20/09/2025
“ভারতে জীবিত কবর দেওয়া শিশু উদ্ধার”
ঘটনা সংক্ষেপ
ঘটনা: ভারতের উত্তর প্রদেশ (Shahjahanpur জেলা) এলাকায় প্রায় ২০ দিন বয়সী এক মেয়ে শিশুকে জীবিতভাবে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল।
উদ্ধার: একটি রাখাল (এক ব্যক্তি যিনি ছাগল চরাতেন) মাটি নিচ থেকে কান্নার শব্দ শুনে কাছে গিয়ে দেখেন শিশুর একটি হাত মাটির বাইরে বেরিয়ে আছে।
পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে খুঁড়ে বের করে উদ্ধার করে।
চিকিৎসা: শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর ছিল: মুখ ও নাকের মধ্যে কাদা ঢুকে গিয়েছিল, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, দেহে সংক্রমণ ও অক্সিজেনের ঘাটতি ধরা পড়েছে।
আইনি ও অনুসন্ধানমূলক বিষয়: পুলিশ শিশুটির মা-বাবাকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি, ঘটনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বর্তমান অবস্থা
শিশুর অবস্থা এখনও “আশঙ্কাজনক” বক্তব্য হাসপাতালের তরফ থেকে পাওয়া গেছে।
চিকিৎসকরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এছাড়া প্লাস্টিক সার্জনসহ বিশেষজ্ঞ দল দায়িত্ব নিয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য কারণ
লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য: বাচ্চা মেয়ে হওয়ায় জন্মের পরই বা জন্মের আগেই “female infanticide” বা মেয়েরা unwanted সন্তান হিসেবে বিবেচনার কারণে এ ধরনের নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটতে পারে।
অবহেলা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব: গরীব বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য ও শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত সচেতনতার অভাব রয়েছে। পরিবার ও সমাজে মেয়েদের অবস্থা প্রায়শই অবহেলার পড়ে।
আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা: ভারতের আইন অনুযায়ী, শিশুর প্রতি এ ধরনের নির্যাতন বা হত্যা প্রচেষ্টা অপরাধ; তবে বাস্তবে মামলা-পর্যায় ও দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং অনেক সময় সঠিকভাবে হয় না।
প্রশ্ন রয়েছে
কে বা কারা শিশুটিকে জীবিতভাবে দাফন করেছিল এবং কেন? তদন্ত চলছে।
পরিবারিক পটভূমি – কি কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল — আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পারিবারিক অবস্থান ইত্যাদি।
শিশুটির যুদ্ধযজ্ঞ শেষ পর্যন্ত কেমন হবে — অভিজ্ঞ চিকিৎসা ও সময় পেলে কি সুস্থ হতে পারবে।