Sompod kumar dev

Sompod kumar dev Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sompod kumar dev, Digital creator, Nabiganj.

আমি সনাতন ঘরে জন্ম নিয়েছি ঠিক কিন্তু
জ্ঞানের অন্বেষণ দ্বারা প্রচলিত বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়েছি!
পরিচিতি হলে, আমার পেইজে যুক্ত হোন!
শুধু ধর্মান্ধ উগ্র হিংস্র মুসলিমদের আমার পেইজ হতে দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছি!

খলিলুর রহমান: ধর্ষক যখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ২০০১ সালের আগস্ট। রাজধানীর নীলক্ষেতে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির অফিসার্স ক...
24/05/2025

খলিলুর রহমান: ধর্ষক যখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২০০১ সালের আগস্ট। রাজধানীর নীলক্ষেতে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির অফিসার্স কোয়ার্টারের তিস্তা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টার প্রটোকল অফিসার আয়েশা আফসারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন স্বামী জহিরুল ইসলামের হাতে। নিজের লাইসেন্সকৃত ১২ বোর পিস্তল দিয়ে আয়েশাকে গুলি করে হত্যার পর জহিরুল একই অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জহিরুল ইসলাম পেশায় ছিলেন রি-রোলিং ব্যবসায়ী ও সরকারি ঠিকাদার।

প্রথমদিকে ঘটনাটিকে পারিবারিক কলহ হিসেবে তুলে ধরা হলেও, পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে আরও ভয়াবহ সত্য। জানা যায়, আয়েশা আফসারী প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েরই আরেক প্রভাবশালী কর্মকর্তার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। নিউইয়র্কে পোস্টিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে দিনের পর দিন ভোগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই কর্মকর্তার প্রভাবেই আয়েশার পোস্টিং হয় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সেকেন্ড সেক্রেটারি পদে।

ধর্ষক কে?

তথ্যপ্রমাণ ও সংবাদসূত্র অনুযায়ী, আয়েশা আফসারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানের ভায়রাভাই খলিলুর রহমানের হাতে। তিনি তখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পিএস-১ (Personal Secretary-1) হিসেবে কর্মরত ছিলেন, অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টার একেবারে ঘনিষ্ঠ দাপ্তরিক সহকারী।

খলিলুর রহমান আয়েশাকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সেকেন্ড সেক্রেটারি পদে পোস্টিং করিয়ে দেন। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। একই সময়ে খলিলুর রহমানের নিজেরও পোস্টিং হয় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে। অর্থাৎ, দুজনেরই কর্মস্থল নির্ধারিত হয় একই দেশে- যুক্তরাষ্ট্রে।

আয়েশার স্বামী জহিরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। তবে নিউইয়র্কে একইসঙ্গে আয়েশা ও খলিলুর রহমানের পোস্টিং হওয়ার ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এই পারিবারিক সংকট এবং অপমানবোধই একসময় ভয়াবহ পরিণতির দিকে ধাবিত হয়- যেখানে এক দম্পতির জীবন শেষ হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছায়ায় লুকিয়ে থাকা একটি লোলুপ দানবের অপরাধের দায়ে।

খলিলুর রহমানের পলায়ন

আয়েশা আফসারী হত্যাকাণ্ডের পর উপদেষ্টা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দায় চাপান খলিলুর রহমানের ওপর, কারণ অফিসে আগে থেকেই জানা ছিল তার সঙ্গে আয়েশার পরকীয়ার সম্পর্ক।

ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে আসার পর তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান নিজের ভায়রাভাই খলিলুর রহমানকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর ছত্রছায়ায় খলিলুর দেশ ছাড়েন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং নাম পাল্টে হন ‘রজার রহমান’। সেখানেই তিনি কাটান দীর্ঘ ২৩ বছর।

ছদ্মনামে গোপন জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন খলিলুর রহমান নিজের পরিচয় গোপন করে ‘রজার রহমান’ নামে বসবাস করতেন। পাবলিক রেকর্ড অনুযায়ী তিনি নিউ ইয়র্ক, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস ও মেরিল্যান্ড- এই চারটি রাজ্যে বিভিন্ন ঠিকানায় অবস্থান করেন। তার বসবাসের স্থানগুলোর মধ্যে ছিল:
• ২৯ ব্রেটন রোড, স্কারসডেল, নিউ ইয়র্ক
• ১ কুয়াকার লেন, গ্রিনউইচ, কানেকটিকাট
• ১৭ ক্লাইড রোড, ওয়াটারটাউন, ম্যাসাচুসেটস
• ৩৬ আলেকজান্দ্রিয়া ড্রাইভ, অক্সন হিল, মেরিল্যান্ড

এই ঠিকানাগুলোর তথ্য জনসংযোগ নথি, ভোটার রেকর্ড ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনপত্রে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।

তিনি ‘রজার রহমান’ নামে একটি ফেসবুক প্রোফাইলও পরিচালনা করতেন, যেখানে স্ত্রী নুরুন নাহার রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ছবি ও মন্তব্য পাওয়া যায়- যা তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে দেয়। ২০১৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চান, দাবি করেন তিনি বিএনপির সদস্য এবং দেশে ফিরলে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ এই আশ্রয়ের আবেদন ছিল মূলত নিজের অপরাধ আড়াল করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষকের পুনর্বাসন?

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস- যার নিজের নৈতিকতা ও মানবিক দায় নিয়েও রয়েছে বিস্তর বিতর্ক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চ সুদের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার হতদরিদ্র মানুষ; কেউ নিখোঁজ, কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।

প্রশ্ন হলো, ড. ইউনূস কীভাবে একজন ধর্ষকের অতীত জেনেও তাকে রাষ্ট্রের সবচেয়ে সংবেদনশীল পদে বসালেন? নাকি এই নিয়োগের পেছনেও রয়েছে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র?

বিচারহীনতার বাংলাদেশ

ড. খলিলুর রহমান বর্তমানে শুধু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিষয়ক পরামর্শকের ভূমিকাও পালন করছেন- যা নিছক নিয়োগ নয়, বরং একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

‘মানবিক করিডর’ উদ্যোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পুনঃপ্রবেশ ও নাগরিকত্ব প্রশ্নে পশ্চিমা চাপ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বিনা বাধায় কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ঢুকে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে যাওয়ার প্রস্তুতি, বিদেশি কোম্পানির শেয়ার বাজারে গোপন লিস্টিং এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে বিদেশি প্রভাব- সব মিলিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

তাহলে প্রশ্ন- খলিলুর রহমান কি আসলেই বাংলাদেশের উপদেষ্টা, না কি পশ্চিমা এজেন্ডার নিরব বাহক?
২৩ বছর যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন, ‘রজার রহমান’ ছদ্মনামে বসবাস, তারপর হঠাৎ করেই ফিরে এসে নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতির নিয়ন্ত্রণ- এটা কি কাকতালীয়, না একটি নিখুঁত অপারেশন?
বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ভেতর থেকে নিয়ন্ত্রিত এক সফট-স্টেটে? আর সেই অপারেশনের মুখপাত্র কি খলিলুর রহমান নিজেই?

ধর্ষকের বিচার চাই
আজ প্রয়োজন- একটি নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত করা, এবং আয়েশা আফসারী হত্যার নেপথ্যে থাকা ধর্ষক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম শুরু করা। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়—তা প্রমাণ করাই এখন রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।

ধর্ষক খলিলুর রহমানের বিচার চাই।

24/05/2025
 # নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন বন্দী করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নীরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উ...
24/05/2025

# নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন বন্দী করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নীরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, পিঠে ছুরিকাঘাত করার পূর্বে নবাবকে কাঁটাওয়ালা সিংহাসনে বসিয়ে ও ছেঁড়া জুতা দিয়ে পিটিয়ে যখন অপমান করা হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ সেই তামাশা দেখে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছিল! মাস সাইকোলজিটা একটু খেয়াল করে দেখুন, এই জাতি দুইশত বছরের গোলামি সাদরে গ্রহণ করেছিল ওভাবেই।

একটি মজার তথ্য দেই। লর্ড ক্লাইভ তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখেছেন, নবাবকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দাঁড়িয়ে থেকে যারা এসব প্রত্যক্ষ করেছিল তারা যদি একটি করেও ঢিল ছুঁড়ত তবে ইংরেজদের করুণ পরাজয় বরণ করতে হতো। আরো চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহী, ৩০ হাজার পদাতিক এবং অসংখ্য কামান, গোলাবারুদ সহ বিশাল সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নিয়েই পলাশীর ময়দানে এসেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা । কিন্তু তার বিপরীতে রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার, যার মধ্যে ৯ শত জনই ছিল হাতেপায়ে ধরে নিয়ে আসা সৌখিন ব্রিটিশ অফিসার যাদের অধিকাংশেরই তলোয়ার ধরার মতো সুপ্রশিক্ষণ ছিল না, এরা কোনোদিন যুদ্ধও করেনি।

এত কিছু জেনেও রবার্ট ক্লাইভ যুদ্ধে নেমেছিলেন এবং জিতবেন জেনেই নেমেছিলেন। কারণ, তিনি খুব ভালো করেই জানতেন একটি হীনমন্য ব্যক্তিস্বার্থলোভী দ্বিধাগ্রস্ত জাতিকে পরাস্ত করতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই, বড় সৈন্যবাহিনী এদের জন্য মশা মারতে কামান দাগার মতো। যাদেরকে সামান্য দাবার চালেই মাত করে দেয়া যায়, তাদের জন্য হাজার হাজার সৈন্যের জীবনের ঝুঁকি তিনি কেন নেবেন? এছাড়াও, মীরজাফরকে যখন নবাবীর টোপ গেলানো হয়, রবার্ট ক্লাইভ তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে, সিরাজকে পরাজিত করার পর এই বদমাশটি সহ বাকিগুলোর পরিণতিও তাদের নবাবের মতোই হবে এবং হয়েছেও তাই। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীরজাফর, উমিচাঁদ, রায়বল্লভ, ঘষেটি বেগম সহ প্রত্যেকটি বেইমানের করুণ মৃত্যু হয়েছে।

রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরের বেঈমানির উপর ভরসা করে যুদ্ধ করতে আসেননি। তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন বাঙালির মানসিকতা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে। তিনি জানতন, যুদ্ধশেষে জনসম্মুখে নবাবকে হেনস্থা করলে এই জাতি বিনোদনে দাঁত কেলাবে কিংবা হা করে চেয়ে চেয়ে দেখবে। তাই বিনা দ্বিধায় সার্টিফিকেট দেয়াই যায়, বাঙালি জাতির মানসিকতা সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মাপতে পারা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিটির নাম রবার্ট ক্লাইভ!

ইনুসকে শুধু রাজাকার ভালোবাসেকার্টুনে চিন্তা থেকে প্রমানিত
24/05/2025

ইনুসকে শুধু রাজাকার ভালোবাসে
কার্টুনে চিন্তা থেকে প্রমানিত

সার্বিয়ার এক সুন্দরী তরুণী, নাম মারিয়া আব্রামোভিচ, ১৯৭৪ সালে এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল পৃথিবীকে, একটি এক্স...
15/03/2025

সার্বিয়ার এক সুন্দরী তরুণী, নাম মারিয়া আব্রামোভিচ, ১৯৭৪ সালে এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল পৃথিবীকে, একটি এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে। ওই এক্সপেরিমেন্টের নাম ছিল রিদম জিরো। লোকজনে ভর্তি একটি রুমের ভেতর মারিয়া ভাস্কর্যের মত দাঁড়িয়ে ছিল। সামনে টেবিলে রাখা অপ্রাসঙ্গিক, অগুরুত্বপূর্ণ, একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন বাহাত্তরটি জিনিস। লিপস্টিক, কেক, ছুরি, কাঁচি, গোলাপ, পিস্তল সহ আরো অনেক কিছু। বলা হয়েছিল, রাত আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে মারিয়ার সঙ্গে। অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর ছিল মারিয়ার। প্রথম আড়াই ঘণ্টা মারিয়াকে ফুল দিয়েছিল মানুষ। চুল আঁচড়ে দিয়েছিল, ভালোবেসেছিল।

সময় যতই গড়াল, লোকজন ততই হিংস্র হয়ে উঠল। শেষ দুই ঘণ্টায় মারিয়াকে থাপ্পড় মারা হয়, পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে নগ্ন করে ফেলা হয়, ছুরি দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়, এমনকি শেষদিকে একজন পিস্তল নিয়ে মারিয়ার গলা চেপে ধরে ট্রিগার টানতে যাচ্ছিল প্রায়!

মারিয়া কি ওদের কোনো ক্ষতি করেছিল? ওদের কারোর জায়গা জমি নিজের বলে দাবি করেছিল? ওদের কাউকে মারধর করেছিল? কারো সাথে প্রতারণা করেছিল? সে তো কাউকে চিনতও না। কিন্তু ওরা মারিয়াকে থাপ্পড় মেরেছিল, গায়ে থুথু ছিটিয়েছিল, পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিল, একের পর এক আঘাতে করেছিল ক্ষতবিক্ষত! এক্সপেরিমেন্ট শেষে মারিয়া যখন হেঁটে চলে যাচ্ছিল, তখন তাকে অপমান করা একটি লোকও চোখের দিকে তাকাতে পারছিল না তার, লজ্জায়।

♦️
১৯৯৮ সালে জার্মানিতে চৌদ্দজন লোককে স্বেচ্ছায় টাকার বিনিময়ে একটি সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয় যার নাম ছিল দাস এক্সপেরিমেন্ট। এরপর ওই লোকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ওদের কাছে সময় পনের দিন। এই পনের দিন ওদের একভাগ কারাগারের কয়েদি হিসেবে অভিনয় করবে, বাকিরা থাকবে কারাগারের গার্ড। সবার অজান্তে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। শর্ত ছিল, কোনো গার্ড কোনো কয়েদিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবে না। অর্থাৎ কোনরকম ভায়োলেন্স অ্যালাউড না।

প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ২ দিন পার হওয়ার আগেই গার্ডরা কয়েদিদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। শেষদিকে তো পুরো এক্সপেরিমেন্টেরই বারোটা বেজে যায়।

লক্ষ্য করুন, ওরা জানে ওরা কেউই আসল গার্ড নয়। যারা কারাগারে বন্দি, তারাও সত্যিকারের কয়েদি নয়। ওদের শুধু অভিনয় করতে বলা হয়েছে কয়েকটা দিনের জন্য। অথচ বাহাত্তর ঘন্টা পার হওয়ার আগেই শুধুমাত্র বন্দিদের ওপর নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য ওরা কারাগারের লাইট অফ করে, গ্যাস ছেড়ে, কয়েদিদের জামাকাপড় খুলে উলঙ্গ করে শোয়ার একমাত্র বিছানাটাও বের করে নেয় যাতে কেউ ঘুমাতে না পারে। শুধু তাই নয়, সময় গড়ানোর সাথে সাথে গার্ডের দল কয়েদিদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে, তাদের মুখের ওপর প্রস্রাব করে, এক নারী কয়েদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এমনকি একজনকে মেরে ফেলেছিল প্রায়!

♦️
মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করলে আপনি জানতে পারবেন, মানুষ অন্যকে ঘৃণা করে, অপছন্দ করে, হত্যা করে নানা কারণে। ওর বুদ্ধি বেশি, আমার কম কেন? ওর টাকা বেশি, আমার কম কেন? ওর সম্মান বেশি, আমার কম কেন?

রিদম জিরো এবং দাস এক্সপেরিমেন্ট আপনাকে শেখাবে, একটা মানুষের কাউকে ঘৃণা, অপছন্দ বা অত্যাচার করতে আসলে কোনো কারণ লাগে না। একজন মানুষ কোনোরকম কারণ ছাড়াই আরেকজনকে হিংসা করে, ক্ষতি করে, তার বদনাম রটায়, কেননা মানুষের স্বভাবই অমন। মানুষ কোনোদিনই শান্তিকামী ছিল না, নয় এবং থাকবেও না। সে সবসময়ই হিংস্র, লোভী, বর্বর এবং ভণ্ড। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই দুনিয়ায় কি ভালো মানুষ বলে কেউ নেই? হ্যাঁ, আছে হাতেগোনা দুচারজন। বাকিরা সুযোগের অভাবে ভালো।

Akash Mohammad Akkas
ছবি ও লেখা সংগৃহীত।

Address

Nabiganj

Opening Hours

Monday 08:00 - 22:00
Tuesday 08:00 - 21:00
Wednesday 08:00 - 22:00
Thursday 08:00 - 22:00
Friday 07:00 - 22:00
Saturday 10:00 - 21:00
Sunday 08:00 - 21:30

Telephone

+8801717159145

Website

https://app.tallykhata.com/D3i8cruVZVfmV16r9

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sompod kumar dev posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sompod kumar dev:

Share