
21/03/2024
🙄🙄
আমরা সচরাচর হলুদ রঙের হলুদ কেই চিনি। নীল হলুদ কথা খুব কম লোকেই জানি বা শুনেছি। হ্যাঁ নীল হলুদ, এর আরো কয়েকটা নামে ডাকা হয় যেমন কালো হলুদ বা কালো জেডোয়ারি (Blue turmeric or Curcuma caesia) নীলাভ-কালো রাইজোম সহ একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ। যা উত্তরপূর্ব ভারতের তথা অসম, মেঘালয়া, নাগাল্যাড এবং মণিপুর এর স্থানীয়।
আবার মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে এই নীল হলুদ বা রাইজোমকে শুভ বলে মনে করা হয়। সেখানে এই উদ্ভিদটি প্রাচুর্য নিদর্শক এবং বাড়িতে খাদ্যশস্য ঘাটতি পূরণ মঙ্গল নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়।
এর চাষাবাদ এবং ফসল কাটার পদ্ধতি গুলি সাধারণ হলুদ চাষের মতোই। এই হলুদের রাইজোম গুলিকে প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে এবং পরে একটি প্রশস্ত মুখের কড়াইতে রাইজোম গুলি রেখে জল ঢেলে কড়াইটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে তা জাল দেয়া হয়। রাইজোম গুলি প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করা হয় বা যতক্ষণ না তা থেকে তীব্র গন্ধের ফেনা বের হচ্ছে ততক্ষণ। ফোটানো জল মূলের এক-তৃতীয়াংশে কমে গেলে রাইজোম গুলি বের করে নেয়া হয়। সেদ্ধ হওয়ার পর তা নরম হয় এবং তখন রাইজোম গুলি ভিতরের অংশ নীল গাঢ় বা ফ্যাকাশে বাদামি রঙের হয়ে যায়। শেষে রাইজোম গুলি ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য কড়া রোদে শুকিয়ে শক্ত করা হয়। এই শুকনো রাইজোম গুলি হচ্ছে নীল হলুদ।
নীল হলুদ ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ এবং এটি ঐতিহ্যবাহী উত্তর পূর্ব ভারতে সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, উত্তর পূর্ব ভারতে এই নীল হলুদ রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহারিত হয়। মণিপুর এবং শেখানকার অন্যান্য রাজ্যের উপজাতিদের জন্য উদ্ভিদটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, যেখানে রাইজোম থেকে তার পেস্ট ক্ষতের পাশাপাশি সাপ এবং বিচ্ছুর কামড়ে প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এর ভেতরে তেলের কারণে রাইজোমের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত সুন্দর মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়।
👇
pic & information collected.