02/09/2025
নওগাঁ সদর - ৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহবুবুর রহমান ডাবলু
উত্তরবঙ্গের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সীমান্ত ঘেসা নওগাঁ জেলা ধান চাল আম উৎপাদনে দেশের সিংহ ভাগের যোগানদাতা।যুগের পর যুগ ব্যক্তিগত ভাবে সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সমারোহও কম নেই এ জেলায়। তবে অবকাঠামগতো উন্নয়নে অনেক টায় পিছিয়ে আছে এজেলা। দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়ে না জেলার মানুষের। এখনও সেই মান্ধাত্তা আমলের সংকীর্ণ মানসিকতায় চলছে নওগাঁ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নেতৃত্ব।একবিংশ শতাব্দীর যুগে এটি বড়ই পরিতাপের।দেশ ও দশের কল্যাণার্থে নওগাঁ কে ঢেলে সাজাতে ও নওগাঁর সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব নওগাঁবাসী দীর্ঘদিন ধরেই উপলব্ধি করে আসছে । নওগাঁ জেলা তথা নওগাঁ বাসীর প্রত্যাশা পূরণে এবার সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চান নওগাঁ সদর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সদর পৌর শহরের চকদেব কলেজ পাড়ার কৃতি সন্তান সদা হাস্যোজ্জল সদালাপি নির্ভীক অত্যন্ত পরিশ্রমী ত্যাগী ও মেধাবী দেশ নায়ক তারেক রহমানের আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব জননেতা জনাব মাহবুবুর রহমান (ডাবলু )।
তিনি নওগাঁ বিএমসি ও ডিগ্রী কলেজ সরকারী করন আন্দোলনের সন্মুখ সারির সৈনিক।
তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, নওগাঁ সরকারী কলেজ শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি (১৯৭৯-১৯৮৩)। তিনি নওগাঁর ইতিহাসে সর্বপ্রথম
ভোটে নির্বাচিত নওগাঁ সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি (১৯৮১-১৯৮২)। তার হাতে গড়া ছাত্র সংগঠনটিকে তিনি ছাত্রলীগ,জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রীর মতো প্রাচীন ও প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কলেজে একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন।তার নেতৃত্বে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল ভিপি সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে।বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য সংগ্রহ কমিটির অন্যতম সদস্য।
১৯৮৪ সালে তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে বিভিন্ন থানায় অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ প্রথমবার ক্ষমতায় এসে (১৯৯৬-২০০১) তাকে একের পর এক হয়রানিমূলক বদলি করে।সর্বনিন্ম ২২ দিন এবং সর্বোচ্চ ৬ মাস সময়ের মধ্যে প্রতিবার রাজনৈতিক আক্রোশে বদলী করা হয়েছে।২০০২ সালের আগস্ট মাসে বিএনপি সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাকে রমনা থানার ওসির দায়িত্ব প্রদান করা হয় যা তিনি অত্যন্ত বিশ্বস্ততা,নিষ্ঠা, আন্তরিকতা,দূরদর্শিতা, সাহসিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিপালন করে সর্বমহলে প্রশংসিত ও পরিচিতি লাভ করেন।কর্মজীবনে তিনি সাহসিকতাপূর্ন উত্তম কাজের জন্য দুই বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কম্বোডিয়া, কসোভো ও পূর্বতিমুর মিশনের জন্য নির্বাচিত হয়ে তিনি সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদকে ভূষিত হন।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ২য় বারের মতো ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম তাকেই বরখাস্ত করে এবং বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করে।
আওয়ামী দু:শাসনামলে শুধু চাকুরিচ্যুতিই নয়, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তার বিরুদ্ধে ৫ টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দায়ের করে।তার বিরুদ্ধে একাধিকবার গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হয় যা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যপক প্রচারিত হয়। আজো ঢাকা জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।
জীবিকার প্রয়োজনে তিনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গার্মেন্টস উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি আবাসন ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমই ও রিহ্যাব এর সদস্য।
মাহবুবুর রহমান (ডাবলু), কর্ম ব্যস্ততার কারণে বেশ কিছুদিন তিনি নওগাঁর বাইরে ছিলেন।তবে রাজনীতি থেকে কখনই দূরে ছিলেন না।কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দলের বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।কেন্দ্রে কাজ করার সুবাদে দেশের সকল জেলার নেতাকর্মীদের সাথে তার আস্থার সম্পর্ক বিদ্যমান।তিনি আরো জানান যে সদর ৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলে তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করবেন। ইতোমধ্যে তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন এবং শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের কাছে দলের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ, জনসেবামূলক কার্যক্রম ও জনসংযোগ করেছেন।নওগাঁ বাসীর মধ্যে তার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ ও উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে।জনগণের সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নওগাঁর জন্য সর্বোচ্চ উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য তিনি বদ্ধপরিকর।
তিনি জানান যে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার সাথেই তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং নওগাঁ বিএনপির সংগঠন কে জনসাধারণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী করার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। নওগাঁর রাজনীতি থেকে তিনি কখনোই দূরে থাকবেন না।স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে প্রতিহিংসা নয়। একটি সুশৃঙ্খল দল ও আধুনিক সমৃদ্ধ নওগাঁ গড়ার প্রত্যাশায় তিনি সকলের সহযোগিতা, সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।