Fahim Ahmed

Fahim Ahmed ❤️𝗔𝗹𝘄𝗮𝘆𝘀 𝘀𝘁𝗮𝘆 𝗽𝗼𝘀𝗶𝘁𝗶𝘃𝗲, 𝗮𝗻𝗱 𝘆𝗼𝘂 𝘄𝗶𝗹𝗹 𝘀𝗲𝗲 𝗹𝗼𝘁𝘀 𝗼𝗳 𝗯𝗲𝗮𝘂𝘁𝗶𝗳𝘂𝗹 𝘁𝗵𝗶𝗻𝗴𝘀 𝗵𝗮𝗽𝗽𝗲𝗻𝗶𝗻𝗴 𝗶𝗻 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗹𝗶𝗳𝗲.🌹 👋 Hi! Message me now for a free consultation!

I’m a Freelance Digital Marketing Specialist, helping businesses grow through strategic online advertising and content.

💡 Services I Provide:

Facebook & Instagram Ad Campaigns (Awareness, Engagement, Traffic, Leads)

Ad Creative Design & Copywriting

Business Page Setup & Optimization

Targeted Audience Research & Setup

Boost Organic Reach and Handle Low-Performing Pages

Funnel Strategy & Camp

aign Analytics

🚀 Why work with me?
✅ Real experience with proven campaign results
✅ Fast communication & timely delivery
✅ Smart budget planning for small businesses
✅ 100% client satisfaction is my priority

📬 Let’s build your brand, boost your reach, and grow your business.

 :_মায়া   ( ভাবতে ভাবতেই দিশহান গাড়ি  থেকে নেমে চুড়ির দোকান টার সামনে গিয়ে দাড়ালো। ) তারপর নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন রং এর ...
26/10/2025

:_মায়া


( ভাবতে ভাবতেই দিশহান গাড়ি থেকে নেমে চুড়ির দোকান টার সামনে গিয়ে দাড়ালো। )
তারপর নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন রং এর চুড়ি কিনলো মায়ার জন্য দিশহান।
দোকানদার: স্যার একটা কথা জিজ্ঞেস করি। ( দিশহান কে উদ্দেশ্য করে বলল)
দিশহান: হুম বলো।
দোকানদার: স্যার এত গুলা চুড়ি কি আপনার বৌ এর জন্য? ম্যাডামের সাথে মনে হয় আপনার রাগারাগি হইছে। তাই চুড়ি দিয়ে রাগ ভাংজ্ঞাবেন তাই না???
দিশহান: বৌ কথা টা শুনেই দিশহানের এক অদ্ভুত অনূভুতি হলো মায়ার জন্য। তাও দোকানদার কে রেগে গিয়ে বলল।
-- That's none of your business !
দোকানদার: ভয় পেয়ে বলল।
"Sorry sir"!
--চুড়িগুলো হাতে নিয়ে দিশহানের মায়ার হাসি মাখা মুখটা মনে পড়লো। যদিও মায়া দিশহানের সামনে কখনোই তেমন হাসে না। কিন্তু অন্যদের সাথে যখন মায়া খিলখিল করে হাসতে থাকে দিশহান তা অপলক ভাবে তাকিয়ে দেখে। আজ নিশ্চই চুড়ি গুলো পেয়ে মায়া অনেক খুশি হবে। কথা টা ভেবেই দিশহানের মুখেও এক চিলটে হাসি ফুটে উঠলো। এদিকে আবার দোকানদারের মায়াকে দিশহানের বৌ ভাবা। এটা মনে পড়তেই এক অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরি হচ্ছে দিশহানের মায়ার জন্য।
-- দিশহান গাড়িতে উঠে আবার গাড়ি ড্রাইব করতে লাগলো বাড়ির উদ্দেশ্য।
বাড়িতে পা রেখেই দিশহান এর চোখ মায়াকে খুজছে।এই সময় তো মায়া ডয়িং রুমে থাকে। কিন্তু আজ নেই কেন?তার মানে মায়ার জর কি এখনো কমে নি সেইজন্যই কি মায়া নিচে নামেনি। ভাবতেই ভাবতেই দিশহান উপরে মায়ার রুমে গেলো।
-- উপরেও তো মায়া নেই। গেলো কোথায় মেয়েটা? ( দিশহান ভাবছে)
দিশহান: মা, মা!
দিশহানের মা: আরে দিশহান তুই কখন এলি বাবা ??
দিশহান: এইতো এখনি এলাম। মা, মায়া কোথায়? ওর কি জর এখনো কমেনি?তুমি ডাক্তার আংকেল কে ফোন দিয়ে ওকে দেখে যেতে বলনি? মায়া নিছেও নেই ওর ঘরেও নেই গেলো কোথায় জর নিয়ে মেয়েটা?
দিশহানের মা: আরে বাবা এত প্রশ্ন এক সাথে করলে উত্তর দিবো কিভাবে। মায়া তুলির সাথে বাইরে গেছে।
দিশহান: What! মায়া জ্বর নিয়ে বাইরে কেন গেছে? আর তুমি বা কেন যেতে দিলে। ( রাগী গলায়)
দিশহানের মা: আমিতো বারন করেছি। কিন্তু তুলি জোর করে নিয়ে গেলো।বলল বাইরে থেকে ঘুরে আসলে মায়ার মনটা একটু ভাল লাগবে তাই।
দিশহান মায়ার মন ভালো হবে শুনে বলল।
-- হুম ঠিক আছে। আমি উপরে যাচ্ছি আমার কফি পাঠিয়ে দাও।
দিশহানের মা: আচ্ছা তুই যা ফ্রেস হো আমি কফি পাঠাচ্ছি।
দিশহান: মা! বাবা কোথায়? দেখছি না যে।
দিশহানের মা: তোর বাবা নামায পড়তে মসজিদে গেছে।
দিশহান: ও আচ্ছা। বলেই উপরে চলে গেলো।
দিশহান উপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে কফিতে চুমুক দিতেই হাতের ওয়াচ এর দিকে নজর পড়লো। সন্ধ্যা ৬ টা বাজলো। তুলি আর মায়াতো এখনো আসলো না। তুলিকে একটা ফোন দি বলেই দিশহান তুলি কে ফোন দিল।
তুলি: হ্যা ভাইমনি বলো।
দিশহান: তোরা কোথাই?
দিশহানের প্রশ্নটা শুনেই তুলির পেটে মোছড় দিয়ে উঠলো।
তুলি: কেন ভাইমনি?
দিশহান: আরে আমি সে কখন বাড়িতে এসেছি কিন্তু তোরা বাড়িতে নেই। মা বলল তোরা নাকি বাইরে গেছছ। সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই ফোন দিলাম। কোথাই আছিস জানার জন্য।
তুলি: এইতো ভাইমনি আমরা প্রায় চলে এসেছি।
দিশহান: ওকে। তাড়াতাড়ি আয় আর গাড়ি নিয়ে গেছিস তো নাকি?
তুলি: না,,,মানে গাড়িতো আনিনি। ( ভয়ে ভয়ে)
দিশহান: What! গাড়ি নিসনি মানে?
তুলি: না মানে আমি আর মায়া আপুনি একটু রিকশা দিয়ে ঘুরছি তাই আর কি গাড়ি আনিনি।
দিশহান: ঘুরাতো গাড়ি দিয়েও ঘুরা যায়। এমনিতে মায়ার শরীর খারাপ তার উপর বাইরে গেলি কেন গাড়ি ছাড়া। তাড়াতাড়ি আয় বাসায় বলেই ফোনটা কেটে দিল দিশহান ( অনেক রেগে গেছে দিশহান)
এদিকে তুলিতো ভয়ে শেষ ভাইমনি তার উপর রেগে গেছে সেই জন্য। ভাইমনি যেমন তাকে ভালবাসে তেমনি শাষনও করে। আর রাগলে তো ভাইমনি আগুন হয়ে যায় সেটা তুলিও খুব ভাল করে জানে।
তুলি: আপুনি চলো তাড়াতাড়ি। আজকে ভাইমনি আমাকে অনেক বকবে।
মায়া: কেন? কি হয়েছে?
তুলি: তোমার শরীর খারাপ তাও আমি তোমাকে নিয়ে বাইরে এসেছি আবার গাড়িও নিয়ে আসিনি সেই জন্য।
মায়া: ধুর বাদ দাও তো কিচ্ছু হবে না। আমি উনাকে বলবো আমি নিজের ইচ্ছেই তোমার সাথে এসেছি। আমার বাড়িতে ভাল লাগতেছে না তাই। আর আমি গাড়ি আনতে বারণ করেছি।
তুলি: প্লিজ আপুনি তুমি ভাইমনি কে একটু বুঝাই বলিও। আমার খুব ভয় করতেছে।
মায়া: কিচ্ছু হবে না। আমি আছিতো নাকি? এখন চলো তাড়াতাড়ি বাড়ি যাই।
-- মায়াতো খুব বড় গলায় তুলিকে বলল কিচ্ছু হবে না। কিন্তু ওর ও মনে মনে খুব ভয় করতেছে। দিশহান জানি আজ আবার কি করবে ওর সাথে।(ভাবতেছে মায়া)
বাড়িতে পৌছাতে মায়া আর তুলির ৭ টা বেজে গেলো।
বড়মা: কিরে তোদের এই আসার সময় হল।
তুলি: না মানে জেম্মা আমি আর মায়া আপুনি একটু রিকশা নিয়ে ঘুরেছিলাম তাই।
বড়মা: হুম বুজলাম! তোমার ভাইমনি কিন্তু খুব রেগে আছে। এখন যাও উপরে গিয়ে ফ্রেস হও। মায়া তুই ফ্রেস হয়ে দিশহানের ঘরে যাস। দিশহান ডেকে পাঠিয়েছে তোকে।
বড় মার কথাটা শুনেই মায়ার কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। রাক্ষস টা মনে হয় খুব রেগে গেছে আজ। আল্লাহ আজ মনে হয় আমি শেষ! আল্লাহ আপনি আমাকে বাছান প্লিজ প্লিজ। বিড়বিড় করতে করতে মায়া উপরে চলে গেলো।
মায়া উপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে দিশহানের রুমের সামনে গিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিজের বুকে ফু দিচ্ছে!
মায়া: ভেতরে আসবো?
দিশহান: খুব নরম সুরে বলল।
আয় মায়া তোর অপেক্ষাই করছিলাম।
মায়া: রাক্ষস টা আমার অপেক্ষা করছিল মানে। ও হ্যা বুজতে পারছি আমাকে কথা শুনানোর জন্য আমার অপেক্ষা করছে। কিন্তু রাক্ষস টা এত নরম সুরে কেন কথা বলছে? সবই তো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
দিশহান: কিরে তুই কি বাইরে দাড়িয়ে থাকবি নাকি ভিতরে আসবি? দিশহানের কথা শুনে মায়া ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো। মায়া আস্তে আস্তে ভিতরে ডুকলো।
--আ,,,আ,,আপনি আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন কেন???
দিশহান: শরীর খারাপ নিয়ে বাইরে যাওয়াত কি বেশি দরকার ছিল মায়া?
মায়া: না,,,মানে, আমার বাড়িতে থাকতে ভাল লাগছিল না তাই তুলি আমাকে নিয়ে গেছে। ( ভয়ে ভয়ে বলল)
দিশহান: দিব্যি বুজতে পারছে মায়া ভয় পাচ্ছে। দিশহান মায়ার কাছে গিয়ে বলল। বাড়িতে ভাল লাগছিলো না তুইতো আমাকেও বলতে পারতি। আমি তোকে নিয়ে বাইরে যেতাম।
-- মায়াতো পুরাই অভাব! রাক্ষস টা কি বলতেছে এসব। আমাকে নিয়ে উনি বাইরে যাবে। আমি সপ্ন দেখতিছি নাতো। নাকি ভূত দেখতিছি আমি।
মায়া: আ,,, আপনি কি সত্যিই দিশহান চৌধুরী?? নাকি অন্য কেও??
দিশহান: একটু ভ্রু কুচকে।
কেন কি হয়েছে????

মায়া: না,,,না মানে আপনি।
দিশহান: আমি কি মায়া???

মায়া: আপনি আমার সাথে এত ভালভাবে কথা বলতেছেন তো তাই আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। আচ্ছা আমি কি সত্যিই দেখতেছি নাকি এটা কোন স্বপ্ন? প্লিজ আমাকে একটা চিমটি কাটবেন আপনি।
দিশহান মায়ার কথা শুনে হো হো করে হাসতে লাগলো। আর বলল।
-- কেন আমি বুজি তোর সাথে ভালভাবে কথা বললে তোর ভাল লাগে না??
মায়াতো রিতিমত পুরো টাশকি খেয়ে যাচ্ছে। ডান হাতের বৃদ্ধা আংজ্ঞুলের নক কামড়াচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে মায়া।
-- রাক্ষস টার হল কি আজ? আমার সাথে এতো ভালভাবে কথা বলছে আবার হাসছেও।
দিশহান: কিরে মায়া মনে মনে কি এত ভাবছিস তুই?? আর এত অভাকই বা হচ্ছিস কেন?? দেখ অভাক হওয়ার কিছু নাই। আমি দিশহান আর তুই কোন স্বপ্নও দেখছিস না। তোকে কিছু কথা বলার ছিল আমার।
মায়া মাথা নিচু করে বলল।
-- জ্বি বলুন!
দিশহান: accually না মানে... কালকের ঘঠনার জন্য আমি....আমি.. কালকের ঘটনার জন্য আমি....আমি....!
মায়া: কি আপনি বলুন?
কালকের ঘটনার জন্য আপনি কি?
দিশহান মনে মনে বলছে।
-- ধুর সামান্য একটা সরি বলতে আমি এত তোতলাচ্ছি কেন? আর কেনই বা মায়াকে সরি বলতে পারছি না আমি? কামন দিশহান তুমি পারবে। তোমাকে পারতেই হবে। তুমি এমনিতেও মায়াকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছো। এখন তোমাকে মায়াকে সরি বলতে হবেই।
মায়া: কি হল? কি এত ভাবছেন আপনি?? কি বলবেন আমাকে বলেন।
দিশহান: না মানে.. আসলে কালকের ঘটনার জন্য আমি....আমি....আমি সরি। কথাটা বলেই দিশহান জোরে একটা নিশ্বাস নিলো।এদিকে মায়াতো পুরো socked! দিশহান তাকে সরি বলতেছে দিশহান? মায়া যে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি দিশহান তাকে সরি বলবে! ইনফ্যাক্ট মায়ার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। যে দিশহান তাকে সরি বলেছে। সাতপাঁচ না ভেবে এবার মায়া দিশহানকে বলেই পেললো।
-- প্লিজ আপনার দোহাই লাগে আপনি আমাকে একটা চিমটি কাটেন। আমার মনে হয় আমি স্বপ্ন দেখতেছি!
দিশহান একটু মুচকি হেসে! ধীর পায়ে মায়ার দিকে এগোতে লাগলো। দিশহানকে এগিয়ে আসতে দেখে মায়া পিছোচ্ছে।দিশহান মায়ার একদমকাছে এসে মায়ার কানে কানে বলতে লাগলো।
-- রাক্ষস রুপ টা কি আবার দেখাবো তাহলে মনে হয় তোর বিশ্বাস হবে।
তারপর নিজ হাতে মায়ার খোঁপা বাধা চুল গুলো খুলে দিল দিশহান আর বলল।
-- মায়া শুন! চুল গুলো খোপা করে কেন রাখিস তুই?? খুলে রাখলেইতো পারিস।খোলা চুলে তোকে বেশ ভালই দেখায়। একসময় দিশহান মায়ার হাত ধরে নিয়ে গিয়ে মায়াকে বিছানার উপর বসালো।
কি হচ্ছে এসব মায়ার সাথে সবই মায়ার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।দিশহান নিজের আলমারি থেকে মায়ার জন্য আনা চুড়ির প্যাকেট টা বের করে মায়ার হাতে দিলো ।
মায়া: এটা কি??
কি আছে এতে?? আর আমাকেই বা কেন দিচ্ছেন এটা? ?
দিশহান: তুই নিজেই খুলে দেখ কি আছে এতে। আর এটা আমি তোর জন্য এনেছি তো কাকে দিবো?
কথা কম বলে প্যাকেট টা খুলে দেখ।
মায়া প্যাকেট টা খুলে দেখে রং বে রং এর কাচের রেশমি চুড়ি।
-- ওয়াও রেশমি চুড়ি!
বলেই খিলখিল করে হেসে দিলো মায়া আর দিশহান মুগ্ধ নয়নে মায়ার হাসি দেখছে।দেখবে নাই বা কেন? হাসলে যে মায়াকে বড্ড মায়াবতী লাগে। মায়ার এই হাসির কারনেই মায়ার মায়া নামটা সার্থক।মায়ার এই হাসিতে যে কোন লোকই মায়ার মায়াতে পড়ে যাবে।দিশহানও যে আস্তে আস্তে মায়ার মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
দিশহা: চুড়িগুলা পছন্দ হয়েছে আপনার প্রিন্সেস?
দিশহানের মুখে প্রিন্সেস নামটা শুনে মায়ার চোখে ঝলঝল করে পানি চলে এলো।কারন মা বাবা মারা যাওয়ার পর প্রথম কেউ মায়াকে এত যত্ন করে প্রিন্সেস বলে ডাকতেছে। কি ঘটতেছে এসব মায়ার সাথে। যে মানুষটা সব সময় মায়াকে এত কষ্ট দিতো এত কথা শুনাতো সেই মানুষটাই আজ মায়াকে এত কেয়ার করছে। প্রিন্সেস বলে ডাকছে। কথা গুলো ভেবেই
কেঁদেই ফেললো মায়া।
দিশহান: এই মায়া কি হয়েছে তোর কাঁদছিস কেন??
সরি মায়া আমি মনে হয় তোকে আবারো কষ্ট দিয়ে পেল্লাম।
প্লিজ তুই কাঁদিস না!
মায়া আর কোন কথা না বলে দিশহান কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। হঠাৎ,করে মায়া দিশহানকে এভাবে জড়িয়ে ধরাতে দিশহান প্রথমে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে লাগলেও পরে আবার ঠিক হয়ে দাড়ায়। দিশহানের হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে মায়া ওকে এভাবে জড়িয়ে ধরাতে।
অন্যদিকে অঝোরে কাঁদছে মায়া। দিশহানও আজ মায়াকে থামাচ্ছে না। কাঁদুক, আজ মায়া মন ভরে কাঁদুক কেঁদে নিজের মনের ভিতর জমে থাকা কষ্ট গুলো বের করে ফেলুক।
আজকের পর আর কখনো তোকে আমি কাঁদতে দিবো না মায়া। প্রমিস! ( মনে মনে বলছে দিশহান) কিছুক্ষন পর মায়া কান্না থামিয়ে দিশহান কে ছেড়ে দিয়ে বলতে লাগলো।
-- সরি আসলে আমি আপনাকে এভাবে জড়িয়ে ধরতে চাইনি। প্লিজ আপনি রাগ করবেন না। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেন।আমি আর কখনো এমন ভুল করবো না। আসলে আমার বাবা মা মারা যাওয়ার পর প্রথম আমাকে কেউ প্রিন্সেস বলে ডেকেছে।তাই আমি নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। আমার ভুল হয়ে গেছে।
দিশহান মায়ার কাছে এসে মায়ার চোখের পানি নিজের হাতে মুছিয়ে দিলো।তারপর মায়ার কাদের উপর নিজের দুহাত রেখে বলল।
-- তুই কোন ভুল করিস নি মায়া। আর এত ভয় কেন পাচ্ছিস তুই? এখন থেকে তুই আর আমাকে ভয় পাবিনা। তোর মনের যত কথা, কষ্ট, দুঃখ, রাগ, অভিমান, সব আমার সাথে শেয়ার করবি। আর আমিও এখন থেকে আর তোকে বকা দেবো না তোর উপর রাগও দেখাবো না।
আই প্রমিস।
মায়া দিশহানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে। আজ সে কোন দিশহান চৌধুরী কে দেখছে।এই দিশহান চৌধুরী যে তার চেনা দিশহান চৌধুরী থেকে একে বারে আলাদা।
এই দিশহান চৌধুরী কোন রাক্ষস নয়। নয় কোন ঘোমড়া মুখু। এই দিশহান চৌধুরী যে এক রাজপুত্র।যার কথায় আছে অদ্ভুত এক মায়া অফুরন্ত ভালবাসার ছোয়া।
দিশহান: কি হল কি এতো ভাবছিস তুই মায়া? আমি জানি তুই আমাকে নিয়েই ভাবছিস।আমি কিভাবে এতো বদলে গেলাম এইসবই তো ভাবছিস তাইনা??
মায়া: না,,মানে হ্যা।
দিশহান একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল!
-- কালকে রাত্রে যদি তোর জ্বর না আসতো আর আমিও তোর ঘরে না যেতাম তাহলে হয়তো আমার কখনো জানাই হত না। যে আমার উপর তোর এত রাগ অভিমান জমে আছে। believe me মায়া আমি ইচ্ছে করে তোকে কষ্ট দিতে বা তোর উপর রাগ দেখাতে চাই না। কিন্তু কেন জানি, না চাইতেও আমি তোর উপর রাগ দেখিয়ে ফেলি। তোকে কষ্ট দিয়ে পেলি। But trust me কালকে যখন তোর হাত কেটে যায় জ্বর আসে তাও আবার আমার জন্য। আমার নিজের উপর খুব রাগ হয়েছিল। আর তুই যখন জ্বরের ঘোরে অই কথা গুলো বলতে লাগলি আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিলো।
I promise You মায়া আমি আর কখনো তোর কোন কষ্টের কারন হব না।
মায়াতো পুরো অভাক হয়ে গেছে দিশহানের কথা শুনে। আবার ভয়ও পাচ্ছে কি এমন বলেছে কাল ও দিশহানকে যার জন্য দিশহানের মাঝে এতটা চেঞ্জড।
দিশহান আবার মায়ার কাছে গিয়ে বলতে লাগলো।
-- মায়া আমি হয়তো একটু রাগী, বদমেজাজি! কিন্তু অতটাও খারাপ মানুষ নই আমি। সো এখন থেকে তুইও আমাকে একটু কম ভয় পাস প্লিজ।আর আমার সামনে একটু নরমালি বিহেভ করার চেষ্টা করিস।তোর এই ভয় পাওয়ার কারনেই আমার রাগ তোর উপরে আরো দিগুন হয়ে যায়! এখন নিজের রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নে যা। আর হ্যা কাটা হাতে চুড়ি গুলা পড়তে যাস না আবার। হাতটা ভাল হলে পড়িস কেমন!
মায়া: মাথা নাড়িয়ে ঠিক আছে বলল।তারপর মায়া দিশহানের ঘর থেকে চলে যেতে নিলে দিশহান পিছন থেকে মায়ার হাতটা ধরে পেলে। মায়া ভয় পেয়ে দিশহানের চোখের দিকে তাকায়। এক অদ্ভুত ভাললাগা দেখছে দিশহানের চোখে নিজের জন্য মায়া। যে ভাললাগায় একটু একটু করে মায়া নিজেও হারিয়ে যাচ্ছে।
-- ধুক ধুক..মায়ার হার্টবিট বেড়ে গেছে। মায়া স্পষ্ট আওয়াজ টা শুনতে পারতেছে।
দিশহান: মায়া!
মায়া: হুম!
দিশহান: আমি কি আজ থেকে তোকে প্রিন্সেস বলে ডাকতে পারি।
মায়া নিশ্চুপ হয়ে ভাবছে। এই মানুষ টাকে আমি এত দিন কত খারাপ কথা বলেছি।কত খারাপ ভেবেছি। কিন্তু আজ সেই মানুষটাই আমাকে এতটা!
দিশহান: কি হল মায়া? ডাকতে পারি প্রিন্সেস বলে ???
মায়া: জি পারেন।
"জ্বি পারেন " এই কথাটা শুনেই দিশহানের মুখে একটা রাজ্য জয়ের হাসি ভেসে উঠলো। আলতো করে মায়ার কপোলে একটা চুমু খেলো। সাথে সাথে মায়া চোখ দুটো বন্ধ করে পেললো। মায়া যেনো জমে গেছে দিশহানের স্পর্শে।
দিশহানের এইরকম স্পর্শে মায়া যেন কেঁপে উঠছে। ভয়, ভাল লাগা, সব মিলেমিশে এ এক অজানা অনূভুতি মায়ার জীবনে। যেই অনূভুতির সাথে মায়া আগে কখনো পরিচিত ছিল না।
মায়া দিশহানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এক দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেলো।দৌড়ে যাওয়ার সময় মায়ার পা থেকে একটা নুপুর পড়ে গেছে দিশহানের দরজার সামনে।দিশহান তা খেয়াল করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে নুপুর টা তুলে নিয়ে পরম যত্নে নিজের আলমারি তে রেখে দিল। নিজের ঘরে গিয়ে ঠাস করে দরজাটা বন্ধ করে ফেললো মায়া। এখনো খুব হাপাচ্ছে মায়া। সারা শরীর কাপছে মায়ার। আজ যে মায়া এক অজানা অনুভূতির সাথে পরিচিত হল। বুকে হাত রেখে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো মায়া।
মায়া ভাবছে দিশহানের কথা। দিশহান ওর কপোলে চুমু খেলো কথাটা ভাবতেই মায়ার খুব লজ্জা লাগছে। মায়া নিজের কপোলে হাত দিয়ে নিজেই হেসে দিলো। এক অন্য রকম ভাললাগা শুরু হল মায়ার দিশহানের প্রতি আবার ভয় ও পাচ্ছে........

না না পাঠকেরা যা ভাবছেন তা নয়.! এই ভয় হচ্ছে মায়া জ্বরের ঘোরে দিশহান কে কি বলেছে সেটার ভয়।
-- আচ্ছা আমি উনাকে উল্টাপাল্টা কিছু বলিনাই তো। হুম বলেছি! না হলে উনি কি করে জানবে উনার উপর আমার অনেক রাগ।ইশ জ্বরের ঘোরে মনে হয় আমিও উনাকে অনেক খারাপ কথা বলেছি। না আমিও উনার কাছে ক্ষমা চাইবো।
কিন্তু....কোন কিন্তু নয় উনি যদি এত রাগী মানুষ হয়ে আমাকে সরি বলতে পারে তাহলে আমিও পারবো।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই মায়া চুড়ির প্যাকেট টাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
10 টার দিকে দিশহান ও বাড়ির সবাই একসাথে ডিনার করতে বসে Without মায়া।
দিশহান: মা!
মায়া খেয়েছে? ও আসলো না যে ডিনারে?
দিশহানের মা: কি জানি তুই খা আমি তুলিকে পাঠাচ্ছি ওকে ডেকে আনতে।
দিশহান: দাড়াও তুলি কে যেতে হবে না। আমি ডেকে আনছি মায়াকে।বলেই দিশহান মায়ার ঘরে গেলো...........!

চলবে....

[ গল্পটা পড়ে আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, কারন আপনাদের মতামতের উপর নির্ভর করছে আমি গল্পটা কত বড় করবো, সময় নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ)

 #ভালোবাসা 💔
24/10/2025

#ভালোবাসা 💔

Story  #মায়া  হঠাৎ,দিশহান খেয়াল করলো মায়ার জ্ঞান পিরছে। আর মায়া যেনো কি কি বিড়বিড় করে বলছে।দিশহান মায়ার কাছে গিয়ে শুনার ...
24/10/2025

Story #মায়া


হঠাৎ,দিশহান খেয়াল করলো মায়ার জ্ঞান পিরছে। আর মায়া যেনো কি কি বিড়বিড় করে বলছে।দিশহান মায়ার কাছে গিয়ে শুনার চেষ্টা করলো মায়া কি বলতেছে!
মায়া: মা বাবা তোমরা কোথায়? তোমরা কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে? কেন তোমরা আকাশের তারা হয়ে গেলে? তোমাদের ছাড়া যে তোমাদের প্রিন্সেস অনেক কষ্ঠে আছে। তোমাদের প্রিন্সেসকে কেও এখন আর প্রিন্সেস বলে ডাকেনা। তোমাদের প্রিন্সেসকে সবাই অবহেলা করে! কষ্ট দেয়! তোমরা প্লিজ তোমাদের কাছে আমাকে নিয়ে যাও। আমিও তোমাদের সাথে আকাশের তারা হয়ে থাকতে চাই।
এই কথাটা শুনা মাত্র দিশহানের বুক টা কেপে উঠলো, মায়া আকাশের তারা হয়ে যাবে দিশহান ভাবতেই পারছে না, দিশহানের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।তার কারনেই আজ মায়া এত কষ্ট পাচ্ছে, মরে যেতে চাইছে!
-- না আমি আর মায়াকে কোন কষ্ট দিবো না আর মায়ার উপর রাগ দেখাবো না, মায়া সুস্থ হলেই আমি মায়াকে সরি বলবো।
মায়া আবারো বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
-- অই রাক্ষস টা আমাকে অনেক কষ্ট দেয়, ঠিক মামির মত, এই বাড়ির সবাই খুব ভাল শুধু অই রাক্ষস টা ছাড়া, তুলির জন্মদিনের আগের দিন আমার জন্মদিন থাকে কই আমাকে তো কেও উইশ করে না। আর আমার জন্মদিনের কথাও কেও জানতে চায় না, তোমরা থাকলে তো কত কিছু করতে তোমাদের প্রিন্সেস এর জন্মদিনে, তোমাদের প্রিন্সেস কে সারপ্রাইজ দিতে, মা বাবা আমি তোমাদের কাছে যেতে চাই। তোমরা প্লিজ আমাকে তোমাদের কাছে নিয়ে নাও।
কথা গুলো বলেই মায়া ছটফট করতে থাকে।

দিশহান তো পুরো অভাক তুলির জন্মদিনের আগের দিন মায়ার জন্মদিন শুনে।
--- ইশ আমিতো কখনোই এটা জানতাম না আজকের এই ঘটনা না গঠলে, অবশ্য মায়াতো কখনো বলে নি ওর জন্মদিনের কথা, ও আর কি বলবে ওতো আমার সাথে তেমন কথাই বলে না, ( নিজে নিজে কথা গুলো ভাবছে দিশহান)
দিশহানের নিজের মা বাবার উপরে খুব রাগ হল তারাতো মায়াকে খুব ভালবাসে মায়া এত বছর ধরে এই বাড়িতে আছে, তারা কেন মায়ার জন্মদিন মনে রাখলো না, কেন মায়ার জন্মদিনের কথা জানতে চাইলো না।

-- মায়ার ছটফটানি বেড়েই চলেছে।
দিশহান : মায়া এই মায়া কি হয়েছে তোর কি কষ্ট হচ্ছে তোর বল আমায়। দিশহান মায়ার কপালে আলতো করে হাত রাখলো, ohh s**t, মায়ার শরীর তো জরে পুড়ে যাচ্ছে।
দিশহানের জন্য মায়া এত কষ্ট পাচ্ছে, দিশহান ভাবতেই নিজের অজান্তে চোখের কোনে পানি চলে এলো দিশহান বুজতেই পারলো না।
দিশহান একটা বাটিতে পানি নিয়ে মায়ার মাথায় জলপট্টি দেওয়া শুরু করলো, আর একটু পরপর মায়ার কপোলে হাত দিয়ে দেখছে জর কমছে কিনা।
--- উহুম জর কমতেছে না, দিশহান এর অনেক পরিমান টেনশন হচ্ছে সাথে কষ্ট ও হচ্ছে , দিশহান কখনোই মায়াকে এই রকম অবস্থায় দেখতে চায়নি, কিন্তু আজ দেখতে হচ্ছে তাও আবার দিশহানের জন্যই।

--- রাত 4 টা বাজতেছে দিশহান মায়ার পাশে বসে আছেই, মায়ার জর এখন কিছুটা কম আছে। মায়া বেগোরে ঘুমুচ্ছে, ঘুমুন্ত মায়াকে দেখতে কি যে নিস্পাপ আর কি যে মায়াময় লাগছে তা দিশহান বলে বুজাতে পারবে না, কত পিচ্ছি একটা মেয়ে আর তার মনে এত কষ্ট এত রাগ অভিমান জমে আছে।
আর মায়াকে কোন কষ্ট পেতে দিবে না দিশহান ( মনে মনে ঠিক করেছে) চারিদিকে একটু একটু করে আযানের শব্দ শুনা যাচ্ছে, আযানের শব্দ এসে মায়ার কানে বাড়ি খাচ্ছে, মায়া চোখ দুটো একটু একটু করে খুলছে, চোখ খুলেই মায়া অভাক দিশহান কে তার পাশে বসে থাকতে দেখে।
মায়া : আ,,,আ,,,আপনি, এখানে? বলতে বলতে মায়া নিজের ওরনা খুজতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, দিশহান ব্যাপার টা খেয়াল করেই মায়ার দিকে মায়ার ওরনা টা বাড়িয়ে দিলো।
মায়া : ওরনা পড়ে নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে।
---আপনি এখনো ঘুমাতে যান নি কেন???
দিশহান : আমি এতটাও খারাপ না যে একজন মানুষ কে জরের মধ্য রেখে আমি গুমাতে যাবো।
মায়া : জ্রর, কার জর???
দিশহান : নিজের গায়ে হাত দিয়ে দেখ তার জর।
মায়া : বুজতে পারলো কাল রাতে মায়ার জর এসেছে কিন্তু তারতো কিছুই মনে পড়ছে না।
দিশহান : তুই রেস্ট নে আমি রুমে যাচ্ছি, কিছু লাগলে আমায় বলিস।
মায়া : মাথা নিচু করে মাথা নেড়ে ঠিক আছে বলল।
হাতের দিকে তাকাতেই মায়া খেয়াল করলো মায়ার হাতে ব্যান্ডেজ। আমার হাতে ব্যান্ডেজ কেন কি হয়েছে হাতে?? মূহুর্তে মায়ার মনে পড়ে কাল রাতে দিশহান ওর সাথে কি করেছে।
ও তার মানে ওনি আমাকে এত কষ্ট দিয়ে আবার আমার হাতে ব্যান্ডেজও করে দিয়েছে। কেন দিয়েছে উনি আমার হাতে ব্যান্ডেজ করে? আমি ওনার কে? আমিতো যাস্ট এই বাড়ির আশ্রিতা উনি নিজেই বলেছেন।
মায়ার চোখ পড়ল টেবিলের উপর রাখা জলপট্টির বাটিটার উপর! তার মানে, ওনি আমার মাথায় জলপট্টি দিছে সারারাত আমার পাশে বসে ছিল আমার জর বলে কিন্তু আমারতো তো কিছু মনে নেই।
কষ্ট দিয়ে আমার দয়া দেখাতে আসছে আমার উপর, রাক্ষস একটা ( মনে মনে বলতে লাগলো মায়া)
মায়া : আস্তে আস্তে বিচানা থেকে উঠে ফযরের নামায আদায় করে নিলো, মাথাটা এখনো ঝিমঝিম করছে, হাতেও ভীষণ ব্যাথা হবেই বা না কেন, হাতটা যে অনেক খানি কেটে গেছে মায়ার, মায়া আবার বিচানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লো, মূহুর্তে মায়া ঘুমের রাজ্য তলিয়ে গেলো।

সকাল ৯ টার দিকে দিশহান অফিসের জন্য রেডি হচ্ছে, আজকে দিশহান মায়ার কোন হেল্প ছাড়াই নিজের সব নিজে ঘুছিয়ে নিয়ে রেডি হচ্ছে, আর মনে মনে মায়ার কথা ভাবছে, কত কষ্টঈ না সে মায়াকে দিয়েছে, কিন্তু না আর সে মায়াকে কোন কষ্ট দিবে না সব সময় মায়ার সাথে নরমাল বিহেভ করবে ভাবতে ভাবতেই অফিস এর জন্য বের হল, তার আগে একবার মায়ার ঘরে গিয়ে দেখলো মায়ার জর কমছে কিনা, মায়া ঘুমিয়ে আছে, ঘুমুন্ত মায়াকে কি যে অপরুপ লাগছে তা দিশহান বুজাতে পারবে না, ঘুমিয়ে থাকলে মায়াকে একদম পিচ্ছি লাগে, এমনিতে বা মায়ার বয়স কি এমন মাত্র ১৭ বছর। ওতো এমনিতেও পিচ্ছি, এই পিচ্ছি মেয়ের মনে যে আমার উপর অনেক রাগ অভিমান জোমে আছে তা কালকের ঘটনা না ঘঠলে আমি কোনদিন বুজতেই পারতাম না ( নিজে নিজে ভাবছে দিশহান)

দিশহান : মায়ার মাথায় হাত রেখে দেখলো না জর এখন নেই, কিন্ত ঘুমুন্ত মায়ার কপোলে আদরের পরশ দিতে যে দিশহান এর খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু মায়া যদি জেগে যায়, এমনিতেও যে মায়া দিশহান কে খুব খারাপ ভাবে, না মায়া তো এখন ঘুমুচ্ছে , কিচ্ছু হবে না কপোলেই তো, সাতপাঁচ না ভেবে মায়ার কপোলে দিশহান আলতো করে চুমু খেলো, আচ্ছা এই চুমু কি ভালবাশার চুমু নাকি অন্যকিছু ???

দিশহান মায়ার মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে নিচে গেছে।
দিশহানের মা : কিরে দিশহান নাস্তা করবি না???
দিশহান : না মা এমনিতেও লেট হয়ে গেছে আমি অফিসে কিছু খেয়ে নেবো, বলেই দিশহান বেরিয়ে গেলো,
দিশহানের মা : মিনুতি যাতো মায়াকে ডেকে আন, ব্রেকফাস্ট করতে, মেয়েটার কি হল আজ এখনো নিচে নামলো না, আর সময় তো সকাল সকালই আমার আর ওর বড়বাবুর জন্য চা নিয়ে আমাদের ঘরে যায়। কথাটা দরজার পাশে দাড়িয়ে দিশহান শুনে ভিতরে আসে, মা মায়াকে ডেকো না ও ঘুমুচ্ছে ওর শরীর ভাল না,
দিশহানের মা : সে কি, কি হয়েছে মায়ার,
দিশহান : জর এসেছে।
( নিজের জন্যই যে মায়ার জর এসেছে তাতো দিশহান বলতে পারবে না)
দিশহানের মা : জর এসেছে মানে রাতেও ভাল ছিল, হঠ্যাৎ জর কেন আসলো??
দিশহান : না এখন একটু কমছে জর তোমারা মায়ার খেয়াল রেখো, আর আবার যদি জর আসে তাহলে ডাক্তার আংকেল কে ফোন দিও আমি বেরুচ্ছি।
দিশহানের মা : হ্যা তুই যা আমি দেখছি।

--- দিশহানের মা মায়ার ঘরে নাস্তা নিয়ে গেলো, মানে মায়ার বড়মা।
বড়মা : মায়ার মাথার কাছে হাত রাখলো আস্তে আস্তে মায়াকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কিরে মা তোর কি হয়েছে দিশহান বলল তোর নাকি জর এসেছে, আমাদের কে কেন ডাকলি না তুই, ইশ মুখটা ও মলিন হয়ে গেছে এক রাতের জরে। হঠ্যাৎ, মায়ার হাতের দিকে চোখ পড়লো বড় মার,
বড় মা : কিরে মায়া তোর হাতে ব্যান্ডেজ কেন?
মায়া কি বলবে বুজতে পারছে না।
--- তেমন কিছু না বড় মা, চুড়ি গুলা খুলতে গিয়ে হাত একটু খানি কেটে গেছে।
বড়মা : অনেক খানিতো কেটে গেছে আর তুই বলিস একটু খানি।

মায়া : আমি ঠিক আছি বড় মা তুমি খামোকা টেনশন করতেছো কিচ্ছু হয় নি একটু খানি হাতই তো কাটা গেছে।
বড়মা : দেখো মেয়ের কান্ড কতখানি জর হয়েছে আমি তা তোর মুখ দেখেই বুঝতে পারছি,নিশ্চই হাতের ব্যাথায় জর এসেছে, আর তুই বলিস একটু খানি, যা এখন ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে আসো আমি তোমাকে নাস্তা খাইয়ে দিবো, একটু পরেই ডাক্তার আসবে তোমাকে দেখতে,আমি ডাক্তার কে কল করে দিয়েছি।
মায়া : ওহো বড়মা ডাক্তার কেন আমিতো এখন ঠিক আছি, দেখো জর ও নেই।
বড়মা : একদম চুপ যা বলছি তাই হবে আর কোন কথা নয় যাও ফ্রেস হয়ে আসো ( রেগে গিয়ে)
মায়া : লক্ষী মেয়ের মত ফ্রেস হয়ে এসে বড় মার হাতে নাস্তা খেয়ে নিলো।
১২ টার দিকে ডাক্তার এসে মায়া চেক আপ করে দিল, মায়া ডয়িং রুম এ সোপায় বসে আছে।
তুলি : মায়া আপুনি এখন কেমন লাগছে শরীর,
মায়া : হুম ভাল,
তুলি : মায়াকে জড়িয়ে ধরে Thanks আপুনি, কালকে তোমার জন্য আমি জোভান এর দেওয়া প্রথম আর আমার লাইফ এর বেস্ট সারপ্রাইজ টা পাইছি।
মায়া : হুম। তা এখন তো মনে হয় বুঝতে পারছো জোভান তোমাকে সত্যিই ভালবাসে, এখন ওকে তোমার মনের কথা টা কবে জানাচ্ছো???
তুলি : আজকে বিকেলে জোভান স্কুল এর সামনের পার্ক টাতে আমাকে যেতে বলতেছে,
মায়া : তো যাও সমস্যা কোথায়??? গিয়ে ওকেও তোমার মনের কথাটা বল।
তুলি : হুম যাবো, কিন্তু আমি চাই তুমিও আমার সাথে যাও,
মায়া : আমি? আমি কেন যাবো তোমাদের সাথে কাবাব মে হাড্ডি হতে।
তুলি : হেসে দিয়ে বলল, কারন তুমি না গেলে আমিও যাবো না তাই?? আর তোমারো একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসলে ভাল লাগবে, কোথাও তো যাওনা, আমার সাথে আজকে তুমি যাবে বেস, and Its final!
মায়া : তো এবার আর না করতে পারলো, তাই তুলির সাথে যেতে রাজি হয়েছে।

--- এদিকে আজ দিশহান এর অফিস মিটিং কিছুতেই মন বসছে না, বার বার কালকে রাতে মায়ার বলা কথা গুলা মনে পড়তেছে ইচ্ছে না থাকা শর্তেও তাকে একটা মিটিং এটেন্ড করতে হল।

--- বিকেল ৪ টার দিকে তুলিও মায়াকে নিয়ে বেরিয়ে গেল বড় মা ও আর মায়াকে যেতে বারন করলো কিন্তু তুলি জেম্মাকে বুজিয়ে শুনিয়ে মায়াকে নিয়ে গেলো।
--- এদিকে 4 টার দিকে মিটিং শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো দিশহান, কারন এত টেনশন নিয়ে সে আর অফিসে বসে থাকতে পারবে না তার যে মায়ার জন্য বড্ড চিন্তা হচ্ছে, তাই বেরিয়ে পড়েছে।গাড়ি থেকেই দিশহানের চোখ একটা দোকানে আটকে গেলো যেখানে অনেক রং বে রং এর কাছের চুড়ি দেখতে পাচ্ছে দিশহান, কাল রাতে তো দিশহান এর জন্য মায়ার চুড়ি গুলো সব ভেংজ্ঞে গেলো, আজ বরং কাছের চুড়ি গুলো নিয়ে গিয়ে দিশহান মায়াকে সরি বলবে, আর মায়াও সব ভুলে দিশহানকে ক্ষমা করে দিবে, মায়া যে চুড়ি অনেক পছন্দ করে, ( ভাবতে ভাবতেই দিশহান গাড়ি থেকে নেমে চুড়ির দোকান টার সামনে গিয়ে দাড়ালো)

চলবে.....,

পাঠকদের বেশি সারা পাচ্ছিনা,ভাল না লাগলে বলবেন,বন্ধ করে দেবো।

 ায়া   হঠ্যাৎই দরজায় কেও নক করলো!-- মায়া আপুনি দরজা খোলো। আমি তুলি!মায়া গিয়ে দরজা খুলে দিলো।-- তুলি তুমি? আসো ভিতরে আসো।...
23/10/2025

ায়া


হঠ্যাৎই দরজায় কেও নক করলো!
-- মায়া আপুনি দরজা খোলো।
আমি তুলি!
মায়া গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
-- তুলি তুমি? আসো ভিতরে আসো। আমিতো তোমার কাছেই যাচ্ছিলাম।
তুলি: তাই নাকি!কেন বলতো?
মায়া: না আসলে চলনা আমরা একটু বাগান থেকে ঘুরে আসি। আমার না বাগানে যেতে মন চাইতেছে খুব।
তুলি হতবাক হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল।
-- যে কিনা দিনের বেলাই একটু বাগানে যেতে বললে যেতে চায় না। তার আজ হঠ্যাৎ কি হল?এত রাতে বাগানে যেতে চাইছে?কেও আসবে নাকি?
এই কথাটা বলেই তুলি নিজের কাদ দিয়ে মজা করে একটা ধাক্কা দিল মায়ার কাদে।
আসলে স্কুলে যাওয়ার সময় মায়া খালি বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল আর বাড়ি ছাড়া মায়া তেমন কোথাও যায় না। তুলি যেতে বললেও যায় না।আর এখন তো এক্সমও শেষ তাই মায়া বাড়িতেই থাকে সারাদিন।
মায়া: তুলি কিযে বলনা তুমি এসব।
তুলি: আচ্ছা চল বাগানে যাই।তুমি যখন যেতে বলেছো আমি কি না যেয়ে পারি আপুনি আমার।
মায়া: হুম চলো যাওয়া যাক। তুলিকে নিয়েতো বাগানে যাচ্ছি জোভানের কথা মত। কিন্তু ওর ভাইমনি যে ওর জন্য সারপ্রাইজ প্লেন করলো তার কি হবে। উল্টাপাল্টা কিছু হলে আজ রাক্ষস টা আমায় মেরেই পেলবে। কারন আজ তার আপুমনির জন্মদিন বলে কথা। মনে মনে কথা গুলো ভাবছে মায়া। তুলি মায়াকে একটু জাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো।
-- মায়া আপুনি কি এত ভাবছো তুমি বলতো??
-- ক,,,ক,,, কই কিছু নাতো!
-- জানো মায়া আপুনি জোভান আজ দুপুরে আমাকে ফোন দিয়েছে।
-- তাই এতদুর! এখন তাহলে ফোন দেওয়াও হয়। তা কি বলল জোভান?? শুনিতো একটু।
-- ও উত্তর জানতে ফোন দিয়েছে।
-- তা কি বললে তুমি ওকে?তোমার মনের কথা টা বলে দাওনি???
-- এতসহজে আমি ওকে আমার মনের কথা বলবো না। আরো কিছুদিন যাক তারপর দেখা যাবে।
-- ইশ ঢং!
তুলির সাথে কথা বলতে বলতেই মায়া নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে জোভান কে মেসেজ করলো। যে ওরা বাগানের দিকে যাচ্ছে।জোভান যেন সব রেডি করে রাখে।

"ঘড়িতে প্রায় ১১ টা ৩০" ডয়িং এ দিশহান,রেহানা চৌধুরী, শাহানাজ চৌধুরী,আর মিনুতি সবাই মিলে তুলির জন্য সারপ্রাইজ রেডি করতে ব্যাস্ত। শুধু সেখানে তুলির বাবা আর দিশহানের বাবা ছিল না। তুলির বাবা বিজনেসের কাজে দেশের বাইরে গেছে। আর দিশহানের বাবার রাত জাগা নিষেধ। তাই দিশহান বাবাকে ঘুম থেকে জাগায় নি।
শাহানাজ চৌধুরী: দিশহান বাবা!এত কিছু যে প্লেন করলে তোমার বোনের জন্য। ওকে ডয়িং রুমে আনবে কি করে??
দিশহান: ওপ্স ছোটমা তোমার কি আমাকে বোকা মনে হয়। আমি সব ম্যানেজ করে রেখেছি। মায়া ঠিক সময় ওকে নিছে নিয়ে আসবে তুমি কিচ্ছু টেনশন করোনা। আমি মায়াকে আগে থেকে সব বলে রেখেছি।
পাশ থেকে দিশহানের মা বলে উঠলো।
-- ও সেইজন্যই তো মায়া নিচে আসলো না। তার মানে তুই আগে থেকেই ওকে বলে রেখেছিস সব।
দিশহান: হুম মা!
"12 টা বাজতে আর মাত্র 5 মিনিট বাকি "

" টং "
তুলি: আপুনি তোমার মনে হয় মেসেজ এসেছে।
মায়া ফোনের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কাঁপছে! কারন মেসেজ টা দিশহান দিয়েছে তাই।
"মায়া তাড়াতাড়ি আপুমনি কে নিয়ে নিছে নাম। "
মায়া মেসেজ টা দেখে রিতিমত ঘামছে।
তুলি: কি হল আপুনি? কার মেসেজ?
মায়া: জিপি অফিস থেকে।
তুলি:ও তাই বল! এই এক জিপি অফিস হয়েছে বুঝলে মায়া আপুনি! সারাদিন খালি জিপি সিম ইউজারদের মেসেজ করেই যায়।
মায়া: হুম!
মায়া জোভান কে আরেকটা মেসেজ দিয়ে বলল।
--"যা করবি 5 মিনিটের ভিতর কর জোভান। আমাদের বাড়িতে যেতে হবে। বাড়িতেও সবাই তুলির জন্য সারপ্রাইজ প্লেন করেছে।" "ঘড়িতে বরাবর 12 টা" তুলি মায়া বাগানে দাড়িয়ে আছে।
-- Happy birthday তুলি
" many many happy retruns of the day" বলেই বাগানের দুইপাশ থেকে দুইটা বেলুন পাঠালো জোভান"
তুলি পিছনে ঘুরে জোভানকে দেখে পুরো সারপ্রাইজড। আজকের দিনে তুলি যে এমন একটা সারপ্রাইজ পাবে সেটা ও ভাবতেও পারেনি। হাসি হাসি মুখ নিয়ে একবার জোভানের দিকে তাকাচ্ছে তো আবার মায়ার দিকে তাকাচ্ছে তুলি।
-- তারমানে এই জন্য তুমি আমায় বাগানে নিয়ে এসেছো আপুনি।মায়া হেসে বলল।
-- সারপ্রাইজ টা কেমন লাগলো।
তুলি মায়াকে জড়িয়ে ধরে বলল।
--ভিষন ভাল আপুনি।
-- কিরে জোভান দাড়িয়ে থাকবি নাকি কেক টা কাটবি??
জোভান তুলির হাতটা ধরে ওকে নিয়ে কেকের সামনে দাড় করালো। তারপর দুজন মিলে কেকটা কাটলো।দুজন দুজনকে কেক নিয়ে খাইয়ে দিলো। তুলি একটু খানি কেক নিয়ে মায়াকে খাইয়ে দিলো।
মায়া: তুলি এবার চলো বাড়িতে।এদিকে মনে হয় কেও আসছে।কথাটা বলেই মায়া তুলির হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
জোভান পিছন থেকে চেঁচিয়ে বলল।
-- আই লাভ ইউ তুলি "
তুলি একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো।
"ঘড়িতে 12 টা 11" দিশহানের কিযে রাগ হচ্ছে মায়ার উপর এই মূহর্তে। মা কে বলতে লাগলো!
-- দেখছো তোমার আদরের মেয়েকে একটা কাজ দিয়েছি। আর সেটাও উনি ঠিক করে করতে পারলো না।
ছোটমা: দিশহান চুপ করো! মায়া মনে হয় তুলিকে নিয়ে নিচে নামতেছে।
দিশহান সাথে সাথে চুপ হয়ে গেলো। মায়া তুলি নিচে নামতেই সবাই এক সাথে বলে উঠলো।
-- Happy birthday তুলি।
তুলিতো পুরাই হতস্তম্ভ! আরেকটা সারপ্রাইজ। তুলির খুশিতে নাচতে মন চাইতেছে। তুলি মায়ার দিকে তাকিয়ে ভাবতেছে। এবার বুঝতে পারছি এই জন্যই আপুনি তখন আমাকে ওভাবে টেনে বাড়িতে নিয়ে আসলো। তুলি
দিশহান কে জড়িয়ে ধরে বলল।
--thanks ভাইমনি! আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম আজ যে আমার জন্মদিন।কিন্তু তোমরা ভুলো নি।তারপর দিশহানকে ছেড়ে জেম্মা আর নিজের মাকেও জড়িয়ে ধরলো তুলি। ( দিশহানের মাকে তুলি জেম্মা বলে ডাকে)
-- আয় আপুমনি কেক কাটবি আয়!
তুলিকে কথাটা বলে একবার মায়ার দিকে রাগী লুকে তাকালো দিশহান।মায়া সেটা খেয়াল করে ভয়ে কাপতে শুরু করলো।
কারন দিশহানের রাগ সমন্ধে মায়া খুব ভাল করেই জানে। ঠিক 12 টায় তুলিকে উইশ না করতে পারার রাগ দিশহান মায়ার উপর ঠিকি জাড়বে। আর সেটা মায়া খুব ভাল করেই বুঝতে পারছে।
তুলি কেক কেটে নিজের হারে সবাইকে খাইয়ে দিল।আর সবাই তুলিকে কিছু না কিছু উপহার দিল।
দিশহান: আপুমনি নে! ( একটা চাবি দিয়ে)
তুলি : এটা কিসের চাবি ভাইমনি???
দিশহান: এটা তোর নতুন স্কুটির চাবি।
তোর জন্মদিনে আমার তরফ থেকে তোর জন্য উপহার।
তুলি চাবিটা হাতে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে দিশহান কে জড়িয়ে দরলো।
-- আই লাভ ইউ ভাইমনি।
-- আমিও অনেক ভালবাসি আমার আপুমনি টাকে।
1টা নাগাদ সবাই যে যার ঘরে চলে গেলো।
দিশহান মায়ার রুমে গিয়ে দেখে মায়া রুম এ নেই। পিছন পিরে দেখে মায়া ওড়না ছাড়া ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে। দিশহানের চোখেতো মায়াকে ওড়না ছাড়া দেখে রিতিমত নেশা লেগে গেছে। দিশহান মায়ার দিকে এক নজরে তাকিয়েই আছে।মায়া দিশহান কে দেখে দৌড়ে গিয়ে ওড়না টা বুকে জড়ালো।
--আপনি এত রাতে আমার ঘরে??
মায়ার কথায় হুশ পিরলো দিশহানের। কিন্তু মায়ার করা প্রশ্নটা শুনে দিশহানের রাগ উঠে গেলো।
-- এত রাতে রুমে এসেছি তো কি হয়েছে?বাড়িটা আমার আমি যখন খুশি তখন এই বাড়ির প্রত্যক টা রুমে যেতে পারি।
-- না মানে আমি তা বলতে চাইনি! আসলে অনেক রাত হয়ে গেছেতো তাই।
দিশহান মায়ার হাতটা ধরে মায়াকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলতে লাগলো।
-- এতরাতে যেহেতু তোর ঘরে আমি এসেছি। নিশ্চই কোন কারন আছে তাই এসেছি।
মায়া ঘাবড়ে গিয়ে বলল।
-- কি... কি... কারন??
-- তোকে বলেছিলাম আপুমনি কে ঠিক 12 টায় নিচে নিয়ে আসতে। তুই আনলি 12 টা 11 মিনিটে। 11মিনিট দেরি করে আনলি কেন??
মায়া কি বলবে বুজতে পারছে না নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছে।
-- কিরে চুপ করে আছিস কেন উত্তর দে।
মায়া তাও নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছে। কারন কি বা বলবে সে এখন দিশহানকে? সত্যিই টা যে মায়া কিছুতেই দিশহান কে বলতে পারবে না। তাহলে তুলি বিপদে পড়ে যাবে। মায়ার এভাবে চুপ করে থাকা দিশহান কে আরো বেশি রাগিয়ে দিচ্ছে।
দিশহান খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল!
-- চুপ করে আছিস কেন তুই ?? তোকে কিছু জিজ্ঞেস করতেছি আমি।ans me!
দিশহান কে এভাবে চিৎকার করতে দেখে মায়া আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে মায়ার সারা শরীর থরথর করে কাপতে থাকে। এদিকে দিশহান মায়ার হাত দুটো যেভাবে ধরে মায়াকে দেয়ালের সাথে আবদ্ধ করে রেখেছে তার ফলে মায়া হাতে খুবই ব্যাথা পাচ্ছে।
মায়ার চোখ দুটো জাপ্সা হয়ে আসছে। চোখ থেকে সমানে পানি গড়িতে নিচে পড়ছে। দিশহান মায়ার হাত দুটো এতটাই জোরে চেপে ধরেছে যে মায়ার হাতে থাকা কাচের চুড়ি গুলো ভেংজ্ঞে মায়ার হাতে গেঁথে গেছে! হাত বেয়ে অনবরত রক্ত গড়িয়ে নিচে পড়ছে। দিশহান তা খেয়ালি করেনি। দিশহান নিজের মত। করে আবার বলতে লাগলো।
-- তুই কেন সময় মত তুলিকে নিচে আনিসনি আমি জানি!কারন তুই আমাকে হেল্প করতে চাসনি তাই। আসলে আমার কোন কাজ করতেই তোর ভাললাগেনা। আমাকে কোন কাজে হেল্প করতেও তোর অনেক আপত্তি। আর তার একটাই কারন।সেটা হল এই বাড়িতে আমিই এক মাত্র ব্যাক্তি যে তোকে বার বার তোর নিজের জায়গাটা দেখিয়ে দি। যে তুই এইবাড়ির আশ্রিতা।
কথাটা শুনা মাত্রই মায়ার চোখের পানি যেনো আরো জোরে ঝরতে লাগলো। মায়ার বুকের ভেতর টা যে কষ্ট পেটে যাচ্ছে দিশহানের বলা কথা গুলোতে তা এই মূহর্তে দিশহান বুঝতে পারছেনা।
মায়া নিচের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে লাগলো।
-- কেন আপনি আমাকে এত কষ্ট দেন? কেন বার বার মনে করিয়ে দেন আমি এই বাড়ির কেও নই। আমি এই বাড়ির আশ্রিতা। কেন? কেন? কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই যেই মায়া মাথাটা নিচের দিক থেকে উঠিয়ে দিশহানের দিকে তাকালো। সাথে সাথে মায়ার চোখের পানি গুলো টপটপ করে দিশহানের হাতে পড়তে লাগলো।
দিশহান তো পুরোই হতবাক মায়ার চোখের পানি এইভাবে ওর হাতের উপর পড়তে দেখে। হঠ্যাৎই দিশহানের চোখ পড়লো ফ্লোরে !
দিশহান দেখলো যে। রক্তের ফোটায় রুমের মেজে লাল হয়ে গেছে।দিশহান চোখ তুলে মায়ার হাতের দিকে তাকাতেই দেখে চুড়ি ভেংজ্ঞে মায়ার হাত কেটে রক্ত বের হচ্ছে। দিশহান তখনো মায়ার হাত টা ধরেই ছিল। তাড়াতাড়ি হাতটা ছেড়ে দিশহান মায়াকে কিছু বলতে যাবে। ঠিক তখনি মায়ার মাথাটা ঘুরে যায়! আর মায়া মেজেতে পড়ে যেতে নিলে দিশহান মায়াকে ধরে ফেলে। দিশহান মায়ার মুখের দিকে একবার তাকালো হাতের দিকে একবার তাকালো। মায়ার হাতে চুড়ি গুলো গেঁথে আছে! দিশহানের আর বুজতে বাকি রইলো না যে সে আজ মায়াকে ঠিক কতটা বেশি কষ্ট দিয়ে পেলেছে।আর মায়ার সাথে তার আজ এত বেশি রিয়েক্ট করা মোটেও উচিত হয়নি। মাত্র এগারো মিনিট লেট করার জন্য সে মায়াকে এত কষ্ট দিয়ে ফেললো। ভাবতেই দিশহানের নিজের উপর রাগ হচ্ছে! মায়াকে দিশহান কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো। আস্তে আস্তে মায়ার হাতে গেঁথে থাকা চূড়ি গুলো বের করলো! ব্যাথায় কোঁকড়াচ্ছে মায়া! দিশহান সেটা খেয়াল করে নিজের হাতের দিকে একবার তাকালো! কারন এই হাতগুলোই আজ মায়ার এত কষ্ট পাওয়ার কারন।
তারপর দিশহান মায়ার মুখের উপড় পড়ে থাকা চুল গুলো নিজের হাত দিয়ে সরিয়ে দিল। নিজের রুম থেকে ফাস্টএইড বক্স টা এনে মায়ার হাত টা ব্যান্ডেজ করে দিলো!
মায়ার পাশে সে কখন থেকে বসে আছে দিশহান। এখনো মায়ার জ্ঞান পিরেনি। দিশহানের নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে। মনে মনে ভাবছে,
-- কেন আমি সব সময় মায়াকে এত বকি ?কেনই বা মায়ার উপর এত রাগ দেখাই? কেন মায়াকে এত কষ্ট দি?
আজ আমার জন্য মায়া এত যন্ত্রনা পাচ্ছে!
কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই দিশহান মায়ার হাতের দিকে তাকালো।
-- ইশ হাতটার কি অবস্থা করেছি আমি। এই কথা বলেই দিশহান বসা থেকে উঠে দাড়ালো। নিজের হাত দিয়ে নিজেই দেয়ালের সাথে সজোরে একটা ঘুষি মারলো। দিশহানও খুব ব্যাথা পেয়েছে। কিন্তু এই মূহর্তে দিশহানের মনে হচ্ছে মায়া দিশহানেরর থেকে অনেক বেশি গুন ব্যাথা পেয়েছে আজ !
হঠ্যাৎই দিশহান খেয়াল করলো মায়ার জ্ঞান পিরছে। আর মায়া যেনো কি কি বিড়বিড় করে বলছে !

চলবে....

Address

Mymensingh

Telephone

+8801788470209

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fahim Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category