29/04/2025
ময়মনসিংহে র্যাবের অভিযানে ইয়াবা কারবারি মানিক গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ নগরী থেকে এলাকা থেকে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪)। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) র্যাব-১৪ ওয়ারেন্ট অফিসার শাহীনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বিল্লাল হোসেন মানিক। ওয়ারেন্ট অফিসার শাহীনুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ জেলার কোশ্লোগ মডেল মা এলাকা উহল ডিউটি করাকালীন ইং ২৪/০৪/২০২৫ আনুমানিক বিকাল ১৭.২৫ ঘটিকায় মোবাইল নম্বর-০১৭। ০৯০৭২৯ হতে আমার ইহল দলের সমস্য কনস্টেবল মোঃ সোহেল রানা এর মোবাইল নম্বর ০২০০৯-৮৮৬৯৫০ তে একজন লোক যে করে সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন মানিক পরিচয় দিয়ে জানান যে, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন ২৯, পণ্ডিত পাড়া, জিলা স্কুল মোড় সংলগ্ন লাইফ কেয়ার মেডিসিন সপে অবৈধ মাদকদ্ররা ইয়ারা বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। উক্ত সংসদের সত্যতা যাচাইয়ের সেনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবস্থিত করে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বর্ণিত স্থানে ইং ২৪/০৪/২০২৪খ্রি আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় পৌছানের পর পোশাক পরিহিত র্যাব সদসাদের দেখিয়া আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে উপস্থিত লোকজনের সামান সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মনুর মোহাম আরাফাত এর লাইফ কেয়ার মেডিসিন কর্নারে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতালে ৩-তানের সামনের অংশে রমেন মুখে প্রাণের তৈরী পলি জিপারে রক্ষিত হালকা গোলাপী রংয়ের ৩৭ (সাইত্রিশ) গিস কথিত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পাইয় ইয়াবা সম্পর্কে দোকান মালিক মোঃ মাহমুদুল জানান যে, দোকানের সামনের অংশে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে। এরা বক্সে বরতে এবং তাতে কিন্তু রেখে যতে পারে। তিনি মোঃ । সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮) নামে এক ব্যক্তির সন্দেহজনক আগমন এবং দোকানের সামনে বক্সগুলো নাড়াচও মাতামাতিব বিষয়ে জানান। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সকলেই ফার্মেসীর মালিক মোঃ মাহমুদুল হাসান কখনই মাদন এতে বিষয়ে সশুরু ইওয়ার মত লোক না বলে জানান। উদ্ধারকৃত আলামত দোকানের সামনের অংশে রক্ষিত খাবার স্যালাইনের পর মোলামেলাভারে পড়ে অবগত নয় মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিলে তারা কামাকে দোকানে সংরছি। আসিটিভি ফুটেজ সংগ্রাম ও পর্যালোচনা করার পরামর্শ প্রদান করেন। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী ১) মোঃ মাহমুদুল হাসান আরাফাত ৩৫), পিতা-মৃত আব্দুস (৫৪), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন, সাং-নিম্নরীয়া, ইউ/পি-মানকোন, ওয়ার্ড নয়-৪, খানা-মুক্তাগাছা, জেলা-ময়মনসিংহ, মোবাঃ। ০১৯০৪১১৯০০৫ ও ৩। মোঃ রকিব আল হাসান (২৬), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান, সাং বৌদ্ধবাড়ি, হড/পি-২ আম, থানা-ফুলবাড়িয়া, এ/পি-সানকিপাড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ, মোনা। ০১৯০৬৯৩৯৫৬৫ সহ অন্যান্য লোকজনের উপস্থিতিতে মেডিসিন সপের সামনের রেকের উপর রক্ষিত স্যালাইনের বক্সের ভিতর। ০১ (এক) টি সাদা রংঙের টিস্যুর ভিতনে সাদা রাঙের বায়রোবক পলিজিপারের ভিতরে রক্ষিত ৩৭ (সাইত্রিশ) পিস কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট যার ২৬ (স্থালিশ) টি ট্যাবলেটের গায়ে ডণ এবং ১১ (এগার) টি ট্যাবলেটের গায়ে 'জ' লিখা আছে। প্রতি পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের ওজন ০.১ গ্রাম করে মোট ওজন (৩৭২০.১)= ৩.৭ (তিন দশমিক সাত) গ্রাম। প্রতি পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের অবৈধ বাজার মূলা ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা করে সর্বমোট মূল্য। ২০০৯৩৭)০১৮,৫০০/-(আঠারো হাজার পাঁচশত) টাকা, ৫) ঘটনা সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজের একটি সিডি ডিস্ক উদ্ধারপূর্বক তারিখ ২৪/০৪/২০২৫ খ্রিঃ রাত্রি ২০.৪০ ঘটিকায় উক্ত আলামত আমার নির্দেশে সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) অনিক চন্দ্র দেব পর্যাপ্ত বিদ্যুতের আলোতে গণনা ও পরিমাপ করে জব্দ তালিকামূলে জব্দ করেন এবং উপস্থিত সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করত্য নিজেও স্বাক্ষর করে জব্দকৃত আলামত আমার হেফাজতে প্রদান করেন। পরবর্তীতে দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ইং ২৪/০৪/২০২৫ খ্রি: ১৬.৪৮ ঘটিকায় পাঞ্জাবি-পাজামা এবং চোখে রঙিন চশমা পরিহিত একজন লোক ফার্মেসীর সামনের অংশের কাচের র্যাকের সামনে এসে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে তিনি ব্যাকের উপরে থাকা স্যালাইনের বক্স থেকে ০১ টি স্যালাইন নেন এবং উক্ত সময়ে তিনি সুকৌশলে স্যালাইনের বয়ে কথিত মাদকদ্রব্য ইয়াবা রাখেন। তাৎক্ষনিকভাবে সিসিটিভি ফুটেজের উক্ত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব না হলেও উক্ত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তের জন্য গোপনে স্থানীয় সোর্স নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে সোর্সের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজে থাকা ব্যক্তি মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সাং-০২নং জি.সি রোড, বিদ্যাময়ী স্কুলের পিছনে, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ বলে জানা যায়। এছাড়া আরও জানা যায় যে, মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮) এর সাথে বিল্লাল হোসেন মানিক (৩৮) এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। গত ইং ২৪/০৪/২০২৫খ্রি. তারিখ আনুমানিক বিকাল ১৭.২৫ ঘটিকায় মুঠোফোনে ধৃত আসামী বিল্লাল হোসেন মানিক (৩৮) মোবাইল নম্বর-০১৭১২০৯০৭২২ হতে র্যাব সদস্য কনস্টেবল মোঃ সোহেল রানা এর মোবাইল নম্বর ০১৩০৯-৮৮৬৬৫৩ কল দিয়ে জানান যে, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন ২৯, পন্ডিত পাড়া, জিলা স্কুল মোড় সংল্যা লাইফ কেয়ার মেডিসিন সাপের সামনের গ্লাসের ব্যাকের উপর স্যালাইনের বক্সের মধ্যে মাদকদ্রব্য ইয়াবা রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধৃত আসামী বিল্লাল হোসেন মানিক (৩৮) তার পরিচিত পলাতক আসামী মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮) এর সাথে পরস্পর যোগসাজসে লাইফ কেয়ার মো। সিন কর্নারের স্বত্তাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান আরাফাতকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পলাতক আসামী মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮। এর মাধ্যমে স্যালাইনের বক্সের মধ্যে মাদকদ্রব্য ইয়াবা সুকৌশলে রাখেন। পরবর্তীতে ধৃত আসামী বিল্লাল হোসেন মানিক (৩৮)'কে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ২৮/০৪/২০২৫খ্রি. ২২.৫০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডছ ওয়ারল্যাস পশ্চিমপাড়। সাকিনস্থ সাইদুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে ধৃত করি। উক্ত সময়ে উপস্থিত সাক্ষী ১। মোঃ লিটন (৫০), পিতা-মৃত সুলতান, মাতা-মৃত জোবেদা খাতুন, সাং-আকুয়া পশ্চিমপাড়া, ওয়ার্ড নং-২৮, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, মোবা: ০১৭১০৫০৫০৪৫, ২। মোঃ আলম (৩২), পিতা-মৃত নাদিম উদ্দিন, মাতা-মৃত জোবেদা খাতুন, সাং-আকুয়া পশ্চিমপাড়া, ওয়ার্ড নং-২৮, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, মোবা। ০১৭৭৬৮৫১১৪৭ ও ৩। মোঃ সোহান মিয়া (২৭), পিতা-সুরুজ আলী, মাতা-মৃত রিনা বেগম, সাং-আকুয়া পশ্চিমপাড়া, ওয়ার্ড নং-২৮. মোবা: ০১৮২৪৯৪৯৯৮৬, সর্বথানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামী বিল্লাল হোসন মানিক (৩৮) এর দেহ তল্লাশি করে তার নিজ যাতে বাহির করে দেওয়া মতে ০১ (এক) টি ঙহবচষঁং ১০জ ৫এ এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং যার ওগঊও১-৮৬৪০৪৯০৬০৫৭৩৬৫৮, ওগঊও২-৮৬৪০৪৯০৬০৫৭৩৬৪১, সংযুক্ত সীম নং-(১) ০১৭১২০৯০৭২২ সীম-(২)০১৭১৫৯৪৮৫৯২ উদ্ধারপূর্বক আমার নির্দেশে সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) অনিক চন্দ্র দেব পর্যাপ্ত বিদ্যুতের আলোতে জব্দ তালিকামূলে জব্দ করেন এবং উপস্থিত সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করতঃ নিজেও স্বাক্ষর করে জব্দকৃত আলামত আমার হেফাজতে প্রদান করেন। উপস্থিত সাক্ষী দের সম্মুখে ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান যে, লাইফ কেয়ার মেডিসিন কর্ণারের স্বত্তাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান আরাফাতের সাথে তার পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসতেছে। মোঃ মাহমুদুল হাসান আরাফাতের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে তার সহযোগী পলাতক আসামী মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক (৪৮) এর মাধ্যমে স্যালাইনের বরোর মধ্যে মাদকদ্রব্য ইয়াবা সুকৌশলে রাখান। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদ্বয় অন্যের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট রাখিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) টেবিল এর ১০০০/৪০/৪১ ধারার শাস্তিযোগা অপরাধ করেছে। আমি সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স ও পলাতক আসামী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে এবং ২৩ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হলো।