আমাদের আঠারবাড়ী

আমাদের আঠারবাড়ী 'আমাদের আঠারবাড়ীর প্রতিটি হাত প্রকৃত শিক্ষার শক্তিতে পরিনত হউক' এটাই আমাদের প্রত্যয়...

� আমাদের 'আঠারবাড়ীর' ইতিহাসঃ

ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তগত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি সমৃদ্ধ এলাকা আঠারবাড়ী। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই এলাকাটি ব্যবসা-ব্যাণিজ্যে ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অগ্রসর। এমন একটি সমৃদ্ধ এলাকায় জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায়ের পরিত্যক্ত দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল জমিদার বাড়ি এখনও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে নিরব দাড়িয়ে আছে। চমৎকার কারুকার্যময় এ রাজবাড়ীটির বয়স প্রায় আড়াই শত বছর। ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্

জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে কিছু অগ্রসর হলেই চোখে পড়বে জমিদার বিশাল অট্টালিকা। ১৭৯৩ খ্রিষ্ঠাব্দ পর্যন্ত হোসেন শাহী পরগনা রাজশাহী কালেক্টরের অধিনে ছিল। সে সময় মহা রাজ রামকৃষ্ণের জমিদারি কাজনার দায়ে নিলামে উঠলেএ পরগনাটি “খাজে আরাতুন’ নামে এক আর্মেনীয় ক্রয় করেন। ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে আরাতুনের ২ মেয়ে বিবি কেথারিনা, বিবি এজিনা এবং তার দুই আত্মীয় স্টিফেন্স ও কেসর্পাজ প্রত্যেক চারআনা অংশে এ পরগানার জমিদারী লাভ করেন। ১৮৫৩ খ্রিষ্টব্দে আঠারবাড়ি জমিদার সম্ভুরায় চৌধরী, বিবি এনিজার অংশ কিংবা মতান্তরে কেসপার্জের অংশ ক্রয় করেন। পরে মুক্তাগাছার জমিদার রামকিশোর চৌধুরী জমিদারী ঋণের দায়ে নিলামে উঠলে তা সম্ভুরায় চৌধুরীর পুত্র মহিম চন্দ্র রায় চৌধুরী কিনে নেন। শুধু তাই নয়, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে (১৯০৪ খ্রিষ্টব্দে) মহিম চন্দ্র রায় চৌধরীর স্ত্রী জ্ঞানেদা সুন্দরীর স্বামীর উত্তরাধিকার ও ক্রয় সূত্রে পুরনায় ১৪ আনার মলিক হন। বাকী দুই আনা অন্য এলাকার জমিদাররা কিনে নেন। জমিদারী প্রতিষ্ঠার পর তাদের আয়ত্তে আসে উত্তর গৌরীপুরের রাজবাড়ী, পশ্চিমে রামগোপাল পুর, ডৌহাখলা দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর ও নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা। তাছাড়া বৃহৎত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর জেলার কয়েকটি মৌজা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বেশ কিছু মৌজা ছিল এ জমিদারের দখলে। প্রতি বছরে নির্দিষ্ট এক সময়ে এসব জেলা শহরে স্থাপিত আঠারবাড়ী কাচারী বাড়ীতে নায়েব উপস্থিত হয়ে খাজনা আদায় করত। আজ ও এসব কাচারী “আঠারবাড়ী বিল্ডিং” নামে নিজ নিজ জেলা পরিচিতি পেয়েছে। জমিদার সম্ভুরায় চৌধরীর পিতা দ্বীপ রায় চৌধুরীর প্রথম নিবাস ছিল বর্তমান যশোর জেলায়। তিনি যশোর জেলার একটি পটরগনায় জমিদার ছিলেন। সুযোগ বুঝে এক সময় দ্বীপ রায় চৌধুরী তার পুত্র সম্ভুরায় চৌধুরীকে নিয়ে যশোর থেকে আলাপ সিং পরগনায় অর্থ্যাৎ আঠারবাড়ী আসেন। আগে এ জায়গাটার নাম ছিল শিবগঞ্জ বা গোবিন্দ বাজার। দীপ রায় চৌধুরী নিজ পুত্রের নামে জমিদারি ক্রয় করে এ এলাকায় এসে দ্রুত আধিপত্য স্থাপন করতে সক্ষম হন এবং এলাকার নাম পরির্তন কওে তাদের পারিবারিক উপাধি “রায়” থেকে "রায় বাজার” রাখেন। আর রায় বাবু একটি অংশে এক একর জমির উপর নিজে রাজবাড়ী, পুকুর ও পরিখা তৈরী করেন। রায় বাবু যশোর থেকে আসার সময় রাজ পরিবারের কাজর্কম দেখাশুনার জন্য আঠারটি হিন্দু পরিবার সংঙ্গে নিয়ে আসেন। তাদের রাজ বাড়ি তৈরী করে দেন। তখন থেকে জায়গাটি আঠারবাড়ী নামে পরিচিতি লাভ করে। দ্বীপ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পুত্র সম্ভুরায় চৌধুরী জমিদারী লাভ করেন। তবে কোন পুত্র সন্তান না তাকায় তিনি নান্দাইল উপজেলায় খারূয়া এলাকা থেকে এক ব্রাম্মণ প্রমোদ রায় চৌধুরীকে দত্তক এনে লালন পালন করে এক সময় জমিদারী কর্ণধার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।



� কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঠারবাড়ী আগমনঃ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আঠারবাড়ী ভ্রমণ করেছিলেন। আঠারবাড়ীর তৎকালীন জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে করে আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ি পৌঁছান। সেখানে তার সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।এছাড়াও বাউল, জারি-সারি গানের আসর বসানো হয়েছিল। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভের শুভেচ্ছা বিনিময় ও শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব নিকেতন করে গড়ে তুলতে নৈতিক ও আর্থিক সমর্থনের লক্ষ্যে ১৯২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রায় এক সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থান শেষে তিনি ময়মনসিংহ ভ্রমণ করেন। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশে রবীন্দ্র সংবর্ধনা (ভুঁইয়া ইকবাল সম্পাদিত) গ্রন্থ থেকে জানা যায়, কবিগুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে আঠারবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সেদিন তাঁকে একনজর দেখার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরিপুরের হাজার হাজার মানুষ ঈশ্বরগঞ্জ সদরে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে দেয়। এরপর আঠারবাড়ী রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর কবিকে হাতির পিঠে চড়ানো হয়। এসময় ঢাক ঢোল পিটিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। শত শত মানুষ জয়ধ্বনি করতে করতে তাকে জমিদার বাড়ীর মূল ফটক পর্যন্ত নিয়ে যায়। মূল ফটকের কাছে কবিকে সোনার চাবি উপহার দেন জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরী। ওই চাবি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ কাচারী ঘরের মূল ফটক খোলেন। কবির সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। ছড়াকার-গবেষক ও জলদ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক স্বপন ধর জানান, আঠারবাড়ীর জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরী শান্তিু নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কবিগুরু ছিলেন তার শিক্ষক। বিশ্বকবি তার এই ছাত্রের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই আঠারবাড়ি এসেছিলেন।

কথিত আছে কবির "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে" কবিতাটি রাজবাড়ির পুকুরঘাটে বসে লিখেছিলেন।

তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া

আগামীকাল ৩০ অক্টোবর ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে পলো বাইচ উৎসবনান্দাইল উপজেলা ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী বলদা ব...
29/10/2025

আগামীকাল ৩০ অক্টোবর ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে পলো বাইচ উৎসব

নান্দাইল উপজেলা ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে আগামীকাল ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন মাছ শিকারদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে ‘বাইচ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সৌখিন মাছ শিকারিরা জাল-জালি পলোসহ মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যদিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। উক্ত হাইতের জন্য বিলের পাড়ের চার পাশের বাসিন্দারা রাত থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল।

- অনুরোধক্রমে বিলপাড়ের জনগণ

28/10/2025

কৃষকরা এখন এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দিঘালিয়া জামে মসজিদ ও মারকাযুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্যোগে আগামীকাল ইসলামী মহা সম্মেলন। উক্ত মহা সম্মেলনে দেশ বর...
27/10/2025

দিঘালিয়া জামে মসজিদ ও মারকাযুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্যোগে আগামীকাল ইসলামী
মহা সম্মেলন।

উক্ত মহা সম্মেলনে দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম ওয়াজ ফরমাইবেন।

উক্ত মহা সম্মেলনে আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত।

27/10/2025

মানুষের প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলা এই ধরনের নেয়ামত বা রিজিক দিয়ে থাকেন।

26/10/2025

হাডুডু খেলায় উ ত্তে জ না পূর্ণ মুহূর্তে!

আন্তঃনগর ট্রেন আঠারবাড়ী পর্যন্ত বর্ধিতকরণের দাবিতে আঠারবাড়ী রেলস্টেশনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শুভসূচনা🚆✍️
25/10/2025

আন্তঃনগর ট্রেন আঠারবাড়ী পর্যন্ত বর্ধিতকরণের দাবিতে আঠারবাড়ী রেলস্টেশনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শুভসূচনা
🚆✍️

25/10/2025

কথায় আছে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে!

আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর ট্রেন বর্ধিতকরণের দাবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...
24/10/2025

আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর ট্রেন বর্ধিতকরণের দাবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামীকাল (২৫ অক্টোবর, ২০২৫) রোজ শনিবার বিকাল ০৪ঃ০০ ঘটিকা থেকে এক সপ্তাহ গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে।পরে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।

📢 জরুরি ঘোষণা ⚡আগামীকাল শনিবার সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত আঠারবাড়ী ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে থাক...
24/10/2025

📢 জরুরি ঘোষণা ⚡
আগামীকাল শনিবার সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত আঠারবাড়ী ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে থাকা গাছের ডাল কাটার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই সময়ে বৈদ্যুতিক প্রয়োজনীয় কাজগুলো আগে থেকেই সম্পন্ন করে নিন।

সুত্রঃ আঠারবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।

24/10/2025

🔴সরাসরি
আঠারবাড়ী টু ঢাকা ট্রেন চালুর দাবি নিয়ে আলোচনা সভা

এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস আঠারবাড়ী পূর্ণ বহালের দাবি— এটা কোনও প্রতিযোগিতা নয়, আঞ্চলিক উন্নয়নের ন্যায্য দাবিআঠারবাড়ী রেল...
24/10/2025

এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস আঠারবাড়ী পূর্ণ বহালের দাবি

— এটা কোনও প্রতিযোগিতা নয়, আঞ্চলিক উন্নয়নের ন্যায্য দাবি

আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত আন্তঃনগর “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” ট্রেন বর্ধিত করার দাবি আজ নতুন নয় — বহুদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। মানববন্ধন করা হয়েছে কয়েকবার
এটা শুধু আঠারবাড়ীর মানুষের নয়, বরং ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন ও খালিয়াজুরীর মানুষের অভিন্ন দাবি।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঈশ্বরগঞ্জ সদরের কিছু ভাই এই দাবি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন — মনে করছেন, যেন আঠারবাড়ী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী!
আসলে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই ট্রেন আঠারবাড়ী পর্যন্ত এলেই ঈশ্বরগঞ্জসহ পুরো অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে — কারণ আঠারবাড়ীই হলো এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু।

---

🔹 ১️⃣ বাস্তবতা: রেলওয়ের সংকট ও সীমাবদ্ধতা

বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে ভয়াবহ ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটে ভুগছে।
এই কারণে অনেক স্টেশন বন্ধ এবং বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় রেলওয়ে নতুন রুটে ট্রেন চালাতে হলে খুব সতর্ক হতে হয় —
যেখানে সামান্য ব্যয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব, সেটাই তারা বেছে নিচ্ছে।

আঠারবাড়ী স্টেশনে বর্তমানে লুপ লাইন, ইঞ্জিন ঘোরানোর ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে — অর্থাৎ এখানে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন চালানো সম্ভব।
শুধুমাত্র একটি অর্ডারে

---

🔹 ২️⃣ ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন কেন এখনই সম্ভব নয়

ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন আমাদেরই সদরে, কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি বর্তমানে আংশিকভাবে বন্ধ।
সিগন্যাল ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় নয়, লোকবল সংকটও আছে।
তাছাড়া, “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” যেহেতু ভৈরব হয়ে ঢাকা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনটি সেই রুটের তুলনায় কিছুটা উল্টো দিকে পড়ে।

তাই এখন যদি ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত নিতে হয়, তাহলে:
👉 নতুন করে রেলওয়ে সংস্থার অনুমোদন নিতে হবে,
👉 আলাদা রেক (train set) বরাদ্দ করতে হবে, কারণ কিশোরগঞ্জে যে সময় দাঁড়িয়ে থাকে এই সময়ে আঠারবাড়ী পর্যন্ত চালানো সম্ভব হলেও ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত সম্ভব না 👉 এছাড়া কারিগরি সমস্যা তো আছেই, সিগন্যাল ও লুপ লাইন উন্নয়নের কাজ করতে হবে। এগুলো সময়সাপেক্ষ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া — যা একদিনে সম্ভব নয়।

অন্যদিকে আঠারবাড়ী পর্যন্ত বর্ধিত করতে এসব কিছুই দরকার নেই। কারণ সব সুবিধা ইতিমধ্যেই সম্ভব।

---

🔹 ৩️⃣ কেন আঠারবাড়ী সবচেয়ে উপযুক্ত পয়েন্ট

আঠারবাড়ী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলারই অংশ — তাই ঈশ্বরগঞ্জের উন্নয়ন মানেই আঠারবাড়ীর উন্নয়ন।
আঠারবাড়ী স্টেশনটি ভৌগোলিকভাবে এমন স্থানে অবস্থিত যেখানে: ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন ও খালিয়াজুরীর মানুষ সহজে আসতে পারে, এবং কিশোরগঞ্জের পরবর্তী প্রধান বড় স্টেশন হিসেবেও এর অবস্থান রেলওয়ের কাছে যুক্তিযুক্ত।

সবচেয়ে বড় কথা —
কিশোরগঞ্জে ট্রেন প্রায় ২ ঘণ্টা অব্যবহৃত থাকে।
এই সময়েই সহজে আঠারবাড়ী পর্যন্ত যাওয়া-আসা সম্ভব, অতিরিক্ত রেক বা ইঞ্জিনের দরকার নেই।
এতে রেলওয়েরও লাভ, যাত্রীদেরও সুবিধা।

---

🔹 ৪️⃣ আঠারবাড়ী প্রথম ধাপ, ঈশ্বরগঞ্জ পরের ধাপ

আমরা কখনো বলিনি ট্রেন ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত যাবে না।
বরং আমরা চাই — ধাপে ধাপে উন্নয়ন হোক।
প্রথমে আঠারবাড়ী পর্যন্ত ট্রেন চালু করা সম্ভব হলে তারপর রেলওয়ে যখন নতুন রেক ও জনবল পাবে, তখন ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ দাবি জোরালো করা যাবে তখন কিশোরগঞ্জের মত আঠারবাড়ী বাদা থাকবে না,, বর্তমানে কিশোরগঞ্জে অনেক বাধা সৃষ্টি করবে, এখন আমরা যদি নিজেদের ভিতর বাঁধা সৃষ্টি করি তখন আম ও যাবে চালাও যাবে, কারণ রেলওয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোডে চাইলেও নতুন ট্রেন চালু করতে পারতেছে না যেমন টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস সুবর্ণচর এক্সপ্রেস সহ আরো একাধিক ট্রেন অনুমোদন হয়ে আছে কোচ ইঞ্জিন সংকটে চালু সম্ভব হচ্ছে না

কিশোরগঞ্জ দুই ঘন্টা সময় যেহেতু এটি বসে থাকে এবং আঠারবাড়ী পর্যন্ত সম্ভব, এই যৌক্তিক দাবি টি বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী ,তাই চলুন বিভাজন নয়, ঐক্য দরকার

কিছু মানুষ “আঠারবাড়ী বনাম ঈশ্বরগঞ্জ” বানাতে চাইছেন — এটা দুঃখজনক।
আসলে আঠারবাড়ী ঈশ্বরগঞ্জেরই গর্ব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মানেই আঠারবাড়ী, আর আঠারবাড়ী মানেই ঈশ্বরগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র।

তাই হিংসা নয়, বাস্তবতা বোঝা দরকার।
এটা কাউকে বাদ দেওয়ার আন্দোলন নয় — বরং সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান।

---

📢 আমাদের আহ্বান:

✅ “এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস” ট্রেনটি আঠারবাড়ী পর্যন্ত দ্রুত বর্ধিত করা হোক।
✅ পরবর্তীতে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নতুন রেক আদায় করে ধীরে ধীরে আরও সম্প্রসারণ করা হোক।
✅ আঞ্চলিক ঐক্যের মাধ্যমে ঈশ্বরগঞ্জকে উন্নয়নের ট্র্যাকে তোলা হোক।

বিঃদ্রঃ আজ শুক্রবার ২৪ অক্টোবর বিকাল ৪ঃ০০ আঠারবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

23/10/2025

একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি

আজ সকাল আনুমানিক ১০ হইতে ১১টার সময় আঠারবাড়ী পিকাপ স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি দিয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে সিএনজির মধ্যে জমির দলিল সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভুলক্রমে পেলে চলে আসেছে।

যদি কোন সুহৃদয়বান ব্যক্তি পেয়ে থাকেন, অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করবেন প্লিজ। মনিরুল ইসলাম বিপ্লব 01756526413

Address

Mymensingh

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমাদের আঠারবাড়ী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আমাদের আঠারবাড়ী:

Share