প্রিয় বলো彡

প্রিয় বলো彡 🌼🌺

18/06/2025

I got over 80 reactions on one of my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

16/06/2025

রাত হলে তো ঘুমিয়ে যাও কিন্তু একটা বার ভাবছো যাকে কষ্ট দিলাম সেও কি ঘুমিয়েছে..🙂

16/06/2025

অপূর্ণতায় ডুবে আছি-🤭🙃☺️

13/06/2025

এখনও চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা আর ধুন্দলই চিনতে পারলাম না, মানুষ চিনবো কিভাবে🌝

11/06/2025

সময় ধরে রাখা যায় না,কিন্তু সময় মনে রাখা যায়!🙂

06/06/2025

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম
تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّ وَ مِنْكُم

05/06/2025

- কথা গুলো কলিজায় লাগে..!🥺💔🥀

02/06/2025

জীবনের সব অবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ বলতে শিখুন"
- আল্লাহ খুশি হবেন!"💝

আমার কলেজের শিক্ষক আমাকে জিজ্ঞেস  করলো , " তোমার ফোনের গ্যালারিতে নীল শাড়ি পরা মেয়েটা কে ? তোমার কাছের কোন মানুষ নাকি ? ...
30/05/2025

আমার কলেজের শিক্ষক আমাকে জিজ্ঞেস করলো , " তোমার ফোনের গ্যালারিতে নীল শাড়ি পরা মেয়েটা কে ? তোমার কাছের কোন মানুষ নাকি ? "

- আমি বৈদ্যুতিক শট খাবার মত আতঙ্কিত হয়ে আমতা আমতা করে বললাম , জ্বি স্যার সামান্য পরিচিত ।

- কিরকম ?

- পাঁচ বছর আগে তার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে । তারপর থেকে তার সাথে আর দেখা হয়নি আমার , আমি তাকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি ।

- তারমানে পলিটেকনিক এ ভর্তি হবার আগে থেকে তুমি তাকে দেখেছো , আর সেই থেকে তার ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াও ? আচ্ছা ঘটনাটা খুলে বলতো সজীব !

- জ্বি স্যার , তখন আমি প্রথম স্যামসাং গ্যালাক্সি মোবাইল কিনেছিলাম । চট্টগ্রামে ছোট খালার কাছে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বেড়াতে গেছিলাম । তখন সেখান থেকে একদিন বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাই ৷ তখন অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে হঠাৎ করে একটা মেয়ে আমাকে বললো, ভাইয়া আপনার মোবাইল থেকে আমাদের কিছু ছবি তুলে দেবেন ? আসলে আমাদের কাছে বাটন ফোন তাই ভালো ছবি উঠবে না । আপনি ছবি তুলে সেই ছবি আমাদের মেমোরি কার্ডে ট্রান্সফার করে দিবেন আমরা বাসায় গিয়ে স্টুডিও থেকে বের করবো ।
আমি প্রথমে অবাক হলাম কিন্তু নিজের কৌতূহল নিজের কাছে রেখে তাদের অনেক গুলো ছবি তুলে দিলাম । এরপর তাদের সবগুলো ছবি ডিলিট করে দিছি কিন্তু এই পাঁচটা ছবি বিগত পাঁচ বছরে অনেক চেষ্টা করেও ডিলিট করতে পারিনি ।

- আহারে বেচারা সুপ্ত ভালবাসা ?

- জ্বি স্যার ।

- তার নাম কি ?

- নাম জানিনা ।

- এখন যদি হঠাৎ করে তার সাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে তুমি কি করবে ?

- আমি তার নাম জিজ্ঞেস করবো ।

- আর কিছু না ?

- নাহহহ ।

- প্রথমে কি তার নাম জিজ্ঞেস করবে ? এরপরে তাকে প্রপোজ করবে না তুমি ?

- স্যার আপনি বছর খানিক আগে একদিন ক্লাসে বলেছিলেন , যদি কাউকে প্রপোজ করতে হয় তবে প্রথমে তাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে । নাহলে আমি যে তাকে প্রপোজ করবো সেটা যদি সে আগে থেকে বুঝতে না পারে তাহলে হঠাৎ করে অপ্রস্তুত হয়ে যাবে । কিন্তু আগে থেকে যদি কিছুদিন তার ভাবনার মাঝে ঢুকতে পারি তাহলে ফলাফল ভালো আসার সম্ভবনা আছে ।

- বাহহ মনে আছে এখনো ?

- জ্বি স্যার ।

- মেয়েটার নাম নাজমা আক্তার বৃষ্টি ।

- আপনার পরিচিত ?

- হ্যাঁ ।

- বলেন কি ? কিভাবে চিনেন আপনি স্যার ?

- বৃষ্টির জন্মের পর থেকে চিনি , আর তাকে খাইয়ে পরিয়ে মানুষ করছি ।

- মানে ?

- "নাজমা আক্তার বৃষ্টি" আমার বড় মেয়ে !

- লে হালুয়া , বলেন কি স্যার ?

- হ্যাঁ ।

- সরি স্যার , আমি জানতাম না ।

- যদি জানতে তাহলে কি তোমার মোবাইল আমার কাছে দিতে না ? নাকি তার ছবি ডিলিট করে দিতে ?

- জানিনা । স্যার একটা প্রশ্ন ছিল ।

- বলো !

- আপনি মাঝে মাঝে বলতেন আপনার মেয়ে বৃষ্টির জন্য আপনি বছর খানিক ধরে চিন্তিত । বৃষ্টির কি হইছে ?

- এক কাজ করো , কলেজ তো ছুটি হয়ে গেছে তাই চলো রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বলছি ।

- ঠিক আছে চলুন স্যার ।

★★

যার সাথে কথা বললাম তিনি আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর সবচেয়ে মজার স্যার । সিটি পলিটেকনিক এ এসে দেখতে দেখতে চার বছর পেরিয়ে গেছে আর এই চার বছরের মধ্যে যতগুলো বন্ধু পেয়েছি তার মধ্যে স্যারের নামও আছে । কিন্তু স্যারের বাসায় কখনো যাওয়া হয়নি বলে বৃষ্টির সাথে দেখা হয়নি আমার । বৃষ্টিকে চট্টগ্রামে দেখার পরে এতটা ভালো লেগেছিল যেটা বোঝান সম্ভব না । কিন্তু তাকে যে আর খুঁজে পাব না সেটা কখনো বুঝতে পারিনি । স্যার বছর খানিক ধরে বলতেন তিনি নাকি তার মেয়েকে নিয়ে খুব টেনশনে আছেন । কিন্তু কখনো সেই বিষয় জানার আগ্রহ ছিল না আমার , তবে এখন যখন জানলাম যে এই সেই বৃষ্টি যার জন্য আমি আজও মাঝে মাঝে মোবাইলের দিকে অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকি । তখন স্যারের মেয়ে মানে আমার অপেক্ষার বৃষ্টির জন্য হলেও জানা দরকার ।

( বাকি পর্ব গুলো আমর পেইজ এ পোস্ট করা আছে )

- স্যার আর আমি পাশাপাশি হাঁটছি তখন স্যার বলতে শুরু করলেন , "" বৃষ্টি তোমাদের চেয়ে এক বছরের ছোট বৃষ্টি ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করেছে । ওর বড় খালার বাসা চট্টগ্রামে তাই সে মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম বড় খালার বাসায় বেড়াতে যায়। ২০১১ সালে হয়তো সেভাবেই তোমার সাথে দেখা হয়েছিল । বৃষ্টির বড় খালার বড় ছেলের নাম হচ্ছে , মোঃ রাফসান আহমেদ । রাফসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিল ২০১৪ সালের মাঝামাঝি । বৃষ্টি আর রাফসান দুজন দুজনকে পছন্দ করতো । বৃষ্টি যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন থেকেই নাকি তাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় । কিন্তু আমরা জানতে পারি রাফসানের চাকরি হবার কিছুদিন আগে । আমরা সবাই রাজি ছিলাম তাই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হলো । কিন্তু রাফসান নতুন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছে তাই শুধু এনগেজমেন্ট সম্পন্ন করে রেখেছিলাম । চাকরির এক বছর পরে রাফসানের ডিউটি পরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় । ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে পাহাড়ি কিছু দস্যুদের দমন করার জন্য রাফসান সহ আরো কিছু সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় । সেখানে একদিন গোলাগুলি হয় অনেক, আর সেদিন থেকে রাফসানকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে কেউ জানিনা তবে সবার ধারণা সে মারা গেছে । নাহলে দস্যু দল যদি আটক করতো তবে এক বছরের মধ্যে অবশ্যই মুক্তিপণ দাবি করতো । আর সেদিন থেকে বৃষ্টি পাগলের মতো হয়ে গেল । আমি অনেক চেষ্টা করছি বোঝাতে কিন্তু পারতেছি না । তাই বিগত এক বছর ধরে আমি ওকে নিয়ে টেনশনে থাকি সবসময় । মনে হয় না জানি কখন কি ভুল সিদ্ধান্ত নেবে ?

- আমি বললাম , এই এক বছরের মধ্যে বৃষ্টি কি একটুও পরিবর্তন হয়নি ?

- হ্যাঁ হয়েছে , আগে সবসময় রুম অন্ধকার করে বসে থাকতো তবে মাস তিনেক ধরে রুম থেকে বেরিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকে । প্রতি শুক্রবার বিকেলে আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে চরেরহাট নদীর তীরে ঘুরতে যায় । আমার বিশ্বাস বৃষ্টি এখন সব কিছু ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চেষ্টা করে । কিন্তু হোঁচট খেয়ে পরার সময় হাত টা ধরার মতো কেউ নেই বলে ইচ্ছে থাকলেও পারছে না । আমি চেয়েছিলাম বিয়ে দিয়ে দেবো কিন্তু এতবড় ধাক্কা হয়তো সহ্য করতে পারবে না । তাই আগে ওকে স্বাভাবিক করতে হবে তারপর ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেবো ।

- বললাম , আমি কি বৃষ্টির সাথে দেখা করতে পারি?

- হুম পারো তোমাকে দেখলে ও চিনতে পারবে কিনা জানিনা তবে তোমার সাথে দীর্ঘ চার বছরের চেনা পরিচিতির দ্বারা জানি যে , তুমি ওকে স্বাভাবিক করতে পারবে । তবে আমি চাই তুমি তোমার সেই পুরনো পরিচয় দিয়ে কথা বলো । তুমি যে আমার ছাত্র সে বিষয়টা প্রথমে যেন সামনে না আসে ।

- ধন্যবাদ স্যার আমি চেষ্টা করবো , আর আপনার বিশ্বাস টা যেন রাখতে পারি দোয়া করবেন ।

- অবশ্যই দোয়া করি , আগামীকাল শুক্রবার তাই বিকেলে যখন বৃষ্টি আর আমার ছোট মেয়ে ঘুরতে যাবে তখন তুমি সেখানেই তার সাথে দেখা করো । এমন ভাবে দেখা করবে যে তুমি জানোইনি বৃষ্টি এ শহরে থাকে ।

- ঠিক আছে স্যার ।

- আমি এখন তার নাম্বারটা দিয়ে দিচ্ছি তুমি রেখে দাও তোমার কাছে । অবস্থা বুঝে তারপর যদি ভালো মনে করো তাহলে ফোনে যোগাযোগ করিও ।

- আচ্ছা ঠিক আছে স্যার তাই হবে ।

★★

নাম্বার নিয়ে নাচতে নাচতে দুলতে দুলতে মেসের মধ্যে চলে আসলাম । রুমের দরজা বন্ধ করে প্যান্টের উপর লুঙ্গি পরে লাফিয়ে লাফিয়ে লুঙ্গি ড্যান্স করছি । আমার রুমমেট দুজন , শফিক আর রকি এরা দুজনেই কলিজার হারামি বন্ধু । তাদের মত বন্ধুর জন্য পৃথিবীতে আমার কোনো শত্রুর দরকার নেই ।

মেসের মধ্যে যিনি রান্না করে তাকে সবাই খালা বলে ডাকি , তিনিও আমার বিষয় জানতো । আমাকে এসে বললো , " মামা এ খুশিতে মেসের মধ্যে আপনি নিজের খরচে বিরিয়ানি রান্না ব্যবস্থা করে দিবেন । সবাই মিলে খেয়ে আপনার জন্য দোয়া করা হবে "

বললাম , সবকিছু হবে আগে তো কাজটা হোক , সবে মাত্র খুঁজে পেলাম এখনো কত কাজ বাকি ?

- আচ্ছা ঠিক আছে মামা তাই করেন ।

দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে নাম্বার টা বারবার দেখছি । কিছুক্ষণ ধরে মনের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী গান আসছে , যেমন এখন মনে আসছে " অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম মোবাইল নাম্বার । " নাহহহহ মিললো না , পরবর্তীতে মোবাইল নাম্বার পাওয়ার বিষয় আমাকে একটা গান লিখতে হবে ।

ঘুমানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ঘুম আসছে না , আবার মনের মধ্যে গান আসছে , " ঘুম কেন আসেনা কিছু ভালো লাগে না , একবার আসুক ঘুম তবে মজা দেখাবো "

মোবাইল হাতে নিয়ে নাম্বারটা বের করে ডায়াল করলাম , কল বেজে ওঠার সাথে সাথে কেটে দিয়ে মোবাইল বুকের মধ্যে লুকিয়ে নিলাম । মনে হয় যেন কল দেবার অপরাধে মোবাইল থেকে বেরিয়ে আমাকে শাস্তি দেবে ।

মেসেজ অপশনে গিয়ে একটা মেসেজ লিখলাম ;-

ওহে বালিকা ,
তোমার বোনকে বানাবো শালিকা ।
যদি হও রাজি ,
ডেকে আনবো কাজি ।

কিনে দেবো নীল চুড়ি ,
সাথে দেবো লাল শাড়ি ।
ব্লাউজটা তুমি কিনে নিও ,
টাকাটা নাহয় তুমিই দিও ।

কথাটা শুনে হেসে দিলে ?
জানোনা আমি বেকার ছেলে ?
চাকরি করে সব কিনে দেবো ,
ছুটির দিনে ঘুরতে নেবো ।

মেসেজটা তার নাম্বারে পাঠিয়ে দিলাম , একটু পরে ডেলিভারি মেসেজ আসলো । আমি মিটমিট করে হাসছি আর বারবার রিপ্লাই আসে কিনা চেক করে দেখতেছি ।

টুং টুং.... টুং টুং...

বাহহহহ ৫ মিনিট পর মেসেজ এসেছে , মেসেজ পরে শালা আমি তো অবাক !

মেসেজ ছিল ;-

ওরে বাটপার ,
ছন্দ গুলো চমৎকার ।
কে তুমি বৎস ?
কি তোমার উৎস ?

লাইন মেরে লাভ নেই ,
মনের আসন ফাঁকা নেই ।
বিরক্ত আর করিও না ,
ফলাফল কিন্তু ভালো না ।

★★★

[_নীল শাড়ি_]

Writer MAHIM 卝 চৌধুরীヅ

পর্বঃ-০১

চলবে কি .......?

( অনেক দিন পর গল্প পোস্ট করলাম আশা করছি সবাই পাশে থাকবেন আপনারা আর এখন থেকে সময় মতো গল্প পোস্ট করা হবে,, পেইজ এ একটিভ থাকবো সব সময় এবং দিন বিকাল ৫টায় নীল শাড়ী পরবর্তী পর্ব দেওয়া হবে পেইজে)

আশা করি লাইক কমেন্ট শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করবেন

আরও নিত্য নতুন গল্প পড়তে এবং ভিডিও দেখতে প্রিয় বলো彡 পেইজটিতে ফলো করে পাশে থাকুন ধন্যবাদ-🌺🥰

Address

Narayanganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রিয় বলো彡 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share