Ahmad Rafi

Ahmad Rafi Research ★ Analysis ★ Execute
Research Market, Public Phycology & Political PR

01/10/2025
মানুষ জন্মগত শয়তান, শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে মুখোশে থাকে।
29/08/2025

মানুষ জন্মগত শয়তান, শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে মুখোশে থাকে।

এক ভয়াবহ অদৃশ্য সংকটে বাংলাদেশ।সম্পত্তির জন্য গত ২৭ আগস্টে ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের চোখ তুলে নেওয়া কিংবা ১২ জুলাই ২০২৫-এ চ...
28/08/2025

এক ভয়াবহ অদৃশ্য সংকটে বাংলাদেশ।সম্পত্তির জন্য গত ২৭ আগস্টে ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের চোখ তুলে নেওয়া কিংবা ১২ জুলাই ২০২৫-এ চাঁদার জন্য প্রকাশ্য রপ্তায় কাউকে পাথর মেরে তখন ওর মত নির্মম ঘটনা ঘটে তখন ভাবতেই হয় যে এত অমানুষ যখন হয়ে গেল। হুট করে মনে হতে পারে এগুলো কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বা পুরনো শত্রুতার কারণে ঘটেছে ঘটনাগুলো। এগুলো বাদ দিলেও এরকম অহরহ ঘটনা আমাদের আশেপাশে ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন ছোট্ট একটা কারণ কে কেন্দ্র করে অনেক বড় ধরনের হত্যা পর্যন্ত হচ্ছে। তবে এর পেছনের কারণ এবং এই রকম ঘটনার ইতিহাস আপনার চোখের বিস্ফোরণ ঘটে যাবে।


১৭৯৩ সালের পর ফ্রান্সে তৈরি হয় এক ভয়াবহ অরাজকতার পরিবেশ , চারিদিকে খুন অন্যায় চুরি ডাকাতি, বিশৃঙ্খলা সহ শত শত খুনের ঘটনা ঘটেছে, ঘটনা এত ভয়াবহতা ছিল যে একটি মৃত্যু সময়ের মধ্যেই তিনবার গণঅভ্যুত্থানে লাগে

এরকম আরেকটা ঘটনা ঘটে ১৭৪৭ সালের দিকে, সহস্র মানুষ খুন হত্যা রাহাজানি একের পর এক মানবীয় গুণবালীর বিলুপ্ত হয়েছিল সেই সময়। এই অরাজক পরিবেশ এত বেশি ছিল যে ইতিহাসবিদরা বলেন প্রায় ৭৫ হাজার নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণ হত্যা ধর্মান্তরিত করা হয়।

শুধু ভারতী নয় ১৯৯১ সালের দিকে বাংলাদেশেও শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতার দাঙ্গা হাঙ্গামা আগুন অন্য সাম্প্রদায় কে হামলা সহ নানা রকমের ঘটনাটা কি হয়েছিল বাংলাদেশ।

১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডার গণহত্যা বলুন কিংবা ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতন প্রতিটি ঘটনায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও মানুষের দয়াময় হীনতার হিংস্রতার এক আলাদা রূপ প্রকাশ করে দিয়েছিল।

তুই কি ভয়াবহ ঘটনাগুলো পড়ার পরে হয়তো আপনি ভাবছেন যে হুট করে কি হয় মানুষ কেন এরকম অমানুষ হয়ে যায় কিন্তু সবচাইতে রহস্য ও ভয়ের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি ঘটনায় ঘটেছিল তখনকার সময়ের প্রতিটি স্বৈরশাসক পতনের পরেই প্রতিটি দেশেই এরকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল দেশবাসী……জি হ্যাঁ !

👉 রাজনৈতিক বা স্বৈরশাসক পতনের পর কেন হয় এই সহিংসতা ?

কারণ:

🛑 আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়ে।
মানুষ ভেবে নেয় তখন অপরাধ করলে শাসন বা আইনের আওতায় আনার কেউ নেই।

🛑 ভিন্ন ভিন্ন দল ও মতবাদ তৈরি হয়, তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন।

🛑 পূর্বের শত্রুতা।

🛑 দখলদারি মনোভাব ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ও তা অভাবের কারণে হয়ে থাকে।

👉 কিন্তু আইনের শাসন ভেঙে পড়লেই কি মানুষ এরকম অমানবিক ও অরজগতের মেতে উঠবে তার সামাজিক যে গুণাবলী মানবিক সবচেয়ে হারিয়ে যাবে ??? আর মেতে উঠবে সকল অসামাজিক কাজে?

ঠিক এরকম একটি প্রশ্ন মনে এসেছিল ড. সিগমন ফ্রয়েড এর । তখন তিনি শুরু করেন গবেষণা আর আবিষ্কৃত হয় Duality of Human Nature নামে আলাদা একটি থিওরি যা প্রমান করতে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে একটি শয়তান। মানুষের ভিতরেই দুটি সত্তা বিদ্যমান থাকে একটি সত্য হয়তো সামাজিক পারিবারিক কিংবা নৈতিকতার কথা ভেবে কাজ করে আরেকটি সত্তা জাগিয়ে তুলে মানুষের সেই অমানবিক ও পাশবিক ও নির্মমতার প্রতিচ্ছবিগুলো।

শুধুমাত্র ডক্টর সিগমন ফ্রয়েড এই নয় আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে করা হয়েছিল একটি পরীক্ষা।
টেনফোর্ড ইউনিভার্সিটি এর বেসমেন্টে তৈরি করা হয় একটি কৃত্রিম জেলখানা, আর একজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জন কে করা হয় আসামি আর ১৪ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কারা রক্ষী হিসেবে, একসাথে পড়াশোনা করা ২৮ জন মানুষ এর মাঝে শুধুমাত্র লোহার তৈরি একটা খাঁচা বদলে দিয়েছিল মানুষের স্বাভাবিক চরিত্রকে। সেদিন ১৪ জন কারো কি হয়ে গিয়েছিল অমানবিক নিষ্ঠুর আর ভয়াবহ সব নিষ্ঠুরতা গিয়ে নিয়েছিল তাদের। দু সপ্তাহের এই এক্সপেরিমেন্ট এত ভয়াবহতা তৈরি করা শুরু করেছিল যে মাত্র ৬ দিন পরে তা বন্ধ করে দিতে হয়। এই রকম ঘটনার তালিকা অনেক বড়।

যখন একটি রাজনৈতিক দলের পতন ঘটে, তখন আরেকটি দলের কর্মীরা প্রায়শই উগ্র ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর ফলেই শুরু হয় একের পর এক হত্যাকাণ্ড, প্রতিশোধ, গুজব, উস্কানি আর গণউন্মাদনা। মানুষ যখন একবার এই উন্মাদনার স্বাদ পায়, তখন আর সহজে তা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। ইতিহাসে ১৭৯৪ ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন কিংবা রুয়ান্ডা গণহত্যা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ইতিহাস বলে—প্রতিটি গণঅভ্যুত্থানের পরে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে নতুন আরেকটি অস্থিরতা তৈরি হয়। উপরের তথ্য উপাত্ত গুলোর দিকে তাকিয়ে আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যায় ঠিক কাছাকাছি প্রতিচ্ছবি তবে কি বাংলাদেশী আসছে আরেকটি ভয়াবহ অমানবিকতার কালো ছায়া ১৯৭১ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে খবর মিলিয়ে মোট অভ্যুত্থান সংখ্যা ১১টি+। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থাও এরকম একটি ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে হয়তো আগামী দিনে কোন আরেকটি কালো ছায়া গ্রাস করে নিবে আমাদের যদি না এখনই লাগাম টেনে ধরা না হয় ।

যে কোন দেশের জন্য অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়গুলো খুবই স্পর্শকাতর ও এগুলো হ্যান্ড সামাল দিতে হয় খুবই সাবধানতার সাথে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানসিক বিশেষজ্ঞ সকল দলের সম্মিলিতভাবে। কিন্তু আফসো বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে রাজনৈতিক দলের কোন পরামর্শের প্রয়োজন হয় না কারণ তারা প্রতিটি দলেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে কম নয় এক একটি ব্যাংকের চাইতে কম নয় এক একটি সম্রাজ্যের চাইতে কম নয়। ভাই কখনোই তাদের প্রয়োজন পড়ে না কোন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কিংবা মানসিক বিস্তারকদের।

নির্বাচন স্বাভাবিকভাবেই দেশের পরিস্থিতি কি একটু উত্তপ্ত করে তুলে এটি প্রতিটি দেশের একটি স্বাভাবিক ঘটনার অন্তর্ভুক্ত তবে অভ্যুত্থান পরবর্তী নির্বাচন হয়তো আরেকটি অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা খুলে না দেয় সেই ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে সর্ব রকম উপায়ে সাবধান থাকতে হবে , দেশের প্রতিটি দল মত নির্বিশেষে।

যদি এসব পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে সামনে আসতে পারে ২০০৭ সালের মতো আরেকটি ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট। যেমন সে সময় পুরো জাতি অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছিল, তেমনি আবারও বাংলাদেশ অরাজকতা, হানাহানি ও গভীর রাজনৈতিক বিভাজনের দিকে ঠেলে যেতে পারে।

ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়—অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার ফল সবসময় রক্তক্ষয়ী। আজকের এই সংকট শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং জাতির নৈতিকতা ও মানবিকতার যদি না এখনোই আইন বিচার ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দল গুলোকে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বচ্ছতা সচেতনতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে না আনা যায়, তবে আগামী দিনের বাংলাদেশ আরও ভয়াবহ অরাজকতার মুখোমুখি হবে।

তবে আশার আলো এখনো আছে—যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যদি রাষ্ট্র ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার ভিত্তি গড়ে তোলে, তবে ধ্বংস নয়, পুনর্জাগরণের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়তো এখনোই, কারণ কাল হয়তো কোন কালো দিন হয়ে আসতে পারে।

visit Ahmad Rafi

"ওপেন সোর্স” শব্দটা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের কাছে, ওপেন সোর্স মানে হলো জ্ঞান ভাগাভাগি ...
28/08/2025

"ওপেন সোর্স” শব্দটা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের কাছে, ওপেন সোর্স মানে হলো জ্ঞান ভাগাভাগি করা, সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা, আর দক্ষতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে দুঃখজনকভাবে আন্দোলন হচ্ছে—ডিপ্লোমা পাশ'রা নাকি ইঞ্জিনিয়ার পদে আবেদন করতে পারবে না!

কিন্তু আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল প্রোগ্রামার প্রকৌশলী এই পরীক্ষা গুলোর মান নিয়ে। কি স্ট্যান্ডার্ড এর মাধ্যমে ওরা মানবন্টন সাজিয়েছে , নিচে টেকনিক্যাল প্রশ্ন কিছুটা স্যাম্পল দেওয়া হলো ওইটা দেখে স্ট্যান্ডার্ডটা বুঝে নিয়েন।

একজন প্রকৌশলী নির্বাচনের পরীক্ষার মান যদি এত তুচ্ছ সস্তা হয় , আর এই পরীক্ষায় শুধুমাত্র বিএসসি দিতে চাচ্ছে, তাহলে আর এটাতেও একটা ডিপ্লোমা পাস পোলার সাথে ডিল করতে ভয় পাচ্ছেন..! শেম..।

কেন নিয়োগ পরীক্ষার মান এত নিচু? কেন এমন প্রশ্ন থাকবে যেটা এসএসসি পাশ একজনও সমাধান করতে পারে? যেখানে দুনিয়া পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আর সেই ওপেন সোর্সের মতো চিন্তাধারা যুগে যেখানে মেধা আর দক্ষতাকে প্রাধান্য না দিয়ে শুধুমাত্র সার্টিফিকেটের মুলা দেখানো নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় ।

ডিগ্রি ও পেশাগত পদবীর মাঝে একটা পার্থক্য থাকেই আর থাকাও উচিত ।
তবে শিক্ষা ব্যবস্থার মান, প্রশ্নের মান, এগুলো নিয়ে কথা না বলে , রাস্তায় আন্দোলন করা শুধুমাত্র নিজেদের নগ্নতা প্রকাশ ব্যতীত আর কিছুই প্রকাশ পায়নি।

👉 তাই আন্দোলনের আসল জায়গা হওয়া উচিত প্রশ্নপত্রের মানোন্নয়ন, নিয়োগ পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ ও মেধার সঠিক মূল্যায়ন—না যে, “কে ইঞ্জিনিয়ার বলা যাবে আর কে যাবে না। যেরকম নার্স গণ নিজেকে ডাক্তার বলতে আসে না।

রক্তঝরা বিজয়ে, রক্তদান ।🇧🇩🇧🇩
05/08/2025

রক্তঝরা বিজয়ে, রক্তদান ।
🇧🇩🇧🇩

Dream is the most powerful Drug,If anyone start to Dream anything He is ready to Lose anything.
03/08/2025

Dream is the most powerful Drug,
If anyone start to Dream anything
He is ready to Lose anything.

এত শত সমস্যার মধ্যেও একটা মনোবল ছিল, ক্ষতিই ত হচ্ছে সব ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিন্তু আজকে ফাইনালি আইএম ডান,  গিভ আপ 🙏। সব হ...
15/05/2025

এত শত সমস্যার মধ্যেও একটা মনোবল ছিল, ক্ষতিই ত হচ্ছে সব ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিন্তু আজকে ফাইনালি আইএম ডান, গিভ আপ 🙏।
সব হইলেও জেলি'রে পাব কই...? অফিস থেকে আসার পর থেকে রাত ৩/৪ টা পর্যন্ত, আমার অথবা ল্যাপটপের পাশে বসে থাকার অভ্যাসটা 💔 কোনসময় ধমক মারলে কোলে না নেওয়া পর্যন্ত যেন অভিমান কমতোই না। মিস ইউ জেলি, ধমক আর দেওয়া হবে না।
জেলি: মৃত্যু- ১৫ মে ২০২৫

যারা ই কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেব তাদের জন্য ফুল গাইড লাইন এখানে আছে। প্রোডাক্ট রিসার্চ থেকে শুরু করে সেলস পর্যন্ত।
05/05/2025

যারা ই কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেব তাদের জন্য ফুল গাইড লাইন এখানে আছে। প্রোডাক্ট রিসার্চ থেকে শুরু করে সেলস পর্যন্ত।

আজকের পোস্ট টা একটু আলাদা, আমি মেক্সিমাম টাইম লিখি বিজনেস নিয়ে, আজকে লিখব বিভিন্ন প্রফেশনাল ব্যক্তিত্বদের নিয়ে। আচ্ছা ডি...
03/05/2025

আজকের পোস্ট টা একটু আলাদা, আমি মেক্সিমাম টাইম লিখি বিজনেস নিয়ে, আজকে লিখব বিভিন্ন প্রফেশনাল ব্যক্তিত্বদের নিয়ে। আচ্ছা ডিজিটাল প্রেজেন্স কি শুধুমাত্র বিজনেসম্যানদেরই প্রয়োজন হয় নাকি সকল পেশার সকল মানুষদেরই প্রয়োজন..?

একটা সময় ছিল শুধুমাত্র খাদ্য সামগ্রী বা নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুই ছিল বিক্রি উপযোগী পণ্য, কালের পরিক্রমায় বর্তমান সময়ের প্রতিটা সার্ভিস এই এক একটি পণ্য। কিন্তু সে সকল সার্ভিস বা সেগুলোকে ডিজিটালি প্রেজেন্ট করার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে থাকে শিক্ষিত প্রফেশনাল ব্যক্তিবর্গগণ।

ধরা যাক একজন ডাক্তার এটি এমন একটি পেশা যার সর্বোচ্চ সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে, তাই উনাদের এই সবচেয়ে বেশি ডিজিটালই এক্টিভ থাকা প্রয়োজন ছিল কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সবচাইতে বেশি উনারা ইন একটিভ হয়তো সময়ের অভাব নয়তো প্রয়োজন বোধের অভাব। একজন ডাক্তারের যদি ডিজিটাল সেবা দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে অর্ধেক সাধারণ মানুষের সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যেত সেই সাথে তিনিও পেতেন কিছুটা ব্যক্তিগত বা সেলফ ডেভেলপমেন্টের জন্য সময়।

উকিল উনারা সবচাইতে বেশি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকে, কিন্তু ওনাদের অনলাইন প্রেজেন্ট মানেই ফেসবুকে মাঝে মধ্যে দুই একটা পোস্ট এটা ডিজিটাল প্রেজেন্স.? কিন্তু উনারা চাইলেই আরো প্রফেশনালি কাজটা করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা ও অনেক আইনি জটিলতা সহজেই দূর করতে পারতেন।

এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে যেখানে প্রফেশনালদের ডিজিটাল এক্টিভ থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটালই একটিভ থাকা মানে আরেকজনকে সেবা দেওয়া নয় বরং নিজের সার্ভিসের মান ও নিজের কর্মক্ষেত্রকে আরো প্রফেশনালি প্রেজেন্ট করার সুযোগ থাকে। নিচে কয়েকটি ব্যাপারে আলোচনা করা হলো, ডিজিটাল একটিভ থাকার কারণে কিরকম সুবিধা তারা পেতে পারে

১. নতুন ক্লাইন্ট তৈরিতে সহযোগিতা করে: আপনি ডিজিটালই একটিভ থাকার মাধ্যমে আপনার ক্লায়েন্টদের দেওয়া সেবাও আপনার সার্ভিস সম্পর্কে আরো বেশি মানুষকে জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন সেই সাথে আরও বেশি ক্লাইন্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

২. বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা

বর্তমান বাজারে বিশ্বাসযোগ্য সার্ভিস পাওয়া অনেকটাই কঠিন ডিজিটাল একটিভ থাকার মাধ্যমে আপনার সেবার উপর মানুষের আস্থা তৈরি করা সহজ হয় তাই প্রতিটি প্রফেশনাল দের ডিজিটালই একটি থাকা জরুরি

৩. প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাওয়া

প্রতিযোগিতা মূল বাজারে থাকা আপনাকে আরও বেশি অন্যদের চাইতে এগিয়ে রাখবে কেননা এতে করে আপনি আস্থা অর্জন করবেন এবং নেটওয়ার্কিং হয়ে যাবে আপনার এর মাধ্যমে আপনি যে কোন রিসার্চ গবেষণা বা উচ্চ পদস্থ মানুষদের সাথে খুব বেশি কানেক্টেড থাকবেন এতে করে আপনার অন্যান্য প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রেই কিছুটা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকবেন।

৫. গ্রাহক সেবা সহজ করা: ডিজিটালী এক্টিভ থাকার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা অনেক সহজ করা সম্ভব হয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র রিপোর্ট পরীক্ষা করানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে ডাক্তারের সময় নষ্ট করে রোগী দেখতে হচ্ছে সেই ক্ষেত্রে যদি ডিজিটাল সেটা করা যায় তাহলে অনলাইনে রিপোর্ট পরীক্ষা ও প্রেসক্রিপশন পাওয়া যায় এরকম প্রতিটা প্রফেশনে অনেক হ্যাসেল কমিয়ে আরো বেশি কর্ম দক্ষতা অর্জন করা যায়।

৬. বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো

একজন প্রফেশনালের জন্য ডিজিটাল প্রেজেন্স থাকা তাকে বিশ্বব্যাপী পৌঁছাতে সাহায্য করে। এখনকার দিনে, গ্রাহকরা বা ক্লায়েন্টরা শুধু তাদের স্থানীয় এলাকাতেই নয়, বরং পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকেও সেবা নিতে আগ্রহী। একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে, আপনি সহজেই আপনার সেবা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রসারিত করতে পারেন এবং বিশ্বব্যাপী একটি বৃহত্তর গ্রাহক বেস তৈরি করতে পারেন।

৭. ব্র্যান্ডিং এবং পরিচিতি

ব্র্যান্ডিং বা নিজের পরিচিতি তৈরি করা প্রতিটি পেশাদার ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল প্রেজেন্স এর মাধ্যমে আপনি নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন এবং মানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী চিন্তা বা ধারণা তৈরি করতে পারেন। আপনি যেহেতু অনলাইনে থাকবেন, তাই আপনার প্রফেশনাল প্রোফাইল এবং সেবার পরিচিতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।

তাই পরিবেশে একটা কথাই বলতে চাই প্রতিটা সার্ভিসের জন্য নূন্যতম একটা পোর্টফোলিও লিঙ্কডইন প্রফেশনাল প্রোফাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থাকা বাঞ্ছনীয়, শুধুমাত্র ডিজিটাললি এক্টিভ থাকার কারণে লাইফের প্রতিটা ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

এখন সময় এসেছে, প্রতিটি প্রফেশনাল ব্যক্তি ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করিয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার। অনলাইন প্রেজেন্স শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, এটি একটি প্রয়োজনীয়তা যা একজন প্রফেশনালকে তার ক্যারিয়ার বা ব্যবসা সম্প্রসারণে সাহায্য করতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং অনলাইন মার্কেটিং-এর মাধ্যমে, একজন প্রফেশনাল তার সেবা বা পণ্য বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে পারে, নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং তার ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করতে পারে।

28/04/2025

Ad Testing Matrix – কিভাবে আপনি মাত্র ৫০০ টাকা বাজেটে ৫টা কনসেপ্ট টেস্ট করবেন?
আমরা সবাই চাই কম খরচে সেরা রেজাল্ট।
কিন্তু আজও অনেকেই ভাবে — “Testing মানে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হবে!”

আপনি চাইলে মাত্র ৫০০ টাকাতেই বুঝে যেতে পারেন,
👉 কোন Ad কনসেপ্টটা future-এ scale করার মতো
👉 আর কোনটা একেবারে skip করে দেয়া উচিত।
এটাই হলো Lean Testing Matrix —
যেখানে আপনি সিম্পল একটা Framework ফলো করে low-budget A/B testing করতে পারেন,
আর আগেই বুঝে ফেলতে পারেন কোন Ad টাইপ আপনার audience কে বেশি engage করে।

1. Audience Constant (নির্দিষ্ট) রাখুন:
যদি আপনি একই কনসেপ্ট আলাদা আলাদা অডিয়েন্সে চালান, তাহলে আপনি বুঝতেই পারবেন না কোনটা খারাপ পারফর্ম করছে ‘কনসেপ্ট না অডিয়েন্স’? সো Audience হবে নির্দিষ্ট একটা গ্রুপ।
For example:
Location: Bangladesh (বা নির্দিষ্ট city)
Age: 22–35 (যদি আপনার core TG হয়)
Gender: যদি gender-specific না হয়, both রাখুন
Interest: Keep it broad — eg: Online Shopping, Fashion Buyers

2. Ad Set Split করুন (5x):
৫টা Ad Set নিন, প্রতিটি Ad Set এ আপনি ১টি আলাদা কনসেপ্ট বা অ্যাঙ্গেল দিবেন।এতে আপনি ঠিক বুঝতে পারবেন কোন থিম/টোন/কপিই বাস্তবিকভাবে টিকে থাকতে পারছে।
Test করা যায় এমন কনসেপ্ট:
Emotional Storytelling: একজন গ্রাহকের গল্প
Direct Offer: “Buy 1 Get 1 Free”
Problem–Solution: "থোবে কেন ঘামে দাগ পড়ে?" → আমাদের কাপড়ের বৈশিষ্ট্য
UGC Style: ক্যাজুয়াল মোবাইল ভিডিও বা ইনফ্লুয়েন্সার কনটেন্ট
Shock Visual: চোখ ধাঁধানো কালার বা bold hook
Example:
Ad Set 1 – Storytelling (Real buyer journey)
Ad Set 2 – Offer Focused (BOGO)
Ad Set 3 – Product Demo (1-min usage clip)
Ad Set 4 – UGC Style (Influencer selfie style)
Ad Set 5 – Bold Visual + Shocking Headline

3. Manual Budget (ABO) দিন – (Why not CBO?):
কারণ আপনি যদি CBO ব্যবহার করেন, Facebook পুরো বাজেটটা ১–২টা Ad Set এ বেশি দেয়, আর বাকি গুলা ঠিকমতো খরচ করেই না। যদি স্পেন্ড না হয় তাহলে তো বুঝার সুযোগ নেই আদতে Ad টা কেমন ছিলো।
তাই যেভাবে সাজাতে পারেন:
Campaign Type: Traffic বা Engagement
Budget Type: Ad Set Budget (ABO)
Budget: প্রতিটি Ad Set এ ১০০ টাকা
Total: ৫টি Ad Set × ১০০ টাকা = ৫০০ টাকা

4. Run for 24 Hours – (What to look for?):
Conversion না হলেও এই মেট্রিকগুলো দেখুন:
CTR (Click Through Rate)
CPC (Cost per Click)
CPM (Cost per 1,000 impressions)
Post Engagement (Comments, Reactions)

🎯 কোনটা Win করছে কীভাবে বুঝবেন?
যার CTR সবচেয়ে ভালো, CPC কম এবং Engagement বেশি — সেটাই Future Scaling এর জন্য Best Performing Ad.

কেন এটা কাজ করে?
✔️ Low Budget, High Insight
✔️ Emotional vs Offer vs Bold কী বেশি কামায় – বুঝা যায়
✔️ Future Ad Budget Waste হওয়া থেকে বাঁচায়

Bonus Tips:
একই পদ্ধতিতে retargeting audience এর উপরেও আলাদা angle টেস্ট করা যায়।

তবে এখন আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে, যদি অল্প টাকাতেই টেস্টিং কমপ্লিট হয়ে যায় তাহলে শত ডলার খরচ করার কথা কেনো শূনতে পাই, বা বাজেটে Winning Ad পাওয়া পসিবল কিনা? দেখুন, CTR, CPC, Engagement ভালো হলেই সেল বেশি হবে এমনটা হয় না। এক্সাম্পল, আপনি যদি ফানি/ভাইরাল কনটেন্ট দিয়ে ক্রিয়েটিভ বানান সেক্ষেত্রে CPM ও Engagement বেশি আসবে, তবে Result আশানুরূপ আসে না।
তাই এখানে আপনার মেইন মেট্রিক্স হওয়া উচিত CTR ও CPC। তারপরও এগুলো enough না সেল আসবে এমন Winning Ad পাওয়ার জন্য। তবে initially screening করতে পারবেন কি টাইপ এড কাজ করতে পারে।

Creative Testing এর জন্য আপনি কোন মেথড ইউজ করেন কমেন্টে জানান।

28/04/2025

Your childhood is the foundation of your life. Every person carries their childhood throughout their entire life.

এই পোস্টে অনেকেই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করতে পারেন, তবে সত্য এটাই বাংলাদেশের ই কমার্স ব্যবসায়ীদের মত সুপারহিরো শ্রেনীর ব্যব...
28/04/2025

এই পোস্টে অনেকেই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করতে পারেন, তবে সত্য এটাই বাংলাদেশের ই কমার্স ব্যবসায়ীদের মত সুপারহিরো শ্রেনীর ব্যবসায়ী দুনিয়াতে খুবই কম আছে, সবাই না তবে ৯০% এই এইরকম।

উনারা একেকজন ব্যবসায়ী, মার্কেটার, ম্যানেজার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, গ্রোথ এক্সপার্ট সব উনারা একাই পারে। উনারা সুপার হিউম্যান, ফলাফল ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরে ব্যবসা উধাও।

📌 ফেসবুকে এসে পোস্ট একজন দক্ষ এড এক্সপার্ট লাগবে, ইনবক্স করেন।
📌 ১০ ডলার বাজেট সেল কত দিতে পারবেন.?
📌 এই প্রোডাক্ট সেলস কেমন করে দিতে পারবেন.?

এইসব কি ভাই?? এইভাবে মার্কেটিং হয় নাকি করে.? করে অনেক ভাইয়েরা আছেন, না করেও উপায় নাই, কাজ করতে ত হবে।

📌 একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কাজ কি.?
একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কাজ আপনার ব্যবসার একটা স্থায়ী গ্রোথ ও আপনার ব্যবসার পটেনশিয়ালটি টা মানুষের সামনে ডিজিটালি উপস্থাপন করা। এটা একটা প্রসেস এর জন্য সময় লাগে।
আপনারা আসেন ৭ দিনে ৩ দিনে ফল চান কি চান.? সেলস.? আপাতদৃষ্টিতে ছোট একটা সেলস হলেও আপনি বাঁশ খেয়ে যাচ্ছেন। আপনার এডের উপর নির্ভরতা বেড়ে যাচ্ছে৷ যা দীর্ঘস্থায়ী মাঠে ঠিকিয়ে রাখা সম্ভব না।
এইসব আবোলতাবোল কাজে মার্কেটার হায়ার না করে, একজন মার্কেটার হায়ার করুন যিনি আপনার ব্যবসার রোড ম্যাপ ও এর ফলাফল সাথে প্রপার পেইড মার্কেটিং করে আপনাকে একটা দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল দিতে পারবে। আপনার ভিত ঠিক না থাকলে এইসব এড সেলসে আপনার ব্যবসা ধোপে ঠিকবে না।

কথাগুলো একটু আনফরমাল হয়ে গেছে তবে এছাড়া আর বলার ওয়ে পাই নি।

Address

Mymensingh
1219

Website

http://www.politicalinsightsbd.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahmad Rafi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share