26/05/2025
এই জেনারেশনের এমন কেউ নেই, যে WWE WrestleMania বা Money In The Bank একবারের জন্য হলেও দেখেনি। সবাই'ই আমরা কমবেশি দেখেছি। রেশ্যালম্যানিয়ায় প্রত্যেক রেসলারই ফাইট করে উপরে হুকে ঝুলে থাকা মানি কেসটা নেওয়ার জন্য। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, যখন মাল্টিপল রেসলারের মাঝে ফাইট হয় এবং স্টেজে ব্রক লেসনার কিংবা ব্রোউন স্ট্রোম্যানের মত হেভিওয়েট রেসলার পারফর্ম করে তখন রোম্যান, সামি, নাকামুরা, সিজারো, আন্ডারটেকার কিংবা জনসিনা― এরা কেউই কিন্তু নিজেদের মধ্যে ফাইট করে না। তখন সবাই মিলে স্ট্রোম্যান কিংবা লেসনারকে দড়ির বাইরে ফেলার চেষ্টা করে কারন লেসনার বা স্ট্রোম্যানের একার সেই সক্ষমতা রয়েছে সবাইকে দড়ির বাইরে ছুড়ে ফেলার। অর্থাৎ সে সবার জন্য থ্রেট। এই থ্রেটটাই হলো অন্য সবার জন্য কমন ইন্টারেস্ট, আর এই কমন ইন্টারেস্টেই স্ট্রোম্যান বা লেসনার অন্য সবার কমন এনিমি।
ঠিক এই ব্যাপারটাই ঘটেছে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার ডক্টর খলিলুর রহমানের সাথে।
তিনি এত হেভিওয়েট পারফর্মার যে তার প্রতিটা এনিমির নিজেদের মাঝে ঝামেলা থাকলেও সেটাকে তারা বৃহতর স্বার্থে ভুলে খলিল বিরোধী নিখিল বাংলা ঐক্যমত সমিতি গড়ে তুলেছে।
একদিকে ভারতের চন্দন নন্দী, একদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এর অলিখিত মুখপাত্র, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি রাজনৈতিক দল, আওয়ামীলীগ, বামপন্থী, সুশীল সমাজ, কিছু বোকা ইসলামিস্ট এবং অবশেষে স্বীকৃত ইসরাইলি এজেন্ট সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধরী― এরা প্রত্যেকেই জনাব খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে একাট্টা।
বামপন্থী, ইসলামপন্থী সেক্যুলার, ফ্যাসিস্ট, জাতীয়তাবাদী- সব এক রেখায় কথা বলছে। এ যেন বাস্তবতা বিবর্জিত তেল আর পানির এক অভূতপূর্ব মিলনমেলা।
ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইয়ে বাস্তুসংস্থান বা ফুডচেইন সম্পর্কে পড়েছেন তো নিশ্চয়ই। যেমন: ঘাসফড়িং খায় ছোট পোকামাকড়, আবার ব্যাঙ খায় ফড়িং, বড় মাছ খায় ছোট মাছকে, বাঘ খায় হরিণ ইত্যাদি।
টাকা পয়সারও এরকম একটা ব্লকচেইন আছে। মাদকদ্রব্য, জুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উক্ত মানি ম্যানেজমেন্ট হয়ে থাকত। সেই মানি ম্যানেজমেন্ট বা ফুড চেইনে বাগড়া দিয়ে বসেছেন জনাব খলিলুর সাহেব। এজন্যই মূলত তাকে নিয়ে এত অপপ্রচার, এত এত পদত্যাগের দাবিদাওয়া।
জনাব খলিলুর রহমান সাহেব জাতিসংঘের যে লেভেলে (অফিস অফ দ্যি সেক্রেটারি জেনারেল) কাজ করেছেন, ঠিক একই লেভেলে বর্তমানে কাজ করছেন এমন একজন অফিসারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। তিনি বললেন: জনাব খলিলকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার বা রোহিংগা সমস্যায় পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই ব্লেসিং। তার প্রচুর অভিজ্ঞতা। ইউএন সিস্টেমে এহেন কিছু নাই, যা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল নন।
এমন একজন মানুষকে আমরা নিজেদের সমস্যা সমাধানে পেয়েছি, এটা সৌভাগ্যের। আমাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। সমালোচনা করলেও বিনয় ও সম্মানের সহিত করা। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকে যা করছি তা অগ্রহনযোগ্য।
আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, ডক্টর খলিলুর রহমান ইজ অন দ্যা রাইট ট্র্যাক। হি ইজ ব্লেসিং ফর আস। নো ডাউট
- Shafin Rahman