THR সহকারী অধ্যাপক, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ।
Follow me on:
www.youtube.com/tanzirulhussainrabby

শুধু দিনে নয় রাতেও সুন্দর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। তার চেয়ে সুন্দর হয়েছে এখানকার পড়াশোনার মান।পৃথিবীর অন্যতম নামকরা...
07/08/2025

শুধু দিনে নয় রাতেও সুন্দর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। তার চেয়ে সুন্দর হয়েছে এখানকার পড়াশোনার মান।
পৃথিবীর অন্যতম নামকরা রিসার্চ স্কলার saidur rahman (ছবি কমেন্টে) তিনি এই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এছাড়া এই কলেজের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ এবং বিদেশে আলো ছড়াচ্ছেন এবং খুব সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আমাদের কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন।
বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষায় নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই কলেজটিকে আবেদনে প্রথম স্থানে রাখতে হবে।

https://www.facebook.com/100076189510802/posts/598640719352240/?app=fbl

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) C ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট) এর মাধ্যমে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়। এই...
04/08/2025

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) C ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট) এর মাধ্যমে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়। এই ইউনিটের অধীনে মোট ৯টি বিভাগ রয়েছে। C ইউনিটে আসন সংখ্যা ১০৫০টি (প্রায়)।

C ইউনিটের অধীনে থাকা বিভাগগুলো হলো:

হিসাব বিজ্ঞান (Accounting)

ব্যবস্থাপনা (Management)

মার্কেটিং (Marketing)

ফিন্যান্স (Finance)

ব্যাংকিং ও বীমা (Banking and Insurance)

আন্তর্জাতিক ব্যবসা (International Business)

অ্যাকাউন্টিং & ইনফরমেশন সিস্টেমস (Accounting & Information Systems)

মার্কেটিং & সেলস ম্যানেজমেন্ট (Marketing & Sales Management)

ট্যুরিজম & হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (Tourism & Hospitality Management)

সি ইউনিটে শুধুমাত্র কমার্সের শিক্ষার্থীরাই আবেদন করতে পারবে। তাই এইচএসসিতে কমার্সে পড়ে ঢাবিতে ভর্তি হবার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।

***কিছু প্রশ্ন***♦কেন ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পড়বো?♦কেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিজনেস স্টাডিজ শাখায় পড়বো?♦বিজ্ঞান/ মানবিক...
03/08/2025

***কিছু প্রশ্ন***
♦কেন ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পড়বো?
♦কেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিজনেস স্টাডিজ শাখায় পড়বো?
♦বিজ্ঞান/ মানবিক বিভাগে চান্স না পেলে কেবি কলেজে কমার্সে পড়ে কী হবে?

প্রিয় শিক্ষার্থীরা আসো উত্তরগুলো খোঁজার চেষ্টা করি।

ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় না সত্যি, কিন্তু চার্টাড একাউন্টেন্ট, অন্টারপ্রেণার এমনকি পলিসি মেকার হওয়াও সম্ভব। কিন্তু আমাদের বাবা-মায়েরা, এবং আমরাও মনে করি, ‘নাম’- করতে হলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াটাই জরুরী! কিন্তু বিষয়টা কি তাই? মোটেই না! ক্যারিয়ার গড়ার প্রশ্নে বিজ্ঞান বিভাগের মতো ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ- ও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ কি, কেন পড়া উচিত, পড়তে হলে কি কি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, এবং ক্যারিয়ারের সুযোগগুলো কী কী- তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রইলো।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অন্যান্য বিষয়ের মতোই বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি পড়ানো হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় বিষয় হিসেবে হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পড়তে হয়। এই বিষয়গুলো অফিস প্রাকটিস, বুক কিপিং, কম্পিউটার স্টাডিজের সাথে যুক্ত। যে শিক্ষার্থীরা সংখ্যা এবং গাণিতিক বিষয়ে আগ্রহী তারা ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ বেছে নিতে পারে। এসএসসি বা এইচএসসির পর ব্যবসায় বিভাগে বিভাগ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। খুব দ্রুতই পেশাগত দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া যায়, যেমন CA অথবা CS হওয়া যায়।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: কী পড়বে?
শুরুতেই দেখে নেয়া যাক ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে তোমাকে কি কি বিষয় পড়তে হবে। অন্যান্য বিভাগের মতো এখানেও বাংলা ইংরেজি আছে, তবে অতিরিক্ত করে পড়তে হবে বিভাগ সম্পর্কিত বিষয়গুলো। এগুলোর মধ্যে আছে হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যংকিং ও বীমা, ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন।

হিসাববিজ্ঞান:
হিসাববিজ্ঞান হলো এমন এক ধরনের ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিষ্ঠানের অথবা ব্যক্তির লেনদেনগুলো সনাক্ত করা হয়, সেগুলোকে লিখে রাখা হয়। এখানে তুমি ব্যয় কি, ব্যায়ের শ্রেণীবিভাগ, উৎপাদন ব্যয় হিসাব, মজুদ পণ্যের হিসাব, কার্যপত্র, রেওয়ামিল-ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ফিন্যান্স – ব্যংকিং ও বীমা:
বর্তমানে টাকার মূল্য এবং ভবিষ্যতের টাকার মূল্যের মানের তারতম্য কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে তুমি এখানে ধারণা পাবে। এর উপরে ভিত্তি করে আমরা কেমন ঋণ নেবো, কোথা থেকে নেবো- এই সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। এটা সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর। ব্যং কিভাবে কাজ করে, কিভাবে লাভ করে, ব্যংকে টাকা রাখলে লাভ কী, ব্যাংকের কার্যাবলী এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা :
ব্যবসা কী কী ধরনের হয়, মালিকানা কত ধরণের হয়, ব্যবসায় প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান সম্পর্কে জানা ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা পড়ার মধ্য দিয়ে, জানা যায় ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত।

উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন :
বিপনন বা মার্কেটং কী, শুরু থেকে শেষ অব্দি ব্যবসার কার্যাবলী কি এই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপনন। এখানে তুমি জানবে যে মার্কেটিং ও শপিং এক জিনিস নয়, শপিং আসলে মার্কেটিং এর একটা অংশ মাত্র!

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: কেন পড়বে?
ব্যবসা শিক্ষা শাখায় কেন পড়া উচিত, সে সম্পর্কিত কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো,
১/ ব্যবসায় শিক্ষা কাঠখোট্টা নয় বরং খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিভাগ। অনেকেই মনে করে, “ব্যবসায় শিক্ষা! শুধু মুখস্থের ব্যাপার”।
২/ এই বিভাগে মনোযোগ দিয়ে পড়লে দেখা যায় যে পরীক্ষার অনেক আগেই পড়া সব শেষ। অথচ তখনো অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে। এই স্পেয়ার টাইমে নতুন করে সবগুলো পড়া রিভাইস করে ফেলা যায়, গিটারে মন দেয়া যায়, পড়ে ফেলা যায় ফাটাফাটি কোন উপন্যাস।
৩/ বিষয়গুলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত
ব্যবসায় শিক্ষার একটা বিষয়ের সাথে অন্য বিষয়ের অনেক মিল পাওয়া যায়। যেমন , হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স; এমন প্রতিটা বিষয়ই পড়তে গেলে দেখা যায় যে অন্য বিষয়ের সাথে কিছু মিল পাওয়া যাচ্ছে।
৪/ বিষয়গুলো নতুন এবং মজার
এর আগে যে বিষয়গুলো পড়েছো সেগুলো আর ভাল লাগছেনা? নতুন কিছু নিয়ে পড়তে চাও? তাহলে ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ তোমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবে। কারণ আমি হলফ করে বলতে পারি যে এখানে এমন কিছুই পাওয়া যাবে না যা আগের ক্লাসগুলোতে পড়া হয়েছে।
৫/ সহজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ-এ লেখাপড়ার সেক্টর কিছুটা কম কিন্তু আগে প্রতিযোগীতা অনেক বেশি ছিলো । কেননা কমার্সে ভার্সিটিতে সিটের সংখ্যা কম ছিলো। বিজ্ঞান বিভাগে একেকটা সেক্টরের জন্য একেকভাবে প্রস্ততি নিতে হয় যেটা এই বিভাগের ক্ষেত্রেও একটু ব্যতিক্রম। ইংরেজী, বাংলা, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স/মার্কেটিং, হিসাববিজ্ঞান, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি একটা কমপ্লিট ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশন নিতে সাহায্য করবে। সারাদেশে কমার্সের শিক্ষার্থীরা হ্রাস পাচ্ছে ফলে এডমিশনে এখন সহজেই কম প্রতিযোগীতা মোকাবেলা করে পাবলিক ভার্সিটির বিবিএর সিট বুক করতে পারবে।
৬/ দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব
স্কিল ভাল থাকলে গ্র্যাজুয়েশনের আগে কিংবা সাথে সাথে ভালো কোন জায়গায় জব হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না! সেই হিসেবে, আপনি যদি ছেলে হন তবে বেলার বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই তাকে বলতে পারবেন, “চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো?” আর মেয়ে হলে ৬ ফিট পাত্রের সমান হওয়ার জন্য আপনাকে গ্লো এ্যান্ড লাভলী মাখতে হবেনা।
৭/ প্রতিটা বিষয়ই ডিমান্ডেবল!
ভার্সিটিতে ভর্তির সময় কোনো বিষয় নিয়েই ভাবার প্রয়োজন হবেনা যে, “অমুক সাব্জেক্ট তো পেলাম, ভবিষ্যতে যে কি আছে?!” শুধু চোখ বন্ধ করে ভর্তি হয়ে যাওয়াই উত্ত, কারণ প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্যই আলাদা আলাদা সম্মানজনক জব সেক্টর আছে।
৮/ অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমায়
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ অনেক রকমের স্কিল ডেভেলপ করতে সাহায্য করে। ব্যবসায়ের, ব্যবস্থাপনার, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির অনেক কৌশল শেখা যায় যা ভালভাবে রপ্ত করতে পারলে চাকরীর পেছনে ছুটতে হয় না বরং নিজের এবং আরো অনেকের আয়ের ব্যবস্থা নিজেই করে ফেলা যায়।
৯/ যোগাযোগমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক দক্ষতার উন্নয়ন
এই বিভাগে যে বিষয়েই পড়া যাক না কেনো, এখানে অনেক রকমের প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট রেডি করতে হয় যার দ্বারা আউটার নলেজ বৃদ্ধি পায় এবং যেকোনো কিছুই সুন্দর করে উপস্থাপন করতে শেখা যায়। বিবিএ করার সময় অনেক রকমের বিজনেস রিলেটেড ক্লাবে জয়েন করার সুযোগ থাকে যেখানে অনেক স্কিল্ড মানুষদের সাথে চলাফেরার এবং কাজ করার সুযোগ হয়।
১০/ দেশের স্বার্থে
একটা দেশের উন্নয়নে বিজ্ঞানের প্রয়োজন আমরা সবাই জানি কিন্তু দেশটার আর্থিক উন্নয়নে ব্যবসায়, বাণিজ্য, ব্যাংকিং ও বীমা কী পরিমাণ অবদান রাখে সেটাও কিন্তু দেখা জরুরী। এসব জিনিষ ছাড়া বাংলাদেশ কখনোই আর্থিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে পারবে না আর অর্থনৈতিক উন্নতি না আসলে এই দেশে কোনো রকমের বৈজ্ঞানিক গবেষনা হবে না।
কিন্ত সমস্যা হচ্ছে, পশ্চিমে এমনকি পাশের দেশ ভারতেও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ অনেক সমাদৃত হলেও বাংলাদেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এবং তাদের মা-বাবা বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি বেশি আগ্রহী ফলশ্রুতিতে, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরিধিটা এখানে আশানুরূপভাবে বাড়ছে না। তাই বর্তমানে শিক্ষার্থীরা যত বেশি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ বেছে নিবে, তত বেশি এই শাখার এবং আল্টিমেটলি দেশের উন্নতি হবে।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ: ক্যারিয়ারের সুযোগ
কেবল বিজ্ঞান বিভাগ নয়, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকেও রয়েছে ক্যারিয়ারের বিপুল সুযোগ। এগুলোর মধ্যে আছে
চার্টার্ড একাউন্টেন্সি
একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট একাউন্টিং, অডিটিং, ট্যাক্সেশনে দক্ষ হন, তাই এটি ব্যবসা ক্ষেত্রে খুবই সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ক্যারিয়ার থেকে বেশ কিছু ডিগ্রি নিয়ে আরো অনেকদূর, যেমন CA, CPA, ACCA-এর মতো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব।
এছাড়াও হতে পারবে...
অর্থনীতিবিদ

মার্কেটিং অফিসার

টেকনোলজি অফিসার

ইন্টারন্যশনাল বিজনেস স্পেশালিস্ট

উদ্যোক্তা

শিক্ষকতা
ব্যবসা শিক্ষা যে কেবল ব্যবসা ক্ষেত্রের দিকেই তোমাকে নিয়ে যাবে এমন নয়, শিক্ষকতাও হতে পারে তোমার পেশা। সেক্ষেত্রে স্কুল কিংবা প্রাইভেট কলেজ, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, অথবা বিসিএস দিয়ে সরকারি কলেজে শিক্ষকতার করার সুযোগও রয়েছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২০১৩ সালে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ( কমার্স ) চালু হয়। আবিশ্যিক বিষয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি পাঁচজন মেধাবী শিক্ষকদের দ্বারা এই শাখাটি পরিচালিত হচ্ছে। জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্তির পাশাপাশি এসএসসিতে খুব কম জিপিএ নিয়ে অত্র কলেজে ভর্তি হবার পরে এইচএসসিতে ভালো জিপিএ পাবার বহুত নজির রয়েছে।
অত্র কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী দেশের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে এবং অনেকেই কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। নিচে সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশের ছবি দেয়া হলো।
তাই কম জিপিএ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে চান্স না পেলে হতাশ হবার কিছু নেই। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় তোমার ক্যারিয়ার সম্ভাবনাময় হতে পারে। সেইম কথাগুলো মানবিক থেকে যারা ব্যবসায় শিক্ষায় আসতে চাচ্ছো তাদের জন্য প্রযোজ্য।
সার্বিক সহায়তায়ঃ
১/ কামরুল হক ইমরান (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
২/ মলি বেগম (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
৩/ তানজিরুল হুসাইন রাববি (ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ‍বিভাগ)
(জাতীয় পর্যায়ের সেরা শিক্ষক ২০১৯, ২০০৬ সালের এইচএসসি ফলাফলে জিপিএ ৫.০০সহ বোর্ডে ৫ম মেধাস্থান অর্জনকারী, মাস্টার ট্রেণার HSEP)
৪/ মোহাম্মদ সেলিম পারভেজ (মার্কেটিং বিভাগ)
(মাস্টার ট্রেণার, প্রধান পরীক্ষক ও বোর্ডের প্রশ্নপ্রণেতা)
৫/ জয় কুমার দে (হিসাববিজ্ঞান বিভাগ)
(পরীক্ষক, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড)

ইরান জানে— তারা একা।জানে, এই যুদ্ধ কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নয়, বরং হিজরায়েল, ব্রিটেন, ন্যাটো, পুরো পশ্চিমা সামরিক জো...
27/06/2025

ইরান জানে— তারা একা।
জানে, এই যুদ্ধ কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নয়, বরং হিজরায়েল, ব্রিটেন, ন্যাটো, পুরো পশ্চিমা সামরিক জোটের বিরুদ্ধে।
জানে, চারপাশে মাথা নিচু করা আরব দালালদের ভিড়ে তার কোনো বন্ধু নেই।

তবুও ইরান দাঁড়িয়ে আছে। বুক চিতিয়ে, চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে।
কারণ, তারা বাঁচতে শিখেনি— মরতে শিখেছে। মরলেও মাথা নিচু করে নয়, মাথা উঁচু করেই।
এটাই ইরান। এটাই প্রতিরোধ।
এটাই ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লেখা এক সাহসী জাতির নাম।

20/06/2025

আব্বা মারা গেলো হুট করেই,একদিন রাতের বেলা বাসা থেকে ফোন এলো আব্বা একটু অসুস্থ।আমি ওসব কিছু না বলে স্বান্তনা দিয়ে ফোন রেখে তাস খেলতে বসলাম।জমিয়ে তাস খেলছি,আজ হাত ও ভালো পড়ছে।রাতভর তাস খেলে আমি ঘুমাতে গেলাম ৩:৪৮ মিনিটে,
ফোন সাইলেন্ট করে।
ঘুম ভাঙলো ঠিক দুপুর ১:১৪ মিনিটে।।প্রকৃতির ডাকে।আমি ধীরে সুস্থে বাথ্রুম থেকে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখি ছোট বোনের নাম্বার থেকে ঠিক ১২৪ টা মিসড কল।
মিনিটে দুইবার করে হলেও এক ঘন্টায় ১২০ টা কল দেয়া যায়।তারমানে আমাকে শুধু কল করতেই এক ঘন্টার বেশী সময় গিয়েছে।আমার মনে তখনো কিছু নেই।আমি ফোন দিলাম,ধরে না।আমি আবার ফোন দিলাম ধরে না।আমার চিন্তা হওয়া উচিত,আমার তবুও চিন্তা হলো না।আমি তৃতীয় বার ফোন দিলাম,ফোন ধরলো আমার ছোট বোন যুথি।ফোন ধরেই ফুঁপাচ্ছে,দাদা রে আব্বা আর নেই রে দাদা।আব্বা আজ ভোরে মারা গেছেন।।তোকে কতবার ফোন দিলাম,ধরলি না।বাসায় আয় দাদা।
কেমন অপার্থিব এক কান্না।কেমন সব কিছু থেমে যাওয়া কান্না।
আমি ফোন রেখে দিলাম,দুই মিনিট বসে রইলাম ঝাড়া,বাসায় যাওয়া দরকার,মাসের ২৪ তারিখ।হাতে টাকা নেই ই।আব্বা এই মাসে টাকাও পাঠায় নি।
আমি কোন ঘোরে ছিলাম কে জানে,আব্বা টাকা পাঠায় নি এই হিসেব করছিলাম, যখন আমার আব্বা চলেই গেছেন একদম না ফেরার দেশে।
ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে বের হলাম,শুক্রবার দিন,নামাজের পর সবাই বাসায়।আমার ক্ষুধাও লেগেছে।খাওয়া হয় নি।একজন মানুষের এই পর্যায়ে কিভাবে ক্ষুধা লাগে জানি না।কিন্তু আমার ক্ষুধা লেগেছিলো,ভয়ানক ক্ষুধা।এতই ভয়ানক যে চাংখারপুলে গিয়ে এক প্লেটের জায়গায় দেড় প্লেট কাচ্ছি খেয়ে এক গ্লাস বোরহানী ও খেয়ে ফেললাম।
খাবারের বিল দিয়ে বাইরে এসে, এবার নিজের ই রাগ হচ্ছে নিজের উপর।আমার বাসায় যাওয়া উচিত।ছোট বোনটা কাঁদছে,মা ও হয়তো অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।আর আমার ম্যাচ টা ধরাতেও হাত কাপলো না একটুও।
আমার আব্বা মারা গেলো হুট করে একদিন,আমি তাস খেলছিলাম রাতভর।বাবা বুকে ব্যাথা নিয়ে হাস্পাতালে ছিলো।আমি তাস খেলছিলাম।আমার ছোট বোন আমাকে ১২৪ বার ফোন দিয়েছিলো।
আমি বাসায় পৌছালাম রাত ৯:১৭ মিনিটে।আমাদের গ্রাম এখনো খুব আধুনিক হয় নি।বৃষ্টি কাদার দিন গ্রামের পথ ভেঙে কাদায় মাখামাখি হয়ে আমি যখন বাসার উঠানে এলাম,কিছুই বদলায় নি তেমন।এমন বর্ষার রাতে কারেন্ট আগেও থাকতো না,আজকেও নেই।বাসা টা এমন নিরিবিলি থাকতো,আজও তেমন।উঠানের কোনের আমড়া গাছটাও আগের মতই আছে।
বাইরে থেকে দেখলে কিছুই বদলায় নি।শুধু এ বাসায় আজ নেই আমাদের আব্বা।
আমার ছোট বোন আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদা শুরু করলো,আম্মা ফ্যালফ্যাল করে তাকায় আছে।কান্নার একটা শক্তি লাগে,সেটাও আর নেই তার।
বোন আমার হাউমাউ করে কাঁদছে আর বলছে, "দাদা ভাই ওরা আব্বাকে মাটির নিচে রেখে আসছে রে,আমি কত করে কইলাম আমার দাদা ভাই আসুক।কেউ শোনে নি।কেউ না।"
বাড়ির পিছন দিকে এক টুকরো জমিতে আব্বাকে কবর দেয়া হইছে।একদম ছোট্ট একটু জায়গা।
আমি আমার বোনকে নিয়ে কবরের পাশে দাঁড়ায় আছি।বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করছে চারপাশ,ব্যাঙ ও ডাকছে বেশ।
আমার আব্বা শুয়ে আছে,এই তো এই মাটির নিচে।
আমি এতটা অভাগা আব্বার মুখটাও দেখতে পারলাম না।।আমায় হঠাত কেমন জানি শূন্যতা গ্রাস করলো।আমার হঠাত কেমন জানি কান্না পেতে লাগলো।
এই বিশাল পৃথিবীতে এ জীবনে আর আব্বা বলে কাউকে ডাকা হবে না,এই কথা ভেবে ভয়ানক শূন্যতায় ডুবে যেতে থাকলাম আমি,আব্বা সারাজীবন কষ্ট করে ই গেলো,আমি যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলাম,আম্মারে কইলো আমার আর টেনশন নাই গো যুবায়েরের মা।পোলায় বড় অফিসার হবে,আমাগের সব দুঃখের দিন শেষ হয়ে যাবে।
আব্বা মারা গেলো হুট করেই,এমন এক রোজার মাসে।আমি তখন তাস পিটাচ্ছিলাম মনের সুখে।
সারা মাস রোজা না রাখা আমি সেই দিন সেহেরী খেতে বসলাম।
আমাদের বাসায় ডাইনিং টেবিল নেই,মা বসে আছে চুপচাপ,ছোট বোন সারারাত কেঁদে কেটে এখন খাবার বাড়ছে, আমি চুপচাপ বসা।খুব একটা অস্বাভাবিকতা নেই।কেবল মাত্র যে মানুষটা গতকাল ও এই পাটিতে বসে সেহেরি খেয়েছিলো আজ নেই।
কি অদ্ভুত,নেই মানে নেই,একদম নেই।এমন না যে কোথাও বেড়াতে গেছে,চলে আসবে।সে নেই,এই অনন্ত নক্ষত্র বীথির কোথাও সে নেই।।অথচ সব কিছু চলছে,হয়তো একটু ধীরে চলছে,আবার হয়তো গতিশীল হবে।যে যায়, তার জন্যে কবে প্রকৃতি থামিয়ে রেখেছিলো কিছু?
আব্বা মারা যাবার পর প্রথম কয়েকদিন খুব গুমোট ছিলো সব।এক সপ্তাহ পর সব কেমন স্বাভাবিক হয়ে এলো। আমার চুল দাঁড়ির ভেতর কুটকুট করে চুলকাতে লাগলো,গ্রামে এসে কাটা হয় নি,বড় হয়ে গেছে। ছোট বোনটা কলেজে যাওয়া শুরু করলো, মা ও রান্না বান্না করা শুরু করলো।
গল্প উপন্যাসে থাকে, প্রিয় কেউ মারা গেলে তার প্রিয় খাবার খাওয়া হয় না। আব্বার প্রিয় ছিলো গরুর মাংস, আমি বাজার থেকে একদিন গরুর মাংশ ও কিনে নিয়ে এলাম।
সব কিছু বাইরে থেকে দেখে খুব সহজ মনে হচ্ছিলো,সব একদম ঠিকঠাক। শুধু খেতে বসার সময় আমরা বাসার দুই ভাইবোন দেখলাম আব্বার প্লেট আর গ্লাসটা প্রতিবেলা মা বের করে,কিছুক্ষণ শূন্য দৃষ্টিতে তাকায়, এরপর তুলে রাখে।
কিছু থেমে নেই,সব চলছে,শুধু এই চলার ভীড়ে গরুর মাংস দিয়ে ভাত মুখে তোলার সময় দু সেকেন্ডের জন্যে থমকে দাঁড়াই। আব্বার প্রিয় ছিলো গরুর মাংস, আমি তার ছেলে, নিজের টাকায় এক ছটাক মাংস তারে খাওয়াইতে পারলাম না, আর আমি লোকমা ভরে খাচ্ছি।
দশদিন পর আমি ঢাকা এলাম,এসে আস্তে আস্তে পড়ালেখা শুরু করলাম। একটা টিউশনি করাতাম, আরো দুই একটা টিউশনি খুঁজবার চেষ্টা করছিলাম, যাতে বাসায় কিছু সাহায্য করা যায়।
বাসা থেকে একদিন খাম এলো একটা, মাসের হাত খরচের টাকা আর মায়ের চিঠি। চিঠির সারমর্ম হচ্ছে,আব্বা বলে গেছিলেন আমি যেন কিছু নিয়ে টেনশন না করি,vটাকা পয়সা নিয়ে যেন না ভাবি। ভালো মত যেন পড়ালেখা করি।আমার জন্মের সময় থেকেই আব্বা আমার নামে কিছু কিছু টাকা সঞ্চয় করতেন,সেই টাকার পরিমাণ ২২ বছরে বেশ বলার মত একটা অংক।
চিঠি পড়ে হঠাৎ আমার বুকের মধ্যে একটু চিনচিনে ব্যাথা হতে লাগলো। আচ্ছা আমি কি আব্বা হতে পারবো কখনো??এত বিশাল কি হওয়া সম্ভব?? এতটাই যে পৃথিবী থেকে চলে গিয়েও ছায়ার মতই পাশে চলছেন......
সেই রাতে আমার জ্বর এলো,ভয়ানক জ্বর।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের ২১১ নাম্বার রুমে শুয়ে আমি কাতরাতে লাগলাম।আমার ছেলেবেলার কথা মনে হলো জ্বরের ঘোরে,মনে হলো আব্বা আমার শিয়রে বসা।
ছোট বেলায় আমি খুব অসুস্থ ছিলাম,বাঁচা আর মরার মাঝামাঝি একটা ব্যাপার। আমার মনে আছে আব্বা কিছুক্ষণ পর পর আমার নাকে হাত দিয়ে দেখতো আমি বেঁচে আছি কী না। ব্যাথায় ঘুমাতে পারতাম না আমি, আমার আব্বা সারারাত আমাকে ঘাড়ে করে,কাধে করে পাড়ায় হেটে হেটে ঘুম পাড়াবার চেষ্টা করতো।অনেক বছর, অনেক গুলো বছর আগের এসব কথা নিত্যদিনের চাল ডাল আর ব্যস্ততার ভীড়ে হারিয়ে গেছিলো। আমি জ্বরের ঘোরে ডুকরে কেঁদে উঠলাম।
শিয়র থেকে জানি আব্বা কথা বলে উঠলো,ওরে আমার বুকা বাপডা কানতিছে কেন?? আয় বাবা, বুকে আয়।আমি জ্বরের ঘোরে কেমন অপ্রকৃতস্থের মত কিছু ধরতে গেলাম,এরপর আমার মনে নেই।
চোখ মেলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালে, চারপাশে ফিনাইলের কেমন কড়া গন্ধ। আমার বন্ধুরা জানালো আমি জ্বরে দুইদিন বেহুঁশ ছিলাম। জ্বর কমছিলোই না কিছুতে। হাসপাতালের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম আমার আব্বা এমন এক হাসপাতালে মারা গেছিলেন কষ্ট নিয়ে,আমি,তার বড় ছেলে তখন আরামে তাস খেলছিলাম।
আব্বা যখন মারা যায় আমি তখন ফোর্থ ইয়ারে।আব্বাকে সারাজীবন দেখেছি আমাকে বড় ভার্সিটি তে পড়াবার ইচ্ছে। নিজে ম্যাট্রিক পাশ করে সংসারের বোঝা টানতে নেমে গেলেন।পড়া হয় নি আর তার।আমি ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাবার পর আমার মনে তাই খুব লুকায়িত একটা ইচ্ছে ছিলো,যেদিন আমি পাশ করবো,এরপর আমাদের সমাবর্তনে আমার হ্যাট আর গাউন টা আমি আব্বারে পরায় দিবো।
ছোটবেলায় বাবা নিয়ে ক্লাসে রচনা লিখতে দিতো, আমার খুব অভিমান হতো আব্বার উপর। চারপাশে কত ছেলেমেয়েদের বাবাকে দেখতাম,এটা সেটা কিনে দিতো,স্কুলে আসতো,আব্বা কোনদিন এমন করতো না।তাই আব্বাকে নিয়ে রচনা লেখার সময় ভালো কিছুই আমার মাথায় আসতো না।
ক্লাস ফাইভে একবার রচনা লেখার সময় আমি বাবাকে নিয়ে রচনা লিখতে গিয়ে লিখলাম আমার আব্বা অনেক গরীব, অন্যদের আব্বা তাদের খেলনা কিনে দেয়, আমাকে দেয় না। অন্যদের কত নতুন জামা, আমাকে বছরে শুধু এক ঈদে একটা জামা দেয়া হয়।এইসব আরো কতশত অভিমানের কথা।
সেই অভিমানের কথা লিখতে গিয়ে ছোট্ট আমার ঠোট ফুলে গেলো,কান্না এলো। আমার আব্বা এমন কেন??একদম খারাপ। রচনা পড়ার পর স্যার আমাকে আলাদা করে ডাকলেন,আব্বাকে ডাকলেন। পড়ে শোনালেন তার ছেলে তাকে নিয়ে কি লিখেছে,শোনার পর একটা হাসি দিয়ে বললেন ঠিকই লিখছে মাস্টার সাব,ও যা কইছে সব সত্য কথা,খুবই সত্য কথা।
আব্বার সেই হাসির অর্থ সেদিন বুঝি নি, তার পিছনে কত কান্না লুকিয়ে থাকতে পারে বুঝি নি। শুধু আমার আব্বা অন্যরকম এটা বুঝেছি তার শ্রেণীর লোকগুলো যখন ছেলেরা আমার বয়সী হলেই কাজে লাগিয়ে দিতো, আমাকে পড়িয়েছেন, নিজে গাধার মত খেটে আমাকে পড়িয়েছেন। অনেকে হাসাহাসি করেছে, টিটকারি করেছে, তবু তিনি পড়িয়েছেন। আব্বাকে নিয়ে আমার না পাওয়ার এত এত অভিযোগ ছিলো, কিন্তু এই নিত্য সাধারণ দিনের চলার পথে আমি কখনোই দেখি নি আমার পড়ালেখার খরচ কোনদিন বাকী পড়ে নি, আমার বই খাতার অভাব হয় নি। আমার খাবারের অভাবে পড়া নষ্ট হয় নি। আমি কোনদিন এসব ভাবি নি যে এই কিছু দিতে না পারা বাবাটা কিভাবে এইসব ম্যানেজ করছে। আমি কোনদিন খেয়াল করি নি আমার আব্বার মাত্র দুটো জামা ছিলো, আমি কোনদিন লক্ষ্য করি নি আমার আব্বার বহু বছরের পুরোনো শীতের কাপড়টা ছেঁড়া ছিলো।
আমার অনেক অনেক অভিযোগ ছিলো,না পাওয়ার অভিযোগ, অপ্রাপ্তির অভিযোগ, গরীব হবার অভিযোগ।
আমি যেদিন ঢাকা চলে আসবো,তার আগের রাতে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়,আমি চুপচাপ শুনতে পাই আমার ভীষণ সাদাসিধে আর গরীব আব্বাটা বারান্দায় আম্মার সামনে কাঁদছে আর বলছে,ছেলেডা কাল চলে যাবে গো যুবায়েরের মা, সারাডাজীবন কিছুই দিতে পারি নি, এই ছেলে এখন ঢাকা যাবে,বড় বড় অফিসারগের ছেলেগের সাথে পড়বে, পরার জন্যি একটা ভালো জামা প্যান্ট ও নেই ওর। কাইল যাবার সময় ওর হাতে জামা কাপড় কিনার জন্যি ওই তিনহাজার টাকাডা দিও। আব্বার কান্না শুনে খারাপ লাগছিলো, কিন্তু নতুন জামা পাবো, ভালোও লাগছিলো একটু। সকাল বেলা বের হবার সময় আব্বাকে দেখলাম চুপচাপ বসে আছে এক কোণে, মাকে সালাম করলাম, আব্বার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আব্বা শুধু একটু ধরা গলায় বললো ভালো থাইকো বাপ। মা খরচ বাদেও তিন হাজার টাকা দিছিলো কাপড় কিনতে, আমি কাপড় কিনেছিলাম, কিন্তু আমি জানতে চাই নি এই টাকা কিভাবে এলো, তাই আমি আসার দিন খেয়াল ও করি নি যে আব্বার বাইসাইকেল টাকেও বাসায় দেখা যাচ্ছে না।...
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলাম আরো দুইদিন পর।ইদানিং মাথার ভেতর মাঝে, মাঝেই ফাঁকা ফাঁকা লাগে।ক্লাস শেষ করে টিউশনিতে যাই। সন্ধ্যা লেগে যায়, আমি বের হই, হাঁটি, উদ্দেশ্যহীন হাঁটা, হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে রাতে হলে ফিরে আসি, ঘুমাই। সকালে ক্লাসে যাই।হাসপাতাল থেকে আসার পরেই কেমন জানি হয়ে গেছি, দিনে একবার বাড়ি ফোন দেই। মা আর ছোট বোনের সাথে কথা বলি। ফাইনাল পরীক্ষা আগায় আসতে থাকে,আমার পড়া হয় না। কেন জানি মন বসে না, কিছুতেই না...
পরীক্ষা চলে আসে দেখতে দেখতে,আমি পরীক্ষা দেই।গল্প উপন্যাসে নায়কেরা এক রাত পড়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়,আমি গল্পের নায়ক নই। আমি অতি সাধারণ এক বাবার দায়িত্বহীন এক ছেলে। রেজাল্ট হয়ে যায়,বন্ধুরা সব আনন্দ উল্লাস করছে,আবার কবে দেখা হবে না হবে এই সব নস্টালজিয়ার কথা হচ্ছে,আমি মৃদু হেসে বিদায় নেই এক সকালে, ক্লান্ত পায়ে হেঁটে বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাই, আমি ফিরে যাচ্ছি। সেই খানে, যেখান থেকে আমি এসেছিলাম, যেখানে আমার অতি সাধারণ সাদাসিধে বাবা ঘুমিয়ে আছেন মনের ভেতর অনেক অনেক কষ্ট নিয়ে।
শেষ কথাঃ ফলিত রসায়ন এ প্রথম শ্রেণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে জুবায়ের,জি আর ই তে বেশ ভালো নাম্বার ও পায়।আমেরিকার দুটো ভার্সিটি থেকে সে ডাক পায়।
এক বর্ষায় তার বাবা মারা গেছিলো,এখন বর্ষা পেরিয়ে শীত,জুবায়ের দাঁড়িয়ে আছে বাবার কবরের সামনে।শীত কালে অদ্ভুত ভাবে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে, জুবায়ের ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে,কাঁদুক,এত দিনের জমানো ব্যাথা যদি একটু যায়। বৃষ্টির পানিতেও আলাদা করে বোঝা যাচ্ছে টপটপ করে গড়িয়ে পড়া চোখের জল।
©

রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।যুদ্ধ শুরু হলে রাজনীতিবিদেরা অস্ত্র দেয়, ধনীরা রুটি দেয় আর গরিবেরা তাদের ছ...
08/05/2025

রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।

যুদ্ধ শুরু হলে রাজনীতিবিদেরা অস্ত্র দেয়, ধনীরা রুটি দেয় আর গরিবেরা তাদের ছেলেদের দেয়। যুদ্ধ শেষ হলে রাজনীতিবিদেরা হাত মেলায়, ধনীরা রুটির দাম বাড়ায় আর গরিবেরা তাদের ছেলেদের কবর খুঁজে বেড়ায়। [সার্বিয়ান প্রবাদ]

আমরা বলতে থাকি, “আমরা তো স্বাধীন, যা খুশি করার অধিকার আছে।”ছবিটি দেখুন। এই লোক তার প্রাপ্য বুঝে নিয়েছে। অন্য ভাগের সমান...
09/03/2025

আমরা বলতে থাকি, “আমরা তো স্বাধীন, যা খুশি করার অধিকার আছে।”
ছবিটি দেখুন। এই লোক তার প্রাপ্য বুঝে নিয়েছে। অন্য ভাগের সমানই সে নিয়েছে হিসাবে-পরিমানে। কিন্তু তা করতে যেয়ে সে অন্যের প্রাপ্য গ্রহনে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও সে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যাতে অন্যেরা মানসিক ভাবেও বিরক্ত হচ্ছে। তার স্বাধীনতার চর্চা, অন্যের মানসিক পীড়নের কারন। এটা হচ্ছে Bad practice of exercising freedom. এবং এটা আপনি করতে পারেন না। এই ধরনের স্বাধীনতার চর্চা করার অধিকার আপনার নাই।
আপনি given even situation এ যেখান থেকে খুশি, আপনার টুকরোটি তুলে নিন - ডান-বাম উত্তর-দক্ষিণ। কিন্তু ডিজাইন ভেংগে অন্যের স্বস্তি চর্চায় বিঘ্ন ঘটিয়ে নয়। বুদ্ধিমানদের জন্য আছে এতে নিদর্শন!
আমরা স্বাধীনতা আর উচ্ছৃঙ্খলতার পার্থক্যটাই বুঝিনা ।

01/03/2025

আজ মাগরিবের আযান এর সাথে সাথে বন্ধ করে দেওয়া হবে সব জা'হান্নামের দরজা। আ-যা-ব বন্ধ করে দেওয়া হবে সব কবরবাসীদের। ৭০ গুণ করে দেওয়া হবে সব সওয়াব। আটকে ফেলা হবে সব শয়/তানদের। প্রত্যেকদিন ইফতারীতে কবুল করা হবে একটি করে দোয়া। এমন একটি রাত দান করা হবে যে রাতে যে যা চাইবে তাই পাবে।

আল্লাহ এর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের প্রতি এই অফার শুধু এই মাসের জন্য। যে জগৎ দেখার ক্ষমতা আমাদের চোখের নেই, সেই জগতে ঘটে গেছে অনেক বড় বড় ঘটনা!

রমাদান মোবারক❤️

22/02/2025

একদিন আপনি বৃদ্ধ হবেন। গ্লাস ধরে পানি পান করার সময় হাত কাঁপবে। কাঁপতে কাঁপতে গ্লাস থেকে পানি অর্ধেক মাটিতে পড়ে যাবে। মাঝে মাঝে হাত থেকে গ্লাসটিই ফ্লোরে পড়ে ভেঙে যাবে। ঘরের মানুষজন আপনার উপর আস্তে আস্তে বিরক্ত হবে। এই বিরক্তি আপনি চোখ বুঝে সহ্য করবেন। প্রচন্ড কষ্টে বুকটা ফেটে যাবে, চোখের কোনে কয়েকফোঁটা পানি জমবে। বাঁচার জন্য যুদ্ধ করা এই পৃথিবীতে আপনি একদিন খুব করে মরতে চাইবেন।

গায়ের চামড়া কুঁচকে যাবে, গালের চামড়ায় ভাঁজ পড়বে। চুলগুলো সব সাদা হয়ে যাবে। চোখে ঝাপসা দেখার বয়সে একদিন আপনি পৌঁছে যাবেন। হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খাবেন। দিনে কয়েকবার পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবেন। কয়েকবার ডাকার পর হয়তো অনেকক্ষণ পর কেউ এসে বিরক্ত হয়ে আপনাকে টেনে তুলবে। এই বিরক্তি আপনি টের পাবেন, বুকটা ফেটে যাবে নিদারুণ আর্তনাদে। এই যন্ত্রণা আর সহ্য হবে না। বাঁচার জন্য যুদ্ধ করা এই পৃথিবীতে আপনি একদিন খুব করে মরতে চাইবেন।

জীবনের শেষ বয়সে এসে ভাতের চেয়ে ঔষুধই বেশি খাবেন। আত্মীয়স্বজনের বাড়ির চেয়ে মেডিকেলেই বেশি যাবেন। সম্পদ লাভের আশায় আজীবন সংগ্রাম করা মানুষটাই একদিন সব সম্পদ রেখে চলে যাবেন। আজ থেকে ২০০ বছর পর আপনার বাড়িতে যারা থাকবে, আপনার জায়গা জমি যারা ভোগ করবে; তাদের কাউকেই আপনি চিনেন না। অথচ সেই অচেনা মানুষগুলোকে আপনার সম্পদ ভোগ করানোর জন্য এখন যুদ্ধ করছেন অতি চেনা পরিচিত আপনজনদের বিরুদ্ধে, কখনো এক হাত জমি বেশি পাওয়ার জন্য, কখনো দুর্বল প্রতিবেশির পুরো জায়গাটা দখল করার জন্য। পৃথিবী ছাড়ার সময় দেখবেন, মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই আপনার সাথে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে না।
(সংগৃহীত)

অনেক অনেক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় Zulfeqar Haider স্যারকে।নায়েম এর মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন পাওয়ায়। আল্লাহ আপনাকে দুনি...
02/02/2025

অনেক অনেক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় Zulfeqar Haider স্যারকে।
নায়েম এর মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন পাওয়ায়।
আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া এবং আখেরাতের সম্মান আরো বৃদ্ধি করে দিক। অংশগ্রহণমূলক সক্রিয় শিখন বিষয়ক প্রশিক্ষণে আপনাকে প্রশিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমি আসলেই অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।

তুমি আমি বন্দী,বিছানো সিন্ডিকেটে,হয়েছে পোক্ত সন্ধি,হিসেবীদের পকেট কাটতে। তুমি আমি বন্দী,হাসির আড়ালে কান্নাতে,বিশাল গোপন ...
13/01/2025

তুমি আমি বন্দী,
বিছানো সিন্ডিকেটে,
হয়েছে পোক্ত সন্ধি,
হিসেবীদের পকেট কাটতে।
তুমি আমি বন্দী,
হাসির আড়ালে কান্নাতে,
বিশাল গোপন ফন্দি,
নজর বাজারের ব্যাগেতে।
তুমি আমি বন্দী,
মধ্যবিত্ত ভীষণ কষ্টতে,
অন্ন ফুরায় জলদি,
মুদ্রাস্ফীতি অট্ট হাসিতে।
তুমি আমি বন্দী,
সংসার নামক জেলখানাতে,
সর্বত্র দুরভিসন্ধি,
পারছে না মরে যেতে।
তুমি আমি বন্দী,
ক্ষমতা আর টাকাতে,
অর্ধমৃত সমাধী,
রেখো তবু মোনাজাতে।

(তানজিরুল হুসাইন রাববি)

ছবিঃ Alif
কলেজের এই স্থানে সুন্দর ছবি আসে।

ভেতরে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই সুশি হবে?বিদ্যুতের গতিতে রেস্টুরেন্ট মালিক ক্যাশ ছেড়ে এসে আমার হাত ধরে প্রশ্ন করল; স্যার,...
21/12/2024

ভেতরে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই সুশি হবে?
বিদ্যুতের গতিতে রেস্টুরেন্ট মালিক ক্যাশ ছেড়ে এসে আমার হাত ধরে প্রশ্ন করল; স্যার, আপনি কি ম্যাজিস্ট্রেট?
- না
তাহলে গোয়েন্দা সংস্থার?
- তাও না!
শুনেন ভাই, আমরা খাবারে পুসি, কুত্তা কিছুই দেই না তবে মাঝেমধ্যে কাচ্চিতে খাসির বদলে ছাগল, ভেড়ার মাংস দেই, আর কোন ভ্যাজাল নাই 😁!!
- মিয়া, জাপানি রেস্টুরেন্ট দিলেন অথচ জাপানের খাবারই চিনেন না, চাইলাম সুশি আপনি বুঝলেন পুসি (বিড়াল) 🤔

Address

BAU Campus, Mymensingh
Mymensingh
MYMENSINGH

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when THR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share