
03/07/2025
জানি এসব বলে কয়ে লাভ নেই, নিছক অপচয় 🙃
১/ যার যার সন্তানের নাম তারই রাখা উচিত অন্য কেউ নাম রাখার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত না ,যেই মা দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করল, যেই পিতাটা সন্তান হওয়া থেকে শুরু করে সন্তানের সারা জীবনের দায়িত্ব ভার বহন করলো ,সেই বাবা-মার চেয়ে বেশি অন্য কেউ ভালো কখনো সন্তানের জন্য চাইতে বা বুঝতে পারে না। আপনার কাছে মনে হতে পারে যে একটা সাহাবীদের নাম রাখলে ভালো হবে, আপনি রাখেন না ভাই কে না করল! 😕 আপনার কাছে মনে হতেই পারে আরবি একটা নাম রাখলাম যার কোন অর্থ জানিনা অর্থ জানার কোন প্রয়োজন নাই ,সৌদি আরবের যে কোন নাম রাখলেই আমি জান্নাতি তাহলে আপনি রাখেন, কে না করল!
যা ইচ্ছা তাই রাখেন্;তবে আরেকজন একটা নাম রাখল আর আপনার কাছে সেটার অর্থ ভালো মনে হলো না এটা ওটা কেন আপনারা দোষ বের করার ট্রাই করেন রে ভাই , আপনার কাছে যেটা শুনতে ভালো লাগতেছে না সেটা ঐ মায়ের অনেক সাধনার নামও হতে পারে, যে কল্পনা করতে পারে যে আমার বাচ্চা হলে আমি নাম রাখব তো আপনি কেন আরেকজনের আবেগ নিয়ে খেলা করবেন , কে রাইট দিছে আপনারে?
লাগলে নিজে একটা না, দুটা না, দশটা সন্তান হওয়ান তারপরে দশটার দশ রকমের নাম রাখেন তারপরও আরেকজনের বাচ্চার নাম রাখার জন্য ছেসরামি করবেন না, আপনার সন্তান না হলে দরকার পড়লে সন্তান দত্তক নিয়ে সেই সন্তানের নাম আপনি নিজে রাখেন দরকার পড়লে আরেকটা বাচ্চার দায়ভার নিয়ে তার নাম রাখেন কিন্তু অন্য বাবা-মার সন্তানের দায়ভার দয়া করে নিতে যাবেন না ।আপনাকে কি কেউ বলছে যে তুমি আমার বাচ্চার নাম রাইখ্যা দাও বা এটা ওটা কইরা দাও যেহেতু বলে নাই তাহলে তো দরকার নাই, সে আপনার যত জানকা টুকরা বোনের ছেলে ভাইয়ের ছেলে যাই হোক না কেন আপনি নাম রাখবেন ও না নামের দোষও ধরবেন না । জাস্ট ঐ নামে বাচ্চাটাকে ডাকবেন তাহলেই অনেক খুশি হব। কিংবা আপনার যদি খুব মনে চায় বা ইচ্ছে হয় অন্য নামে বাচ্চা কে ডাকতে, তাহলে আপনি আলাদা পার্সোনালি বাচ্চারে ঐ নামে ডাইকেন ,কিন্তু স্কুল-কলেজে আপনার নাম কেন দিচ্ছে না ,আপনার যেই নামটা রাখা হইছে সেই নামের অর্থটা বেশি সুন্দর ওইটা দিলে জান্নাতে যাবে এরকম একটা খোঁড়া যুক্তি দয়া করে দাঁড় করাবেন না । আপনার ভালো লাগে আপনি ডাকতেছেন কিন্তু তার বাবা-মার ভালো লাগতেছে যা ,তারা তাই করবে।
২/আমি কখনো কারো জন্য আগ বাড়ায়া কিছু করি না, যদি কারো বাবা-মা আমাকে দায়িত্ব দেয় তবেই সেটার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। যদি ধরেন আমাকে কেউ বলল আমার মেয়ের জন্য একটা ভালো ছেলে দেখো বা আমার ছেলের জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা কর বা একটা চাকরি দাও আমি তখনই চেষ্টা করি।মন থেকে ১০০ ভাগ করি, না করে দিতে পারলে খারাপ লাগে। চাকরি ছাড়া একটা মানুষের সংসার চালানো কতটা যে কি কষ্ট সেটা বুঝি ,কেউ কোন নতুন ব্যবসা করতে চাইলে কিছু ইনভেস্টমেন্টে টাকা ধার চাইলে আমার নিজের যদি সাধ্য থাকে আমি চেষ্টা করি তাকে ধার দেওয়ার; কিন্তু তখন যদি আমার সাধ্য না থাকে আমাকে যদি না করে দিতে হয় সত্যি মন থেকে আমি খুব ব্যথিত হই ।কিন্তু কেউ বল্লো না কিছু,আর আমি একা একা সব করবো,এমন মানুষ আবার আমি না। কেউ দাওয়াত না দিলে আমি করো বাসায় ও যাইনা, খুব জোর করা ছাড়া।সেই মানুষ টা অসুস্থ হলে,বা বিপদে পড়লে সেটা আলাদা কথা।
অনেকের ভিতরে ইনটেনশন থাকে তার আত্মীয়-স্বজনরা বা বন্ধুরা তার থেকে একটু ছোট থাকুক বা গরিব জায়গায় থাকুক বা খারাপ থাকুক ,কিন্তু আমার ভিতরে আলহামদুলিল্লাহ কখনো এই ধরনের খারাপ হিংসাত্মক চিন্তা কাজ করে না। আমি চাই সবার পাশে থেকে ভালোবাসা নিয়ে চলতে, আমার সাথে কেউ খারাপ আচরণ করলেও আমি আমার ভালো আচরণ দিয়ে তার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কেউ আমাকে সামনাসামনি দেখতে পারেনা ,বা পিছনে বদনাম করে সেটা জানার পরও আমি তাকে সালাম দেই কেমন আছো জিজ্ঞেস করি এটাই আমার পারিবারিক শিক্ষা।
একজন বড়র সাথে আমি যেমন মুখে মুখে তর্ক করি না, একজন ছোট যখন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে আমি চুপ করেই থাকি আর অবাক হই,কারণ আমি তার সাথে তর্কে জড়িয়ে সম্পর্কটা খারাপ করতে চাই না, যতই হোক সে আমার একটা সময় প্রিয় ছিল, হয়তোবা ক্ষনিকের জন্য সে আমাকে ভুল বুঝতেছে কিন্তু একটা সময় আমাকে নিয়ে ধারণা করা ভুলগুলো তার দূর হয়ে যাবে। আর বড় বা ছোট তাদের এই আচরণের পিছনে তাদের বাবা-মাই দায়ী কারণ তারা আমাকে নিয়ে এত পরিমানে আলোচনা সমালোচনা করেছে যে , ঐ বাচ্চার কাছে আমি হয়ে গেছি ডাল ভাত ;তাই ওর এখন আমার সামনে পিছনে বদনাম করতে বা অপমান করতে মুখে লাগছে না কিন্তু ভয় হয়;ওই মানুষটা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে যে একটা খারাপ আচরণ শিখলো, সে আস্তে আস্তে রাস্তার মানুষের সাথেও খারাপ ব্যবহার করবে, বন্ধু-বান্ধব অন্য আত্মীয়র সাথেও খারাপ ব্যবহার করবে এবং একটা সময় তার বাবা মার সাথে না খারাপ ব্যবহার করে বসে কে জানে, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক দোয়া করি🥰
৩/একটা মানুষ আপনার বাসায় বেড়াতে গেলে দয়া করে তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করুন কারণ আল্লাহ অনেক খুশি হলে কারো বাসায় অতিথি পাঠায় ,তাকে অখুশি করে বাসা থেকে বিদায় করবেন না। আপনার কাছে অনেক কিছুই মনে হতে পারে যে, সেই মেহমান আপনার বাসায় এসে পাকনামি করছে কিংবা কোন কিছুতে হস্তক্ষেপ করছে, আপনি চুপ থাকুন কারণ এক মাঘে তো আর শীত যায় না আপনি তো সেটা সেই মেহমান এর কাছে পরেও বলতে পারেন, তার বাসায় গিয়েও বলতে পারেন বা ফোনে বলতে পারেন যে তুমি এই আচরণটা ঠিক করনি আমার ভালো লাগে নি, কিংবা ভদ্রভাবেও অনেক কিছু সমাধান করা যায় । বাড়িতে নতুন জামাই কিংবা নতুন বিবাহিত দম্পতি গেলে কিংবা আপনার বাসায় প্রথম বেড়াতে গেছে এমন কেউ গেলে তাকে সত্যিই এমন সমাদর করা উচিত, যেন সে সেটা জীবনেও ভুলতে না পারে এবং দ্বিতীয়বার ভালোবেসে আপনার বাড়িতে যেতে চায়। হতে পারে সেই মানুষটা আপনার খুব অপছন্দের কিন্তু যেহেতু সে এখন আপনার মেহমান ,আল্লাহর পক্ষ থেকে সে আপনার বাসায় এসেছে কিংবা তাকে আপনি দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছেন কাজেই আপনার একটু সংযত হওয়াই উচিত ,এটাই হতে পারে আপনার পারিবারিক শিক্ষা ,এমন কোন আচরণ করবেন না যাতে সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় আপনি কেমন মানুষ, আপনি লেখাপড়ায় শিক্ষিত হতে পারেন কিংবা আপনার সার্টিফিকেট অনেকটা কমও থাকতে পারে, কিন্তু একটু ভালো আচরণে আপনি হতে পারেন অনেক সম্মানিত যে, দেখেছো ভাইয়াটা- আপুটা কতটা ভালো যে আমাদেরকে কতটা ভালোবেসেছে, সবসময় সার্টিফিকেট শিক্ষা আপনার কাজে লাগবে না একটু শিক্ষা যদি আপনার ব্রেনের ভিতরে কাজ না করে। টাকা পয়সা দুই দিনের হাতের ময়লা মাত্র, আল্লাহ মানুষকে টাকা দিয়ে পরীক্ষা করেন আপনার টাকা আছে বলে যেই মানুষটার টাকা কম তাকে আপনি সম্মান কম করবেন এরকম হিংসাও করবেন না আল্লাহ দিতে যেমন দেরি করেন না ,নিতেও কিন্তু সময় নেন না তাই সবার সাথে দয়া করে ভালোভাবে ভালো ব্যবহার করুন। কারো সম্পর্কে পুরোপুরি সত্যটা না জেনে তার সম্পর্কে বদনাম করা থেকে বিরত থাকুন। সবার টাকা থাকলেই কিন্তু ভালো মানুষ হয় না। ভালো মানুষ হতে গেলে একটা ভালো মন থাকা প্রয়োজন।আর সবাই যদি চেষ্টা করে একদিন ইনশাল্লাহ টাকা পয়সা হবেই কারণ পরিশ্রমিত টাকা পয়সা উপার্জনের মূল চাবিকাঠি তাই না ! কিন্তু মানুষের সাথে দয়া করে খারাপ ব্যবহার করবেন না কারণ আমরা আজ আছি কাল নেই কিন্তু আপনার খারাপ ব্যবহারটা মনের মধ্যে দাগ কেটে থাকবে চেষ্টা করুন যার সাথে যার খারাপ ব্যবহার হয়েছে, সেটা দ্রুত সমাধান করে একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করার।
৪/ দোয়া করি আমার মত কেউ না হোক,আমি খারাপ নাকি ভালো সেটা আমার কাছের মানুষরা জানলেই হবে, অন্য কাউকে প্রমাণ দেয়ার কিছু নাই।প্রত্যেকটা মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবন আলাদা হয় কারো সাথে কারো তুলনা করাটা নিছক বোকামি, আমি যেটা করেছি কেন করেছি সেটা আমার পার্সোনাল দিক দিয়ে আলাদা,সেটা আমি ছাড়া আর কেউ জানবেনা আমার সাথে অন্য কারো তুলনা হবে না তাই দয়া করে এসব করে সংসার কিংবা সমাজে অশান্তি তৈরি করবেন না।
আমি জানি উপরোক্ত যা বললাম সেগুলো বলে কোন লাভ নেই যার যা করার সে তাই করবে তাও কিছু মনের কথা অনেকদিন জমে ছিল প্রকাশ করলাম , লিখালিখি করতে আমার বরাবরই অনেক ভালো লাগে তাই আজকে একটু লিখলাম এই আর কি ,কোন আরেকদিন সময় পেলে আবার লিখব এখন বাচ্চারা উঠে যাচ্ছে তাই আর লিখালিখি করা যাবে না আল্লাহ হাফেজ😊