06/06/2025
আম্মা বেঁচে থাকাকালীন বিয়ের আগের ঈদের আনন্দের মতো আনন্দ আমি আর পাইনা।বিশেষ করে কুর*বাণী ঈদ আমাকে ভীষণ মনে করিয়ে দেয় সেই দিনগুলো।ঈদের দুদিন আগেই চলে যেতাম দাদা বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে চাচাতো ভাই বোন গুলো বিশাল এক আনন্দ নিয়ে অপেক্ষা হয়ে থাকতো আমরা কখন যাবো। গাড়ি ভরে আব্বা যাকাতের কাপড় লুঙ্গি নিতো। সেগুলো নিতে দলে দলে ভিড় করতো গ্রামবাসী।আব্বা একজন একজন করে ডাকতো আর খুব যত্নসহকারে আমরা খুব আনন্দ নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিতাম। তারপর দিন চলে যেতাম গ্রামের গরুর হাটে আব্বার সাথে।গ্রামের হাটের চেনা জানা সেই মানুষগুলো আব্বার সাথে সাথে আমাদেরকেও এত আদর যত্ন সম্মান করতো তা এখনো চোখে ভাসে।গ্রামের বাজারে আব্বার সাথে টং দোকানে বসে চা খাওয়াটা খুব মিস করি।
কুরবানির পুরা গরুটা আমরা বোনেরা সবাই গোল হয়ে আব্বার সাথে বসে নানান গল্প আর হাসিতে কা*টাকা*টি করতাম। আর এদিকে আম্মা মাটির চুলাতে বসিয়ে দিতো বিশাল এক পাতিল মাংস।এত বড় বড় টুকরা হাতে নিয়ে খেতাম।বিশ্বাস করেন সেই মাংসের যে কি স্বাদ ছিলো তা আর কোথাও আমি কোনদিন পাইনি 😥সেই স্বাদ আমি আজো প্রতি ঈদেই খুঁজে বেড়াই।
আমার মেয়েদের দাদাবাড়িতে এসে আনন্দ দেখে আমি হাসি আর মনে মনে ভাবি,আমার দাদাবাড়ির ঈদ আর আমার শৈশব আরো অনেক মধুর ছিলো।
আহারে সময়, কালের বিবর্তনে কোথায় হারিয়ে যায় সব।