নরসিংদী বাসী - Narsingdi bashi

নরসিংদী বাসী  -  Narsingdi bashi 𝕎𝕖𝕝𝕔𝕠𝕞𝕖 𝕋𝕠 ℕ𝕒𝕣𝕤𝕚𝕟𝕘𝕕𝕚

11/05/2024

কাকা অন ফায়ার 🔥🔥🔥🔥

ভার্সিটির হোস্টেলে উঠার দুই  সপ্তাহ পর আমার রুমে আসে রায়হান।তখন ভোর ছয়টা৷ দুই তিন টা ব্যাগ নিয়ে সজোরে দরজায় ধাক্কা দিতে ...
02/05/2024

ভার্সিটির হোস্টেলে উঠার দুই সপ্তাহ পর আমার রুমে আসে রায়হান।
তখন ভোর ছয়টা৷ দুই তিন টা ব্যাগ নিয়ে সজোরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। আমি ভেবেছিলাম সিনিয়ররা ডাকছে। তড়িঘড়ি করে দরজা খুলতে গিয়ে লুঙ্গি প্রায় খুলেই যাচ্ছিলো।
রায়হানের কাঁধে দুইটা আর হাতে দুইটা ব্যাগ।

মেয়েরা এত ব্যাগ নিয়ে আসে জানতাম। ছোট থেকেই মামার বাসায় বড় হওয়ার বিভিন্ন হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি। অনেক রুমমেট পেয়েছি। কিন্তু এত ব্যাগ পত্তর নিয়ে হোস্টেলে আসতে এই প্রথম রায়হান কে দেখলাম।তাও সব নিজের কাপড় চোপড়।

আমি তাকিয়ে আছি দেখে, চুইংগাম চিবোতে চিবোতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-তাকিয়ে আছিস কেন? আগে নিজের লুঙ্গি ধর তারপর আমার ব্যাগ ধর।
আর রুমে নাস্তা পানি কিছু আছে? নইলে চল হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে একটা ঘুম দিবো।

হাতের ব্যাগ গুলো আমার হাতে দিয়ে কাঁধের ব্যাগ গুলো ওর জন্য রাখা অন্য বেডের উপর ফেলল।
ব্যাগ রেখে বসতে না বসতে ওর ফোন এলো। খাটে বসা অবস্থায় ফোন ধরে ধপাস করে বেডে পড়ে গেল। আর বলল,
- হ্যাঁ আম্মু, আমি পৌঁছেছি। এইবার চিন্তা করিও না। সারারাত ঘুমাও নি। জেগে ছিলে আমার সাথে। এইবার ঘুমাও। আমিও ঘুমাব।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, নাস্তা করেই ঘুমাব। টেনশন করিও না।
রুমমেট? হ্যাঁ আছে আছে৷ ভালো হবে না কেন? অবশ্যই হবে, নইলে ভালো করে ফেলব। তুমি চিনো না তোমার ছেলে কে?
রাখো। ঘুমাও কিছুক্ষন।

আমি হাসি দিলাম। হোস্টেলে এলে প্রথম প্রথম সবাই মাম্মাস বয় থাকে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে এরা মাকে ফোন দিতেই ভুলে যায়৷
কিন্তু রায়হানের ব্যাপারে এই ধারণা টা আমার ভুল ছিলো।

রায়হান সারাদিন ক্লাস শেষে আড্ডা দিয়ে নয় টা থেকে দশটা অবধি একঘন্টা ওর মায়ের সাথে কথা বলতো৷
হে হে করে হাসতো, ওর ঘরের টপের কথা,বিড়ালের কথাও জিজ্ঞেস করতো। সারাদিন কুল হয়ে চলা, রাজনীতির আলোচনা, বির্তক কিংবা গানের আসর জমিয়ে রাখা যে ছেলেকে আমি বাইরে দেখতাম রুমে ঢুকার পর যখন সে তার মায়ের সাথে কথা বলত এই ছেলের সাথে আমি মেলাতে পারতাম না।
শুধু আমি নয় অনেক ছেলেই ওর এই ব্যাপার টা দেখতো।

আমাদের তিন টা শার্ট, দুইটা গেঞ্জি আর দুইটা জিন্স দিয়ে পুরো বছর চলে যায়। এই গুলো দিয়ে ক্লাস, অনুষ্ঠান , প্রাইভেট সব চলতো৷
কিন্তু রায়হানের সব গুলোর জন্য আলাদা আলাদা শার্ট, গেঞ্জি ছিলো।
একটা কাপড় ও সে ধুতো না। এক মাস পরে সব ব্যাগে ভরে বাড়িতে নিয়ে যেত।
আবার এক ব্যাগ ভর্তি ধোয়া, আয়রণ করা শার্ট প্যান্ট নিয়ে আসতো।
আর আসতো একটা সুটকেস। লালচে মেরুন রঙের মাঝারি সাইজের একটা সুইটকেস।
ওটাতে কোন কাপড় চোপড় থাকতো না। থাকতো নানা রকমের খাবারের জিনিস।
বিভিন্ন রকমের শুকনা পিঠা, নানা রকমের আচারের বয়াম, বিস্কিট, বাদাম, চকলেট, ড্রাই ফ্রুটস আরো কত কি। মাছ ভাজা, ভুনা করা মাংস।

আমি প্রথম দিন দেখে বলেছিলাম,
-এইটা কি?

রায়হান একগাল হেসে বলেছিলো,
- আম্মুর সুটকেস।

রায়হানের এই আম্মুর সুটকেস আমার কাছে ছিলো গুপ্তধনের মতো, ছাপোষা মামার বাড়িতে বড় হওয়ায়, মা কোন দিন ভালোমন্দ দিতে পারে নি। হোস্টলে হোস্টলে বড় হয়েছি , ভালো খাবার আর নাস্তা বলতে টিউশনিতে মাঝেমধ্যে যা পেতাম তাই দুনিয়ায় সেরা খাবারের একটা মনে হতো।

রায়হান একা কিছু খেতো না। আমাকে দিতো। আর বলত যখন খিদে লাগবে খেয়ে নিবি।
তালা থাকত না শুধু চেইন টানা থাকতো। প্রথম প্রথম সংকোচ হলেও পরে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিলো।
রায়হানের আম্মু সুটকেস টা আমার আর ওর বেডের মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় থাকতো। এইটা আমাদের আলনা হিসেবেও ব্যবহার হতো।

মাসের শেষের দিকে সুটকেস খালি হতো৷ রায়হান মাসের শেষ বৃস্পতিবার বাড়িতে যেত। যত কাজ, ক্লাস অনুষ্ঠান থাকুক না কেন ওকে যেতে হতো। ওর পুরো মাসের ময়লা কাপড় আর ওর আম্মুর সুটকেস টা নিয়ে বাড়ি ছুটতো।
এত বড় বড় ব্যগ নিয়ে সে কীভাবে যেত কীভাবে আসতো আমি জানতাম না।
একবার ভার্সিটির সিনিয়রদের ফেয়ারওয়েল ছিলো। সবাই নাচে গানে ব্যস্ত।
সে রাতের এগারোটায় ব্যাগ আর সুটকেস টা নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত রাতে কই যাস?দরকার হলে কাল চলে যাবি।

ভীষণ ব্যস্ত ভাবে বলে,
-আম্মুকে জানানো হয় নি যাবো না এইটা। কল ও যাচ্ছে না। সারারাত বসে থাকবে আমার জন্য। আমি ভোরে পৌঁছে যাব।

সে চলে গিয়েছিল। সেদিন রাতে আমার ঘুম হয় নি৷ শুধু মনে হচ্ছিলো রায়হান অনেক ভাগ্যবান। মায়েরা সন্তান দের তো ভালোবাসে আমরা এইটা স্বাভাবিক ভাবে নিই। কিন্তু সন্তানরেরা মাকে এইভাবে ফিরতি ভালোবাসতে পারে এইটা ভাগ্যের ব্যাপার।
কিছু ভাগ্যবান মানুষ ফিরতি ভালোবাসার ভাগ্য নিয়ে জম্মায়।
রায়হানের থেকে দেখে আমিও মাকে প্রায় ফোন দিতাম।
প্রথম প্রথম কথা খুঁজে পেতাম না কি বলব, আস্তে আস্তে বলতে বলতে মনে হলো মাকে অনেক কথায় বলা যায়।
শনিবার সকালে রায়হান ঠিক তার আয়রণ করা কাপড়ের ব্যাগ আর রায়হানের আম্মুর সুটকেস নিয়ে ফিরে আসে।

রায়হান বলে এইবার তোর জন্যেও আলাদা আলাদা সব দিয়েছে আম্মু।
খুলে দেখলাম যা যা দিয়েছে সব দুইটা করে পাঠিয়েছে।
আস্তে আস্তে তা নিয়ম হয়ে গেল। রায়হানের আম্মুকে আমি কখনো দেখি নি। আমার কাছে রায়হানের আম্মুর ভালোবাসা মানেই ছিলো রায়হানের আম্মুর সুটকেস টা।

আমার অনেক খরচ বেঁচে যাচ্ছিলো, আর আজেবাজে খাবার না খাওয়াতে অসুস্থও কম হচ্ছিলাম।

একদিন দেখলাম রায়হান ওর আম্মুর সাথে অনেক ক্ষন ধরে বকবক করে টাকা চাইছে। ওর এক জোড়া জুতা পছন্দ হয়ে ছাব্বিশ টাকা। ওর সেটা লাগবে।
অনেক বুঝানোর পর ওর মা টাকাটা পাঠাতে রাজি হয়েছে।
রায়হান টিউশনি করে না। করলেও মাস দুই মাসের বেশি না।
যদিও করে তা দিয়ে ওর মায়ের জন্য কিছু নিয়ে যাবে আগে।

রায়হান ফোন রাখার পর আমি ওকে বললাম,
- জুতা কেনার জন্য না বলে বই বা ভার্সিটির ফি এর জন্য বললে তো এত কথা বলতে হতো না।

রায়হান ঘাড় বেঁকিয়ে অবাক হয়ে বলে,
- মিথ্যা বলতাম?

বাম হাতে মোবাইল ধরে ডান হাতে তুড়ি মেরে বলে,
- আমি মিথ্যা বললে, এইভাবে এইভাবে তুড়ি মেরে ধরে ফেলবে। আর আমি আম্মুকে কোন দিন মিথ্যা বলি নি। সত্য বললে যখন সব পাই মিথ্যা বলার দরকার কি?

কেমন যেন অবাকই হলাম, আমাদের ছাপোষা ঘরেও আমাকে যা চেয়েছি দিয়েছে তাও যখন অতিরিক্ত কোন টাকা লাগে তখন মিথ্যা বলে নিই।

রায়হানকে সারাদিন অন্য সব ছেলের সাথে আলাদা কোন অমিল পেতাম না আমি, ক্লাস, মিছিল, মিটিং, প্রেম করা, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া। আড্ডা দেওয়া, ট্যুর দেওয়া। পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়াশোনা করে কোন মতে পাশ করা। সব যেন একই অন্য সব ছেলের মতো।

শুধু ও যখন মায়ের সাথে কথা বলতো আমার তখন মনে হতো আমি আমার ক্লাস টু'য়ে পড়া আমার ছাত্র সাব্বির কে দেখি। সেও পড়তে বসলে তখন এইভাবে গল্প করে ওর মায়ের সাথে।
একদিন সবাই মিলে আমাদের রুমে পার্টি করছিলাম। আমরা দশ বারো জন। আড্ডা হচ্ছিলো, কার্ড খেলা হচ্ছিলো। গান হচ্ছিলো। রায়হান গিটারে সুর তুলে গান গাইছিলো।

ওর ফোন আসায় ও আসর ছেড়ে উঠে এলো। আমাদের কে ইশারায় চুপ হতে বলল,
তাও আওয়াজ হচ্ছিল।

-হ্যালো আম্মু! কে? আব্বু? তুমি? আম্মু -? কি হয়েছে?

ও শোনার চেষ্টা করছে। তখন চেঁচিয়ে উঠলো,
- থামবি তোরা?

-কি? আম্মুর কি হয়েছে? ব্যাথা পাইছে? এ্যাঁ? শুনতে পাচ্ছি না কি বলছো।

পুরো ঘর যেন ঠান্ডা হয়ে গেল।।আমার বুক কেমন যেন ধুপ ধুপ করছিলো। না চাইতেও মনে কিছু আসছিলো। যেন খুদে কচুরিপানা সড়িয়ে দিলে আবার ফেরত আসছে। আমি তো রায়হানের কাছে ওর মা কী।

আমি তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। তার আগেই হাত থেকে মোবাইলে ধুম করে ফ্লোরে পড়ে গেল রায়হান।

সবাই হুড়োহুড়ি করে উঠে এসে ঘিরে ধরলো রায়হান কে।
আমি মোবাইল কানে দিলাম,
ওপাশ থেকে কান্না জড়ানো স্বরে কে যেন বলছে,
- কাল যোহরের পর জানাজা,

বাকি কথা আমি শুনলাম না। সবাই রায়হান কে ডাকাডাকি করছে। মুখে পানি দিচ্ছে।
রায়হানের আম্মুকে আমি কখনো দেখি নি আমার কাছে রায়হানের আম্মু মানেই ছিলে মেরুন রঙের সেই সুটকেস টা। সুটকেস টা রায়হান যেখানে পড়ে আছে তার দুইহাত দূরে দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। আমি অপলক তাকিয়ে আছি।
যত বার রায়হানের আম্মুর বানানো খাবার খেয়েছি ততবার মনে হতো উনি মাথায় হাত বুলিয়ে খাবার খাওয়াচ্ছেন।

সুটকেস টার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন আমার চোখ বেয়ে পানি পড়ে শার্ট ভিজে যাচ্ছে আমার জানা নেই।

রায়হান কে সবাই ডাকছে কারণ আমরা সবাই ততদিনে যেনে গিয়েছি রায়হান কেমন মা পাগল ছেলে৷ আমরা ওকে মাম্মাস বয় ডাকতাম।

সেদিন রায়হান কে আমরা সবাই কীভাবে নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা জানি না। রায়হানের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছিল আকাশা বাতাস পুরো ঘর।

রায়হান কখনো না বললেও আমার সব সময় মনে হতো রায়হান অনেক পয়সাওয়ালার ছেলে। ওর কাপড়চোপড় খাবার দাবার দেখে আমার মনে হতো বড়লোক বাপের আদরের ছেলে।
কিন্তু ওদের ঘরে গিয়ে দেখলাম তেমন না। আর পাঁচ টা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই ওদের ঘর। চার ভাই তিন বোন। তার মধ্য রায়হান সবার ছোট ছিল। অন্য সব ভাই বোনের সাথে রায়হানের বয়সের পার্থক্য প্রায় দশ পনের বছরের।
তাই হয়ত মায়ের এত কাছের ছিলো রায়হান।
যার কাছে মা আছে এমন যত্ন করার। সে তো সত্যিই অনেক বড়লোক।রায়হানের বাবা, ভাই বোন, ভাবী সবাই এক সাথেই থাকতো। কারো সাথে কোন খারাপ সর্ম্পক নেই। কিন্তু রায়হানের মুখে কারো নাম কোন দিন শুনি নি। শুধু ওর আম্মুর কথায় বলতো। আমি ভাবতাম মা বাবার আদরের একমাত্র ছেলে সে।

রায়হান কে রেখে এলাম আমরা। কিন্তু আমার মন পড়ে আছে সেখানে। রায়হান কি করবে এখন?
রুমে ফিরে রায়হানের আম্মুর সুটকেসটার উপর চোখ পড়লেই কেঁপে কেঁপে উঠছি। মুখে হাত দিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠছি।

দশ দিন পর রায়হান ফিরে এলো। উস্কখুস্ক চুল নিয়ে। মুখ ভর্তি দাড়ি নিয়ে।
এসেই বিছানায় পড়ে রইলো এক সপ্তাহ, আমি টেনে তুলে খাওয়াতাম। কোন বেলা খেত, কোন বেলা মুখেই খুলতো না। আমিও ওকে ফেলে খুব একটা রুম থেকে বের হতাম না। কিন্তু পরের মাসেই ফাইনাল পরীক্ষা।আমাকে ক্লাসে কোচিং এ ছুটতে হচ্ছে।
এক বিকেলে রুমে ফিরে দেখি বেডে বসে আছে রায়হান।
খুব একটা কথা হয় নি। ওর হাতে খাতা কলম মোবাইল কোন কিছুই উঠে নি পনের দিন। বন্ধুরা এসে রুমে একটু দেখে গেসে। কেউ কথা বলার সাহস করে নি।

আমি ওর পাশে বসে বললাম,
-এইবারের পরীক্ষাটা ড্রপ করবি-
বাকি কথা আমি বলতে পারলাম না। তার আগেই মাথা নাড়তে নাড়তে বলে উঠলো রায়হান৷
-না। আমার পড়াশোনার জন্য মা আমাকে এইখানে পাঠিয়েছে। পড়াশোনার জন্য মাকে আমি শেষ মূহুর্তে একবার দেখতে পারি নি। এত কিছু করেছে মা।
পরীক্ষা আমি দিব।

বলতে বলতেই উঠে গেল সে। পরের দিন থেকে ঠিকঠাক হয়ে মোটামুটি আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়। সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক দেখতে মনে হলেও ওর সেই উচ্ছ্বাস টা আর নেই।
বেপোরোয়ো বেখেয়ালি আচরণ আর নেই। উড়ন্ত প্রজাপতি টা কেমন নিস্তেজ হয়ে গেল।

মাঝেমধ্যে মধ্য রাতে ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ পেতাম। মশারির ভেতর থেকে দেখতাম। রায়হান ওর আম্মুর সুটকেস টার সামনে বসে আছে।

উঠে সান্ত্বনা দেওয়ার সাহস আমার হতো না। আমিও যে তাকিয়ে থাকি মাঝেমধ্যে আমার গুপ্তধন পাওয়া সেই সুটকেসের দিকে।
রায়হান আর মাসের শেষে ব্যাগ আর সুটকেস নিয়ে বাড়ি যায় না। সেটা ভর্তি হয়ে আর আসে না।

এক বিকেলে রায়হান আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকে বলে,
- শাওন, কাপড় কীভাবে ধোয়? পানি দিয়ে সবান দেয় যে? তারপর কি করতে হয়?

আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। হোস্টেল লাইফ প্রায় শেষের পথে এই চার বছরে সে একবার ও কাপড় ধুয় নি আমার মনে হলো এখন। আর কেন সেটা মনে পড়তেই বুক ভারী হয়ে উঠে।

চারিপাশে তাকিয়ে সে বলে,
- সব ময়লা হয়ে আছে, কাল একটা কাজ ছিলো তাই শার্ট টা-
এত দিন সব আম্মু -
বাকি কথা শেষ করতে পারে না।

আমার একবার ও মনে হলো না আন্টি ওকে কিছু শেখায় নি। আমার কেন যেন মনে হলো আন্টি চায় নি ও কিছু শিখুক। আন্টি চাইতো ওর সব কাজে ওর থেকে ওর আম্মুকে লাগুক।

রায়হান কেমন যেন আস্তে আস্তে সব শিখে নিতে শুরু করলো। আমার ভালো লাগার কথা ছিলো কিন্তু আমার বুক ভারী হয়ে আসতো।

রায়হান আর বাড়িতে যেত না। কোন কিছু লাগলে কাউকে ফোন দিতো না।
আমাদের কাছে ধার চাইতো। ওর বাবা নিজ থেকে টাকা পাঠাতো। দিয়ে গেলে নিতো। কিন্তু খুঁজে নিতো না।

টিউশনি শুরু করে। আমারা পরীক্ষার পর হল ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়।
স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য সারাদিন দৌড়াতে থাকে রায়হান।
হয়েও যায় সব। রায়হান যেন দেশ ছেড়ে পালাতে চায়।
যে ছেলে হোস্টেলে এসেছিল চারটা ব্যাগ কাঁধে সে ছেলে দেশ ছেড়ে চলে গেল দুইটা শার্ট আর একটা প্যান্ট একটা ব্যাগে ভরে।

রায়হান যাওয়ার সময় অনেক বার ওর আম্মুর সুটকেস টায় হাত বুলায়। ওর কাছে মায়ের স্মৃতি হিসেবে এই সুটকেস টা রয়ে গেল। প্রতিমাসে একবার এইটা টেনে টেনে নিয়ে যেত আবার নিয়ে আসতো। তার কাছে এই খালি সুটকেস এখন বিশাল মনে হচ্ছে। এত বড় সুটকেস নিয়ে সে কোথায় যাবে? তাই আমাকে বলল একটু রাখিস তোর কাছে যত দিন পারিস। অন্য কেউ পেলে কি করে, ছিড়ে টিরে ফেলবে।

আমি শক্ত করে ধরে বলি,
-সামলে রাখবো। আমিও যে গুপ্তধনে সন্ধান পেয়েছিলাম এইখানে।

যাওয়ার সময় শুধু আমি দিয়ে আসি রায়হান কে। আর কোন বন্ধু ওর হয়ে উঠে নি। ফ্যামিলির কাউকে আমি আর দেখি নি।

রায়হান যাওয়ার পর আমি একটা মেসে উঠি। তারপর একটা ছোটখাটো চাকরি ধরি৷ এক রুমে বাসা নিই।
বছর তিনেক পর মায়াকে বিয়ে করি।
আমাদের নতুন সংসার শুরু হয় নতুন বাসায়। তখনো আমাদের সংসারের এক কোণায় অথিতি হয়ে থাকতো রায়হানের আম্মুর সুটকেস টা। মায়া জিজ্ঞেস করলে ওকে রায়হানের কথা বলেছিলাম। ওর মায়ের কথা। ওদের মা ছেলে সে ভালোবাসার কথা।

মায়াও কখনো কোন কাজে লাগায় নি সেটা। ওভাবেই পড়ে রইলো।
রায়হানের সাথে আমার যোগাযোগ এখনো আছে। আমার আর কোন বন্ধু হয় নি তেমন। রায়হান ওখানে বিয়ে করেছে ওর দুইটা মেয়ে। আমারো একটা ছেলে একটা মেয়ে।
ভালো চাকরি হয়েছে। ছোট বাসা ছেড়ে বড় বাসা এরপর নিজস্ব ফ্ল্যাট। সব জায়গায় আমি সাথে নিয়ে গেসি রায়হানের আম্মুর সুটকেস টাকে।

বারো বছর পার হয়ে গেল রায়হানের দেশের বাইরে যাওয়ার। এরপর এদেশ সেদেশ ঘুরে এখন সে কানাডায় সেটেল হয়েছে। আমাদের যেতে বলে। মায়া ও অনেক দিন ধরে বলছিলো। ঠিও করলাম এইবার কানাডায় যাবো।

রায়হানেই সব ঠিকঠাক করে দিলো। আমার তেমন কিছু কর‍তে হলো না।
আমি শুধু করলাম একটা কাজ। রায়হানের আম্মুর সুটকেস টা ভরলাম, যেভাবে আসতো আমার গুপ্তধন হয়ে ওটা।
নানা রকম খাবারে। আচারে। রায়হানের পছন্দের সব খাবারে৷যেসব খাবার রায়হানের মা পাঠাতো, যেসব ছোট মাছ, ইলিশ মাছ ভাজি করে দিতো আমি যেন সব নিয়ে নিলাম।

পুরো সময় সুটকেস টা আমি হাতে ধরে ছিলাম। যেন আমার কাছে রাখা গুপ্তধন আমি যক্ষ হয়ে এতোদিন রক্ষা করেছি এখন আমি তার দায়মুক্তি নিচ্ছি।
মেয়ে আমার বলেই উঠে এত ব্যাগ থাকতে আমরা এই পুরানো সুইটকেস টা কেন নিয়ে যাচ্ছি?

আমি চুপ করে থাকি।

কানাডায় পৌঁছার পর রায়হান আমাদের নিতে আসে তার ওর মেয়েরাও আসে।
আমাকে দেখে ভীষণ খুশি হয় সে।
এসে জড়িয়ে ধরে। ওর খুশিটা দেখে পড়ার মতো।
আমাদের সাথে কথা বলতে বলতে ওর চোখ পড়লো সুইটকেস টার উপর।

ও প্রথমে চুপ হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো, ওর মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছে না।

তারপর একবার আমার দিকে তাকালো। আমি আলতো একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু বুক টা কেমন যে করছে তা বুঝাতে পারছি না।

ওর চোখ ভিজে উঠেছে। কিন্তু তাও সামলাচ্ছে নিজেকে।

আমি খুব যত্ন করে ওর হাতে সুইটকেস টা দিলাম।
ওর গলায় কান্না দলা পাকাচ্ছে। তারপর ও কোন মতে বলল, গাড়িতে উঠ।

ও সামনের সিটে বসে আছে। আমার ছেলে মেয়ে ওর মেয়ে, মায়া। সবাই হাসিতে মেতে উঠেছে। কিন্তু রায়হান চুপ। কোন শব্দ করছে না। আমি জানি এখন ওর বুকে কি গভীর থেকে জমানো ব্যাথা নলকূপের চাপের মতো বের হয়ে আসছে।

ওর ঘরে গিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করল।
মায়া ওদের জন্য নিয়ে যাওয়া জিনিস গুলো বের করে দিতে থাকে।

সব শেষ করে আমি রায়হান কে বললাম,
-সুইকেট টা খোল।

রায়হান ফ্লোরে বসল, আগে যেভাবে হোস্টেলে এসে বসে রায়হান খুলতো ওর মায়ের সুইটকেস টা। পাশে বসতাম আমিও। কি এলো নতুন?

রায়হান কাঁপা কাঁপা হাতে চেইন খুলল, খুলতেই দেখল সব আগের মতো সাজানো।
রায়হান আর নিজেকে সামলাতে পারছে না। একবার আমার দিকে তাকালো তখন চোখ বেয়ে পড়তে শুরু করেছে, জমানো সব স্মৃতি গুলো৷ কাঁপা কাঁপা হাতে সব ছুঁয়ে দেখছে।

তারপর হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। ওর স্ত্রী, মেয়েরা। আমার ছেলে মেয়ে সবাই নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে রইলো।
রায়হান হিচকি দিতে দিতে,
-"আম্মু"
বলে ঝাপিয়ে পড়ল, রায়হানের ওর মায়ের সুইটকেস টার উপর। যেটা ছিলো আমাদের গুপ্তধন।

হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলোকে তো আমরা ফেরত পেতে পারি না। ওদের স্মৃতি মাখা জিনিস গুলোতে তাদের খুঁজে ফেরাকেই তো মায়া বলে।

সমাপ্ত

#রায়হানের_আম্মুর_সুইটকেসটা
দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা

ওদের বাবার টাকা নেই, ঋণ আছে, ঋণের যন্ত্রনাটা অনেক। তাই ঈদে নতুন জামা তো দূরের কথা বেঁচে থাকার অধিকারও হারালো। এ দায় সমাজ...
15/04/2024

ওদের বাবার টাকা নেই, ঋণ আছে, ঋণের যন্ত্রনাটা অনেক। তাই ঈদে নতুন জামা তো দূরের কথা বেঁচে থাকার অধিকারও হারালো। এ দায় সমাজের সেই সমস্ত বিত্তবানদের যারা সম্পদ নিজেদর ভিতর কুক্ষিগত করে, প্রতিনিয়ত সম্পদ অর্জনে ব্যস্ত থাকে, যারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ মানবতার জন্য ব্যয় করেনা, যারা আদম সন্তানের প্রয়োজন না মিটিয়ে নাম কামানোর জন্য অস্থায়ি মাহফিলে দান করে, কংক্রিটের মসজিদ উন্নত করে, তারা ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে হজ্ব করে জান্নাত খুজে, যারা যাকাতের নামে শাড়ি, লুঙ্গি আর ২০০ টাকা দিয়ে আল্লাহকে ভুগোল বোঝায়, এতিমের হক দেয় না, তারা সমাজের বিত্তবান ধর্মব্যবসায়িদেরকে এবং ওরস, মাজারে দান করে। সরকারি চাকরি করে লক্ষ কোটি টাকার বাহাদুরি করে নিজেদের নিয়ে অহংকারের শেষ থাকেনা
অথচ বাড়ির পাশে একটি পরিবার ঈদের আনন্দ হারিয়েছে, দুনিয়ার আনন্দ হারিয়েছে, তাদেরকে বাঁচানোর আত্মীয় স্বজনরা বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশী কেউ রশদ জোগাড় করে দিতে পারলো না।

অবশ্যই আল্লাহ তাদের বিচার করবেন করবেন করবেন

চাঁদপুর জেলা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং চরদু:খীয়া পূর্ব ইউনিয়নের লাউয়া গ্রামের বাড়িতে ঋনের দায়ে জর্জরিত হয়ে মা, দুই শিশু মেয়েকে নিয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মাহত্যা করেছেন।।

H A M A S 🌙 মিডিয়া টিম, আমরা আমাদের সকল মুসলিম ভাই বোনদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আল্লাহ আমাদের সকল নেক আমল, আনুগত্য, রোজা...
10/04/2024

H A M A S 🌙 মিডিয়া টিম, আমরা আমাদের সকল মুসলিম ভাই বোনদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আল্লাহ আমাদের সকল নেক আমল, আনুগত্য, রোজা, নামাজ, ইনফাক কবুল করুন ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে ঈদে একত্রিত করুন যে আমরা তাওহিদের পতাকাতলে বসবাস করব। আল্লাহ আমাদের আগামী ঈদকে পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন।

আজ, আমরা বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই আমাদের মুজাহিদীনদের ভাই-বোনদের যারা গাজা, সিরিয়া, সোমালিয়া, আরাকান, সোমালিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে সীমান্তে শত্রুদের প্রতি নজর রাখছেন, যখন আমরা আমাদের পরিবার ও সন্তানদের সাথে ঈদ উদযাপন করছি।

আমাদের এবং গাজার ভাই ও বোনদের আপনার প্রার্থনায় মনে রাখবেন!

01/04/2024

যারা ঈদে বাড়ি ফিরবেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা।

সম্প্রতি একটা কেমিক্যাল এর ব্যবহার তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে কিছু অসৎ মানুষের হাতে পড়েছে। কেমিক্যাল টার নাম হচ্ছে 'স্কোপোলামিন'। এটা সাধারণত সাড়ে তিন ফিট দূর থেকেও বাতাসের মাধ্যমে একজন মানুষকে আসক্ত করতে পারে। এই কেমিক্যালটা আমাদের ন্যাসাল রুটের মাধ্যমে যখন ভেতরে প্রবেশ করে তখন মানুষের মস্তিষ্কের প্রাইমারি ইনিশিয়াল স্টেজ অফ থিংকিং সহজ বাংলায় বললে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যে কারণে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সামনে থাকা মানুষের নাচের পুতুলে পরিণত হয়। তখন আপনাকে ওই লোক যা কমান্ড দেবে আপনি সেটাই করবেন।

এটা থেকে বাঁচতে নীচের কিছু বিষয়ের কথা বলছি, এগুলো মাথায় রাখবেন:

১. অপরিচিত কারো থেকে কোন কিছু খাবেন না, সে যত ভালই মনে হোক না কেন।

২. সব সময় মাস্ক পরবেন।

৩. আপনার মুখের সামনে অপরিচিত কোন লোকের হাত আনতে দিবেন না, হাতটা আপাত দৃষ্টিতে খালি মনে হলেও।

৪. যেন-তেন লোকের কাছ থেকে মাস্ক কিনবেন না।

৫. একা যাত্রী হয়ে কোন গাড়িতে উঠবেন না।

৬. সিটে অথবা সিটের আশেপাশে পড়ে থাকা পানি কখনোই চোখে মুখে দিবেন না।

৭. অপরিচিত কোন লোক আপনার এড্রেস জানার জন্য কোন কাগজ হাতে দিতে চাইলে সেটা ধরবেন না।

৮. কোন কাগজ ঠিকানা দেখার বাহানা করে আপনার চোখের সামনে আনতে দেবেন না।

৯. গাড়ির ভেতরে কেউ আপনাকে মুখ দিয়ে বাতাস করার সাথে সাথে চিৎকার করে উঠবেন। আশেপাশে থাকা সবাইকে অবহিত করবেন যে আমি যদি অজ্ঞান হয়ে যাই তার জন্য আমার এই পাশে বসা লোক দায়ী।

১০. দেখতে একেবারে হুজুর, দেখে মনে হবে মৃত্যুর পরে ১০ হাজার ফেরেশতা ওনাকে গার্ড অব অনার দেবে এরকম কোন লোক ইফতারের সময় ইফতার অথবা খেজুর দিলে খাবেন না। অনেক সময় মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য ছোলা এবং মুড়ির ভেতরে কোন কিছু দেওয়া থাকে না। সেটা আগে নিজেরা খেয়ে মানুষকে বিশ্বাস অর্জন করে ওটার মাঝখান দিয়ে হয়তো খেজুর অথবা পানির ভেতরে কিছু দিয়ে দিতে পারে।

১১. গাড়ির ভেতরে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না মনে রাখবেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আপনাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে তার চাইতে ভালো গাড়ির ভেতরে বন্ধুত্ব নাই হোক।
১২. মাস্ক বিষয়ে সতর্ক হবেন অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করবেন।

১৩. আমার মোবাইলে ঘড়ির টাইমটা একটু ঠিক করে দেন, এ কথা বলে হাতে কোন মোবাইল দিতে চাইলে সেটা নিবেন না। কারণ স্কোপোলামিন আপনার হাতে লাগলে আপনি মনের অজান্তেই কখনো মুখের কাছে নেবেন এটা একটা স্বাভাবিক। আর ওটার জন্যই ফাঁদ পেতে ওয়েট করবে ওই লোক।

স্পেশাল ব্রাঞ্চ
বাংলাদেশ পুলিশ

রমজানের কারনে একমাস ছুটিতে যাচ্ছেন ইবলিশ সাহেব। সেই সাথে নিজের দায়িত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়ী পার্টনারদের বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছ...
09/03/2024

রমজানের কারনে একমাস ছুটিতে যাচ্ছেন ইবলিশ সাহেব। সেই সাথে নিজের দায়িত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়ী পার্টনারদের বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন।

💫 One of the greatest.Have a brilliant day, Cristiano Ronaldo! 🎂🤍
05/02/2024

💫 One of the greatest.

Have a brilliant day, Cristiano Ronaldo! 🎂🤍

আন্তর্জাতিক নিয়মে কোনো দেশের বানিজ্যিক বিমান অন্য দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে অন্তত পাঁচশত ডলার ফী দিতে হয় ওই দেশকে। দক্...
05/02/2024

আন্তর্জাতিক নিয়মে কোনো দেশের বানিজ্যিক বিমান অন্য দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে অন্তত পাঁচশত ডলার ফী দিতে হয় ওই দেশকে।

দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশের আকাশ ব্যাবহার করলে অন্তত ৯৫ ভাগ বানিজ্যিক বিমানকে বাংলাদেশকে কোন ডলার দিতে হয় না। বাংলাদেশের আকাশ ব্যাবহার করে কিন্তু চার্জ পায় ভারত। ভারতের রাডার থেকে সিগনাল রেজিস্ট্রার করা হয় তাই এসব বিমান থেকে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যাবহারের সকল অর্থ পায় ভারত।

মুল কারন হল দেশদ্রোহী(?) রাজাকার(?) বেইমান(?) খুনি(?) ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা(?) ভূয়া সেক্টর কমান্ডার(?) ভূয়া স্বাধীনতার ভূয়া ঘোষক(?) জিয়াউর রহমানের আমলেই (১৯৮০ সালে) শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের একমাত্র বেসামরিক রাডারটি বসানো হয় ও কমিশন করা হয়। এই একটি মাত্র রাডার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের আকাশ পাহারা দেয়া হচ্ছে ৪৪ বছর ধরে।

কিন্তু ৪৪ বছরের পুরাতন রাডারটি অনেক বছর আগেই এক্সপায়ার হয়ে গেছে, এখনও বারবার মেরামত করে প্রথম প্রজন্মের এই রাডার ব্যবহার করতে হয়। এত পুরাতন রাডার দক্ষিন এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশই ব্যাবহার করে। যার কার্যক্ষমতা আন্তর্জাতিক মান দন্ডে প্রশ্নের মুখে বহুদিন থেকে।

মজার তথ্য হল হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ২০১৭ সালে মানে সাত বছর আগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জন্যে নতুন একটি ৪র্থ প্রজন্মের রাডার কেনা হয়। উক্ত রাডারটি ২০১৭ সালে স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত চালু করে কমিশন করা সম্ভব হয় নাই।

ভারতের কারনেই এই রাডার সচল করা হচ্ছে না। রাডারটি বসানোর সময়েও ভারত আপত্তি জানায়। অথচ ভারত তাদের রাডার ব্যাবহার করে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ভাড়া গুনছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো থেকে যার বার্ষিক আয়ের পরিমান প্রায় ১০০ কোটি ডলারর উপরে।

এক ভারতকেই প্রতিদিন গড়ে একশোর উপর বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যাবহার করে বিভিন্ন প্রদেশে যাতায়ত করতে হয়। অথচ সাত বছর থেকে চট্টগ্রামের রাডারটি পড়ে থেকে মেয়াদ হারাচ্ছে প্রতিদিন।

চট্টগ্রামের রাডারটি চালু হলে ভারতের আয়ে ঘাটতি দেখা দিবে এইটা আগে চিন্তা করলে অন্তত ছয় বছর আগে এত টাকা দিয়ে রাডারটি কেনার প্রয়োজন ছিল না৷ ভারত মন খারাপ করবে বা ভারতের সুই সমতুল্য স্বার্থে লাগে এমন কাজ তো আর আমাদের পক্ষে সম্ভব না। দেশ জাহান্নামে যাক, বান্দে মাতারামই আসল চেতনা বাংলাদেশের।

ডিজিটাল বাংলাদেশের অপর নাম হল - ভারাত মাতা কি জয় হো। ভারতের এক ডলার ব্যাবসা কম হওয়া মানে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেতনা কম হওয়া।।

@কপি পোস্ট

- ম্যাম, ক্যায়া এক অর পেনাল্টি মিলেগা?🥹- ইয়ে ফিফা নেহি হ্যায় ব্রাদার 🙄
02/02/2024

- ম্যাম, ক্যায়া এক অর পেনাল্টি মিলেগা?🥹
- ইয়ে ফিফা নেহি হ্যায় ব্রাদার 🙄

28/01/2024

মনে মনে 😁

সেই থেকে আর জোরা লাগেনি.....😥
27/01/2024

সেই থেকে আর জোরা লাগেনি.....😥

23/01/2024

respect SP creation 🫡

Address

Narsingdi
1601

Telephone

+8801714510512

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নরসিংদী বাসী - Narsingdi bashi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নরসিংদী বাসী - Narsingdi bashi:

Share