
25/08/2024
মূলতঃ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নদীগুলোর বর্ডারে বাধ নির্মান করলে ও ভারতের কিছুই হবেনা। এই ধরণের ফাউ আইডিয়া যাদের মাথা থেকে বের হয়, তাদেরকে গোবর মস্তিষ্ক ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। তাতে, আরো বেশি বন্যার কবলে পড়বে বাংলাদেশ।
পানি শুধু নদী দিয়ে গড়ায় না। ফুলে উঠা পানি জনপদের উপর দিয়ে ও গড়িয়ে নিচের দিকে যায়। নদী প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে দুপাশের জনপদ প্লাবিত হবে। পানি তখন নদীর বদলে দুপাশের জনপদ ধরে ভাটি অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হবে। ভাটি অঞ্চল ধরেই পানি শেষমেশ সাগরে মিলিত হবে। এটাই পানির ধর্ম।
যারা ভাবতেছেন, নদীর বর্ডারে বাধ নির্মাণ করলে ভারতের পানি ভারতেই আটকে থেকে যাবে, তাদেরকে ঘাস খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারি। এতে ভারতের সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চল হয়তো প্লাবিত হবে। তারপরও দিনশেষে সেই পানি আর ভারতের ভেতর দিকে গড়িয়ে যাবে না। ভারতের জনপদ গড়িয়ে বাংলাদেশের জনপদেই গড়িয়ে নেমে আসবে প্রবাহমান পানি। কারণটা প্রাকৃতিক। যে ৩ দিকে আমরা ভারত বেষ্টিত, সেই ৩ দিকেই ভারত আমাদের তুলনায় উচু জায়গায়। ৩ দিকেই তারা উজানের এলাকা। আমরা ৩ দিক থেকেই ভাটির মানুষ।
--------------- --------------- ------------------ --------------- ---------------
বন্যার জন্য দায়ী "পানি ছেড়ে দেয়া" নয়, বরং দায়ী হলো শুকনো মওসুমে পানি "আটকে রাখা"।
--------------- --------------- ------------------ --------------- ---------------
বন্যার জন্য দায়ী মূলতঃ শুকনো মওসুমে চাষবাসের জন্য পানিকে আটকে রাখা। উজানে বাধ বা ড্যাম নির্মান করে পানি আটকে রাখলে ভাটি অঞ্চলের দিকে নদীর নাব্যতা কমে যায়। পলি আটকে গিয়ে স্থানে স্থানে চর জেগে উঠে। সংকুচিত হয়ে পড়ে পানি যাওয়ার পথ। নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ হারায়।
যেভাবে সবাই বলতেছেন, ভারত হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দেয়ায় বন্যা হয়েছে, কথাটা ঠিক নয়। ভারতের কাছে এতবড় কোন পানির উৎস নেই যে, হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশ ডুবিয়ে দেবে। এই পানির উৎস অতিবৃষ্টি। বৃষ্টি ভারতে পড়ুক কিংবা বাংলাদেশে পড়ুক, পানির গতিপথ একটাই। তা হলো, পাহাড়ি এলাকা থেকে উজান বেয়ে ভাটি এলাকার উপর দিয়ে সমুদ্রে মেশা।
অতিবৃষ্টির পানি ছেড়ে না দিয়ে ভারত এত পানি রাখবেই বা কোথায়? পানির প্রবাহ এলে তা ছাড়তেই হবে।
--------------- --------------- ------------------ --------------- ---------------
সমাধান আন্তর্জাতিক আদালতে। নদীর পানি প্রবাহ রোধ করে ড্যাম কিংবা বাধ নির্মানে কিছু বৈশ্বিক নীতিমালা আছে।
--------------- --------------- ------------------ --------------- ---------------
শুকনো মওসুমে পানি আটকে রাখার বিরুদ্ধে কথা বলুন। শুকনো মওসুমে বাংলাদেশের নদী মৃতপ্রায় থাকে, সেটা তো সত্য। নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য কমপক্ষে কতটুকু পানি ছাড়তে হবে, তার জন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন আছে। ভারত সেই নিয়ম কানুনের কতবেশি লঙ্গন করেছে, তা তথ্যভিত্তিক ডাটা লাগবে। সেই ডাটা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা এবং নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমাধান আসবে। আমরা ভারতকে ব্লেইম দিলে ভারত চীনকে ব্লেইম দেয়। তাই এই ইস্যু শতবছর ধরেই অমীমাংসিত।
আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ভারত ও চীনকে সেসব নিয়ম কানুন মানতে বাধ্য করা ই হলো সমাধান।
এখন তো আর আপনাদের ভাষায় "ভারতের তাবেদার" ক্ষমতায় নেই। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত একজনকে সরকার প্রধান বানিয়েছেন। এখন তো আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দিয়ে ভারতের #বিষ মেরে দেয়া যাবে।