MSSN TV

MSSN TV journalist

মাশাল্লাহ,  বক্তব্যটি গভীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ ও জাতির প্রতি এক ধরনের আন্তরিক চিন্তা প্রকাশ করছে। একটি পরিবর্তনশীল সমাজে...
22/10/2024

মাশাল্লাহ, বক্তব্যটি গভীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ ও জাতির প্রতি এক ধরনের আন্তরিক চিন্তা প্রকাশ করছে।

একটি পরিবর্তনশীল সমাজে গণআন্দোলন সবসময় ইতিহাসকে একটি নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেমন আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে।

আওয়ামী লীগের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুহূর্ত, যেখানে তাদের কৃতকর্ম ও নেতৃত্বের অনুশোচনা না থাকা জনগণের ক্ষোভকে আরও তীব্র করতে পারে।

নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা বর্তমান সংকটের সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারে। দম্ভ ও অহংকার মানুষের কাছ থেকে ক্ষমার পরিবর্তে ঘৃণা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়—এটি ইসলামের শিক্ষার বিপরীত।
কুরআনে আল্লাহ বারবার আমাদের সতর্ক করেছেন অহংকার ও অবিচারের বিপদ সম্পর্কে।

আল্লাহ যেন আমাদের দেশকে সুপথে পরিচালিত করেন এবং সকলকে সত্য ও ন্যায়ের পথে রাখেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে এমন নেতাদের দান করুন যারা আল্লাহভীরু এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে।

যে কোনো দলের আস্থা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো নিজেদের সংশোধন করা। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি বা নৈরাজ্য দ্বা...
19/10/2024

যে কোনো দলের আস্থা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো নিজেদের সংশোধন করা। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি বা নৈরাজ্য দ্বারা কখনোই মানুষের আস্থা ফিরে আসতে পারে না। বরং, মানুষের কাছে মাফ চেয়ে, সৎভাবে ত্রুটি স্বীকার করে এবং প্রকৃত পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে যদি দলের শুদ্ধিকরণ করা হয়, তবেই আস্থা ফিরে আসতে পারে।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন:

"তোমরা ন্যায় ও সৎকর্মে একে অপরের সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করো না।"

— (সূরা আল-মায়েদা, ৫:২)

এমনই নীতিগত মূল্যবোধ যদি দলগুলি অনুসরণ করে, তাহলে আস্থা ফিরে পাওয়া সম্ভব।

রিসেট বাটন আসলে এমন একটি প্রতীকী ধারণা, যা প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়। একটি...
08/10/2024

রিসেট বাটন আসলে এমন একটি প্রতীকী ধারণা, যা প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়।

একটি ডিভাইসে যেমন রিসেট করার মাধ্যমে তাকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা হয়, তেমনি রাজনীতিতেও রিসেট বাটন চাপ দিয়ে অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বোঝায়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা বায়ান্নের ঐতিহ্য অস্বীকার নয় বরং এই রিসেট বাটন হচ্ছে অতীতের ভুলগুলোকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন সূচনা।

যারা এই রিসেট বাটনের ধারণাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে, তারা আসলে নিজেরাই বিভ্রান্ত।

রাজনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় কখনো কখনো আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।

সত্যিকারের দেশপ্রেমিকরা কখনোই ইতিহাসকে ভুলে যায় না, বরং তারা সেই ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে।

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাই আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইমাহমুদুর রহমানের মুক্তির এবং আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি একটি রাজন...
01/10/2024

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাই
আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই
মাহমুদুর রহমানের মুক্তির এবং আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি একটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে গভীর অর্থবহ। মাহমুদুর রহমান একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিয়েছেন, যা তাকে অনেকের কাছে এক ধরনের "বাকস্বাধীনতার প্রতীক" করে তুলেছে। তার মুক্তির দাবি করার পেছনে ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, এবং মানবাধিকারের মতো বড় বড় নীতি রয়েছে।
আবার, আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়ার বিষয়টি সরাসরি সরকারের আইনি নীতিমালা, বিচার বিভাগীয় কার্যকলাপ, এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেক সময় রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক অপকর্ম, দুর্নীতি, বা অন্যায্যতা সংঘটিত হলে নাগরিকরা সরকারের নীতিনির্ধারকদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে থাকে। এতে মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বহীনতা, বা আইনের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ প্রকাশ পায়।
এই ধরনের দাবি তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন তা জনগণের যৌক্তিক উদ্বেগের প্রতিফলন হয়ে ওঠে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব দাবি আদায় করতে চেষ্টা করা হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা এবং ন্যায়ের জন্য লড়াই করার অধিকার রয়েছে। তবে, এই ধরনের দাবির পেছনে সঠিক প্রমাণ ও তথ্য থাকা জরুরি, যেন আন্দোলন বা প্রতিবাদ ভিত্তিহীন হয়ে না দাঁড়ায়।
আপনার এই দাবি প্রকাশ করতে চাইলে যুক্তি, তথ্য এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এর পক্ষে সমর্থন জোগানো এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারীরা যেমন এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে চরমতম অপরাধ করেছে, ঠিক...
27/09/2024

অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারীরা যেমন এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে চরমতম অপরাধ করেছে, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালে যারা এ ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদেরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো স্থান বা অধিকার থাকতে পারে না। যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, তারা কোনোভাবেই এ জাতির নেতৃত্ব বা জনসেবা করার উপযুক্ত নয়।

বাংলাদেশের জন্য যে মূল্যবান ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখো শহীদ যে রক্ত দিয়েছেন, তা আমাদের জাতীয় জীবনের গভীরতম ভিত্তি। সে ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে আমাদের উচিত এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা, গণহত্যাকারীরা, কিংবা যে কোনো ধরনের অপরাধী রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

ইসলামের আলোকে বিচার করলে, যারা অন্যায়, অত্যাচার, এবং নির্যাতন চালায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"যারা মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি কঠিন হবে।"
(সূরা আল-মায়িদা, ৫:৩২)

তাই অতীতের গণহত্যা কিংবা বর্তমানের যেকোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশকে উন্নত ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদের এইসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আমাদের বাংলাদেশে সব ধর্মের, সব জাতির মানুষ একত্রে বসবাস করে, এবং এটি আমাদের দেশের গৌরব। জন্মসূত্রে বা অবস্থান অনুযায়ী ক...
27/09/2024

আমাদের বাংলাদেশে সব ধর্মের, সব জাতির মানুষ একত্রে বসবাস করে, এবং এটি আমাদের দেশের গৌরব। জন্মসূত্রে বা অবস্থান অনুযায়ী কোনো প্রকার সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে পৃথক করা উচিত নয়। ইসলামও সব ধর্মের প্রতি সম্মান ও ন্যায় বিচার করার শিক্ষা দেয়। আল্লাহ বলেন:
"হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী হতে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে-ই বেশি সম্মানিত, যে বেশি তাকওয়াল (পরহেজগার)।"
(সূরা আল-হুজুরাত, ৪৯:১৩)
আমাদের সমাজে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সবাইকে সমান অধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে, এবং যারা সংঘাত বা হানাহানির মাধ্যমে এই সমতা নষ্ট করতে চায়, তাদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে। একে অপরের প্রতি সম্মান এবং সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারব ইনশাআল্লাহ।

বিপ্লব বা কোনো গণআন্দোলন সফল হলে অনেকেই নিজেদেরকে সেই আন্দোলনের সমন্বয়ক, মাস্টারমাইন্ড, কিংবা সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করত...
26/09/2024

বিপ্লব বা কোনো গণআন্দোলন সফল হলে অনেকেই নিজেদেরকে সেই আন্দোলনের সমন্বয়ক, মাস্টারমাইন্ড, কিংবা সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করতে শুরু করে। কিন্তু বাস্তবে যখন বিপ্লব বা আন্দোলন চলছিল, তখন তাদের অধিকাংশই হয়তো তেমন সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না বা কোনো ঝুঁকি নেয়নি।
এটি ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে। যখন কোনো বড় পরিবর্তন বা সাফল্য আসে, তখন অনেকেই নিজেদেরকে সেই সাফল্যের অংশ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে কিছু মানুষ সত্যিই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, আবার কিছু মানুষ সেই সাফল্য থেকে শুধু সুবিধা নিতে চায়। এভাবে সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি হয়, যারা আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে আড়াল করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য চেষ্টা চালায়।
আসলে, যেকোনো বিপ্লব বা আন্দোলনের মূল্যবান অংশগ্রহণকারী হলো তারা, যারা নিঃস্বার্থভাবে এবং সত্যিকারের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে কাজ করে।
ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, বিপ্লবের প্রকৃত সফলতা তখনই আসে যখন আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সকল পক্ষ সঠিকভাবে কাজ করে এবং আন্দোলনের নৈতিক ও মানবিক আদর্শকে অক্ষুণ্ণ রাখে।

সরকারের উপেক্ষা আর শহীদের ত্যাগের গল্প—এটি আমাদের জাতির একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং গর্বিত অধ্যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ...
26/09/2024

সরকারের উপেক্ষা আর শহীদের ত্যাগের গল্প—এটি আমাদের জাতির একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং গর্বিত অধ্যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা তাদের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার অমর সোপান রচনা করেছেন। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে দুঃখের বিষয় হলো, সময়ের সাথে সাথে সরকারের নানা উপেক্ষা, ভুল সিদ্ধান্ত ও অবহেলার কারণে শহীদদের সেই মহান ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন সবসময় নিশ্চিত করা যায়নি।

শহীদের ত্যাগ:
২০২৪ সালে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদ তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। যুদ্ধের সময় তাদের পরিবার, আশেপাশের মানুষ ও বন্ধুরা জানতো না, এই তরুণ যোদ্ধারা হয়তো আর ফিরে আসবে না। অনেক মা-বাবা শেষবারের মতো তাদের সন্তানদের দেখতে পাননি। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগ কোনো একক ব্যক্তির জন্য নয়, বরং গোটা জাতির ভবিষ্যৎ এবং স্বাধিকার অর্জনের জন্য ছিল।

সরকারের উপেক্ষা:
মুক্তিযুদ্ধের পর, বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখেছি যে শহীদদের ত্যাগের গল্পগুলো প্রায়শই সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় বা অবহেলার কারণে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। যেমন:

মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের অবহেলা: মুক্তিযোদ্ধারা এবং শহীদ পরিবাররা প্রায়ই অভিযোগ করেছেন যে তারা যথাযথ সন্মান ও সহযোগিতা পান না। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ভাতা ও সুবিধা চালু করা হয়েছে, তবু অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন। এছাড়া, শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণেও সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

বিভেদমূলক রাজনীতি: মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে অনেক সময় বিকৃত করা হয়েছে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এক পক্ষ যখন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা তুলে ধরেছে, অন্য পক্ষ সেটিকে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফলে শহীদদের ত্যাগের গল্পগুলো জনগণের সামনে সঠিকভাবে আসেনি।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবহেলা: মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়, যাতে দেশকে মেধাশূন্য করা যায়। আজও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যথাযথ মূল্যায়ন অনেকাংশে উপেক্ষিত থেকে গেছে। সরকারগুলো কখনও তাদের প্রতি যথাযথ সন্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে।

শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব:
শহীদদের ত্যাগের গল্প শুধুমাত্র একটি ইতিহাস নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার এবং জনগণ উভয়েরই উচিত শহীদদের সম্মান রক্ষা করা এবং তাদের আদর্শকে সামনে রেখে দেশ গঠন করা। কেবল উপেক্ষা বা অবহেলা নয়, তাদের ত্যাগের মূলমন্ত্রকে অন্তরে ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হবে।

"তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদেরকে মৃত মনে করো না যারা নিহত হয়েছে, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে রিযিক প্রাপ্ত হচ্ছে।"
(সূরা আলে ইমরান ৩:১৬৯)

এই আয়াতটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, শহীদরা কখনও মৃত নয়; তাদের ত্যাগ অমর, আর তাদের আত্মা আল্লাহর কাছে সম্মানিত অবস্থানে রয়েছে। অতএব, আমাদের কর্তব্য হলো তাদের সেই ত্যাগের যথাযোগ্য সন্মান দেয়া এবং জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গঠন করা নিঃসন্দেহে একটি মহৎ লক্ষ্য, তবে সেটি অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন ও পদক্ষেপের প্রয়োজ...
19/09/2024

বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গঠন করা নিঃসন্দেহে একটি মহৎ লক্ষ্য, তবে সেটি অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন ও পদক্ষেপের প্রয়োজন। এই পরিবর্তনের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মতামত জানা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে ছাত্রদের, কারণ তারাই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব বহন করবে।
ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করা উচিত, তারা কোন ধরনের সমাজ দেখতে চায় এবং কী কী পরিবর্তন তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা বুঝে, সমাজের নীতিমালা এবং কাঠামোতে পরিবর্তন আনা সম্ভব। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে:
শিক্ষা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে গঠিত সমাজ: ছাত্ররা একটি সমাজ চায় যেখানে সবাই সমানভাবে মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পাবে। বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্নীতি এবং সুযোগের অসমতা তৈরি করে। এজন্য সকলের জন্য সমান সুযোগ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা প্রয়োজন।
আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ: ছাত্রদের দৃষ্টিকোণ থেকে, একটি মানবিক সমাজে ধনী-গরীবের ফাঁক কমানোর জন্য প্রয়োজন হবে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নীতিমালা। তারা সম্ভবত চায়, কর্মসংস্থান, বেতন, এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।
মানবাধিকারের সুরক্ষা: ছাত্ররা চায় একটি সমাজ যেখানে সবার মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে—নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বৈষম্যমূলক আচরণ সমাজে অন্যায় ও অবিচার সৃষ্টি করে, যা তারা পরিবর্তন করতে চায়।
পরিবেশগত সচেতনতা:
আজকের ছাত্ররা পরিবেশের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। তারা চায় একটি এমন সমাজ, যেখানে পরিবেশের সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হবে। এই পরিবর্তন তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন:
ছাত্ররা এমন একটি সমাজের প্রত্যাশা করে, যেখানে সরকার ও প্রশাসন সুশাসন নিশ্চিত করবে। দুর্নীতি ও অসাধু ব্যক্তিদের অপসারণ করে জবাবদিহিমূলক একটি প্রশাসন গঠন করা ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষা হতে পারে।
সামাজিক ও ধর্মীয় সহনশীলতা:
তারা সম্ভবত এমন একটি সমাজ চায় যেখানে ধর্মীয়, জাতিগত এবং সামাজিক সহনশীলতা থাকবে। ধর্ম বা বর্ণের কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না, এবং সকলেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকতে পারবে।
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের এই চাহিদাগুলো শুনে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা। সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে একটি প্রকৃত মানবিক সমাজ গঠন করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এই দেশের মালিকানা সব নাগরিকের—ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, বা ভাষার ভেদাভেদ ছাড়াই। বাংলাদেশ একটি ধর্মন...
19/09/2024

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এই দেশের মালিকানা সব নাগরিকের—ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, বা ভাষার ভেদাভেদ ছাড়াই। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যার অর্থ হলো সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং রাষ্ট্রের প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ", এবং এখানে জনগণ বলতে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ও সম্প্রদায়ের মানুষকেই বোঝানো হয়েছে।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও, অন্যান্য ধর্মের মানুষও এই রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সাম্য, এবং ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।

ইসলামের শিক্ষাও বলে যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার নিকট সব মানুষ সমান এবং "ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই" (সূরা আল-বাকারা, ২:২৫৬)। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি ন্যায্যতা এবং মানবিক আচরণ করা অপরিহার্য।

বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো এবং নৈতিক চেতনা এই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে—যেখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার এবং মর্যাদা ভোগ করবে।

এই উক্তিটি যুদ্ধ এবং সমাজের ভিন্ন শ্রেণিগুলোর ভূমিকা নিয়ে গভীর একটি উপলব্ধি প্রকাশ করে। এটি আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে, যুদ্ধে...
18/09/2024

এই উক্তিটি যুদ্ধ এবং সমাজের ভিন্ন শ্রেণিগুলোর ভূমিকা নিয়ে গভীর একটি উপলব্ধি প্রকাশ করে। এটি আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে, যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য কে দিতে হয় এবং এর প্রভাব কতটা অসম। যখন রাজনীতিবিদেরা যুদ্ধ শুরু করে, ধনীরা নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিরাপত্তা তৈরি করে, আর গরিবদের কাঁধে পড়ে যুদ্ধের আসল ভার—তাদের সন্তানেরা জীবন দেয়।

যুদ্ধ শেষে, রাজনীতিবিদেরা রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছে, ধনীরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে, কিন্তু গরিবদের কেবল হারানো সন্তানদের কবরের খোঁজ করতে হয়।

এটি কেবল যুদ্ধের নয়, বরং যে কোনো বড় সামাজিক সংকটের একটি প্রতীকী চিত্র যা শক্তি এবং ক্ষমতার অসম বণ্টনকে প্রকাশ করে। গরিবদের বেদনাই এখানে মূল গল্প।

পর্যবেক্ষণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।  ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. বদিউল আলম মজুমদারের রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত , যা তাদের দ...
17/09/2024

পর্যবেক্ষণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. বদিউল আলম মজুমদারের রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত , যা তাদের দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন। এ ধরনের মন্তব্য আসলেই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণের বিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে।

যদি তারা সচেতন বা অসচেতনভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তা শুধু তাদের নিজেদের ক্ষতিই করবে না, বরং দেশের নীতি ও শাসন ব্যবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃত ব্যক্তিত্ব যদি নেতৃত্বে থাকেন, তবে সেই সরকারের নিরপেক্ষতা ও প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত জরুরি।

১. নিরপেক্ষতার গুরুত্ব:
দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে চাইলে একদম নিরপেক্ষ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব অত্যাবশ্যক। রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া বা পক্ষপাতিত্বে লিপ্ত হলে তাদের কাজের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হতে পারে। এ কারণে, এমন ব্যক্তিদের উচিত রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে দূরে থাকা এবং নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখা।

২. ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি:
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন একটি সরকারে এমন ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ নয়। কেননা ড. ইউনুসের দৃষ্টিভঙ্গি হলো দারিদ্র্য বিমোচন এবং রাষ্ট্রীয় সমৃদ্ধি, যা রাজনীতির চেয়ে অনেক বড় লক্ষ্য। অতএব, এই ধরনের নেতারা যদি তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন, তাহলে সরকারের সামগ্রিক সাফল্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

চিন্তা-ভাবনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োচিত। যদি সময়মতো হুঁশে না আসে, তবে দীর্ঘমেয়াদী নিরপেক্ষতা ও জনসমর্থনের ক্ষতি হতে পারে, যা দেশের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

Address

Tarabo
Narayanganj
1360

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MSSN TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MSSN TV:

Share