13/12/2023
নীলপদ্ম_গেঁথে_রেখেছি_তোর_নামে
ইফা_আমহৃদ
পর্ব: ০৫
অপূর্ব উঠানে এসে দাড়িয়ে যায়। জাহানারা, মনি ও মল্লিকা বাড়ির উঠানে প্রখর রোদে মেলে দেওয়া ধানে বিচরণ করছে। অনিতাই শুধু রান্নার দিকটা দেখছেন। চেয়ারম্যান বাড়ির বলে কথা, উঠান আর ধান দুটোই পর্যাপ্ত রয়েছে। ছেলেমেয়ে মৃধা বাড়ি থেকে ফিরে গৃহে প্রবেশ করেছে অপূর্ব ব্যতিত। চাচিদের উঠানে দেখে সেও অগ্ৰসর গেল সেদিক। জুতা খুলে শূন্য পায়ে ধানের ভেতরে হাঁটতে লাগল। বিদেশে বসবাসরত অবস্থা ধান বইয়ের পাতায় বা ভিডিয়ো-তেই অবরুদ্ধ ছিল, এই প্রথম স্পর্শের মাধ্যমে অনুভূত হয়েছে। আহ্লাদিত হয়ে সমস্ত ধানে বিচরণ করল। জাহানারা উৎকণ্ঠার সাথে বললেন, "অপু তোকে ধান মেলতে হবে না। তুই ঘরে গিয়ে বস। ধানের আলে তোর পা চুলকাবে বাবা।"
"কিচ্ছু হবে না চাচি। তোমরা ঘরে যাও, আমি একাই সব ধান মেলবো।" উলটা তালে বলে অপূর্ব।
মল্লিকা অনেকবার প্রচেষ্টা করেও অপূর্ব-কে তার সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারল না। দিগ্ভ্রান্ত হয়ে অনিতাকে জানাতে গেলেন মল্লিকা। রান্না অসমাপ্ত রেখেই ছুটে এলেন অনিতা। ধানের মধ্য থেকে অপূর্ব-কে টেনে এনে রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন, "চাচিরা বারণ করছে না, ধানের ভেতরে না যেতে? তাদের কথা কেন শুনছিস না তুই? সিদ্ধ ধানের আল এখনো আলগা। পা চুলকাবে।"
"চুলকাবে না।" অপূর্ব অনুরাগশূন্য হয়ে বলে। "চুলকাবে না।" কথাটা যতটা জোরের দৃঢ়তার সাথে অপূর্ব বলেছে, কাজের বেলায় ততটা দৃঢ় থাকল না। বিকেলেই পা মৃদু ফুলে উঠল। চুলকানি কমছে না, বৈ বাড়ছে। অপূর্ব-র চিৎকারে আহসান বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে। মোতাহার আহসান নিরুপায় হয়ে ডাক্তার, বৈদ্য, কবিরাজ ডাক পাঠালেন। বৈদ্য জরিবুটি দিয়ে গেছে, অপূর্ব তা পায়ে লাগাতে নারাজ। বালতি ভর্তি পানিতে পা ভিজিয়ে বসে আছে সে, অথচ গ্ৰামের এই তীব্র ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পরিধান করেছে উষ্ণ করার পোশাক।
অন্যদিকে ছাগলের জন্য ঘাস কে/টে স্তূপ করেছে আরু। খোপরে হাঁস মুরগি, গোয়ালে ছাগল রেখেছে। গাছ থেকে টাটকা খেজুরের রস নামিয়ে মায়ের জোরাজুরিতে আহসান বাড়িতে এসেছে আরু ও অয়ন। ভাইবোনেরা টিভিতে 'হাতিম' দেখছে। আজ শুক্রবার বলেই হাতিম চলছে বিটিভিতে। সপ্তাহে মাত্র একদিন। আরু এসে তুরের পাশে বসে হাতিম দেখায় মন দিয়েছে। পারুল অপূর্ব অবস্থা জিজ্ঞেস করলে অনিতা ঠাট্টা করে বললেন সব। আরু অট্টহাসি দিয়ে বলে, "এই সামান্য কারণে এই অবস্থা। মায়ের মা/রে/র ভয়ে আমি কত শিম