Ripa Jahan

Ripa Jahan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ripa Jahan, Digital creator, Sherpur, Mymensingh.

16/07/2024
"যেদিন আমার বিয়ে হয় ঐ দিন রাতেই আমি ওনাকে বলে দিই যে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।' উনি চুপ করে সোফায় বসে পড়েছিল। একটি বারও এ...
14/12/2023

"যেদিন আমার বিয়ে হয় ঐ দিন রাতেই আমি ওনাকে বলে দিই যে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।' উনি চুপ করে সোফায় বসে পড়েছিল। একটি বারও এসে বিছানায় আমার পাশে বসে নি। এক বার জিজ্ঞেসও করেনি, তবে কেন তার ঘরের বউ হয়ে আসলাম। আমিই আবার বলেছিলাম ঘুমের মাঝেও আমাকে টাচ করার চেষ্টা করবেন না। উনি মনে হয় কথাটিতে রেগে যান। উঠে এসে আমার সামনে দাঁড়ান, ওনার চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। আমি ভয় পেয়ে যাই।

হটাৎ ই উনি বিছানায় হাটু গেড়ে বসে বলতে শুরু করে
-- ' ওই আপনি কি মনে করেছেন আমাকে,আমাকে কি মাতাল অভদ্র মনে হয়,ঘুমের মাঝেও যেন আপনাকে না স্পর্শ করি, এর মানে কি? আমি কি হিংস্র পশু যে রাতের আধারে আপনার উপরে ঝাঁপিয়ে পরব?'
তারপর আরো কিছু কথা শুনিয়ে দিয়ে নিজের চোখ মুছতে মুছতে ঘর থেকেই বের হয়ে যায়। আমি বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে জানালা দিয়ে বারান্দার দিকে তাকাই, দেখি উনি নিরবে বসে আছেন। আর একটু পর পর চোখ মুছতে ব্যস্ত।

বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে ভাবীর মুখে শুনেছিলাম। 'ছেলেটা খুব ভালো অবন্তী দেখো তোমাকে অনেক আগলে রাখবে, জীবনে অনেক সুখে থাকবে।'
তখন ভাবীর কথাটা তেমন আমলে নেই নি। কিন্তু যখন ওনাকে কাঁদতে দেখি তখন ভাবতে থাকি একটা ছেলে মানুষও এভাবে কাঁদতে পারে? আমি যতটুকু জানতাম বিয়েটা ওনার মায়ের পছন্দেই হয়েছে। হয়তো ভাবছে, আমার যে ওকে পছন্দ নয় এটা যদি ওনার মা জানতে পারেন, তবে খুবই কষ্ট পাবেন। ওনার মা ক্যান্সার এর সাথে লড়ছিল কবে মারা যায় কোন ঠিক নেই। তাই সব সময় আমাকে বলতো, ' আমাকে আপনার পছন্দ না এটা ঠিক আছে তবে প্লিজ যত দিন আমার মা বেঁচে আছে আমার মায়ের খেয়াল রাখবেন। কখনো মায়ের অযত্ন করবেন না।'
উনি কথাটা এতো করুণ ভাবে বলছিল যে আমার নিজেরই কান্না পাচ্ছিল। উনার চোখেও বেদনার জল ঝলমল করছিল। চোখের পানি আড়াল করতে উনি আমার সামনে থেকে চলে যায়। আড়ালে গিয়ে চোখ মুছতে থাকেন।
একদিন উনি তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসেন। আমি তখন আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ফোনে কথা বলতে ছিলাম। উনি এতো তারাতাড়ি দৌড়ে ঘরে ঢুকেন যে আমি আর ফোন টা রাখার সুযোগ পাইনি। উনি রুমে ঢুকেই আমার হাত থেকে ফোনটা টান দিয়ে নিয়ে যায়।তারপর স্কৃনে কল রানিং দেখে ফোনটা এতো জোড়ে আছাড় দেন যে ডিসপ্লে গুঁড়া হয়ে যায়। তারপর প্রচুর রাগে বলতে শুরু করেন, "আপনার বাবা আপনাকে বিনে টাকায় এ বাড়িতে পাঠায় নি। দেনমোহর এর ২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে,বিয়ের গয়না আর অন্য খরচ বাবদ প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ১০ বছরের সব জমানো

শেষবার যখন দেখেছিলাম। তখন সে সাত মাসের সন্তান সম্ভবা। একটা সিএনজি থামিয়ে সামনের সিটে বসতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে আমার আদ...
13/12/2023

শেষবার যখন দেখেছিলাম। তখন সে সাত মাসের সন্তান সম্ভবা। একটা সিএনজি থামিয়ে সামনের সিটে বসতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে আমার আদুরে নামটা শুনতে পেয়ে ভুত দেখার মতো চমকে উঠলাম। এই নামে আমাকে কে ডাকছে ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি জ্বলজ্বল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যার সাথে সারাজীবন কাটানোর অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলাম। সেই । আমি কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। সব কিছু যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। তাগাদা দিয়ে বললো পিছনে উঠে বসতে। সাথে ওর মাকে দেখে আমি আরো ঘাবড়ে গেলাম। আমাকে ডাকছে দেখে ওর মা কিছু বলতে যেতেই চুপ কর বলে থামিয়ে দিয়ে বললো অস্থির হয়ো না মা, পালিয়ে যাবো না। আমার হাত ধরে একপ্রকার টেনে তুললো সিএনজিতে। আমি একবার ওর মায়ের দিকে দেখলাম রেগেমেগে ফেটে পড়তে রাগ দেখাতে না পারায় একটু হতাশ হয়ে তাকিয়ে থাকতে। ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছি এতো সাহস কোথায় পেয়েছে। ও বিস্মিত হয়ে আমাকে দেখছে। আমি বারবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছি কোন ভাবেই মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।

সিএনজি চলতে শুরু করে । আমরা চুপচাপ বসে রইলাম। সিএনজির শব্দ ছাড়া কোন শব্দ নেই নিঃশব্দে পাঁচসাত মিনিট অতিক্রম হয়েছে। হঠাৎ আমার দাঁড়িতে টান মেরে বলে উঠলো, দেবদাস হয়েছে? সেভ করো না কেন?? এ কেমন চেহারা করেছো?

গলার স্বরে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অনেক কষ্টে কান্না আটকে রেখেছে। আমার বুকের মাঝে কেউ যেন খামচে ধরেছে। চোখের দিকে তাকাতেই দেখলাম গড়গড় করে পানি পড়ছে। আমার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে উঠলো, শিপু! আমরা কেন হেরে গেলাম? আমি কথায় বলতে চেয়ে ও বলতে পারছিলাম না। গলা ভারী হয়ে শক্ত হয়ে কথা বের হচ্ছে না। ওর চোখের পানি দেখে নিজের চোখের পানি কোন ভাবেই আটকে রাখতে পারলাম না।

আমার হাত তার পেটের উপর রেখে বললো, এখানে তোমার সন্তান লালন পালনের স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্নের সমাধি দিয়েছে এরা (মাকে দেখিয়ে)। এখানে আজ অন্য কারো সন্তান লালন করছি। কথাটা শুনেই আমার মাথাটা আচমকা ঘুরতে লাগলো। কোন মতে নিজেকে সামলে নিয়েছি।

আন্টি পাশে বসে অবাক হয়ে মেয়েকে দেখছে , সামলাতে চেষ্টা করলে ও বারবার মেয়ের ব্যর্থ হয়েছে।

আমাকে একের পর এক কথা জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছে। ৪৫ মিনিটের রাস্তায় আমি কোন কথায় বলতে পারিনি। বিয়ের এগারোটা মাস পার হয়ে যাওয়ার পরে ও আমার জন্য তার অনুভূতি দেখে আমি অবাক হলাম। আমি কেবলই তাকিয়ে দেখেছি চোখের ভাষা। চোখের ভাষায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি অতীত। যার ক

নীলপদ্ম_গেঁথে_রেখেছি_তোর_নামেইফা_আমহৃদপর্ব: ০৫অপূর্ব উঠানে এসে দাড়িয়ে যায়। জাহানারা, মনি ও মল্লিকা বাড়ির উঠানে প্রখর...
13/12/2023

নীলপদ্ম_গেঁথে_রেখেছি_তোর_নামে
ইফা_আমহৃদ
পর্ব: ০৫

অপূর্ব উঠানে এসে দাড়িয়ে যায়। জাহানারা, মনি ও মল্লিকা বাড়ির উঠানে প্রখর রোদে মেলে দেওয়া ধানে বিচরণ করছে। অনিতাই শুধু রান্নার দিকটা দেখছেন। চেয়ারম্যান বাড়ির বলে কথা, উঠান আর ধান দুটোই পর্যাপ্ত রয়েছে। ছেলেমেয়ে মৃধা বাড়ি থেকে ফিরে গৃহে প্রবেশ করেছে অপূর্ব ব্যতিত। চাচিদের উঠানে দেখে সেও অগ্ৰসর গেল সেদিক। জুতা খুলে শূন্য পায়ে ধানের ভেতরে হাঁটতে লাগল। বিদেশে বসবাসরত অবস্থা ধান বইয়ের পাতায় বা ভিডিয়ো-তেই অবরুদ্ধ ছিল, এই প্রথম স্পর্শের মাধ্যমে অনুভূত হয়েছে। আহ্লাদিত হয়ে সমস্ত ধানে বিচরণ করল। জাহানারা উৎকণ্ঠার সাথে বললেন, "অপু তোকে ধান মেলতে হবে না। তুই ঘরে গিয়ে বস। ধানের আলে তোর পা চুলকাবে বাবা।"

"কিচ্ছু হবে না চাচি। তোমরা ঘরে যাও, আমি একাই সব ধান মেলবো।" উলটা তালে বলে অপূর্ব।

মল্লিকা অনেকবার প্রচেষ্টা করেও অপূর্ব-কে তার সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারল না। দিগ্‌ভ্রান্ত হয়ে অনিতাকে জানাতে গেলেন মল্লিকা। রান্না অসমাপ্ত রেখেই ছুটে‌ এলেন অনিতা। ধানের মধ্য থেকে অপূর্ব-কে টেনে এনে রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন, "চাচিরা বারণ করছে না, ধানের ভেতরে না যেতে? তাদের কথা কেন শুনছিস না তুই? সিদ্ধ ধানের আল এখনো আলগা। পা চুলকাবে।"

"চুলকাবে না।" অপূর্ব অনুরাগশূন্য হয়ে বলে। "চুলকাবে না।" কথাটা যতটা জোরের দৃঢ়তার সাথে অপূর্ব বলেছে, কাজের বেলায় ততটা দৃঢ় থাকল না। বিকেলেই পা মৃদু ফুলে উঠল। চুলকানি কমছে না, বৈ বাড়ছে। অপূর্ব-র চিৎকারে আহসান বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে। মোতাহার আহসান নিরুপায় হয়ে ডাক্তার, বৈদ্য, কবিরাজ ডাক পাঠালেন। বৈদ্য জরিবুটি দিয়ে গেছে, অপূর্ব তা পায়ে লাগাতে নারাজ। বালতি ভর্তি পানিতে পা ভিজিয়ে বসে আছে সে, অথচ গ্ৰামের এই তীব্র ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পরিধান করেছে উষ্ণ করার পোশাক।

অন্যদিকে ছাগলের জন্য ঘাস কে/টে স্তূপ করেছে আরু। খোপরে হাঁস মুরগি, গোয়ালে ছাগল রেখেছে। গাছ থেকে টাটকা খেজুরের রস নামিয়ে মায়ের জোরাজুরিতে আহসান বাড়িতে এসেছে আরু ও অয়ন। ভাইবোনেরা টিভিতে 'হাতিম' দেখছে। আজ শুক্রবার বলেই হাতিম চলছে বিটিভিতে। সপ্তাহে মাত্র একদিন। আরু এসে তুরের পাশে বসে হাতিম দেখায় মন দিয়েছে। পারুল অপূর্ব অবস্থা জিজ্ঞেস করলে অনিতা ঠাট্টা করে বললেন সব। আরু অট্টহাসি দিয়ে বলে, "এই সামান্য কারণে এই অবস্থা। মায়ের মা/রে/র ভয়ে আমি কত শিম

অবহেলাপার্টঃ৩ আমি তো ওনার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যাই। আমার শাশুড়িও কি তবে আমার ব্যপারে তবে সব জানে!আমার শাশুড়ি না থেমে আবার...
13/12/2023

অবহেলা
পার্টঃ৩

আমি তো ওনার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যাই। আমার শাশুড়িও কি তবে আমার ব্যপারে তবে সব জানে!
আমার শাশুড়ি না থেমে আবারও বলতে থাকে, "শোন মা পৃথিবীতে যে যা চায় তা কি কখনো পায়! অনেক সময়ই পায় না। আমার ছেলেটা সব সময় খালি আদর ভালোবাসা খুঁজত কিন্তু তা পায়নাই। বড় হয়েও আমার পায়ে মাথা রাইখা ঘুমাতো। জানিস ও জমানো টাকা দিয়ে এটা ওটা কিনে লুকিয়ে রেখে দিত কিন্তু আমি ঠিক ই দেখে ফেলতাম। আর ওই জিনিস গুলা আর কারোর না। হবু বউয়ের জন্যই হয়তো রাখত। ওর তো আর কোন বোন নেই। তা আমি ঠিকই বুঝতাম৷ তুই ওর ঘরের আলমারির পশ্চিম পাশের ডয়ারটা খুলে দেখিস অনেক কিছু কিনে জমাইছে তোর জন্য৷ দেখ আমি ঠিকই বুঝতেছি হয়ত আজ রাত টাই আমার শেষ। তার পর এই বাড়িতে তুই আর ও। কত ভাবতাম ২-১ টা নাতী-নাতনী থাকব বাড়িতে ঘর গুলো আবার ভরে যাবে। কিন্তু দেখ তা দেখার কপাল আমার নেই৷ আর এই জীবনে কষ্ট করছি মনে হলেও আবার বুঝি যে ছেলেটা আমারে কোন কষ্টে রাখে নাই। কিন্তু আমি পারলাম নারে, আমি পারলামনা ছেলেটারে একটু সুখে রাইখা যাইতে৷ পোলাটা আমার রাইতে ছাঁদে উইঠা একলা একলা কাঁন্দে। আমি দেখেও লুকায়া যাই যেন আমারে না দেখে। ও যদি জানতে পারে যে আমি তোদের এই ব্যপার টা জানি তাইলে ও খুব কস্ট পাইব। তোরে আর কোন কিছু কমুনা আমারে মাফ কইরা দিস আমি না বুইঝাই তোরে এই বাড়ির বউ বানায়া আনছি। এখন যা গিয়ে ঘুমা আমি শেষ বারের মতোন আজকা একটু ঘুমাই। তুই পারলে আমারে একটু ওযুর পানি আইনা দিস নামাজ পইরা ঘুমাই যদি সকালে সুযোগ না পাই।"
আমি এতটাই পাষাণ হইয়া গেছিলাম যে ঐদিন শাশুড়ির পা ধরে মাফ ও চাই নাই। ওযুর মগ'টা হাতে নিয়া ঘর থেকে বের হইতেই দেখি আমার স্বামী শাশুড়ির ঘরের বারান্দা থেকে উল্টো দিকে হাটতেছে। তার মানে উনি এতক্ষন সব শুনছে। শাশুড়ি কে ওজুর পানি এনে দিয়ে আমি আমার ঘরে চলে আসি। উনিও একটু পরে এসে ঘুমিয়ে পরেন।
পরদিন সকালে উঠেই শাশুড়ির ঘরে যাই। দেখি উনি অনেকক্ষণ আগেই উঠেছেন ঘুম থেকে। নামাজ শেষ করে তজবিহ হাতে বসে আছেন।আমি জিজ্ঞেস করি, 'আম্মা কিছু খাবেন এখন? চা বানিয়ে দিব?'
উনি আমাকে না করে দেন। আমিও নামাজ শেষ করে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পরি। আমার স্বামী ওই দিন অফিসে যায় নি৷ ঘরেই থাকেন একটু পর পর শাশুড়ির খেয়াল করছেন। খোজ নিচ্ছেন। দুপুরে খাওয়ার পরে একটু শুয়ে থাকি।কখন ঘুমিয়ে যাই বুঝতেই পারিনা। ফোনের আওয়াজে ঘুম থেকে উঠে পরি। দেখি আমার বয়ফ্রেন্ড ফোন দিয়েছে। আমি কেন জানি তখন

গল্প তো সবারই থাকে।কারোটা হয় উপন্যাস কারোটা দীর্ঘশ্বাস।
13/12/2023

গল্প তো সবারই থাকে।
কারোটা হয় উপন্যাস কারোটা দীর্ঘশ্বাস।

Address

Sherpur
Mymensingh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ripa Jahan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share