Ahmadullah Ashraf - আহমাদুল্লাহ আশরাফ

Ahmadullah Ashraf - আহমাদুল্লাহ আশরাফ ❀─────❣️──────❀

27/11/2024

দুঃখের নদী

আমি চেয়ে থাকি সেই জীবনবৃক্ষে—
যাকে ঘিরে আছে হাজারো দুঃখের কাঁটা
শুধু দেখতে চাই সেই সুখফুলকে—
যাকে পেয়ে জীবনবৃক্ষ একটু হাসি দিবে
ভুলে যাবে সারাজীবনের যুক্ত থাকা কাঁটার কথা
নতুন করে দেখবে একটু বাঁচার স্বপ্ন।

কখনো ঝঞ্ঝাবায়ু ডালপালা ভেঙে দিতে আসবে
দাঁড়িয়ে যাবে সেই ফুল, প্রতিবাদ করে যাবে অহর্নিশ
কখনো খুনসুটি,কখনোবা একটু অভিমান—
বাড়িয়ে দিয়ে যাবে সম্পর্কের মজবুতি!

যদিও—
জীবনবৃক্ষের পাশ দিয়েই বয়ে যায় দুঃখের নদী
বর্তমানের চেয়ে কাঁদিয়ে যায় ভুলে ভরা আদি
অগণিত মানুষ লেগে থাকে নদীকে সাগর বানাতে
এগিয়ে যাওয়ার ব্যত্যয় ঘটিয়ে পিছিয়ে দিতে

আসলে—
এসবের মাঝেই কাটে কাঁটাযুক্ত বৃক্ষের জীবন
সইতে হয় একে একে জন্ম থেকে মরণ।

আহমাদুল্লাহ আশরাফ ।। ২৭-১১-২০২৪

জীবনের পরিবর্তন—০১এই যে আমরা কত সময় কত কাজ করি।কখনো দোকানে আড্ডা দিয়ে বসি।ফ্রেন্ড সার্কেল একসাথে হলেই গল্পগুজব জমিয়ে ফেল...
20/11/2024

জীবনের পরিবর্তন—০১
এই যে আমরা কত সময় কত কাজ করি।কখনো দোকানে আড্ডা দিয়ে বসি।ফ্রেন্ড সার্কেল একসাথে হলেই গল্পগুজব জমিয়ে ফেলি।নিজেকে ছেড়ে দেই অর্থহীন কাজে।অথচ; নষ্ট মানসিকতা সেটাকেই অর্থপূর্ণ মনে করে আছে।ফলে—কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সে বিবেচনা করে অগ্রে যাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না।

যেকোন কাজকে চাই যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে।কোরআন হাদিসকে পিছনে রেখে দেই।অথচ; উচিত ছিলো সবকাজে কোরআন হাদিসকে সামনে রাখা।কোনটা ভালো কোনটা মন্দ যাচাই করে চলা।তা না করে করছি এর উল্টা।

আজ মরে গেলে কাল দুদিন।কীসের এতো বাহাদুরি।এই ধন সম্পদ সবই ফেলে পারি জমাতে হবে অন্ধকার কবরে।সেই জন্য আমাদের কোন ফিকির নেই।চিন্তা ভাবনা নেই।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকল কাজ কোরআন হাদিস মেনে করার তাওফিক দান করো।

18/10/2024

মৃত্যুর পরোয়ানা

যেদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো
আলোহীন মাটির তৈরি কবরে
আপনদের কাছে তখন পর হয়ে যাবো
হারিয়ে যাবো চিরতরে, আসবো না কভু ফিরে

সেই দিনটা যেন হয় এক পবিত্র বার
যাকে লোকে বলে রোজ শুক্রবার
সকাল সকাল শুনায় যেন মৃত্যুর পরোয়ানা
রবের নিকট আমার এটাই কামনা।

বাঁশ কাঁটবে আনবে কাফন
গোসল দিয়ে জানাযা পড়ে দিবে দাফন
সেই দিন কবে হবে সবারই অজানা
শুক্রবারে নিও আমায় করি এই কামনা।

মৃত্যুর পরোয়ানা হয় যেন—পবিত্র কালিমা
জান্নাতী কাপড় যেন হয় দেহের জামা
এটাই ফরিয়াদ ওগো আল্লাহ
শেষ কথা হোক—লা'ইলাহা ইল্লাহ।

প্রার্থনা 🎶🎶🎶আমি তোমার পাপী বান্দাওগো দয়াময়পাপের তাপে জীবন আমারহচ্ছে পুড়ে ক্ষয়দাও গো প্রভূ ক্ষমা আমায়সদা আমি ডাকি যে তোম...
16/10/2024

প্রার্থনা
🎶🎶🎶

আমি তোমার পাপী বান্দা
ওগো দয়াময়
পাপের তাপে জীবন আমার
হচ্ছে পুড়ে ক্ষয়
দাও গো প্রভূ ক্ষমা আমায়
সদা আমি ডাকি যে তোমায়
করে অনুনয়।

আমি তোমার পাপী বান্দা
ওগো দয়াময়।

#লিরিকাংশ
গীতিকার : আহমাদুল্লাহ আশরাফ

15/10/2024

প্রিয় মানুষগুলো সবসময়—
পাশ কাটিয়ে চলতে চায়
বিশেষ করে প্রয়োজনের সময়—
নানান বাহানা দেখায়।

দিনশেষে আমি অধমটা—
এদেরকেই কাছে টেনে নিই
মনের সবটা ভালোবাসা—
এদের জন্যই বরাদ্দ রেখে দিই।

এমনটা কেনো করি তাও—
অজানার তালিকায়
নাকি বিদ্বেষ আর নাকি—
পরম প্রেমের মায়ায়।

মাগো তুমি🎶🎶🎶মাগো তুমি কোথায় গেলেআমায় একা ফেলেদিবানিশি কেঁদে কেঁদেভাসি দুখের জলেকোথায় আছো কেমন আছোআমায় ভুলে কেমনে বাঁচোত...
15/10/2024

মাগো তুমি
🎶🎶🎶

মাগো তুমি কোথায় গেলে
আমায় একা ফেলে
দিবানিশি কেঁদে কেঁদে
ভাসি দুখের জলে
কোথায় আছো কেমন আছো
আমায় ভুলে কেমনে বাঁচো
তোমায় ছাড়া জীবনটা যে
যাচ্ছে বিফলে।

মাগো তুমি কোথায় গেলে
আমায় একা ফেলে

#লিরিকাংশ
গীতিকার:আহমাদুল্লাহ আশরাফ

জীবনে হোঁচট খাওয়ার মতো—অনেক উঁচু নীচু জায়গা পড়বেসেখানটাতে সতর্ক হয়ে চলার—খুব ভূমিকা পালন করবে।দেখবে সেসব উঁচু নীচুরা আপন...
15/10/2024

জীবনে হোঁচট খাওয়ার মতো—
অনেক উঁচু নীচু জায়গা পড়বে
সেখানটাতে সতর্ক হয়ে চলার—
খুব ভূমিকা পালন করবে।

দেখবে সেসব উঁচু নীচুরা আপন—
স্থানেই থাকবে পড়ে
তখন তুমি কেবল পৌঁছতে পারবে—
আপন গন্তব্যের নীড়ে।

এরা দূরের কেউ নয়,খুব কাছের—
যাদের নিয়ে ছিলো তোমার চলাফেরা
গলায় গলায় খাতির আর দোকানে—
ছিলো নিত্যদিন ভিড় করা।

অন্তত নিজেকে গড়তে চাইলে—
এদেরকে চিন্তা থেকে সরিয়ে নাও
এদের উপহাস আর গালিগালাজ—
উপেক্ষা করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাও।

দিনশেষে এরা রয়ে যাবে আগের—
সেই নিম্ন ঠিকানায়
তুমি উঠে যাবে সফলতার—
ঐ পাহাড় উঁচায়।

আসলে বাস্তবতা এমনটাই বলে—
সমসাময়িক ব্যক্তিরা হয় ঢের শত্রু
এরা ভালো চায় না তোমার—
এরা মানুষ নয়; জন্তু!!

──────
#বাস্তবতার_এপিঠ_ওপিঠ
আহমাদুল্লাহ আশরাফ

আপনাকে খুশি করতে আমাকে—কত বাহানা করতে হচ্ছে ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও আপনার—ইচ্ছে মেনে নিতে হচ্ছে। আপনাকে ঘিরে থাকা আমার—না...
14/10/2024

আপনাকে খুশি করতে আমাকে—
কত বাহানা করতে হচ্ছে
ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও আপনার—
ইচ্ছে মেনে নিতে হচ্ছে।

আপনাকে ঘিরে থাকা আমার—
নানান স্বপ্নরা কি কখনো দেখতে পাবে বাস্তবতার মুখ
নাকি দিনশেষে আমাকে সেই—
সইতে হবে সইতে না পারা দুখ।

তবুও জানেন আপনাকে কেনো—
প্রধান্য দেই?
কারণ আপনাকে আমার—
ভালোবাসার পরিমাণটা বেশি

তাই;
আমাকে হারিয়েও আপনাকে খুঁজি
আপনাকে নিয়েই নিজে বাঁচি।।

কাউকে বিশ্বাস করার আগে—চিনতে পারাটা বড়ই কঠিন!!•──আহমাদুল্লাহ আশরাফ
14/10/2024

কাউকে বিশ্বাস করার আগে—
চিনতে পারাটা বড়ই কঠিন!!

•──আহমাদুল্লাহ আশরাফ

তোমার নামে🎶🎶🎶তোমার নামে চিঠি লিখিওগো প্রিয় নবীনিরিবিলি বসে একাআঁকি প্রেমের ছবিদাও গো দেখা স্বপ্নে তুমিওগো প্রিয় নবী তোমা...
14/10/2024

তোমার নামে
🎶🎶🎶

তোমার নামে চিঠি লিখি
ওগো প্রিয় নবী
নিরিবিলি বসে একা
আঁকি প্রেমের ছবি
দাও গো দেখা স্বপ্নে তুমি
ওগো প্রিয় নবী

তোমার নামে চিঠি লিখি
ওগো প্রিয় নবী
নিরিবিলি বসে একা
আঁকি প্রেমের ছবি।

তোমার লাগি হলো দামী
কত জাহেল পাপী
তাইতো আমি তোমার নামে
সদা দরুদ জপি
দাও গো দেখা স্বপ্নে তুমি
ওগো প্রিয় নবী।

তোমার নামে চিঠি লিখি
ওগো প্রিয় নবী
নিরিবিলি বসে একা
আঁকি প্রেমের ছবি।

লিরিক: তোমার নামে চিঠি লিখি ওগো প্রিয় নবী
গীতিকার: আহমাদুল্লাহ আশরাফ

হেদায়েতের ফুল🎶 🎶🎶হেদায়েতের ফুল যে ঐ ফুটলো মদীনায়অশান্ত ঐ মানুষ এলোশান্তিরই ছায়ায়।হলো মানুষ, পেলো শান্তি তোমারই উসিলায়।হে...
14/10/2024

হেদায়েতের ফুল

🎶 🎶🎶

হেদায়েতের ফুল যে ঐ
ফুটলো মদীনায়
অশান্ত ঐ মানুষ এলো
শান্তিরই ছায়ায়।
হলো মানুষ, পেলো শান্তি
তোমারই উসিলায়।

হেদায়েতের ফুল যে ঐ
ফুটলো মাদীনায়
অশান্ত ঐ মানুষ এলো
শান্তিরই ছায়ায়।

কোরআন যাহা সত্য বাণী
প্রভূরই দেয়া
বান্দার লাগি তাঁর যে শোনো
কত যে মায়া
সেই বান্দা দেখলো আলো
বলো কার উসিলায়।

হেদায়েতের ফুল যে ঐ
ফুটলো মাদীনায়
অশান্ত ঐ মানুষ এলো
শান্তিরই ছায়ায়।

লিরিক: হেদায়েতের ফুল যে ঐ ফুটলো মাদীনায়।
গীতিকার: আহমাদুল্লাহ আশরাফ

পরিবেশের বিষাক্ত ছোবলে জীবনটা বড়ই অতিষ্ঠ।ঘুম থেকে ওঠে দেখি শীতের সকাল কুয়াশার আদ্র চাদর মুড়ি দিয়ে হাজির।গাছতলার ঝরা পাতা...
14/10/2024

পরিবেশের বিষাক্ত ছোবলে জীবনটা বড়ই অতিষ্ঠ।ঘুম থেকে ওঠে দেখি শীতের সকাল কুয়াশার আদ্র চাদর মুড়ি দিয়ে হাজির।গাছতলার ঝরা পাতার গায়ে দেখা যাচ্ছে শিশির।সূর্যের কিরণে যেমন চিকমিকি করে,আজ সেরকমটা হলো না।শুধুই ফোঁটা ফোঁটা জল।ভিন্ন কিছু তাতে পরিলক্ষিত নয়।

দুঃখদের যতোটুকু স্মরণে রাখি,সেই তুলনায় সুখকে স্মরণ করা হয় না।কারণ দুঃখরা আমাকে যতোটা মনে রাখে, প্রায় দিনই হাজির হয়ে প্রবেশদ্বারে বিদ্যমান। সুখ সেরকমটা ভুলেও করেনি।তাই দুঃখের সাথেই জীবনের সখ্যটা বেশিই।

গাঙের জলে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মতোই চলমান আমি।জীবন সমুদ্র সে বহু দুর। গাঙের জলেই আমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি।জানিনা সমুদ্রের গভীরতা ছুঁতে পারবো কিনা।তবুও চায় দুঃখরা আমাকে সেরকমটা দিতে না পারলেও, তারা দিতে পারবে অশ্রুসমুদ্র।যেখানে ভেসে ডুবে জীবনটাকে কাঁটিয়ে দিতে চাই।

সুখ ভুলে গেলেও দুঃখরা ভুলেনি আমায়, তাই দুঃখদের সাথেই আমার জীবন।

সকালের কিরণের গান, প্রত্যহই কিছু বার্তা দিয়ে যায়। অতঃপর হারিয়ে যায় ডিম বর্ণের লালিমা নিয়ে। এরই মাঝে ঘটে প্রকৃতির সমুহ রূ...
14/10/2024

সকালের কিরণের গান, প্রত্যহই কিছু বার্তা দিয়ে যায়। অতঃপর হারিয়ে যায় ডিম বর্ণের লালিমা নিয়ে। এরই মাঝে ঘটে প্রকৃতির সমুহ রূপ,কখনো ফলের রসে, কখনো বা ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি সাজে নতুন করে।শুধুই আমি সাজি না।বারবার জীবন তার অলক্ষ্যেই ফিরে আসে।গন্তব্যহীন চলতে সে বড্ড আগ্রহী। তবুও কি কোন মানব দিশাহীন পথে চলমান থাকতে পারে?

কখনো অক্টোবর এসে জন্মের বার্তা শোনায়।কখনো আবার এপ্রিল এসে শোনায় দুঃখ বিষাদের পুষে রাখা গল্প।অশ্রুর ধারাপাতে গোটা জীবনটাই কান্না করে দেয়।হাহাকারে বুকের মধ্যখানটায় অগ্নিকুণ্ড তৈরি হয়ে যায়। ধীরে ধীরে পুড়াতে থাকে আমায় ও আমার অতীতকে।

সেসবের কথা এখন ভাবা হয়না তেমন।যতোটা ভাবা হয় পুড়া এই জীবনটাকে নিয়ে। পুড়ে ফেলা আগুনের কথা ভেবে শুধুই ক্ষয় করেছি নিজেকে।সেসবের ফায়দাই তো আজ জীবন নিয়ে বড়ই পেরেশান।

তবুও দুঃখকে সাধুবাদ জানাই।দুঃখরা না এলে যে বাস্তবতার নিগূঢ় রহস্যই অজানা থেকে যেতো।তাই কাউকেই দোষারোপ করি না।না দুঃখকে আর না সুখকে।নিজেকেই নিজেই দোষারোপ করি।

13/10/2024

একটা মানুষ যখন দুঃখে কষ্টে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে স্মরণ করে।তার নিকট উত্তম বিনিময়ের আশায় ধৈর্য ধারণ করে।তখন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা খুশি হয়ে যান।কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ঘোষনা দিয়েছেন তিনি সবর তথা ধৈর্যধারণকারির সাথে আছেন।

আমরা সহজেই ভেঙে পড়ি।হতাশা আর নিরাশার ছাপ ফোটে ওঠে মুখায়বে।চিন্তা করা যায় যখন মহা নবী সাল্লাল্লাহু এর মা ইনতিকাল করেন।কিছুদিন পর দাদাও বিদায় নেন দুনিয়া থেকে।জন্ম হয়েছেন এতিম হয়ে। আবার অভিভাবকশূন্য এই জীবনে কীভাবে কী করবেন।ইত্যাদি ভেবে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো।কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি।ধৈর্য ধারণ করেছেন।

আমাদেরকে শক্ত হতে হবে।সফলতার ওপর পিঠে ব্যর্থতা লেখা।সেটা মাথায় নিয়ে চলতে হবে।তাছাড়া যারা সফল হয়েছেন তাদেরকেই কষ্ট করতে হয়েছে। সাধনা করে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানিয়েছেন। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন মহা সাফল্য। সেরকম সাফল্য কুড়াতে হলে সাধনার বিকল্প নেই।মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন "ইন্না মাআল উসরি ইউসরা।কষ্টের পরই রয়েছে সহজতা তথা শান্তি।।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের ধৈর্য ধারণ করে চলার ও অটল অবিচল থেকে সাধনা করে যাওয়ার তাওফিক দান করুন।। আমীন।

পৃথিবীতে এমন কে আছে ফুলকে ভালোবাসে না? সবাই ভালোবাসে।তবে কেউ কি খেয়াল করেছে এই ফুলটাকে এই পর্যন্ত আসতে কতটি ধাপ পারি দিত...
13/10/2024

পৃথিবীতে এমন কে আছে ফুলকে ভালোবাসে না? সবাই ভালোবাসে।তবে কেউ কি খেয়াল করেছে এই ফুলটাকে এই পর্যন্ত আসতে কতটি ধাপ পারি দিতে হয়েছে? কত কষ্ট সহ্য করে অবশেষে ফুলের মতো একটা রূপ পেয়েছে।

মানুষ শুধু ফুল পেয়েই আনন্দিত হয়।ভাবে না নিজের জীবনটাকে ফুলের মতো করতে কী প্রদক্ষেপ নেওয়া দরকার? যদি সেভাবে নিজেকে গড়তে পারে ফুলকে যেভাবে মানুষ গ্রহণ করে,মানুষও তাকে সেভাবে গ্রহণ করবে।মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাও তাকে ভালোবাসবেন। যা হচ্ছে জীবনের বড় পাওয়া।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে ফুলের মতো জীবনকে গড়ার তাওফিক দান করুন।।আমীন।।

 #পর্ব—০৩ #হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদ পরদিন সকালবেলা।সূর্য মামা তখনও পৃথিবীতে উঁকি দেয়নি।হলদে কিরণের পূর্বাভাস।পাখিদের ঘুমভাঙ...
13/10/2024

#পর্ব—০৩
#হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদ
পরদিন সকালবেলা।সূর্য মামা তখনও পৃথিবীতে উঁকি দেয়নি।হলদে কিরণের পূর্বাভাস।পাখিদের ঘুমভাঙা গান বিমুগ্ধ করছে সকালকে।আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে সকালের সৌন্দর্যকে।পিতা মুহাম্মাদ ফজর পড়ে বের হলেন হাঁটাহাঁটি করতে।পুত্র হাম্মাদও রয়েছে সাথে তার।শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটতে ভিন্নরকম অনুভূতি জাগে মন ও মননে।আনন্দেরা ভিড় করতে থাকে চারপাশে।

এ পথটি হাম্মাদদের বাড়ির পাশ দিয়ে গিয়ে ঠেকেছে নদীপথের সাথে। পাঁচ থেকে দশ মিনিট হাঁটলেই তারা যেতে পারে নদীর ধারে।আজ বেশ ইচ্ছে হলো হাম্মাদ কে নিয়ে যাবেন সেখানে।দেখবেন নদী ও নদীর সৌন্দর্য। স্রোতের গতিবেগ আর ঢেউয়ের খেলা দেখবেন বসে বসে।ভাববেন নদী ও নদীস্রষ্টার কথা।মিলাবেন এর যোগ সূত্র। কীভাবে বয়ে চলে একটি নদী।কার ইশারায় এসব হয় তাকেই স্মরণ করতে যাবেন আজ।

হাম্মাদের বয়স কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ হাঁটা তার জন্য বেশ মুশকিল। পিতা মুহাম্মাদ তাকে কোলে নিয়েই চললেন নদীর দিকে।হাম্মাদ জিগ্যেস করলো—
আব্বু; আজ আমরা কোথায় যাচ্ছি?সেই নদীটার দিকে নাকি আব্বু?
;হুমম। বাবা,আজ আমরা সেই নদীর দিকে যাচ্ছি।সেখানটাতে কত সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। সেসবই আজ তোমাকে দেখাবো।কী দেখবে না তুমি?
;অবশ্যই বাবা।কতদিন হলো নদী দেখিনা।

পিতা মুহাম্মাদ হাম্মাদকে চুমু খেলেন।তার মাথাকে ঘারে রেখে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন।পুনরায় আপন গতিতে হাঁটতে শুরু করলেন।তিনি জানেন সকাল সকাল সামান্য গতিতে হাঁটলে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীরের জোড়া গুলো শক্ত হয়।মজবুত হয়।এতে সারাটাদিন বেশ পরিশ্রম করার শক্তি আসে।

উপস্থিত হলেন নদীর ধারে।হাম্মাদকে পাশে বসিয়ে ইশারা করে বিভিন্ন কিছু দেখাচ্ছেন। কখনো নৌকা।কখনো ওপারের দৃশ্য। কখনো নদীতে ভেসে আসা খড়কুটো। কখনোবা নদীতে থাকা জেলেদের দিকে ইশারা করে নানান কথা বলছেন।

এবার সূর্য ওঠতে শুরু করলো।হলদে কিরণে গোটা পৃথিবীকে ধীরে ধীরে সোনালী রঙ বিলিয়ে দিতে লাগলো।কত মিষ্টি এই রোদের হাসি।সোনার হাড়ি থেকে সোনা বিলাচ্ছে গাছগাছালি আর সবুজ শ্যামলে ঘেরা প্রকৃতিকে।গা ঝেরে একে একে লতাপাতা জেগে ওঠছে।পাখিদের ডাকাডাকিতে মুখরিত হচ্ছে বাগবাগিচা।সেই সাথে জেগে ওঠছে গোটা পৃথিবী।

এসব দেখাচ্ছেন হাম্মাদকে।আর ভাবনার সমুদ্রে তিনি হারিয়ে যাচ্ছেন প্রতিমুহূর্তে…..!!

চলবে.

 #পর্ব — ০২ #হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদতিনি বেশ চিন্তিত হয়েই ঘরে ফিরলেন।একবার হাম্মাদের দিকে তাকান আরেকবার তাকান এই সমাজের দি...
12/10/2024

#পর্ব — ০২
#হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদ
তিনি বেশ চিন্তিত হয়েই ঘরে ফিরলেন।একবার হাম্মাদের দিকে তাকান আরেকবার তাকান এই সমাজের দিকে।সমাজ তাকে কোন চোখে দেখছে, সমাজ তাকে কী হিশেবে নিচ্ছে, তাদের মুয়াফিক নাকি মুখালিফ করে দেখছে সেটা নিয়েও ডুব দিলেন ভাবনার সমুদ্রে।

তিনি দেখলেন সমাজের সিংহভাগ মানুষই তার শত্রু।তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝর তুলে থাকে প্রতিনিয়ত। তবে বাস্তবতা পর্যালোচনার করার মতো চোখ যাদের আছে,যাদের জ্ঞান সম্পর্কে জানাশোনা আছে গভীরতর,তারা বিষয় আঁচ করতে পারেন।বুঝে নিয়েছেন তারা ইনি একজন চিন্তক। জ্ঞান আর বাস্তবতার মাঝে খোঁজে বেড়ান যোগ সূত্র। জ্ঞানের গভীরতা যেমনই রয়েছে, তেমনই রয়েছে সুস্থ চিন্তা চেতনার বিচক্ষণ ক্ষমতা।তাই তাদের কাছে মুহাম্মাদ মুখালিফ কোন মানুষ নয়।তারাও তার শত্রু নয়।যদিও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ তার বিরোধী হওয়ার কারণে তারা তার সাথে তাদের হৃদয়ে হৃদ্যতাটুকু প্রকাশ করতে ব্যর্থ।

মূলত পিতা মুহাম্মাদের কাছে এ শিক্ষাব্যবস্থাকে ভিন্ন চোখে দেখার বড় কারণ হচ্ছে তিনি বাঙালি নন।তার দেশের বাড়ি আমেরিকায়।একমাত্র ফাতেমার যোগসূত্রেই তার এদেশে আগমণ।দেড় দুমাস হয়েছে তারা এ দেশে এসেছে।কেনো এসেছে? পিতা মুহাম্মাদের সাথে ফাতেমার পরিচয়টাই বা কীভাবে হলো? সে এক দীর্ঘ কাহিনি।

ফাতেমা যদিও জানতো তার দেশের শিক্ষার এরকম অবনতি।সুষ্ঠু সমাজের যে বড় অভাব তার বড় কারণ হচ্ছে এই শিক্ষা। সেটা তিনি পিতা মুহাম্মাদকে আগে জানাননি।না জানানোর বিভিন্ন কারণ তো অবশ্যই আছে।এর মধ্যে বড় কারণ হচ্ছে। তিনি চাইলেন বিষয়টি বললে যতোটুকু না তাঁর কাছে সুস্পষ্ট হবে।তার চেয়ে তিনি যদি গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।বিবেচনা করেন তাহলে তিনি অধরা সত্যকে সহজেই ধরতে পারবেন।উপলব্ধি করতে পারবেন।

চলবে..

 #হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদ #পর্ব—০১হাম্মাদের পিতা মুহাম্মাদ বড়ই চিন্তিত। তবে এ চিন্তা তার পেরেশানি আর দুখের নয়।তিনি একজন চি...
12/10/2024

#হাম্মাদ_বিন_মুহাম্মাদ
#পর্ব—০১
হাম্মাদের পিতা মুহাম্মাদ বড়ই চিন্তিত। তবে এ চিন্তা তার পেরেশানি আর দুখের নয়।তিনি একজন চিন্তক মানুষ। চিন্তা করাই তার কাজ।সমাজটা কেমন ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। সত্য নিচ্ছে মিথ্যের রূপ।বড়দের শ্রদ্ধা করার বিষয়টি প্রায়ই বিলুপ্তির পথে।এই পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন।হাম্মাদ তার একমাত্র সন্তান। যাকে নিয়ে রয়েছে হাজারো স্বপ্ন।

হাম্মাদের বয়স চার ছুঁই ছুঁই।আশপাশে শিক্ষার যে অবস্থা, এতে ছেলেকে পাঠানো মানে তাকে আরো মূর্খ করে তোলা।চিন্তা চেতনাকে বিনষ্ট করা।সকাল ৮টায় যাওয়া আর বিকেল ৪টায় ফিরে আসা।এর মধ্যেই এ শিক্ষা সীমাবদ্ধ। দেড় কেজি এই মাথাটাকে নষ্ট করার বড় মাধ্যম যেগুলো, সে সমস্ত স্কুলে হাম্মাদকে পড়াবেন না তিনি মনস্থ করলেন।

কারণ হচ্ছে শিক্ষা থেকে আসে চিন্তা। চিন্তা থেকে আসে বাস্তবতা। যেখানে সুশিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই,সেখানে যেমন সুচিন্তক হওয়ার কোন ফুরসত নেই।তেমনই জীবনকে বাস্তবমুখী করে গড়ার তো প্রশ্নই আসে না।

হাম্মাদের মা হচ্ছেন ফাতেমা।তিনিও এক শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। টাকা পয়সার যেমন অভাব নেই।তেমন সুশিক্ষিতের অভাব খুব কমই।তাদের মানসিকতা হচ্ছে শিক্ষা নির্ভর। যেখানে শিক্ষার আলো দেখেন সেখানেই তারা ঝাপিয়ে পড়েন।সত্য মিথ্যার যাচাই না করে সেখান থেকে মাথা উঠান না।

কিছুদিন আগে এক স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েই পিতা মুহাম্মাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেলো।তাদের কী হালত খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেন।তাদের চিন্তা চেতনা আসলে ছাত্রদের কোন দিকে নিয়ে যাবে? কোন সুতোয় তাদের জীবনকে আটকে দিবে সেই যোগ সূত্রই তিনি খুঁজে পেয়েছেন।তিনি দেখলেন এক আজব কান্ড।যা তিনি কখনো কল্পনা তো করেননি বরঞ্চ এমনও হতে পারে মনেও আসেনি।

এরকম ভাবনা আসা আর অবাক হওয়ার মাঝে মূল কারণ হচ্ছে তিনি একজন চিন্তক। যেকোন বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখেন এর আদ্যোপান্তে কোথাও কোন কুসংস্কৃতি আছে কিনা।পশ্চিমা বিশ্বের কোন বীয বপন করে আছে কিনা সেটাই তাকে সবসময় ভাবিয়ে তুলতো।যখন দেখলেন ছেলে মেয়ের সহ শিক্ষা। তারওপর এভাবে খোলামেলা মেয়েদের সাথে কথাবার্তা বলার দৃশ্য তাকে প্রচন্ড ভাবিয়ে তুলল।এসব দৃশ্য তিনি বাহির থেকে দেখছিলেন।অফিসকক্ষে প্রবেশ তখনও করেননি তিনি।

ঠিক তৎক্ষনাৎ তিনি হাম্মাদ নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন।মনস্থ করলেন গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা করবেন।ছেলেকে এরকম শিক্ষিত তো করবেনই না এমনকি নতুন কারিকুলাম তিনি তৈরি করার দৃঢ ইচ্ছা ধারণ করলেন।

চলব

Address

Mymensingh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahmadullah Ashraf - আহমাদুল্লাহ আশরাফ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share