24/10/2025
এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস আঠারবাড়ী পূর্ণ বহালের দাবি
— এটা কোনও প্রতিযোগিতা নয়, আঞ্চলিক উন্নয়নের ন্যায্য দাবি
আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত আন্তঃনগর “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” ট্রেন বর্ধিত করার দাবি আজ নতুন নয় — বহুদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। মানববন্ধন করা হয়েছে কয়েকবার
এটা শুধু আঠারবাড়ীর মানুষের নয়, বরং ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন ও খালিয়াজুরীর মানুষের অভিন্ন দাবি।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঈশ্বরগঞ্জ সদরের কিছু ভাই এই দাবি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন — মনে করছেন, যেন আঠারবাড়ী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী!
আসলে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই ট্রেন আঠারবাড়ী পর্যন্ত এলেই ঈশ্বরগঞ্জসহ পুরো অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে — কারণ আঠারবাড়ীই হলো এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু।
---
🔹 ১️⃣ বাস্তবতা: রেলওয়ের সংকট ও সীমাবদ্ধতা
বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে ভয়াবহ ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটে ভুগছে।
এই কারণে অনেক স্টেশন বন্ধ এবং বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় রেলওয়ে নতুন রুটে ট্রেন চালাতে হলে খুব সতর্ক হতে হয় —
যেখানে সামান্য ব্যয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব, সেটাই তারা বেছে নিচ্ছে।
আঠারবাড়ী স্টেশনে বর্তমানে লুপ লাইন, ইঞ্জিন ঘোরানোর ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে — অর্থাৎ এখানে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন চালানো সম্ভব।
শুধুমাত্র একটি অর্ডারে
---
🔹 ২️⃣ ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন কেন এখনই সম্ভব নয়
ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন আমাদেরই সদরে, কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি বর্তমানে আংশিকভাবে বন্ধ।
সিগন্যাল ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় নয়, লোকবল সংকটও আছে।
তাছাড়া, “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” যেহেতু ভৈরব হয়ে ঢাকা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনটি সেই রুটের তুলনায় কিছুটা উল্টো দিকে পড়ে।
তাই এখন যদি ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত নিতে হয়, তাহলে:
👉 নতুন করে রেলওয়ে সংস্থার অনুমোদন নিতে হবে,
👉 আলাদা রেক (train set) বরাদ্দ করতে হবে, কারণ কিশোরগঞ্জে যে সময় দাঁড়িয়ে থাকে এই সময়ে আঠারবাড়ী পর্যন্ত চালানো সম্ভব হলেও ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত সম্ভব না 👉 এছাড়া কারিগরি সমস্যা তো আছেই, সিগন্যাল ও লুপ লাইন উন্নয়নের কাজ করতে হবে। এগুলো সময়সাপেক্ষ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া — যা একদিনে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে আঠারবাড়ী পর্যন্ত বর্ধিত করতে এসব কিছুই দরকার নেই। কারণ সব সুবিধা ইতিমধ্যেই সম্ভব।
---
🔹 ৩️⃣ কেন আঠারবাড়ী সবচেয়ে উপযুক্ত পয়েন্ট
আঠারবাড়ী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলারই অংশ — তাই ঈশ্বরগঞ্জের উন্নয়ন মানেই আঠারবাড়ীর উন্নয়ন।
আঠারবাড়ী স্টেশনটি ভৌগোলিকভাবে এমন স্থানে অবস্থিত যেখানে: ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন ও খালিয়াজুরীর মানুষ সহজে আসতে পারে, এবং কিশোরগঞ্জের পরবর্তী প্রধান বড় স্টেশন হিসেবেও এর অবস্থান রেলওয়ের কাছে যুক্তিযুক্ত।
সবচেয়ে বড় কথা —
কিশোরগঞ্জে ট্রেন প্রায় ২ ঘণ্টা অব্যবহৃত থাকে।
এই সময়েই সহজে আঠারবাড়ী পর্যন্ত যাওয়া-আসা সম্ভব, অতিরিক্ত রেক বা ইঞ্জিনের দরকার নেই।
এতে রেলওয়েরও লাভ, যাত্রীদেরও সুবিধা।
---
🔹 ৪️⃣ আঠারবাড়ী প্রথম ধাপ, ঈশ্বরগঞ্জ পরের ধাপ
আমরা কখনো বলিনি ট্রেন ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত যাবে না।
বরং আমরা চাই — ধাপে ধাপে উন্নয়ন হোক।
প্রথমে আঠারবাড়ী পর্যন্ত ট্রেন চালু করা সম্ভব হলে তারপর রেলওয়ে যখন নতুন রেক ও জনবল পাবে, তখন ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ দাবি জোরালো করা যাবে তখন কিশোরগঞ্জের মত আঠারবাড়ী বাদা থাকবে না,, বর্তমানে কিশোরগঞ্জে অনেক বাধা সৃষ্টি করবে, এখন আমরা যদি নিজেদের ভিতর বাঁধা সৃষ্টি করি তখন আম ও যাবে চালাও যাবে, কারণ রেলওয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোডে চাইলেও নতুন ট্রেন চালু করতে পারতেছে না যেমন টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস সুবর্ণচর এক্সপ্রেস সহ আরো একাধিক ট্রেন অনুমোদন হয়ে আছে কোচ ইঞ্জিন সংকটে চালু সম্ভব হচ্ছে না
কিশোরগঞ্জ দুই ঘন্টা সময় যেহেতু এটি বসে থাকে এবং আঠারবাড়ী পর্যন্ত সম্ভব, এই যৌক্তিক দাবি টি বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী ,তাই চলুন বিভাজন নয়, ঐক্য দরকার
কিছু মানুষ “আঠারবাড়ী বনাম ঈশ্বরগঞ্জ” বানাতে চাইছেন — এটা দুঃখজনক।
আসলে আঠারবাড়ী ঈশ্বরগঞ্জেরই গর্ব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মানেই আঠারবাড়ী, আর আঠারবাড়ী মানেই ঈশ্বরগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র।
তাই হিংসা নয়, বাস্তবতা বোঝা দরকার।
এটা কাউকে বাদ দেওয়ার আন্দোলন নয় — বরং সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান।
---
📢 আমাদের আহ্বান:
✅ “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” ট্রেনটি আঠারবাড়ী পর্যন্ত দ্রুত বর্ধিত করা হোক।
✅ পরবর্তীতে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নতুন রেক আদায় করে ধীরে ধীরে আরও সম্প্রসারণ করা হোক।
✅ আঞ্চলিক ঐক্যের মাধ্যমে ঈশ্বরগঞ্জকে উন্নয়নের ট্র্যাকে তোলা হোক।
বিঃদ্রঃ আজ শুক্রবার ২৪ অক্টোবর বিকাল ৪ঃ০০ আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।