18/04/2025
গল্পের নাম: জিনের সাথে সাক্ষাৎকার
একদিন মুসকান বিকেলে খেলছিল বাগানে। হঠাৎ সে দেখতে পেল একটা পুরোনো গাছের নিচে একটা ঝকঝকে নীল রঙের বই পড়ে আছে।
বইটা খুলতেই ঝাঁ করে বাতাস উঠলো, আর একটা নরম আওয়াজ এল—
“তুমি কি আমাকে ডাকলে?”
মুসকান চমকে উঠে বলল, “কে?”
একটা ধোঁয়ার মতো কুয়াশা জমে চোখের সামনে ধীরে ধীরে একটা ছায়া তৈরি হলো।
একটা জিন! কিন্তু সে ভয়ানক না—বরং একেবারে শান্ত, বই পড়া টাইপের জিন।
---
মুসকান: “তুমি জিন? ভয় করছে?”
জিন হেসে বলল:
না না, আমি মুসলিম জিন। আমি নামাজ পড়ি, বই পড়ি, ভালো কাজ করি।
---
মুসকান:
“তুমি কী খাও?”
জিন:
আমরা হাড়, গোবর, আর যেসব জিনিস মানুষ ব্যবহার শেষে ফেলে দেয়—তা খাই। তবে মুসলিম জিনরা হালাল খাবার পছন্দ করে।
---
মুসকান:
“তোমরা কোথায় থাকো?”
জিন:
আমরা গাছপালা, পাহাড়, পরিত্যক্ত ঘর, আর অন্ধকার জায়গায় থাকি। তবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া আমাদের কাজ না।
---
মুসকান:
“তুমি আমাদের মতো নামাজ পড়ো?”
জিন:
হ্যাঁ! আমরা অনেক জিন নবী মোহাম্মদ (সা.) এর ওম্মত। কোরআন শুনে আমাদের অনেকেই মুসলমান হয়েছে। আমরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ি না, তবে নির্জন জায়গায় পড়ি।
---
মুসকান আবার প্রশ্ন করল:
“তুমি তো ভালো, কিন্তু খারাপ জিনও আছে?”
জিন মাথা নিচু করে বলল:
আছে… শয়তানদের দলে যারা, তারা মানুষের ক্ষতি করে, ভয় দেখায়, জাদুতে সাহায্য করে। তাদের থেকে বাঁচার জন্য আয়াতুল কুরসি পড়ো, সূরা ফালাক ও নাস পড়ো।
---
মুসকান:
“তোমরা কি মানুষের ঘরে আসো?”
জিন:
হ্যাঁ, তবে যদি ঘর পবিত্র থাকে, নামাজ হয়, কোরআন তিলাওয়াত হয়—তাহলে আমরা ঢুকি না।
তোমার ঘর যেন সবসময় আল্লাহর আলোয় ভরা থাকে।
---
এরপর জিনটি বলল, “তুমি খুব সাহসী মেয়ে, তোমার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো।”
একটা আলোর ঝলকায় সে অদৃশ্য হয়ে গেল…
আর মুসকান বইটা হাতে নিয়ে ফিরে এলো বাসায়, মনে মনে ভাবল—
“জিনরাও ভালো হতে পারে!”