Md Umor Faruk

Md Umor Faruk এই পেইজে, ইসলামিক ভিডিও আপলোড করা হয়।
সবাই পেজটি Follow করুন

হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতিএকটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতেসুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্তনা...
03/07/2025

হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতি
একটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতে
সুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ত না, তবে মাঝে মাঝে জুমার দিনে
মসজিদে যেত। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা আর
মোবাইল-ইন্টারনেটে অ'শ্লী'ল ভিডিও দেখা ছিলো তার
নে'শা।
শয়'তান আস্তে আস্তে তার মনকে দুর্বল করে দেয়।
হস্ত'মৈ'থু'নে'র আসক্তি এমনভাবে গ্রাস করে নেয় যে, দিনে
২-৩ বারও করতে ছাড়ত না। নিজের জানের ক্ষ'তি করছে

• এটা বুঝত, কিন্তু নফসের দাসত্ব আর শ'য়'তা'নে'র
ধোঁকায় আটকে গিয়েছিল।
এক রাতে, যখন সবার ঘুম, কাসিম নিজের ঘরে দরজা বন্ধ
করে মোবাইলে অ'শ্লী'ল ছবি দেখে নিজের নাপাক কাজ
করছিল। হঠাৎ সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। দম বন্ধ হয়ে
আসে। তখন সে হাত মুখ ধুয়ে নামাজের নিয়ত করে, কিন্তু
ততক্ষণে মৃত্যু তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ জানলো না, সে রাতে তার জান কবজ হয়ে গেছে।
সকালে তার লা'শ পাওয়া গেলো বিছানার উপর, মুখ বিকৃত
হয়ে গেছে, চোখ উপরের দিকে উঠে আছে, আর তার ডান
হাতটি নিজের শরীরে এমনভাবে পড়েছিল যা দেখে সবাই
আঁ'ত'কে উঠে।

-
হুজুর ডেকে এনে গোসল করানোর সময় দেখা গেল -
তার শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হচ্ছে। কাফন পরানোর
সময় তার মুখ শক্ত করে আটকে ছিল, চোখ বন্ধ করা
যাচ্ছিল না। একজন হুজুর বললেন
-
> "যে ব্যক্তি দিনের পর দিন হা'রা'ম কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ
তায়ালা তার মৃত্যুকে অপমানজনক করেন। তার কবরে
এমন ভ'য়া'ব'হ আযাব হবে, যা চোখে দেখা সম্ভব নয়।"
কবরে নামানোর পর দেখা গেল মাটি এমনভাবে ডেবে
গেল, যেন সে ভিতর থেকে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
অনেকেই বুঝে গেল – সে আল্লাহর গ'জ'বে'র শিকার
হয়েছে।
-
রাসূল বলেছেন: "যে ব্যক্তি নিজের হ'স্ত'মৈ'থু'ন করে,
কি'য়া'ম'তে'র দিন তার হাত গর্হিত অবস্থায় সাক্ষী দেবে এবং
সেই হাতকে আ'গু'নে'র শা'স্তি দে'য়া হবে।
শিক্ষা:
এই দুনিয়া ক্ষ'ণ'স্থা'য়ী। নফসের খেয়াল ও শ'য়'তা'নে'র ধোঁকায়
পড়ে এমন হা'রা'ম কাজ করলে মৃ'ত্যু'র পর ভ'য়া'ন'ক আ'যা'ব
অপেক্ষা করছে। এখনই তওবা করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
শুরু করো। হা'রা'ম কাজ থেকে ফিরে আসো।
কবরের ভেতর হাত-পা বাঁ'ধা অবস্থায় আ'গু'নে'র খাঁচায়
পুড়'তে হবে না, যদি এখনই আল্লাহর দিকে ফিরে আসো।

03/07/2025

বিকালে নদীর পারে একটু হাটাহাটি।

⚡এক রাজার ৪ স্ত্রী ছিল।৪র্থ স্ত্রীকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। সোনা, হীরা, দামি পোশাক দিয়ে সাজাতেন তাকে। আর সবসময় তার...
03/07/2025

⚡এক রাজার ৪ স্ত্রী ছিল।

৪র্থ স্ত্রীকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। সোনা, হীরা, দামি পোশাক দিয়ে সাজাতেন তাকে। আর সবসময় তার খেয়াল রাখতেন।

৩য় স্ত্রী ছিল রূপসী ও আকর্ষণীয়। রাজা তাকে নিয়ে গর্ব করতেন, কিন্তু মনে মনে ভয়ও করতেন — এ হয়ত একদিন অন্য কাউকে ভালোবেসে তাকে ছেড়ে চলে যাবে!

২য় স্ত্রী রাজার পাশে থেকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করত, বিশ্বাসযোগ্যও ছিল, কিন্তু রাজার ভালোবাসার জায়গায় ৪র্থ এবং ৩য় স্ত্রীর মতো গুরুত্ব পায়নি সে।

১ম স্ত্রী ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। সে নীরবে সবকিছু সহ্য করত, স্বামীকে ভালোবেসে সবসময় পাশে থাকত, স্বামীর শরীর খারাপ করলে রাত জেগে সেবাযত্ন করত, কিন্তু কখনোই সে তার প্রাপ্য অধিকার পায়নি।

একদিন রাজা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তিনি বুঝলেন, তার সময় ফুরিয়ে এসেছে। তখন ভাবলেন, মৃত্যুর পরে কে তার সঙ্গী হবে?

প্রথমে ৪র্থ স্ত্রীকে ডেকে বললেন,
“তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছি আমি, তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে?”
সে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, “না, একদম না!” এবং রাজাকে ছেড়ে চলে গেল।

এরপর ৩য় স্ত্রীকে একই কথা জিজ্ঞাসা করলেন রাজা। জবাবে ৩য় স্ত্রী বলল, “আমি কেবল মৃত্যুর দিন পর্যন্ত থাকতে পারি, এরপর আমি নতুন জীবন শুরু করব।”

এবার ২য় স্ত্রীকে ডাকলেন তিনি। ২য় স্ত্রী বলল, “আমি কেবল তোমার কবর পর্যন্ত যাব, কিন্তু সেখানেই আমার পথ শেষ!”

হঠাৎ রাজা শুনলেন, কারও শান্ত কণ্ঠস্বর, “আমি তোমার সঙ্গে যাব, যেখানেই যাও না কেন!”

রাজা অবাক হয়ে দেখলেন, সেই কণ্ঠ ১ম স্ত্রীর। তাকে এতটাই ক্লান্ত, দুর্বল আর অবহেলিত দেখাচ্ছিল যে, রাজার চোখে পানি এসে গেল।

তিনি বললেন, “আমি যদি তোমার যত্ন নিতাম! আজ বুঝছি, আসলে তুমিই ছিলে আমার সবচেয়ে আপন!”

শিক্ষা: এই ৪ স্ত্রীর প্রত্যেকেই আমাদের জীবনের একেকটি প্রতীক।

৪র্থ স্ত্রী হলো আমাদের শরীর, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি যত্ন নিই, সাজাই; কিন্তু মৃত্যুর পর এটাই আমাদের সবার আগে ছেড়ে যায়।

৩য় স্ত্রী হলো সম্পদ, যেটা মৃত্যুর পর অন্যের হয়ে যায়।

২য় স্ত্রী হলো পরিবার ও বন্ধু, যারা কেবল কবর পর্যন্তই আমাদের সঙ্গে থাকে।

আর ১ম স্ত্রী হলো আমাদের আত্মা, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি, অথচ মৃত্যুর পরে একমাত্র ওটাই আমাদের সঙ্গে থাকে।

জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই, কিন্তু আত্মার যত্ন নিতে ভুলবেন না। কারণ শেষ পর্যন্ত সেই আপনার চিরসঙ্গী।

নরহরি দাসউপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীযেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ...
03/07/2025

নরহরি দাস
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেই তার মা বলত, 'যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!' তা শুনে তার ভয় হত, আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে থাকত। তারপর সে একটু বড় হল, তার ভয়ও কমে গেল। তখন তার মা বাইরে চলে গেলেই সে গর্তের ভিতর থেকে উকি মেরে দেখত। শেষে একদিন একেবারে গর্তের বাইরে চলে এল।
সেইখানে এক মস্ত ষাঁড় ঘাস খাচ্ছিল। ছাগলছানা আর এত বড় জন্তু কখনো দেখেনি। কিন্তু তার শিং দেখেই সে মনে করে নিল, ওটাও ছাগল, খুব ভালো জিনিস খেয়ে এত বড় হয়েছে। তাই সে ষাঁড়ের কাছে গিয়ে জিগগেস করল, 'হ্যাঁগা, তুমি কী খাও।
ষাঁড় বললে, 'আমি ঘাস খাই।'
ছাগলছানা বললে, 'ঘাস তো আমার মাও খায়, সে তো তোমার মতো এত বড় হয়নি।'
ষাঁড় বললে, 'আমি তোমার মায়ের চেয়ে ঢের ঢের ভালো ঘাস অনেক বেশি করে খাই।'
ছাগলছানা বললে, 'সে ঘাস কোথায়?'
ষাঁড় বললে, 'ঐ বনের ভিতরে।'
ছাগলছানা বললে, 'আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।' একথা শুনে ষাঁড় তাকে নিয়ে গেল।
সেই বনের ভিতরে খুব চমৎকার ঘাস ছিল। ছাগলছানার পেটে যত ঘাস ধরল, সে তত ঘাস খেল।
খেয়ে তার পেট এমন ভারি হল যে, আর চলতে পারে না।
সন্ধে হলে ষাঁড় এসে বললে, 'এখন চল বাড়ি যাই।'
কিন্তু ছাগলছানা কী করে বাড়ি যাবে? সে চলতেই পারে না।
তাই সে বললে, 'তুমি যাও, আমি কাল যাব।'
তখন ষাঁড় চলে গেল। ছাগলছানা একটি গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতরে ঢুকে রইল।
সেই গর্তটা ছিল এক শিয়ালের। সে তার মামা বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল। অনেক রাত্রে ফিরে এসে দেখে, তার গর্তের ভিতর কী রকম একটা জন্তু ঢুকে রয়েছে। ছাগলছানাটা কালো ছিল, তাই শিয়াল অন্ধকারের ভিতর ভালো করে দেখতে পেল না। সে ভাবল বুঝি রাক্ষস-টাক্ষস হবে। এই মনে করে সে ভয়ে-ভয়ে জিগগেস করল, 'গর্তের ভিতর কে ও?'
ছাগলছানা ভারি বুদ্ধিমান ছিল, সে বললে—
লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নাড়ি।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস
পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস!

শুনেই তো শিয়াল 'বাবা গো!' বলে সেখান থেকে দে ছুট! এমন ছুট দিল যে একেবারে বাঘের ওখানে গিয়ে তবে সে নিশ্বাস ফেললে!
বাঘ তাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলে, 'কী ভাগ্নে, এই গেলে, আবার এখুনি এত ব্যস্ত হয়ে ফিরলে যে?'
শিয়াল হাঁপাতে হাঁপাতে বললে, 'মামা, সর্বনাশ তো হয়েছে, আমার গর্তে এক নরহরি দাস এসেছে। সে বলে কিনা যে পঞ্চাশ বাঘে তার এক গ্রাস!'
তা শুনে বাঘ ভয়ানক রেগে বললে, 'বটে তার এত বড় আস্পর্ধা! চল তো ভাগ্নে!
তাকে দেখাব কেমন পঞ্চাশ বাঘে তার এক গ্রাস!'
শিয়াল বললে, 'আমি আর সেখানে যেতে পারব না, আমি সেখানে গেলে যদি সেটা হাঁ করে আমাদের খেতে আসে, তা হলে তুমি তো দুই লাফেই পালাবে। আমি তো তেমন ছুটতে পারব না, আর সে বেটা আমাকেই ধরে খাবে।'
বাঘ বললে, 'তাও কি হয়? আমি কখনো তোমাকে ফেলে পালাব না।'
শিয়াল বললে, 'তবে আমাকে তোমার লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চল।
তখন বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে, আর শিয়াল ভাবছে, 'এবারে আর বাঘমামা আমাকে ফেলে পালাতে পারবে না।
এমনি করে তারা দুজনে শিয়ালের গর্তের কাছে এল। ছাগলছানা দূর থেকেই তাদের দেখতে পেয়ে শিয়ালকে বললে—
দূর হতভাগা! তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি,
এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি!

শুনেই তো ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছে। সে ভাবলে যে, নিশ্চয় শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেবার জন্য এনেছে। তারপর সে কি আর সেখানে দাঁড়ায়! সে পচিশ হাত লম্বা এক-এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল। শিয়াল বেচারা মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাঁটার আঁচড় খেয়ে, খেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে একেবারে যায় আর কি! শিয়াল চেঁচিয়ে বললে, 'মামা, আল! মামা, আল!' তা শুনে বাঘ ভাবে বুঝি সেই নরহরি দাস এল, তাই সে আরো বেশি করে ছোটে। এমনি করে সারারাত ছুটোছুটি করে সারা হল।
সকালে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এল।
শিয়ালের সেদিন ভারি সাজা হয়েছিল। সেই থেকে বাঘের উপর তার এমনি রাগ হল যে, সে রাগ আর কিছুতেই গেল না। 🔴 আরো গল্প ও কবিতা পেতে ফলো করুন 🔴
📌 Antariksha Mal #বাংলা #গল্পঃ #কবিতা #কবি #কবিতার #কবির #ছড়া #সংগৃহীত

03/07/2025

মুচির গল্প..........

একটি ছোট শহরে এক দরিদ্র মুচি বাস করত। তার বাড়ির পাশেই ছিল ছোট্ট একটি দোকান, যেখানে সে নিজের হাতে যত্ন করে জুতো তৈরি করত। এই কাজই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস, এবং সেই সামান্য টাকায় চলত তার পরিবার।

মুচি ছিল সৎ ও পরিশ্রমী , কিন্তু সময়ের সাথে তার বানানো জুতোর কদর কমতে লাগল। মানুষ ব্র্যান্ড, চকমকে দোকান আর দামি বিজ্ঞাপনের পেছনে ছুটল। তার জুতো বিক্রি না হওয়ায় তাকে অত্যন্ত কম দামে জুতো বেচতে হত। ধীরে ধীরে তার সঞ্চয় শেষ হল, সংসারে টানাপোড়েন বাড়ল। এমনকি স্ত্রীর গয়না পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হলো তাকে।

মুচি হতাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু তার স্ত্রী বলত
“উপরওয়ালা সব দেখে। বিশ্বাস রেখো, একদিন নিশ্চয়ই তিনি পথ দেখাবেন।”
এই আশ্বাসে মুচি কিছুটা শক্তি পেত, কিন্তু ভিতরে ভিতরে এক অসহায় বেদনায় পুড়ছে।

শেষে এমন একদিন এল, যখন তার কাছে কেবল একটি জোড়া জুতো ছিল। উপকরণও শেষ, টাকা নেই। সেই জুতো নিয়েই সে বাজারে গেল। অনেক কষ্টে সেটি বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে সে এক ক্ষুধার্ত বৃদ্ধাকে দেখে কিছু টাকা তার হাতে তুলে দিল।

সন্ধ্যায় দোকানে ফিরে সে খেয়াল করল, এক কোণায় একটি চামড়ার টুকরো পড়ে আছে। “এক জোড়া জুতোই হয়তো বানানো যাবে,” ভাবল সে। সেই টুকরো কেটে রেখে দিল ভেবেছিল পরদিন বানাবে।

কিন্তু সকালে দোকানে এসে চমকে উঠল!
যেখানে সে চামড়া কেটে রেখেছিল, সেখানে একজোড়া দারুণ সুন্দর জুতো তৈরি হয়ে রয়েছে! এত নিখুঁত কারুকাজ, এত ভালো ফিনিশিং সে অবাক হয়ে গেল!

সে সেই জুতো বিক্রি করে কিছু দরিদ্রকে সাহায্য করল, বাকিটা দিয়ে উপকরণ কিনে আনল। পরদিন সে আরও চামড়া কেটে রেখে দিল। আবার সকালে তৈরি জুতো পেল!
এইভাবে দিনের পর দিন সে চামড়া রেখে যেত, আর সকাল হলে তৈরি জুতো পেত। তার অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হতে লাগল।

একদিন মুচি ও তার স্ত্রী ঠিক করলো কে তাদের এই সাহায্য করছে, আমরা তা দেখবো? তার পর..

এক রাতে, তারা তাদের দোকানে এক কোনে লুকিয়ে রইল।
রাত গভীর হলে, তারা দেখলো তিনটি ছোট আকারের বামন দোকানে প্রবেশ করল! তারা হাসতে হাসতে জুতো তৈরি করতে লাগল। এবং কাজ শেষে তারা চুপিচুপি চলে গেল।

পরদিন সকালে মুচির স্ত্রী বলল,
“তারা তো খুব সাধারণ পোশাক পরে, আমরা কি তাদের জন্য কিছু দিতে পারি না?”

মুচি বলল, “তুমি জামা বানাও, আমি জুতো।”
তারা পরদিন সেই উপহার দোকানে সাজিয়ে রাখল, কিন্তু চামড়া রাখল না।

রাতে বামনরা এসে উপহার দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাচতে লাগল। তারপর তারা চলে গেল।
আর কখনও তারা ফিরে এল না।

কিন্তু এখন আর মুচি অসহায় না। তার হাতের কাজ নিখুঁত হয়ে উঠেছে। সে জানে কীভাবে ভালো জুতো বানাতে হয়, মানুষ কী পছন্দ করে।
নিজের দক্ষতায় সে আবার ঘুরে দাঁড়াল।
ধীরে ধীরে হয়ে উঠল শহরের অন্যতম সফল মুচি।

গল্পের শিক্ষা
কখনো হাল ছেড়ো না।
সৎ পথে থাকলে, পরিশ্রম করলে এবং কাউকে সাহায্য করলে আল্লাহ ঠিকই সাহায্য করেন।
তবে তাঁর উপহার তখনই প্রকৃত মূল্য পায়, যখন আমরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের পথ নিজেই তৈরি করি।(সংগ্ৰহকৃত)।

ভালুকা মেহেরাবাড়ী চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রায় অর্ধ শতাধিক...
02/07/2025

ভালুকা মেহেরাবাড়ী চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রায় অর্ধ শতাধিক...

নাম হুসনারা (৩৩) গলায় কলাগাছের ডগা জড়িত মৃ-ত দে-হ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরীপুর উপজেলার ৬নং বোকাইনগর ইউনিয়নের কবিরাজ ...
02/07/2025

নাম হুসনারা (৩৩) গলায় কলাগাছের ডগা জড়িত মৃ-ত দে-হ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরীপুর উপজেলার ৬নং বোকাইনগর ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ি গ্রামে। তার পিতার নাম মো:আব্দুল গণি মিয়া। বিস্তারিত পরে আসছে....

02/07/2025

গাধা ও রাজ্যের ভবিষ্যৎ

অনেকদিন আগের কথা।
এক রাজা নতুন রানীকে নিয়ে ঠিক করলেন মাছ ধরতে যাবেন। যাওয়ার আগে রাজ জ্যোতিষীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, "আজ কি বৃষ্টি হবে নাকি?"
জ্যোতিষী নানা গণনা করে আশ্বস্ত করলেন—"না মহারাজ, আকাশ পরিষ্কার, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।"

রাজা তখন প্রাসাদ ছেড়ে লস্করসহ বেরিয়ে পড়লেন নদীর দিকে।

পথে দেখা এক চাষার সঙ্গে—টাকমাথা, গাধার পিঠে চড়ে ফিরছিল বাড়ি। রাজাকে দেখে নেমে এসে প্রণাম করলো। যখন শুনলো রাজামশাই মাছ ধরতে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গেই বললো—
"মহারাজ, ফিরে যান! ঘন মেঘ জমেছে, এখনই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবে!"

রাজা হেসে চাষার কথা পাত্তা দিলেন না। কিন্তু বেশি দূর না যেতেই আকাশ কালো হয়ে এলো আর শুরু হলো ঝুমবৃষ্টি। সবাই ভিজে একেবারে কাক!

পরদিন রাজা সভায় এসে প্রথমেই বরখাস্ত করলেন জ্যোতিষীকে। তারপর আদেশ পাঠালেন সেই চাষাকে রাজদরবারে হাজির করাতে।

চাষা এলে রাজা সাদরে তাকে আসন দিলেন আর বললেন—
"আজ থেকে তুমি হবে আমার রাজ্য জ্যোতিষী!"

বেচারা চাষা তো তাজ্জব! বললো—
"মহারাজ, আমি তো এসব বিদ্যে জানি না!"

রাজা তখন কৌতূহলে জিজ্ঞেস করলেন—
"তাহলে গতকাল তুমি বৃষ্টি সম্পর্কে এত নিশ্চিত হলে কী করে?"

চাষা হেসে বললো—
"ওটা তো আমার গাধার কেরামতি! ওর কান দুটো যখন ঢলে পড়ে, তখন বুঝি বৃষ্টি আসবে।"

সব শুনে রাজা গাধাকেই রাজ জ্যোতিষী বানি দিলেন।

সেই শুরু। তখন থেকেই আজ পর্যন্ত, যেকোনো সরকারি গুরু দায়িত্বে ইউরোপরা গাধাদেরই বসিয়ে আসছে! #রম্যগল্প #নারী_ডায়েরি

#রসিকতা_সমেত_গল্প
#বাংলার_চিরন্তন_বুদ্ধি
#হাস্যরস
#প্রজন্মের_চিন্তা

Address

Mymensingh

Telephone

+8801732126213

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md Umor Faruk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category