SA Tonmoy (2025)

31/05/2025

📷📷

30/05/2025

দুই দিনের বৃষ্টিতে আমাদের পেয়ারা ক্ষেতের অবস্থা দেখেন,

05/05/2025

চা বাগান সিলেট 🌿
#সিলেট
#চা_বাগান

23/02/2025

🌺🌺

06/09/2024

যেখানে জাতীয়তাবাদ কুফরি মতবাদ। সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা না করা সমান কথা।

31/08/2024

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ'র আকীদাহ-ই আমাদের আকীদাহ :

بالله الحمد الحيم

إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَتَسْتَعِينُهُ وَتَسْتَغْفِرُهُ ، وتعودُ بِاللهِ مِنْ شُرُورٍ أَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا، مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِي لَهُ، وَتَشْهَدُ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا الله وحده لا شريك له ، وَنَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُه، أما بعد

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, বেশ কিছু দিন ধরে অনেকে আমার কাছে জানতে চাচ্ছিলেন যে, শাইখ, আপনার আকীদাহ কী? আমরা আপনার আকীদাহ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে চাই। কেননা, কতক লোক আপনার বিরুদ্ধে অপ*প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, আপনার থেকে ইলম নেয়া যাবে না, কারণ মাজহুল বা আকীদাহ না জানা কোনো ব্যক্তি থেকে ইলম নেয়া উচিত নয়।

তাদের দাবি-এমন টাও হতে পারে, আপনি অনলাইনে ইসলাম নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু আপনি শিয়া, মুতাজিলা, খারেজি বা অন্য কোনো ভ্রান্ত আকীদাধারী মানুষ। নাউযুবিল্লাহ, বিদ্বে*ষবশত কিছু নামধারী আলেম তো এমনও বলছে যে, এ লোক ইহুদিও হতে পারে। সে মনভুলানো কথা বলে মানুষদের, বিশেষ করে যুব সমাজকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই শাইখ, আমরা তাদের অপপ্রচারের জবাব দেয়ার জন্য এবং আমাদের অন্তরের পরিতৃপ্তির জন্য আপনার আকীদাহ সম্পর্কে অবগত হতে চাই।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমিও বিষয়টি লক্ষ করছি, তাদের এরূপ অপ*প্রচারের ফলে,
আমাদের অনেক সাধারণ মুসলিম ভাইবোন, যারা মন-প্রাণ দিয়ে দীনকে ভালোবেসে আসছিলেন,

ইসলাম অনুযায়ী নিজের জীবনকে সাজাতে চাচ্ছিলেন, তারা বিভ্রা*ন্তির শিকার হচ্ছেন।
তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আমাদের আকীদাহর মূলবিষয়গুলো স্পষ্টরূপে তুলে ধরার ইচ্ছা করেছি ইনশাআল্লাহ।

শুরুতেই বলে নেই...

আমরা খা*রেজি না, আমরা মুরজিয়া না, আমরা মুতাজিলা বা শিয়াও না। আমরা হচ্ছি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ'র আকীদাই হচ্ছে আমাদের আকীদাহ। সালাফে সালেহীনের আকীদাহ-ই হচ্ছে আমাদের আকীদাহ। নিম্নে সালাফে সালেহীনের আকীদাহ'র আলোকে আমাদের আকীদাহগুলো তুলো ধরা হলো:

০১. আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,

لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمداً عبده ورسوله

আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

০২. আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ তাআলার প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি, কেয়ামত দিবস ও মৃত্যুর পর পুনরুত্থান দিবসের প্রতি, তাকদীরের ভালো-মন্দের প্রতি।

০৩. আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ আমাদের রব, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আমরা বিশ্বাস করি তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমাদের রিযকদাতা। তিনি প্রথমবার-সৃষ্টিকর্তা। তিনি পুনরায়-সৃষ্টিকর্তা। তিনি রাজাধিরাজ। সমস্ত জগতের তিনিই রব; অন্য কেউ নয়।

০৪. আমরা বিশ্বাস করি তিনিই একমাত্র উপাস্য। তিনি আমাদের ইলাহ, তিনি আমাদের সত্য মাবুদ। তিনি ব্যতীত দ্বিতীয় কোন মাবুদ নেই।

০৫. আল্লাহর রয়েছে অতি সুন্দর গুণবাচক নামসমূহ। এসকল গুণের তিনিই একক অধিকারী। কোনরূপ তাহরীফ, তা'তীল, তাকয়ীফ, তামছাল করা ব্যতীত, তাঁর সম্মানিত কিতাবের মাঝে ও স্বীয় রাসূলের মুখ নিঃসৃত বাণীতে উপস্থাপিত তাঁর সত্তাগত ও গুণবাচক নামসমূহের প্রতি আমরা ঈমান এনেছি। যেমনি আল্লাহ তাআলা স্বীয় সত্তার বর্ণনায় ইরশাদ

করেন:

ليْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ

'কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।' (সূরা শূরা। ১১)

০৬, আল্লাহর সত্তাগত ও গুণবাচক নামসমূহের প্রতি আমরা সেরকমই বিশ্বাস রাখি, যেমন বিশ্বাস লালন করেছেন সাহাবায়ে কেরাম এবং সালাফে সালেহীন রাদ্বিয়াল্লহু আনহুম। তাঁরা আল্লাহর সত্তাগত ও গুণবাচক নামসমূহ জানতেন, কিন্তু তাঁরা এ নামসমূহের কাইফিয়াত বা আকৃতি-প্রকৃতি আল্লাহর উপর ন্যস্ত করেছেন। এ নামগুলোর প্রতি তাঁরা ঠিক সেভাবেই ঈমান এনেছিলেন যেমনি আল্লাহ এগুলো দ্বারা উদ্দেশ্য করেছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, রূপক নয় বরং সত্যিকারার্থে আল্লাহ এসকল গুণে গুণান্বিত। তবে আকৃতি-প্রকৃতি আল্লাহর শান অনুযায়ী: যেভাবে হলে তাঁর উপযুক্ত হয় এ নামসমূহ ঠিক তেমনি প্রযোজ্য। তাঁর সদৃশ কোন কিছু নেই।

আল্লাহর সত্তাগত ও গুণবাচক নামসমূহের প্রতি আমরা তেমনি ঈমান এনেছি যেমনটি ইমাম মালেক রহ, আহলুস সুন্নাহ

ওয়াল জামাআহ এবং ফিরকাতুন নাজিয়ার আকীদা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। যখন কেউ একজন তাঁর কাছে আল্লাহর আরশে সমাসীন হওয়া এবং তাঁর ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলেন, তিনি বললেন:

الاستواء معلوم والكيف مجهول والإيمان به واجب، والسؤال عنه بدعة

'সমাসীন হওয়ার বিষয়টি জানা আছে। কিন্তু তার ধরণ-প্রকৃতি জানা নেই। এ বিষয়ে ঈমান রাখা ফরয,

কিন্তু প্রশ্ন করা বেদআত।'
আমরা বিশ্বাস করি হাত, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তিসহ আল্লাহ নিজের জন্য যা সাব্যস্ত করেছেন, তা তাঁর শান অনুযায়ী বিদ্যমান রয়েছে। তাঁর হাত আমাদের হাতের মতো নয়। তাঁর দৃষ্টি আমাদের দৃষ্টির মতো নয়। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে সেভাবে অবতরণ করেন, যেভাবে তাঁর শান মোতাবেক হয়। তাঁর ধরণ-প্রকৃতি আমাদের জানা নেই। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা সেভাবেই হাসেন, যেভাবে তাঁর শান মোতাবেক হয়। তিনি যে কোন মাধ্যম, সীমা-পরিসীমা, আওতা ও পরিধি থেকে মুক্ত। আমরা বিশ্বাস করি-আরশ ও কুরসী সত্য। এবং বিশ্বাস করি আল্লাহ- এগুলো থেকেও অমুখাপেক্ষী। আল্লাহ তাআলা সকল কিছুকে পরিবেষ্টনকারী, সকল কিছুর উর্ধ্বে।

০৭. আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তাআলা আরশে সমাসীন। তিনি স্বীয় সৃষ্টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে অবগত। তিনি সপ্ত আসমানের উপরে। তিনি সময় ও স্থানের সীমার উর্ধ্বে। আমরা বিশ্বাস করি-তিনি শ্রবণ, দর্শন ও জানার দিক থেকে সর্বদাই তাঁর সৃষ্টির সাথে রয়েছেন।

০৮. আমরা ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান এনেছি। আমাদের বিশ্বাস তাঁরা আল্লাহর সৃষ্টির একটি অংশ। তাঁরা আল্লাহ কর্তৃক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। তাঁদের কিছু কাজ হলো। মানুষকে হেফাজত করা, তাদেরকে রক্ষা করা, তাদের আমলের হিসাব রাখা। তাঁদের কর্মসমূহ সম্পর্কে কোরআনুল কারীমে বর্ণিত ও হাদীসে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়ের প্রতি আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ ওহীসংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত। কেউবা মানুষের রূহ করযের দায়িত্বপ্রাপ্ত। কেউ বৃষ্টির ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত, কেউ পাহাড়ের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাঁরা যিকরের মজলিসে উপস্থিত হন, তাঁরা আমল নিয়ে আকাশপানে যাত্রা করেন, তাঁদের মধ্যকার কোন শ্রেণী মানুষের হেফাজতের দায়িত্বে নিয়োজিত হয়ে মানুষের সাথেই রয়েছেন।...

০৯. আমরা ঈমান এনেছি-কোরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি। আমরা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর সহীফাগুলোর প্রতি ঈমান এনেছি। মুসা আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ তাওরাত, দাউদ আলাইহিস সালাম এর উপর নাযিলকৃত যাবুর, ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপর নাযিলকৃত ইনজীল, এবং সর্বশেষ নবী আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপরে অবতীর্ণ কিতাব কোরআনের প্রতি ঈমান এনেছি। এক্ষেত্রে বিশেষ দুটি কথা হলো:

ক. কোরআনের পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবসমূহ আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর এগুলো মানুষের হাতে পাদ্রি ও ধর্মযাজকদের হাতে বিকৃত ও পরিবর্তিত হয়েছে। তবে শেষ কিতাব পবিত্র কোরআনের হেফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন:

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ

'নিশ্চয়ই আমিই কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই তার সংরক্ষক।' (সূরা আল হিজর। ৯।

খ. কোরআনুল কারীম পূর্ববর্তী সকল কিতাবকে রহিতকারী এবং তার সত্যায়নকারী। ইসলামী শরীয়ত তাওহীদের আকীদাহকে বিধিবদ্ধ করেছে। আকীদাহর দিক থেকে সকল নবীর আকীদাহ এক ও অভিন্ন। ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে সর্বশেষ শরীয়ত এবং তা পূর্বের সকল শরীয়তকে রহিতকারী। পবিত্র কালামে মাজীদে (সুরা আল মায়িদাহ: ৪৮)

ইরশাদ হয়েছে:

وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بالحقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُم

بينهم بما أنزل الله . وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلِّ جَعَلْنَا مِنكُمْ

شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا . وَلَوْ شَاءَ اللهُ جَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلكِن ليَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ .

فَاسْتَبِقُوا الخيرات . إلى اللهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

'আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে নির্দিষ্ট শরীয়ত এবং নির্দিষ্ট কর্মপন্থা দান করেছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু তিনি এরূপ করেননি, যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তা দিয়ে তোমাদের পরীক্ষা নিতে পারেন। সুতরাং তোমরা কল্যাণকর বিষয়সমূহের দিকে ধাবিত হও। তোমাদের সকলেই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন, যে বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করছিলে।'

সূরা আলে ইমরান: ৮৫ নম্বর আয়াতে আরো ইরশাদ হয়েছে:

وَمَنْ يَبْتَغِ غير الإسلام ديناً فَلَن يُقبل مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে, তা কখনোই তার নিকট হতে গৃহীত হবে না এবং '

পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।'

আমরা আল্লাহর সকল নবী ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছি। আমরা বিশ্বাস করি কেউ যদি কোন একজন রাসূলের রেসালতকে অস্বীকার করে, তবে তার ঈমান বিশুদ্ধ নয়।

পবিত্র কালামে মাজীদে সূরা আল বাকারা: ২৮৫ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে :
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لا تَفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

'রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। তাঁরা সবাই আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, (তাঁরা বলে), আমরা রাসুলগণের মধ্যে কারও ব্যাপারে তারতম্য করি না এবং তাঁরা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব, আমরা আপনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনারই দিকে শেষ প্রত্যাবর্তন।'

১০. আমরা ঈমান এনেছি- শেষ দিবসের প্রতি। কেয়ামত দিবসের প্রতি। ঈমান এনেছি সেদিনের প্রতি যেদিন হিসাব গ্রহণের জন্য আল্লাহ সকলকে পুনরুত্থিত করবেন। সেদিন মুমিনগণ জান্নাতে যাবেন। আর কাফেররা যাবে জাহান্নামে। আমরা বিশ্বাস করি- আল্লাহ মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। আরো বিশ্বাস করি-গোনাহগার মুমিনদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিজ দয়ায় ক্ষমা করে দেবেন অথবা তাদের গোনাহের কারণে তাদেরকে সাময়িক শান্তি দিয়ে নিজ অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

১১. আমরা তাকদীরের উপর ঈমান এনেছি। ভালো-মন্দ যা কিছু ঘটে সবই তাকদীরের লিখন। আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ সকল কিছু নির্ধারিত করে রেখেছেন। তিনি সকল কিছু লিখে রেখেছেন। আমরা বিশ্বাস করি কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে না, যতক্ষণ না তার রিষক পূর্ণ হয় এবং তার নির্ধারিত সময় শেষ হয়। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর লিখিত তাকদীরের বাইরে গিয়ে পুরো মানুষ ও জিন জাতি একত্রিত হয়েও একজন ব্যক্তির চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারবে না। তাকদীরে যতটুকু লেখা আছে, ঠিক ততটুকু ঘটবে। এর কমও না, বেশিও না। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কালি শুকিয়ে গেছে। আমরা তাকদীরের উপরে সেভাবেই ঈমান এনেছি, যেমনিভাবে বর্ণিত হয়েছে কোরআন ও সুন্নাহতে। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীরের উপরে মুমিনকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আর যে সন্তুষ্ট থাকবে, তার জন্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর যে অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য আল্লাহর অসন্তুষ্টি।

১২. তাকদীরের ব্যাপারে আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে-আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আমাদের কর্মসমূহকে সৃষ্টি করেছেন। এবং বান্দা তার কর্মের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বীয় কর্মের উপরে তার হিসেব হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ সকল কিছু করতে সক্ষম। তিনি যা চান তা-ই করেন। তাঁর আদেশ ও নির্ধারণ ব্যতীত এ জগতে কোন কিছুই নেই। আমাদের আকীদাহ-আহলুস স্ল্যাহ ওয়াল জামাহর আকীদাহ কাদরিয়া ও জাবরিয়া ফেরকার আকীদাহর মধ্যবর্তী। কাদরিয়াগণ কর্মকে বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে তাকদীরকে অস্বীকার করে এবং সৃষ্টিকে তার নিজ ভালো-মন্দ কর্মের স্রষ্টা বলে বিশ্বাস করে। জাবরিয়াগণ বান্দার কর্মের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে এবং বান্দাকে ভালো-মন্দ কর্মের ব্যাপারে বাধ্য মনে করে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর আকীদা এ দুদলের মধ্যবর্তী।

১৩. আমরা সালাফে সালেহীনের আকীদায় বিশ্বাসী। তারা বলেন, ঈমান হলো অন্তরে বিশ্বাস, মুখে সত্যায়ন, বাহ্যিকভাবে আমল করার নাম। রবের আনুগত্যের মাধ্যমে ঈমান বাড়ে, রবের অবাধ্যতার কারণে ঈমান কমে।

১৪. মুমিনদের গোনাহ ও পাপের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান মধ্যবর্তী। আমরা খারেজীদের মতে বিশ্বাস করি না, তাদের মতো গোনাহগার ও কবিরা গুনাহকারী মুসলিমদেরকে কাফের বলি না। আমরা মুরজিয়াদের মতে বিশ্বাস করি না, তাদের মতো বলি না যে, পাপ কখনোই ঈমানের ক্ষতি করে না; চাই তা যত বড়ই হোক না কেন। আমরা মুতাজিলাদের মতে বিশ্বাস করি না, তাদের মতো বলি না যে, গোনাহগার মুসলিম ঈমান ও কুফরের মাঝে অবস্থান করে। আমরা সদাচারণকারীর জন্য আল্লাহর রহম ও করুণার আশা করি। আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ গোনাহকারী মুমিন মুমিনই থাকে। আমরা মুমিনের গোনাহর বিষয়টি আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করি। আল্লাহ চাইলে তাকে শাস্তি দেবেন অথবা তিনি চাইলে তাঁর দয়ায় তাকে মাফ করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।

১৫. আমরা বিশ্বাস করি-সকল সাহাবী-ই মর্যাদাবান। তাঁদের কারো ব্যাপারে আমরা সীমালঙ্ঘন করি না। সকলকেই আমরা ওয়ালার বন্ধনে আবদ্ধ মনে করি। আমরা তাঁদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি, তাঁদের ভালোবাসি, তাঁদের সদগুণাবলীসমূহ উল্লেখ করি। তাঁদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকি, তাঁদের মধ্যকার ঘটিত বিবাদ নিয়ে সমালোচনা থেকে বিরত থাকি। তাঁদের মর্যাদার স্বীকৃতি দান করি। আমরা বিশ্বাস করি তাঁরা সকলেই বিশ্বস্ত নির্ভরযোগ্য সকলেই সত্যের মাপকাঠি।

আমরা বিশ্বাস করি সর্বোত্তম সাহাবী হলেন, আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু,, অতঃপর উমর, তারপর উসমান, তারপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম। তারপর আশারাতুল মুবাশশিরীনদের অবশিষ্ট সাহাবী সা'দ, সাঈদ, তালহা, যুবাইর, আবু উবাইদাহ, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম। তারপর আহলু বদর। তারপর বাইআতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারী সাহাবীবৃন্দ। তারপর অন্য সকল সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম। আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারকে ভালোবাসি, পরস্পরে আমরা সবাই ওয়ালার বন্ধনে আবদ্ধ, আমরা তাঁদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করি না, আমরা তাঁদের মর্যাদা ও নৈকট্য সম্পর্কে বিশ্বাস রাখি। আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মানিত স্ত্রীগণ উম্মুল মুমিনদেরকে ভালোবাসি, তাঁদেরকে স্বীয় মর্যাদায় ভূষিত করি। রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুয়া জামিআ।

১৬. গোনাহের কারণে অথবা কুফর নয় এমন কোন গোনাহকারী আহলে কিবলাকে আমরা কাফের বলি না, তাকে তাকফীর করি না। কিন্তু সে যদি উক্ত গোনাহকে হালাল স্বীকৃতি দিয়ে করে, তবে ভিন্ন কথা। কোন ব্যক্তি জরুরিয়াতে দীনের কোন একটিকে অস্বীকার করলো অথবা উম্মাহর ইজমায় বর্ণিত কোন হারামকে হালাল করলো, কিংবা কোন হালালকে হারাম করলো অথবা আল্লাহ বা তাঁর রাসুলকে গালি দিলো, ক্রুশ পরিধান করলো কিংবা কোরআনের অসম্মান করার মতো এমন কোন কাজ করলো, যে কাজ কেবল কুফরী*কেই প্রমাণিত করে, তবে এক্ষেত্রে আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআহর নির্ধারিত পন্থা অনুযায়ী যার মাঝে কুফরীর শর্ত পাওয়া গেছে এবং কাফের হওয়ার প্রতিবন্ধকতা শেষ হয়ে গেছে: তাকে আমরা কা*ফের সাব্যস্ত করি এবং তাকফীর করি। আমরা সে পন্থারই অনুসরণ করি, যে পন্থা উম্মাহর সালাফে সালেহীনের সত্যায়ন ও কার্যকরণ থেকে প্রমাণিত।

১৭. আমরা আওলিয়ায়ে কেরামের কারামতে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি-প্রত্যেক মুমিনই আল্লাহর ওলী। তবে আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী ও তাঁর নিকট অধিক সম্মানিত সে ব্যক্তি, যে অধিক তাকওয়াবান, যে ব্যক্তি কিতাব ও সুন্নাহর অনুসরণে অধিক অগ্রসর। যার মাঝে আমরা কোন কারামত প্রত্যক্ষ করি, তার ব্যাপারে লক্ষ্য করি যে, তিনি কি কোরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসারী কিনা। যদি তিনি কোরআন-সুন্নাহর উপরে অটল থাকা কোন ব্যক্তি হন, তবে তার থেকে প্রকাশিত বিষয়টিকে কারামত বলে সাব্যস্ত করি। আর যদি এমনটা না হয়; তবে তার থেকে প্রকাশিত বিষয়টিকে

সেরেফ ইসতেদরাজ বলে সাব্যস্ত করি: যেমনি যাদুকর ও ভেলকিবাজদের ক্ষেত্রে দেখা যায়; যা তাদের নিজেদের জন্য এবং তাদের দ্বারা আকৃষ্টদের জন্য ফেতনাস্বরূপ।

১৮. আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না। আল্লাহ তাআলা গায়েবের কিছু সংবাদ আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামদেরকে জানিয়েছেন। আর যে মানুষ বা জিন গায়েব জানার দাবি করে। সে মূলত আল্লাহর উপরে মিথ্যা আরোপ করে। আমরা কোন গণক, জ্যোতিষী, জাদুকরের নিকট গমন করি না, তাদেরকে সত্যায়ন করি না।

১৯. আমরা বিশ্বাস করি যে, সাধারণ বা কবীরাহ গোনাহকারী মুসলিম এ স্তরের গোনাহর পরেও মুসলিম থাকে। এমন মুসলিম যদি আল্লাহর সাথে শিরক না করে থাকে, তবে অবশ্যই গোনাহর কারণে সে জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে না। তার ব্যাপারটি আল্লাহর ইচ্ছাধীন। যদি তিনি চান তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন আর যদি তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, তবে শাস্তি দেবেন।

২০. আমরা বিশ্বাস করি-মুসলিমদের মধ্যকার নেককার ও বদকার নেতৃত্বশীল ও সাধারণ ব্যক্তির পেছনে নামাজ শুদ্ধ। তাদের মধ্যকার কেউ মৃত্যুবরণ করলে, আমরা তার জানাযায় শরীক হই। তাদের দ্বারা জবাইকৃত জন্তুর গোশত ভক্ষণ

করি। আমরা বিশ্বাস করি যে,

من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا، فذلك المسلم

'যে আমাদের নামাজ পড়লো, যে আমাদের কেবলার অনুসরণ করলো, যে আমাদের জবাইকৃত জন্তুর

গোশত খেলো। সে মুসলিম।'

কোন মুসলিমকে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কুফর, নিফাক, শিরকে লিপ্ত বলি না: যতক্ষণ না তার থেকে কুফর, নিফাক, শিরকের কোন আলামত প্রকাশ পায়। আর মুসলিমদের গোপন অবস্থাকে আমরা আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করি। আমরা বেদআতীদেরকে অপছন্দ করি। তাদের বেদআত ও গোমরাহী থেকে নিজেদেরকে মুক্ত ঘোষণা করি।

২১. আমরা বিশ্বাস করি-কবরে যেমনি আযাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেআমত। কেয়ামতের দিন সকল মানুষকে হিসেবের জন্য পুনরুত্থিত করা হবে। কোরআন ও সুন্নাহয় বর্ণিত বিষয়ের প্রতি আমরা ঈমান এনেছি। কেয়ামত দিবসে মিযানের পরিমাপ, আমলনামা প্রকাশের প্রতি আমরা ঈমান এনেছি। আমরা সিরাতের প্রতি ঈমান এনেছি, যা জাহান্নামের উপরে স্থাপন করা হবে, যার উপরে দিয়ে মুমিন ব্যক্তি তার ঈমান ও আমলের পরিমাপ অনুসারে দ্রুততার সাথে অতিক্রম করবে। আমরা হাওযে কাউসারের উপরে ঈমান এনেছি, ঈমান এনেছি শাফাআতের উপরে। আমরা বিশ্বাস

করি জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। উভয়টি অস্তিত্বে রয়েছে এবং কখনো এ দুটি ধ্বংস হবে না। আমরা বিশ্বাস করি-কেয়ামতের দিন মুমিন বান্দা কোন ধরনের সমস্যা ব্যতিরেকেই তাদের প্রভুর দর্শন লাভ করবে।

২২. আমরা বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহ রব্বুল আলামীন নাযিল করেছেন। কোরআন আল্লাহর কালাম, কোরআন মাখলুক নয়, কোরআন মহান আল্লাহ থেকে প্রকাশিত এবং তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করবে। এ কোরআন তিনি জিবরীল আমীনের মাধ্যমে স্বীয় বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপরে নাযিল করেছেন।

২৩. আমরা বিশ্বাস করি-কোন সৃষ্টি, মানুষ, জিন, জীবিত-মৃত, এবং কবরের নিকট সাহায্য চাওয়া এবং তাদের ক্ষতি বা উপকার করার শক্তি আছে, এমন মনে করা শিরক। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্য হতে কোনটিকে তাঁকে পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয নয়। সুন্নাহবিরোধী পন্থায় কবর বানানো, কবরের উপরে গম্বুজ বানানো, কোন উঁচু নিদর্শন স্থাপন করা, কবরকে যিয়ারতের স্থল বানানো বিদআত, শরীয়তে এমন করা নিষিদ্ধ। এ মন্দকর্মটি আরো বড় কোন মন্দে রূপ না নেয়ার আগেই আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে এগুলোর উচ্ছেদ করা ফরয।

২৪. আমরা বিশ্বাস করি-কেয়ামত অবধি জি*হা-দ চলতে থাকবে। কোন ন্যায়পরায়ণের ন্যায়পরায়ণতা, কোন জালেমের জুলম জি*হাদ-কে বন্ধ করতে পারবে না। নেতৃত্বশীল বা সাধারণ মুসলিম উভয়কে সাথে নিয়ে জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে, চাই তাদের মধ্য হতে কতিপয় বদকারই হোক না কেন। আমভাবে জি*হা*দ ফরযে কেফায়াহ। যখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক তা আদায় করেন, বাকিদের উপর থেকে গোনাহ রহিত হয়ে যায়। আর বিশেষ তিনটি অবস্থায় জি;হা*দ ফরযে আইন হয়ে যায়:

ক. যখন শ*ত্রু বাহিনী ও মুসলিম বাহিনী পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একত্রিত হয়; তখন জি*হা*দ ফরয আইন হয়ে যায়। এবং জি*হা-দ ত্যাগ করা হারাম হয়ে যায়।

খ. আল্লাহর আইন দ্বারা শাসন ও বিচার করেন, মুসলিমদের সাথে ওয়ালা বা বন্ধুত্ব বজায় রাখেন এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে শত্রু*তা করেন-এমন শরয়ী আমীর যখন জি*হা-দে-র জন্য বের হতে বলেন, তখন আল্লাহর রাস্তায় জি-হা-দে ঝাঁপিয়ে পড়া ফরয হয়ে যায়।

গ. যখন শ*ত্রুরা মুসলিমদের কোন ভূখণ্ডে আক্রমণ করে অথবা যখন শত্রুরা মুসলিমদের দীন, জান, মাল, সম্মানের উপরে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তখন জি*হাদ ফরযে আইন হয়ে যায়। আর বর্তমান সময়ে জি*হাদ ফরযে আইন।

২৫. আমরা বিশ্বাস করি মুসলিমদেরকে সাহায্য করা শরয়ী ফরয। চাই তারা যতই গোনাহগার হোক বা আমলের ক্ষেত্রে তাদের যতই ঘাটতি থাকুক না কেন। তারা আমাদের দীনি ভাই, তাই তাদেরকে সাহায্য করা অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَإِنِ اسْتَنصَرُوكُمْ فِي الدِّينِ فَعَلَيْكُمُ النَّصْرُ

'তারা যদি দীনের ব্যাপারে তোমাদের নিকট সাহায্যপ্রার্থী হয়, তাহলে তাদের সাহায্য করা তোমাদের

কর্তব্য।' (সূরা আল আনফাল। ৭২।

আমরা বিশ্বাস করি মুমিন মুমিনের বন্ধু। আর কাফের ও মুনাফিকরা পরস্পরের বন্ধু। কেউ যদি কাফের, মুরতাদ বা মুনাফিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে, তবে সে তাদেরই একজন বলে পরিগণিত হবে। আল্লাহ বলেন:

وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ

'তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।' (সূরা জাল মাতিদাহ। ৫১)

আমরা বিশ্বাস করি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করা কুফরী। যে ব্যক্তি মুশরিকদের জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া বা কোন জরুরত থাকা ব্যতীতই মুশরিকদের মাঝে বসবাস করবে, সে গোনাহগার। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার থেকে দায়মুক্ত।

২৬. আমরা বিশ্বাস করি তাওহীদুল হাকিমিয়া তাওহীদের একটি মৌলিক ভিত্তি, এটি তাওহীদুল উলুহিয়ার ও ফরয ইবাদতের অন্যতম একটি অংশ। যে কেউ আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে কোন বিধান প্রণয়ন করলো, সে কুফরী করলো, সে মুরতাদ হয়ে গেলো, সে মিল্লাতে ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেলো। যে বিচারকগণ সব ক্ষেত্রেই আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বিপরীত বিচার করে, তারা কাফের, জালেম ও ফাসেক। যেমনি আল্লাহ তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন। তারা মুরতাদ যদিও তারা দাবি করে যে, তারা মুসলিম। কারণ তারা আল্লাহর শরীয়তকে বাদ দিয়ে মানবরচিত

সংবিধানকে গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের বিপরীত বিচার ফয়সালা করেছে।

২৭. আমরা বিশ্বাস করি মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে আক্রমণকারী আমাসী বাহিনী, আল্লাহর শরীয়তকে বাদ দিয়ে ভিন্ন সংবিধান প্রণেতা, আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের বিপরীত বিচার-ফয়সালাকারী ও মুসলিম ভূখণ্ডের মুরতাদ শাসকদের প্রতিরোধ করা সকল মুসলিমদের উপরে ফরযে আইন। প্রত্যেক মুসলিমকে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে নিয়োজিত হতে হবে। আল্লাহ কারো উপরে সাধ্যের বাইরে কোন কিছু চাপিয়ে দেন না। তাই যে ব্যক্তি হাত দ্বারা জি*হা*দ করবে, সে মুমিন। যে ব্যক্তি জিহবার মাধ্যমে জিহাদ করবে, সে মুমিন। যে ব্যক্তি গোপনে পরিকল্পনা করে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে, সে মুমিন: যদিও এটি দুর্বল ঈমান। কোন ব্যক্তির জন্য আজ জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকার কোন রকম ওষর নেই, কোন সুযোগ নেই, কোন অবকাশ নেই। তবে যারা অপারগ তারা ব্যতীত। যাদের শরয়ী ওষর রয়েছে তারা ব্যতীত। যেমন। অন্ধ, খোঁড়া, রুগ্ন, হতদরিদ্র, যারা এমনই দুর্বল যে, কোন কৌশল তারা অবলম্বন করতে পারে না, যারা সাহায্য করার মতো কোন পথ পায় না: এ সকল ওযরগ্রস্ত ব্যক্তিরা যখন দীনের কল্যাণ কামনা করে, তখন তারা অপারগতার কারণে জিহাদে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও তাদের গোনাহ হবে না। কিন্তু সক্ষম ও সামর্থ্যবান মুসলিমগণ সবাই নিজের ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত।

২৮. আমরা বিশ্বাস করি-কিতাবুল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণীতে উপস্থাপিত সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত সকল বাণী সত্য।

رضينا بالله تعالى رباً وبالإسلام ديناً وبالقرآن إماماً وبسيدنا محمد صلى الله عليه

وسلم نبياً ورسولا. وأستغفر الله العظيم وأتوب إليه

'আমরা আল্লাহকে প্রভু হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে, কোরআনকে আমাদের পথ নির্দেশক হিসেবে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আমাদের নবী ও রাসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁরই নিকট সকল গোনাহ থেকে তাওবা করছি।'

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক আকীদাহ নিয়ে জীবনযাপন করার ও মৃত্যুবরণ করার তাওফীক দান করুন।

__✍️শায়খ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ
®মুসান্না আল ফাইয়াজ

24/08/2024

আমরাও 'अखंड भारत' (অখন্ড ভারত) চাই।তবে সেই 'अखंड भारत' থাকবে ইসলামী ইমারাহ/খিলাফাহর অধীনে ইনশাআল্লাহ।

21/08/2024

লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুরের দিকের মানুষের ইমিডিয়েট সতর্ক হওয়া জরুরী। যেকোনো সময় হয়তো তিস্তার ব্যারেজ খুলে দিতে পারে ভারত। ইতোমধ্যেই ভারতের সিকিম ভেসে গেছে। দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করুন।
পরম করুণাময় আমাদের হেফাজত করুক।

—রংপুর ইনসাইডার।

12/01/2024

বেশি সুন্দরী মেয়েদের আইডি ফেইক ফেইক লাগে। ছেলেদের উচিত এসব সুন্দরী মেয়ে রিকোয়েস্ট পাঠালে সাথে সাথে ব্লক করা।

SA Tonmoy

31/05/2025

30/05/2025

05/05/2025

23/02/2025

06/09/2024

31/08/2024

24/08/2024

21/08/2024

12/01/2024

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share