16/03/2024
#রমজান মাসে শয়তান শিকলে বাধা থাকে।
তাহলে আমরা পাপ কাজ করি কেন???
-------------------------------------------------------------------------
আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান উপস্থিত হয়, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুষ্ট শয়তানদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়।’
(মুসলিম, হাদিস : ১০৭৯)
______________________________________________________________________
মানুষ অভ্যাসের দাস-এই কথাটি প্রমানিত। একটা কাজ কিছুদিন করতে করতে মানুষ যখন অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন ঐ কাজটি ছাড়তে গেলে অনেকটা সময় লাগে।
যেমন ধরুন রমজান মাসে আপনি সিয়ামের সকল শর্ত্ মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলেন। একমাসে আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার। রমজান মাসের পরে শয়তান যখন আপনাকে নামাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দিবে তখন কিন্তু আপনি হুট করেই নামাজ ছেড়ে দিতে পারবেন না, হয়তো একদিন এক ওয়াক্ত, কয়েকদিন পর দুই ওয়াক্ত এভাবে কমপক্ষে 15/20 দিন শয়তান আপনার উপর চেষ্টা করে নামাজ পড়া বাদ দেওয়াবে (সবার ক্ষেত্রে নয়)।
ঠিক একই ভাবে রমজানের আগের 11 (এগারো) মাস শয়তান আমাদের উপর এতটাই প্রভাব বিস্তার করে থাকে যে, আমাদের দিয়ে শয়তানি করাতে করাতে অভ্যাসে পরিণত করায় যার ফলে অনেক মানুষ শয়তানে রুপান্তরিত হয়ে যায়, যাদের পায়ে শিকল পড়ানো হয়নি।এরা মানুষ রুপি শয়তান। মূলত এই শয়তান গুলোই পুরো রমজান মাস জুরে প্ররোচনা দিতে থাকে।এজন্যই আমরা নিজেরাই পাপ কাজে লিপ্ত হই, না হয় অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে পাপ করি।
দুষ্ট শয়তানের পায়ে শিকল পড়ানো হয়েছে কিন্তু তাকে মেরে ফেলা হয়নি তাই তার ক্ষমতা আগের মতোই আছে কিন্তু সে শিকলের কারনে একটি নিদিষ্ট স্থানে অবস্থান করছে, আমাদের কাছে আসতে পারছে না। কিন্তু 11 মাস শয়তানি করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখন শয়তানকে ছাড়া থাকতে পারছি না । আমরা নিজেরাই শয়তানের কাছে গিয়ে তালিম নিয়ে আসছি। সে শিকল অবস্থায় একটি গন্ডির মধ্যে আছে কিন্তু আমরা তার গন্ডির মধ্যে গিয়েই শয়তানি নিয়ে আসছি।
জিন ও মানুষের মধ্যেও শয়তান আছে (সূরা নাস-আয়াত 5-6) ।যাদের শিকল পড়ানো হয়নি।এদের থেকে দুরে থাকুন আর শয়তানের নিকট আগ বাড়িয়ে গিয়ে শয়তানি নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকুন। খারাপ অভ্যাসটা দ্রুত তাগ করুন।
সূরা নাস-114 (আয়াত 5-6)
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
আল্লাযি ইউওয়াছ ইসু ফী সুদুরিন্নাছ-।
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।