02/03/2025
রমজানের ফজিলত ও সওয়াব বৃদ্ধির পরিমাণ
1. সাধারণ নেক আমলের সওয়াব ৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়।
- হাদিসে এসেছে: "রমজানে একটি নফল ইবাদত করলে ফরজের সওয়াব আর ফরজ আদায় করলে ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।" (ইবনে খুযাইমাহ: ১৮৮৭)
2. এই মাসে কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অসীম।
- রাসুল (সা.) বলেছেন: "রমজানে এক অক্ষর কোরআন পড়লে সাধারণ সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।"
3. রমজানে দোয়া কবুল হয়।
- "রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।" (তিরমিজি: ৩৫৯৮)
4. গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ।
- রাসুল (সা.) বলেছেন: "যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা রাখবে, আল্লাহ তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।" (বুখারি: ৩৮)
5. শবে কদরের এক রাত ৮৩ বছরের ইবাদতের চেয়েও উত্তম।
- "শবে কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।" (সূরা কদর: ৩)
6. সদকা ও দান করার সওয়াব বহু গুণ বৃদ্ধি পায়।
- রাসুল (সা.) রমজানে সবচেয়ে বেশি দান করতেন, এই মাসে দানের সওয়াব বহুগুণ বেড়ে যায়।
7. উমরাহ করলে হজের সমান সওয়াব।
- "রমজানে উমরাহ করলে তা হজের সমান সওয়াবের অধিকারী হবে।" (বুখারি: ১৭৮২)
*শেষ কথা*
রমজান এমন একটি মাস, যেখানে আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হয়। এটি আমাদের গুনাহ মাফের এবং জান্নাত লাভের শ্রেষ্ঠতম সুযোগ। তাই আমাদের উচিত এই মাসকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং আমাদের পরিবার-বন্ধুদের দ্বীনের পথে আহ্বান করা।🥰
আসুন, এই রমজানে আমরা নিজেদের বদলাই, আল্লাহর পথে ফিরে আসি এবং অন্যদেরও দ্বীনের পথে ডাকি🥰