03/11/2024
শ্রীকৃষ্ণের ভাতৃদ্বিতীয়া
ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়া হল কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের (উজ্জ্বল পাক্ষিক) দ্বিতীয় চান্দ্র দিনে পালিত একটি মঙ্গল অনুষ্টান। এই তিথিতে যে বোন তার ভাইয়ের কপালে তিলক পড়িয়ে দিয়ে সহস্তে ভোজন করান তাহলে সেই ভাই বিত্ত, সৌভাগ্য ও উত্তম ধন প্রাপ্ত হন।
🌼 ভাইফোঁটার সুচনাঃ
একসময়ে লীলাচ্ছলে নারায়ণ বলির হাতে পাতালে বন্দি হন। আর বিষ্ণু না থাকায় দেবতারা বিপদে পড়ে যান। কোনওভাবেই যখন বিষ্ণুকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, তখন নারায়ণকে বলির হাত থেকে উদ্ধার করতে সকলে লক্ষ্মীর শরণ নেন। লক্ষ্মী উপায় হিসেবে বলিকে ভাই ডেকে কপালে তিলক এঁকে দেন। সেটাও ছিল কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথি। ফোঁটা পেয়ে বলি লক্ষ্মীকে উপহার দিতে চান। আর তখনই লক্ষ্মী, ভগবান বিষ্ণুর মুক্তি উপহার চান।
আবার, দ্বাপরে কৃষ্ণলীলায় নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে প্রতিবছর ভাইফোঁটা উৎসব জগতে প্রচলিত হয়ে আসছে।
এই দিনে যমুনা কর্ত্তৃক যমরাজদেব অতিশয় ভগিনী স্নেহহেতু পূর্ণ ভোজন প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তাই এই তিথিকে যমদ্বিতীয়া বলা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই তিথিতে ভগিনী হস্ত হইতে যে মানব ইহলোকে ভোজন করেন তিনি বিত্ত, সৌভাগ্য ও উত্তম ধন প্রাপ্ত হন।
আজ পবিত্র যমদ্বিতীয়া, ভক্তরা ফলাকাংঙ্খি নয় তারা বিত্ত, সৌভাগ্য, ধন লাভ করার আশা করেন না। বৈষ্ণবগণও বোনের হাতে ভোজন করতে পারেন যদি বোন সদাচারী ভক্ত হয়।
হরেকৃষ্ণ!🪔🙏🙏
সংগ্রহ করা পোস্ট,