13/08/2025
পবিত্র কোরআন ছোঁয়ে প্রতারণা; বন্ধকী জমির টাকা আত্মসাৎ এর পায়তারা
৭৫ বাংলাদেশ রিপোর্ট।। পানির তলে মোমের বাতি বাও বাতাসে নিভেনা, বাবার নামে জিকির করলে ওজু গোসল লাগেনা। মাথায় ঝুপড়ি চুল রেখে এমন জিকিরে ফিকিরে গাঁজার নৌকা পাহারে চালিয়ে বনে গেছেন ফকির।
বাংলা বইকে জায়নামাজে পেচিঁয়ে পবিত্র কোরআন শরীফ ছোঁয়ে করেছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা। এমন অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী বাদল ফকিরের বিরুদ্ধে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বাদল ফকির ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামের বাসিন্দা। পীরালী বেশে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা করে পড়েছেন বিতর্কের মুখে। দফায় দফায় সালিস দরবার করে তার কাছ থেকে বন্ধকী জমির টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ এনামুল হক ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় বন্ধকী জমির টাকা আত্মসাৎ এর চেষ্টা ও মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাদল ফকিরের মা গত ৫ বছর আগে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য জমি বন্ধক রেখে পার্শ্ববর্তী এনামুল হকের কাছে ২০ শতক জমি বন্ধক রেখে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা শর্ত সাপেক্ষে ধার নেয়। টাকা ফেরৎ দেওয়া পর্যন্ত জমির হালচাষ করবে মোঃ এনামুল হক। ধীরে ধীরে বাদল ফকির মাদকের সাথে জড়িয়ে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় হয়েছে। তার বাড়ীর পাশে উদ্রাঘরে চলে হরদম মাদকের আসর।
হঠাৎ বন্ধকী জমির টাকা ফেরৎ না দিয়ে বহিরাগত চিহ্নিত কিছু দুষ্কৃতিকারী সাথে নিয়ে দা লাঠির মহরা দিয়ে জোরপূর্বক বন্ধকী জমি নিজের দখলে নেয়।
সরেজমিনে গিয়ে বাদল ফকিরকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা-বাবা বক্তব্যে, বাদল ফকিরের টাকা ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে কোন সত্যতার প্রমান মিলেনি। টাকা দেওয়ার সময় পাশের ঘরের আমিনুল ইসলামকে প্রত্যক্ষ সাক্ষী মানা হয়েছে, তাৎক্ষনিক তাদের সামনে আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
বাদল ফকিরের প্রতিবেশীদের সাক্ষাৎকারে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কোন সত্যতা পাওয়া না গেলেও মাদকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট উঠে এসেছে।
পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও বহিরাগতদের মহরায় টাকা আত্মসাৎ করে জমি দখলে নেওয়ায় এলাকায় আলেম সমাজসহ স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে উত্তপ্ত পরিবেশ। যেকোন সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।
অভিযোগের তদন্তকারী এসআই কুমোদ লাল দে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শিবীরুল ইসলাম আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা ওসি স্যারের কাছে উপস্থাপন করব। স্যারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।