04/07/2025
জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না! কখনোই কারো ওপর এত বেশি নির্ভরশীল হয়ো না যে, তার সামান্য অবহেলাতেই তোমার মন খারাপ হয়ে যায়।
তোমার মন খারাপ? সুন্দর একটা গান শোনো, নিজের জন্য এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা বানাও, বিকেলের মৃদুমন্দ হাওয়ায় আপনমনে হাঁটো, জানলার পাশে বসে বৃষ্টি দেখো কিংবা প্রিয় লেখকের বইয়ে ডুব দাও। যদি তোমার মধ্যে সৃষ্টিশীলতা থাকে, সেটাকে কাজে লাগাও।
অন্যকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া, নিজের দুঃখ দুর্বলতা সবার সামনে প্রকাশ করা — এগুলো কোনো পরিণত মানসিকতার পরিচয় নয়। খুব বেশি একা লাগলে বা মন খারাপ হলে সমুদ্র বা পাহাড় দেখতে চলে যাও।
পুরোনো স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো — কিন্তু নিজের সাথে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে তোলো, যেন দুঃখের দিনগুলোতে কাউকে না পেলেও নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে পারো।
যদি কোনো কাজে সফল হও, নিজেকে পুরস্কৃত করো। যদি ব্যর্থ হও, নিজের সাথে একটু অভিমান করো, কিন্তু হাল ছেড়ো না। আর কখনোই অন্যের চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার ভুল করো না। কারণ মানুষ সবসময় তোমার গুণের চেয়ে তোমার ত্রুটিগুলোকে বড় করে দেখতেই বেশি পছন্দ করে।
একা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াটা স্বাভাবিক মনে করো, একা পার্কে সময় কাটানোটা যেন হাস্যকর না লাগে। নিজেকে ভালোবাসো। যে মানুষ নিজেকে ভালবাসতে পারে না, সে কখনো সুখী হতে পারে না।
নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করো, যাতে মুড অফ থাকলে নিজের জন্য একটা চকলেট কিনতে পারো, নিজের জন্মদিনে নিজেকে একটা সুন্দর উপহার দিতে পারো, নিজের পছন্দের পোশাক নিজের জন্য নিজেই কিনতে পারো, পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারো।
মাঝেমধ্যে নিজেকে কিছু ফুল উপহার দাও, ঘরের কোণায় ফুলদানিতে একটা ফুল রাখো, সুন্দর সুবাস মন ভালো করে দেবে। সবার মন জয় করা তোমার দায়িত্ব নয়, কারণ পৃথিবীর কেউই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। তাই যেখানে মন টানে না, সেখানে "না" বলতে শেখো।
"আমার বাবা-মা আমাকে বোঝে না, বন্ধুরা আমাকে সময় দেয় না, কাছের মানুষ আমাকে অবহেলা করে" — এসব ভাবনাকে প্রশ্রয় দিও না। কারণ এগুলো আসলে তোমার নিজের তৈরি করা মানসিক চাপ।
কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবে? যেখানে তোমার মূল্য নেই, সেখান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নাও। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলো, যাতে তোমার ভালো থাকা বা না থাকাটা কারো ওপর নির্ভর না করে।
゚