Md.Monir hossain

21/05/2025

this is gofargoan

21/05/2025

MY 💕

18/05/2025

সমুদ্রের নিচে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর স্থান — মারিয়ানা ট্রেনচ। মানুষের চোখ থেকে বহু দূরে, সূর্যের আলো যেখানে পৌঁছায় না, সেখানে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় অন্ধকার জগত। বিজ্ঞানীরা একে শুধু একটি গভীর খাদ হিসেবেই দেখেন, কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে — ওখানে কিছু আছে। কিছু ভয়ংকর, অতিপ্রাকৃত, এবং প্রাচীন।

গভীরতা:

২০২৩ সালের নভেম্বরে, "ডিপ-সেভেন" নামে একটি গভীর সমুদ্র অনুসন্ধান যান পাঠানো হলো মারিয়ানা ট্রেনচের সর্বনিম্ন বিন্দুতে — চ্যালেঞ্জার ডিপ। এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ড. রায়হান, একজন বিখ্যাত সমুদ্রজীববিদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন সায়েম এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আনিসা।

"আমরা পৃথিবীর শেষ রহস্যটা উন্মোচন করতে যাচ্ছি," যাত্রার আগে বলেছিলেন ড. রায়হান।

যখন ডিপ-সেভেন নেমে যেতে লাগল গভীরের দিকে, আলো ফিকে হতে লাগল, আর অন্ধকার ঘন থেকে ঘনতর। ১০,০০০ মিটার অতিক্রম করার পর, আশপাশে কোনো প্রাণের চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না।

হঠাৎ, স্ক্রিনে দেখা দিল একটা সিগন্যাল। একটা স্পন্দন। যেন কিছু একটার হৃদস্পন্দন।

ভয়াবহতা:

"এটা কি? কোনো প্রাণী?" আনিসা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল।

"না… এটা যেন পুরো ট্রেনচ নড়ছে," কাঁপা গলায় বললেন ক্যাপ্টেন সায়েম।

ডিপ-সেভেন আরও নিচে নামতে লাগল। প্রায় ১০,৯৮০ মিটার গভীরে, তারা দেখল এক বিশাল ফাটল — যেন পৃথিবীর পেটের মুখ। হঠাৎ করেই আলো নিভে গেল। যন্ত্রপাতি বিগড়ে যেতে লাগল। শব্দহীন এক চাপা গর্জন আসছিল ফাটলের ভেতর থেকে।

তারপর... চোখ জ্বলছে।

ডিপ-সেভেন-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিশাল এক ছায়া। চোখে আলো। নড়ছে। ওটা কি ছিল?

"এটা কোনো জীব নয়," কাঁপতে কাঁপতে বললেন ড. রায়হান। "এটা... কিছু প্রাচীন। এটা এখানেই ছিল, হয়তো পৃথিবী তৈরির আগ থেকেই।"

ফাটল থেকে বেরিয়ে এলো বিশাল এক কালো ছায়া, তার মুখ নেই, কেবল অন্ধকার আর ছোবল। ডিপ-সেভেন কাঁপতে লাগল। তারপর... সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

দুই দিন পর, একটি ভাসমান যন্ত্রের মাধ্যমে ডিপ-সেভেন-এর একটি অংশ ভেসে উঠে। কিন্তু কারো দেহ নেই। ক্যামেরা ফিডে শেষ কিছু দৃশ্য পাওয়া যায় — অন্ধকারে দুই চোখ জ্বলছে, আর একটি গলা ফিসফিস করে বলছে,
"তোমরা আমাদের ঘুম ভেঙে দিয়েছো..."

সেই ঘটনার পর, আর কোনো অভিযান পাঠানো হয়নি মারিয়ানা ট্রেনচে।
বলা হয়, কেউ কেউ রাতে স্বপ্নে সেই চোখদুটো দেখতে পায়... যেন কিছু একটাই তাদের ডাকছে, সমুদ্রের অতল থেকে।

---

02/05/2024