15/10/2025
তনি আফু জীবনে মোট তিনবার বিবাহ নামক সমীকরণে প্রবেশ করিয়াছেন। তাহার জীবন যেন এক চলমান সিরিজ, যাহার সাধারণ অন্তর “নতুন পাত্র”।
তনি আফু তখন নবীন। এক অতি প্রতিশ্রুতিশীল যুবকের সহিত বিবাহ সম্পন্ন করিলেন। ফলতঃ সমীকরণের ফলাফল হইল—
১ কন্যা (C₁)।
কিন্তু “বনিবনা ধ্রুবক” হঠাৎ ঋণাত্মক হইয়া পড়ায় সংসার সমীকরণটি ভেঙে পড়িল, অর্থাৎ ডিভোর্স ফাংশন সক্রিয় হইল।
পরীক্ষায় ব্যর্থ হইলেও তনি আফু নিরাশ নন।
তখন তিনি প্রবেশ করিলেন নতুন ফাংশনে—সাদাত নামক এক Experienced Variable-এর সহিত।
সাদাত মহাশয় নিজেই ছিলেন দুইবারের বিবাহ-যো***দ্ধা।
তাঁহার প্রথম সংসারে ১ পুত্র (S₁),
দ্বিতীয় সংসারে ১ কন্যা (S₂)—যাহার বয়সের মান তনির বয়স অপেক্ষা বেশি।
তাহা হইলে বোঝা যাইতেছে, সাদাত ভাইয়ের সংসার ছিল গুণোত্তর ধারা,
আর তনি সেই ধারার তৃতীয় পদ (T₃)।
এই নতুন সমীকরণে, তনি আফুর পেট হইতে জন্মগ্রহণ করিলেন এক পুত্র সারফারাজ (C₂)।
অতএব, তনি আফুর নিজ গর্ভজাত সন্তান সংখ্যা এখন ২ (C₁ + C₂),
এবং সৎসন্তান সংখ্যা ২ (S₁ + S₂),
মোট সন্তান সংখ্যা ৪, কিন্তু মালিকানা দুই ভাগে বিভক্ত।
কিন্তু হায়! প্রেম নামক ফাংশন বড়ই অনিশ্চিত।
তনি দেবী পুনরায় এক নতুন সমীকরণে যোগ দান করিলেন—সিদ্দিক মহাশয়ের সহিত।
সিদ্দিকও পূর্বে একবার বিবাহ করিয়া দুই পুত্র উৎপাদন করিয়াছেন (S₃ + S₄)।
অতএব, তনি এখন দাঁড়াইলেন এক নতুন ঘরোয়া যৌগে,
যেখানে সন্তানসংখ্যা “তত্ত্বীয়ভাবে” ৬, কিন্তু কার্যত দুইটিরই পেটের সার্টিফিকেট তনির নামে।
তবে জাতি বিশ্বাস করে—
যদি একদিন তনি ও সিদ্দিকের নতুন চলক (C₃) উৎপন্ন হয়,
তবে ফেসবুক নামক বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান ডিএনএ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টায় তার পিতৃপরিচয় নির্ধারণ করিবে।
অতএব উপসংহারে বলা যায়ঃ
তনি দেবী = বিবাহ ঘাত ³, সন্তান ঘাত ² (নিজস্ব), সৎ সন্তান ঘাত ⁴, মোট মানবসম্পদ = ৬।
তাঁহার জীবন এক অলৌকিক গাণিতিক ধারা, যাহার সূত্র হইল—
“প্রত্যেক বিচ্ছেদই নূতন যোগফলের দ্বার উন্মোচন।”
#ফটোগ্রাফি