08/07/2025
🔴 গণহত্যার পাশাপাশি রোহিঙ্গা মুসলিমদের থেকে ভয়ংকর চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি !
মংডু শহর এবং আশপাশের অঞ্চলে আজ রোহিঙ্গারা শুধু নিপীড়িত নয়, তারা আরাকান আর্মির (AA) জন্য হয়ে উঠেছে এক ধরনের "ব্যাংক" যেখান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে যুদ্ধ চালাচ্ছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
বর্তমানে মংডু শহরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রতিটি রোহিঙ্গা নাগরিককে ৩৫,০০০ থেকে ৭০,০০০ কিয়াত (প্রায় ৭–১৫ ডলার) পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে। চলাচলের জন্য এমনকি প্রতিবার চেকপোস্ট পার হলেই ১,০০০ কিয়াত করে "জরিমানা" আদায় করা হচ্ছে। পাইং ফু গ্রামের একজন জানিয়েছেন, প্রতিদিন এই টাকাই দিয়ে তিনি নিজের জমিতে যাতায়াত করেন।
আরও ভয়ংকর উদাহরণ এসেছে পা নিয়াং পিং গ্রাম থেকে। এক রোহিঙ্গা রোগী বাংলাদেশে চিকিৎসার অনুমতির জন্য ১০৫,০০০ কিয়াত দিতে বাধ্য হয়েছেন মানে, অবস্থা যতই নাজুক হোক না কেন, চাঁদা এই মগ গোষ্ঠীকে দিতেই হবে।
🚨 এখন প্রশ্ন হলো, এইসব টাকা যায় কোথায়?
এই সমস্ত আদায়কৃত অর্থ সরাসরি যাচ্ছে আরাকান আর্মির অস্ত্র কেনা, গেরিলা প্রশিক্ষণ, চেকপোস্ট ও বাঙ্কার নির্মাণ এবং সামরিক নিয়ন্ত্রণ বিস্তারের পেছনে। অর্থাৎ, রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালাতে যে অর্থ দরকার হচ্ছে সেটাই আদায় করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকেই। যা শুধু নিছক চাঁদাবাজি নয়, বরং সুসংগঠিত সন্ত্রাসী অর্থনীতি।
রোহিঙ্গাদের টাকায় আজ যুদ্ধ চলছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেই। ফসল লুট, ঘর দখল, বাজারে ভাড়া বসানো, ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এসব করে AA যেমন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিকভাবে ভেঙে ফেলছে, তেমনি তাদের পকেটও চুষে নিচ্ছে প্রতিদিন।
🔴এই ভয়ংকর বাস্তবতাকে আর অবহেলা করা যাবে না। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এখন শুধু সামরিক নয়, অর্থনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে। "কারণ তারা রোহিঙ্গাদের রক্ত ও চোখের পানি দিয়ে টাকা বানাচ্ছে, আর সেই টাকা দিয়েই অস্ত্র-গুলা-বারুদ কিনে আঞ্চলিক অস্থিরতা ছড়াচ্ছে। তাই এই সন্ত্রাসী আরাকান আর্মিকে রুখতে এখনই বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।🔴