05/09/2024
রবিউল আউয়াল মাস অত্যন্ত ফজিলাতপূর্ণ।
তাকওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে এ মাসটির শান-মান, মর্যাদা ও ফাজিলাত অন্যান্য সকল মাস থেকে ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে এরশাদ করেছেন--
ذَٰلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ
মানাসেকে হজ্বের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, এ কাজগুলো আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনগুলোকে মুমিনগনের মধ্যে থেকে যারা তা'জিম করে। এ তা'জিমটা তাদের অন্তরের তাকওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট।
হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) ব্যাখ্যা করেছেন,, আল্লাহর شعائر এর সম্পর্ক অর্থাৎ شعائر الله এর সাথে সম্পর্ক চার প্রকার।যেমন-
১। বাইতুল্লাহ,
২। আল্লাহর ইবাদত। (নামাজ, নামাজের জন্য অযু ইত্যাদি)
৩। আল্লাহর কিতাব (কুরআন)। ওযু ছাড়া স্পর্শ করি না।
৪। আল্লাহর হাবিব (মুহাম্মাদ ﷺ)।
এর চার প্রকারের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা সবার ঊর্ধ্বে রাসূলুল্লাহ ﷺ - এর তা'জিমকে রেখেছেন। এজন্য আজমতে রাসূল ﷺ এর সম্পর্ক যতটা না ফতোয়ার সাথে, তার চেয়ে বেশি তাকওয়ার সাথে সম্পর্কিত।
অতএব ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ কে খুজে পেতে তাকওয়ার দৃষ্টিকোণ এবং মারেফাতের নূর লাগবে।
সেজন্য ইমাম ইবনে হাজার বলেছেন-- আল্লাহর রাসূল ﷺ কে তা'জিম করার যত পদ্ধতি রয়েছে, প্রত্যেক তরিকায় রাসূল ﷺ কে তা'জিম করা যাবে, যদি সে তরিকা আল্লাহর সাথে শিরক না হয়। এ সকল তরিকায় তাজিম করা মুস্তাহাব,
ঐ সকল লোকদের নিকট যাদেরকে আল্লাহ মারেফাতের নূর চক্ষুষ্মান করে দিয়েছেন। অর্থাৎ অন্তর চক্ষু ছাড়া আল্লাহর হাবিব ﷺ এর শান-মান বোঝা কারো পক্ষে সম্ভব না।
🎙️ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী, পীর সাহেব জৌনপুরী।