)-এর গোলামী বা পায়রবী করল। আর যে রাসুল (সাঃ)-এর গোলামী করল, সে তো আল্লাহরই গোলামী করল।

উছিলা বা মধ্যস্থতা ধরার ব্যাপারে কোরআন মাজিদে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছেআলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদ...
29/09/2024

উছিলা বা মধ্যস্থতা ধরার ব্যাপারে কোরআন মাজিদে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে
আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ণনা করেছেন, হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) বেহেশত থেকে বের হওয়ার পর, চল্লিশ (৪০) বছর যাবত কিছুই পানাহার করেননি, আর লজ্জার কারণে তিনশ (৩০০) বছর যাবত উপরের দিকে মাথা তোলেননি। এই সুদীর্ঘ সময় তাঁরা আল্লাহর শাহী দরবারে ক্রন্দনরত ছিলেন (খোলাসাতুত তাফসীর)।

হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) তাঁর নিকট সামান্য ভুলের জন্য কত কান্নাকাটি করেছিলেন তার একটি বিবরণ পেশ করেছেন ইমাম ফকরুদ্দীন রাজী (রহ.) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘তাফসীরে কবীর’-এ এক পর্যায়ে তিনি একখানি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। বর্ণিত আছে যে, হযরত নবী করিম (সঃ) এরশাদ করেছেন, ‘যদি সারাদুনিয়ার মানুষের কান্নাকাটি একত্রিত করা হয়, তবুও হযরত দাউদ (আঃ)-এর কান্নাকাটিই অধিকতর হবে। আর যদি সারাদুনিয়ার মানুষের ক্রন্দন এবং হযরত দাউদ (আঃ)-এর ক্রন্দনকে একত্রিত করে হযরত নূহ (আঃ)-এর ক্রন্দনের পাশাপাশি রাখা হয় তাহলে হযরত নূহ (আঃ)-এর ক্রন্দনই অধিকতর প্রমাণিত হবে। আর যদি সারাদুনিয়ার মানুষের ক্রন্দন এবং হযরত দাউদ (আঃ) ও হযরত নূহ (আঃ)-এর ক্রন্দনকে একত্রিত করা হয় আর যদি হযরত আদম (আঃ) তার একটি ভুলের জন্য যে ক্রন্দন করেছিলেন তা সামনে রাখা হয়, তাহলে হযরত আদম (আঃ)-এর ক্রন্দন অধিকতর বলে প্রমাণিত হবে’
(তাফসীরে কবীর- ১ম খন্ড)।

হযরত আদম (আঃ)-এর কান্নাকাটির কারণে, তাঁর প্রতি আল্লাহপাকের দয়া হল। তিনি তাঁকে তওবার পন্থা শিখিয়ে দিলেন আর যে ভাষায় তওবা করতে হবে তাও শিখিয়ে দিলেন। হযরত উমর (রা:) থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে যে, হযরত আদম (আঃ)-কে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত রাসুলে করিম (সঃ)-এর ওছিলায় আল্লাহপাকের মহান দরবারে ক্ষমা প্রার্থী হয়েছে। তখন আল্লাহপাক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আদম! মোহাম্মদ (সঃ)-কে তুমি কীভাবে জানলে?

তদুত্তরে হযরত আদম (আঃ) আরজ করলেন, হে প্রভু! আমার সৃষ্টির পর আমি যখন আরশের দিকে তাকালাম তখন তাতে দেখতে পেলাম লেখা হয়েছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’। তখনই আমি উপলদ্ধি করেছি যে, আপনার মহান দরবারে সর্বাধিক সম্মানের অধিকারী হলেন হযরত মোহাম্মদ (সঃ)। এ জন্যই তাঁর ওছিলায়ই ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। তখন আল্লাহপাক এরশাদ করেন, হে আদম! তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, তিনি তোমাদেরই সন্তান। তাঁকে সৃষ্টি না করলে আমি তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না (খোলাসাতুত তাফসীর)।

অতঃপর আল্লাহপাক হযরত আদম (আঃ)-কে শিক্ষা দিলেন, কোন কথা বললে তওবা কবুল হবে, কোন দোয়া পাঠ করলে তাঁর আরজি মঞ্জুর হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে, সেই দোয়াটি হল, ‘রাব্বানা জ্বালাম্‌না আন্ ফুছানা ওয়া ইল্লাম তাগ্‌ফিরলানা ওয়াতার হাম্‌না লানা কূনান্না মিনাল খাছিরিন’।

অর্থ : হে আমাদের পালন কর্তা! আমরা আমাদের নিজেদের উপর জুলুম করেছি যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন। আর আমাদের উপর দয়া না করেন তাহলে অবশ্যই আমরা নিতান্ত ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাব। এই কথাগুলো দ্বারা হযরত আদম (আঃ) মোনাজাত করলেন তখন আল্লাহপাক তাঁর তওবা কবুল করলেন। সূরা আ’রাফের এক আয়াতের ঘোষণা অনুযায়ী হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) উভয়ই এই দোয়া করেছিলেন। মোট কথা রাসুল (সঃ)-কে ওছিলা ধরার কারণে আল্লাহতায়ালা গুনাহ্ মাফ করলেন এবং তওবা কবুল করলেন। হে পাঠকগণ! কোরআন ও হাদিস পর্যালোচনা করে দেখা গেল, আল্লাহতায়ালার গোপন ভেদ ও রহস্য লুকাইয়া আছে যদি আদম (আঃ) ভুল না করত আমরা সৃষ্টি হতাম কীভাবে? এখন এই হাকিকত ভেদ বুঝতে হলে চৈতন্য গুরু বা কামেল মুর্শিদের সান্নিধ্যে গেলে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির রহস্য জানা যাবে।

‘ওয়া লাও আন্নাহুম ইয্ব য্বালামু আন্ ফুসাহুম্ জ্বাউকা ফাস্তাগফারুল্লাহা ওয়া-সতাগফারা ওলাহুমুর রাসুলু লাওয়াজ্বাদু-ল্লাহা তাওয়্যা বার্‌ রাহিমা’ (সূরা : নিসা আয়াত ৬৪)।

অর্থ : যদি এ সকল লোকেরা নিজেদের আত্মাসমূহের ওপর অত্যাচার করে, হে নবী (সঃ) আপনার দরবারে এসে হাজির হয়ে যায় এবং আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবায়ে নছুহা করে এবং আপনিও (ইয়া রাসুলুল্লাহ সঃ) তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তাহলে নি:সন্দেহে এরা আমি আল্লাহতায়ালাকে তওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী মেহেরবান হিসেবে পাবে। এ আয়াত কারীমা দ্বারা প্রমাণ হয়ে গেল হুজুর (সঃ) প্রত্যেক গুনাহ্গারের জন্য সর্বসময় (কিয়ামতাবধি) মাগফিরাতের (ক্ষমা) ওয়াছিলা।

‘ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আ-মানু আত্বীউল্লা-হা ওয়া আত্বীউর রাসুলা, ওয়া উলিল আম্‌রী মিন্‌ কুম , ফাইন্ ত্বানা যাতুম-ফী শাইয়িন্ ফারুদ্দুহু ইলাল্লা-হি ওয়ার রসুলী ইন্ কুন-তুম তুমিনূনা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমি-ইল আখির, যা-লিকা খারুওঁ ওয়া আহসানু তাবিলা’ (সূরা : নিসা, পারা- ৪ আয়াত- ৫৯)।

অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ, রাসুল (সঃ) ও আউলিয়াগণের আনুগত্য কর। কোন বিষয়ে মতভেদ দেখা দিলে তা আল্লাহ ও রাসুল (সঃ)-এর ওপর ন্যস্ত কর। যদি আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখ, এ ব্যবস্থা তোমাদের জন্য উত্তম।

‘আলা ইন্না আওলিয়া আল্লাহি-লা খওফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহ্যানুন’। আল্লাযীনা আ-মানু ওয়াকানু ইয়াত্তা কুন। লাহুমুল বুশ্‌রা ফিল হা-ইয়া-তিদ দুনইয়া ওয়া ফিল আখিরাহ, লা-তাবদীলা লিকালিমা তিল্লাহু, যা-লিকা হুওয়াল ফাউযুল আযীম। (সূরা : ইউনুছ, আয়াত- ৬২-৬৫)

অর্থ : জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তাঁরা কোন বিষয়ে দুঃখিত হবেন না। যারা বিশ্বাস করেন এবং সাবধানতা অবলম্বন করেন তাদের জন্য পার্থিব জীবনে ও পরলৌকিক জীবনে সু-সংবাদ আছে। আল্লাহতায়ালার বাণীর কোন পরিবর্তন নেই, এটিই মহা সাফল্য।

‘ইনাল্লাহা ক্বালা মান আদালি ওয়ালিইয়ান আযানতুহু বিল হারবী, ওয়ামা তাক্বাররবা ইলাইয়া আবদি বিশাই-ইন আহাব্বু ইলাইয়া মিম্‌মা ইকতারাসতু আলাইহি, ওয়ামা ইয়াযানু আবদি সামআহ আল্লাজি ইয়াসমাউ বিহী ওয়া বাসারাহু লাল্লাযি ইয়ুবসিরু বিহী ওয়াইয়াদাহু লাল্লাতি ইয়াবতিশু বিহা ওয়ারিজলাহু লাল্লাতি ইয়ামশি বিহা আলফা’ (হাদিসে কুদ্সী, রাওয়াহু বুখারী ও মিশকাত শরীফ)।

অর্থ : আমার বান্দা ফরজ আদায়ের মধ্য দিয়ে আমার নৈকট্য লাভ করে, ফরজ আদায়ের পর নফল ইবাদতের মাধ্যমে তারা আমার ভালোবাসা লাভ করে, আমি যখন কাউকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলে। যখন সে আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে তা দিই’ (হাদীসে কুদ্‌সী, বুখারী ও মিশকাত শরীফ)।

‘ওয়ালা-তাকুলু লিমাই ইয়ুক্বতালূ ফী-সাবীলিল্লা-হি আমওয়াত; বাল্ আহ্ইয়া উওঁয়ালা কিল্ লা-তাশউরুন’ (সূরা : বাক্বারা, পারা- ২ আয়াত- ১৫৪)।

অর্থ : যারা আল্লাহর মহব্বতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে, তাদেরকে মৃত মনে কর না বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা বোঝ না।

‘ওয়াল তাহ্‌ সাবান্নাল্লাযীনা কুতিলু ফী-সাবিলিল্লা-হি আমওয়া তা, বাল আহুইয়া-উন ইন্দা রাব্বিহিম ইউরযাকু-ন’।

অর্থ : যারা আল্লাহর মহব্বতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে, তাদেরকে মৃত মনে কর না, বরং তারা জীবিত, স্বীয় রবের নৈকট্যপ্রাপ্ত, স্বীয় রবের পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত’ (সূরা : ইমরান পারা : ৩ আয়াত : ১৬৯)।

‘ক্বালা উমর বিন খাত্তাব রাদিআল্লাহুতায়ালা আনহু আন্নাহু ক্বালা ক্বালা রসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদ-দু-আউ মাউকুফুন বাইনাসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব ইল্লা বিসসালাহ’।

অর্থ : হযরত উমর (রা:) থেকে বর্ণিত হাদিস, নবী করীম (সঃ) বলেছেন যে, দরূদ শরীফ পাঠ করা না হলে উম্মতের দোয়াসমূহ আসমান ও জমিনের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যখন দরূদ শরীফ পাঠ করা হয়, তখন তা আল্লাহতায়ালার দরবারে পেশ করা হয় এবং তা কবুল হয়’ (মিশকাত শরীফ)।

‘মান আদালি ওয়ালি ইয়ান ফাকাদ আযান তাহু বিলহারবী’ (রওয়াহু মুসলিম)।
অর্থ : যে ব্যক্তি আমার কোন আউলিয়ার সাথে শত্রুতা বা দুশমনি করে, আমি তাকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানাই।

‘আন আলী কারামাল্লাহু ওয়াজহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বালা ইন্নি সামিইতু রাসুলাল্লাহি (সঃ) ইয়াকুলু আল আবদালু ইয়াকুনুনা বিশশামী ওয়াহুম আরবাউনা রজুলানা কুল্লামা মাতা রজুলুন আবদাল্লাতু মা কানাহু রুজালান ইউহক্বা বিহিমুল গাইনু ওয়াইনতাসারু বিহিম আলাল আদা-ই-ওয়া ইউতনরাফু আন আহলিমশামী বিহীমুল আজিব্বু’ (রওয়াহু মিশকাত)।

হযরত আলী (রা:) বর্ণনা করেন, আমি নবী করিম (সঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, সিরিয়ায় চল্লিশজন আবদাল আছেন তাদের ওছিলায় বৃষ্টি বর্ষিত হয়, শত্রুরা তাদের ওছিলায় পরাজিত হয় এবং তাদের ওছিলায় সিরিয়াবাসীদের ওপর থেকে আযাব দূরীভূত হয়’ (মিশকাত শরীফ)।

হে সম্মানিত পাঠকগণ! মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির শুরু থেকেই ওছিলার মাধ্যমে সকল কিছু সম্পন্ন করে আসছেন। অথচ আল্লাহতায়ালার কথা অমান্য করে কিছু সংখ্যক মানুষ কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বর্তমান সমাজে অশান্তি করছেন। তাই এদেরকে মহান আল্লাহতায়ালা হেদায়েত দান করুন, আমিন।

আল্লাহতা’লা কোরআন মজিদে তাঁর বন্ধু অলি-আউলিয়াদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষদেরকে সতর্ক করেনআলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ হযরত জাকির শা...
28/09/2024

আল্লাহতা’লা কোরআন মজিদে তাঁর বন্ধু অলি-আউলিয়াদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষদেরকে সতর্ক করেন

আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ হযরত জাকির শাহ্ নকশ্‌বন্দি মোজাদ্দেদি

আলা ইন্না আওলিয়া আল্লা-হি লা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহ্‌য্বানূন। আল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া কা-নূ ইয়াত্তাকূন। লাহুমুল্ বুশ্‌রা-ফিল্ হায়া-তিদ্ দুন্ইয়া ওয়াফিল্ আ-খিরাতি; লা-তাব্‌দিলা লিকালিমা-তিল্ লা-হি; যা-লিকা হুওয়াল্ ফাওযুল ‘আজীম। (সূরা ইউনুস, আয়াত, ৬২-৬৪)

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহতা’লা সবাইকে সর্তক করে বলেন, সর্তক হও! জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধু অলি-আউলিয়াদের কোন ভয় নেই এবং তাঁরা চিন্তাযুক্তও হন না। যাঁরা বিশ্বাস করেন এবং সাবধানতা অবলম্বন করেন, তাঁদের জন্য ইহকাল ও পরকালের জীবনে সুসংবাদ আছে, আল্লাহর বাণীর কোন পরিবর্তন নেই, এটিই মহা সাফল্য।

অ-লাক্বদ কাতাবনা-ফিয্যাবূরি মীম বা’দিয্ যিকরি আন্নাল আরদ্বা ইয়ারিছূহা-ইবা-দিয়াছ্ ছলিহুন। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৫)

অর্থ: (প্রিয় হাবীব সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ’ আপনার মহব্বতে আমার মাহাবুব বান্দাদেরকে পৃথিবীর স্বত্ত্বাধিকারী করে তা, আমার লওহে মাহফুজে লিখে রেখেছি।

ওয়ামাই ইউত্বি‘ইল্লা-হা ওয়ার রাসূলা ফাউলাইকা মা’আল্লাযীনা আন’আমাল্লা-হু আলাইহিম মিনান নবিয়্যীনা ওয়াছ্‌ছিদ্দীকিনা ওয়াশশুহাদাই ওয়াছ্ ছালিহীনা, ওয়া হাসুনা উলা-ইকা রাফীক্বা। (সূরা নিসা, আয়াত: ৬৯)

অর্থ: সত্যবাদী, শহীদ ও সিদ্দীকগণ আল্লাহ ও রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আশেক। তাঁরা বেহেশতে নবী সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গী হবেন, তাঁরা কতই না সুন্দর।হযরত আলী (রা.) ইরশাদ করেন যে, আমার অন্তরে ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, মাতা-পিতা এমনকি শীতল পানি অপেক্ষাও মহানবী সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা অধিক প্রিয় (হাদিস : মাদারেজুন নবুয়্যত)। নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোনো মৃত্যু নেই, বরং তাঁরা স্থানান্তরিত হয়, ধ্বংসশীল ইহজগৎ থেকে স্থায়ী পরজগতে (আল হাদিস)। নিশ্চয়ই আমার বন্ধুগণ আমার জুব্বার অন্তরালে অবস্থান করেন। আমি এবং আমার আউলিয়াগণ ব্যতীত তাদের পরিচিতি সম্বন্ধে কেউ অবগত নয় (আল হাদিস)।

কেরামাতুন আউলিয়াউন হাক্কুন।
অর্থ: আউলিয়াদের কেরামত ক্ষমতা সত্য (আল হাদিস)।

আল আউলিয়াও রায়হানুল্লাহ।
অর্থ: আউলিয়াগণ আল্লাহর সুবাস (আল হাদিস)।

ওয়ালা-তাহ্সাবান্নাল্লাযীনা কূতিলূ ফী সাবীলিল্লা-হি আমওয়া-তা; বাল আহ্ইয়া উন ইন্দা রাব্বিহিম ইউরযাকূন (সূরা, আল আয়াত : ১৬৯)।

অর্থ: যারা আল্লাহর মহব্বতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে; তাদেরকে মৃত মনে করো না, তারা বরং জীবিত, নিজের রবের নৈকট্যপ্রাপ্ত, নিজের রবের পক্ষ থেকে রিযিকও প্রাপ্ত।

ওয়ালা-তাকুলূ লিমাই ইউক্বতালু ফী সাবীলিল্লা-হি আম্ওয়া-তা; বাল আহইয়া উওঁ ওয়ালা-কিললা -তাশ’উরূন (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৫৪)

অর্থ: যারা আল্লাহর মহব্বতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে; তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা জানো না।

ওয়া আন আবি হুরাইরাতা (রা.) ক্বালা ক্বালা রাসূলুল্লাহি (সঃ) ইন্নাল্লাহা তায়ালা মান আদালী অলি আন ফাক্বাদ আ-জানতুহু বিল হারবি, ওমা তাকাররাবা ইলাই ইয়া আবদি বি-শাইয়্যিন আহাব্বু ইলাই ইয়া মিম্‌মাফ তারতু আলাইহি অলা ইয়াজালু আবদি ইতাকাররাবু ইলাই ইয়া বিন্না ওয়াফিলি হাত্তা আহ্ বাবতুহু ফা-ইযা আহ্ বাবতুহু ফাকুনতু সাম আ-হুল্লাজি ইয়াসমাউ বিহি ওয়া বাছারা হুল্লাজি ইউবুসিরু বিহি ওয়া ইয়াদাহুললাতি ইয়ুবতিসু বিহা ওয়া রিজলাহুল্লাতি ইয়ামশি বিহা ওয়া ইন-সা আলানি লা-উতি আন্নাহু ওয়ালা ইন আসতায়া জানিলায়্যি জান্নাহু ওমা তারাদ্দু আনসাইয়্যিন আনা ফা-ইলাহু তারাদুদি আন নাফসিল মুমিনি ইকবাহুল মাওতা ওয়া আন আকরাহু মাসা আতুহু ওলা বুদদালাহু মিনহু। (রওয়াহুল তিরমিযি) বুখারী/তিরমিযী

অর্থ: প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহতা’লা বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি আমার কোনো প্রিয় বান্দাকে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে শত্রু মনে করে, তবে আমি তার সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। অর্থাৎ আমার প্রিয় বান্দার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করা মানে আমার সঙ্গেই যুদ্ধ করার নামান্তর। আর আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করে দিয়েছি, শুধু তা পালন করেই কোনো বান্দা আমার নৈকট্যলাভ করতে পারবে না। সুতরাং আমার প্রিয় বান্দারা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতের মাধ্যমেই সদাসর্বদা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। ফলে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর যখন আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যে কান দিয়ে সে শ্রবণ করে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যে চোখ দিয়ে সে দেখে। আমি তার হাত হয়ে যাই, যে হাত দিয়ে সে স্পর্শ করে। আমি তার পা হয়ে যাই, যে পা দিয়ে সে হাঁটে। অর্থাৎ, তার চোখ, কান, হাত, পা ইত্যাদি সবই আমার করুণা পরিবেষ্টিত হয়ে যায়। অনন্তর সে যদি আমার নিকট কোনো কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাৎক্ষণিক তা প্রদান করি। যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় প্রদান করি। আমি যে কাজ করতে চাই, তা করতে কোনো দ্বিধা-সংকোচ করি না, যতটা দ্বিধা-সংকোচ করি একজন মুমিনের জীবন সম্পর্কে। কেননা সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে, অথচ আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।টীকা: (ফাক্বাদ আজান্‌তাহু বিল হারবি) অর্থ: আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করি’ এই বাক্যটির মর্ম হল, আল্লাহর অলির সঙ্গে কোনো প্রকার বেয়াদবী করা কিংবা শত্রুতা করা, আল্লাহর কাছে তা খুবই অপছন্দনীয় এবং ঘৃণিত কাজ। সে কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহারকারী বা শত্রুতাকারীর সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। অথবা অলির সঙ্গে বেয়াদবীর মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহর সঙ্গে বেয়াদবী করা হয়, সে জন্যেই আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।

মান নাদানি বি-ইসমী ফি-কুরবাতীন কুশিফাত ওয়ামান ইশতাগাসা বি-ফি-শিদ্দাতিন কুরিজাত, ওয়ামান তাওয়াসালা বি ইলাল্লাহি ফি হা-জাতীন কুদিয়াত (বাহজাতুল আসরার)

অর্থ: যদি কেউ পেরেশানীতে পড়ে আমার সাহায্য চায়, তবে তার পেরেশানী দূর হয়। যদি কেউ কঠিন বিপদে পড়ে আমার সাহায্য চায়, তবে তার বিপদ দূর হয়। কেউ আমার উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, মহান আল্লাহতা’লা তার বাসনা পূর্ণ করেন, (গাউসুল আযম আবদুল কাদির জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, (বাহজাতুল আসরার)।

আন আবি হুরাইরাতা রাদিআল্লাহুতা’লা আনহু ক্বালা ক্বালা রসূলুল্লাহি সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রব্বু আশআছা, আগবারা মাদফুইন, আনিল আবওয়বী, লাও আক্বসামা আলাল্লাহি লা আবরাহু (রওয়াহু মুসলিম)।

অর্থ: হযরত আবু হোরায়রা রাদিআল্লাহুতা’লা আনহু বর্ণনা করেন, নবী করিম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এমন অনেক উসকো-খুশকো লম্বা চুলধারী ধূলামলীন বিশিষ্ট লোক আছে, যাদেরকে মানুষের দরজা থেকে বিতারিত করা হয়, অথচ তারা যদি আল্লাহর কাছে কিছু দাবী করে, তাহলে আল্লাহ তাদের সে দাবী পূরণ করেন (মুসলীম শরীফ)।

ক্বালা সাইদু জমালু মাক্কী ফি ফাত্তাওয়াহু সুইলতু আম্মান ইয়াকুলু ফিশ্শিদাইদি ইয়া রসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আও ইয়া শ্বাইখ আব্দুল ক্বাদির আল জিলানী শাইয়ান লিল্লাহি আও ইয়া আলীইউন হাল হুয়া যাইজিন আমলা ফাকুতু নাআম হুয়া আমরুন মাশরুউন ওয়া শাইউন মারগুবুন, লা ইউনকিরুহু ইল্লা মুতাকাব্বিরু আও মুয়ানিদুন ওয়াহুয়া মাহরামুন আন ফুউযিল আউলিয়া ইল্লাকিরামী ওয়া বারাকাতীহীম (বাহজাতুল আসরার)।

অর্থ: সৈয়দ জামাল মক্কী তাঁর এক ফতোয়ায় বলেছেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি কঠিন বিপদে পড়ে সাহায্যের আশায় ‘ইয়া রসুলুল্লাহ’ অথবা ‘ইয়া শেখ আবদুল কাদির শাইয়ান লিল্লাহ’ অথবা ‘ইয়া আলী’ বলে ডাক দেয়া জায়েজ কি না? তদুত্তরে আমার মত হচ্ছে, এরূপ সাহায্য চাওয়া শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ ও উত্তম। অহংকারী অথবা শত্রু ব্যতীত কেউ এটা অস্বীকার করে না। যে অস্বীকার করে, সে অবশ্যই আউলিয়াকিরামদের ফয়েজ ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে (সৈয়দ জামাল মক্কী, মক্কার মুফতী)।

Address

খাজা বাবা কুতুববাগীর মহামূল্য নছীহত বাণী প্রচার করা মূল লক্ষ্য ।
Mymensingh
MAWNACHOWRASTASREEPURGAZIPUR

Telephone

+8801881950750

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md Rakib Jaker Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share