Rahe Nazat Page

Rahe Nazat Page Male

12/08/2025
আমাদের কাচারী কান্দি রায়পুরা নরসিংদীর গর্ব আমার সম্মানিত উস্তাদ হাফেজ মনিরুজ্জামান আশ্রাফি সাহেব আজকে ইন্টারন্যাশনাল আজ...
28/07/2025

আমাদের কাচারী কান্দি রায়পুরা নরসিংদীর গর্ব আমার সম্মানিত উস্তাদ হাফেজ মনিরুজ্জামান আশ্রাফি সাহেব আজকে ইন্টারন্যাশনাল আজান প্রতিযোগিতায় ফাইনালে মুখোমুখি হবেন ।
আজ রাত১০:৩০মিনিটে ktv24 সকলকে কমেন্টে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার ও অনুষ্ঠনটি উপভোগ করার জন্য আমন্ত্রণ করা হলো।

24/07/2025

রাগের মাথায় সন্তানকে অভিশাপ দিলে কি কবুল হয় ?

প্রশ্ন:

আসসালামু আলাইকুম! মায়েরা প্রায় সময় সন্তানদের জ্বালায় বিরক্ত হয়ে তাদেরকে গালাগালি ও অভিশাপ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সেই অভিশাপগুলো কি কবুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে ? দয়াকরে তাড়াতাড়ি জানাবেন।

উত্তর:

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ.

সন্তান লালন পালন করা পিতা-মাতার জন্য আল্লাহর দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এতে ধৈর্য্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। রাগ, বিরক্তি বা কষ্ট থেকে সন্তানকে গালাগালি বা অভিশাপ দেওয়া বৈধ নয়। কেননা, অভিশাপ এক ধরনের বদ দু'আ, যা মা-বাবার পক্ষ থেকে দিলে কবুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই রাগের সময়েও নিজের জবান ও আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। অভিশাপের বদলে সন্তানদের হেদায়েত ও সংশোধনের জন্য দু'আ ও চেষ্টা করা উচিত। আশা করা যায় এতে সন্তান তাড়াতাড়ি ভালো পথে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

وَقَضٰی رَبُّکَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاہُ وَبِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا ؕ اِمَّا یَبۡلُغَنَّ عِنۡدَکَ الۡکِبَرَ اَحَدُہُمَاۤ اَوۡ کِلٰہُمَا فَلَا تَقُلۡ لَّہُمَاۤ اُفٍّ وَّلَا تَنۡہَرۡہُمَا وَقُلۡ لَّہُمَا قَوۡلًا کَرِیۡمًا

১.অর্থ: তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো, পিতা-মাতার কোনও একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে উফ্ পর্যন্ত বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো। (সূরা বনী-ইসরাঈল: আয়াত নং ২৩)

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى خَدَمِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لاَ تُوَافِقُوا مِنَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى سَاعَةَ نَيْلٍ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ

২.অর্থ: জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদেরকে অভিশাপ দিও না। তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অভিশাপ দিও না, তোমরা তোমাদের খাদেমদেরকে বদ-দুআ করো না এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদের প্রতি বদ-দুআ করো না। কেননা এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে যখন দুআ (বা বদ-দুআ) করলে তা কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমার ঐ বদ-দুআ যেন ঐ মুহূর্তের সাথে মিলে না যায়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৩২ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ يُسْتَجَابُ لَهُنَّ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ لِوَلَدِهِ

৩.অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির দু'আ নিঃসন্দেহে কবুল করা হয়: নির্যাতিত ব্যক্তির
দু'আ, মুসাফিরের দু'আ এবং সন্তানের জন্য পিতা (মাতার) দু'আ। (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ৩৮৬২ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১৯০৫ হাদীসের মান: হাসান)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم"‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

৪.অর্থ: আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসিকী এবং তাকে হত্যা করা কুফুরী। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬০৪৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৪ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللَّهَ لَيَبْغَضُ الْفَاحِشَ الْبَذِيءَ

৫.অর্থ: আবুদ দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা অশ্লীল এবং কটুভাষীকে অবশ্যই ঘৃণা করেন। (সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ২০০৮ মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং ৫০৮১ হাদীসের মান: সহীহ)

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَابْ

উত্তর প্রদানে-
মানসূরূল হক- ৪৪৯
শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার

23/07/2025

আজেবাজে পোস্ট করা বাদ দেন , সাংগঠনিক কাজে মনোযোগ দেন।
জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে ওলামায়ে কেরাম এর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।
কাদাছুড়াছুড়ি করে ডান বাম পন্থী ও ইসলাম বিরোধী শক্তিকে হাসাবেন না।
জ্ঞান অর্জন করুন মেধা খাটিয়ে কাজ করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন।
সব দলেই কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অন্ধভক্ত আছে যেগুলো বুঝে কম লাফাই বেশি তাদেরকে বুঝানো, প্রয়োজন বেঁধে সাংগঠনিক ভাবে শায়েস্তা করুন।

22/07/2025

এই মুয়াজ্জিন সাহেবকে দেখলে মনে হয় ওই সেই বেলাল রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ধ্বনিতে মুখরিত মদিনা।

20/07/2025

বলতে পারেন কবরের recovery আমল আল্লাহর নবী দয়া করে জানিয়ে দিয়ে গেছেন সাদাকায়ে জারিয়ার সাতটি আমল যে ৭ আমল আমি আপনি মারা গেলেও কবরে সওয়াব যেতেই থাকবে। হাদিসে বর্ণিত আমল নিচে উল্লেখ করা হলো।

عن أنس بن مالك قال رسول الله ﷺ: سبع يجري للعبد أجرهن، و هو في قبره بعد موته
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন: সাতটি জিনিসের জন্য বান্দা তার কবরে মৃত্যুর পরেও সওয়াব পেতে থাকবে।
من علم علما:
১)যিনি এলেম শিক্ষা দিয়েছেন:
অর্থাৎ এমন কেউ যিনি মানুষকে উপকারী জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন যা তাদের মৃত্যুর পরে তাদের উপকারে আসবে, তা ধর্মীয় হোক বা পার্থিব জ্ঞান।
أجرى نهرا:
২)একটি নদী/খাল খ'নন করেছেন:
অর্থাৎ তিনি মানুষ এবং সকলের উপকারের জন্য পানি সরবরাহের জন্য একটি নদী বা জলাশয় খনন করেছেন।
حفر بئرا:
৩)একটি কূপ খ'নন/বর্তমান টিউবওয়েল এর ব্যবস্থা করেছেন:
অর্থাৎ তিনি এমন জায়গায় খাবার পানির উৎস তৈরি করেছেন যেখানে মানুষের প্রয়োজন।
غرس نخلا:.
৪)একটি উপকারী গাছ রোপণ করেছেন:
অর্থাৎ তিনি এমন গাছ রোপণ করেছেন যা মানুষের জন্য উপকারী ফল দেয়।
بنى مسجدا:
৫)একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন:
অর্থাৎ তিনি মুসলমানদের দ্বারা ঘন ঘন উপাসনালয় নির্মাণে কিংবা অন্যান অবদান রেখেছেন।

:ورث مصحفا
৬)একটি কিতাব রেখে গেছেন যে কিতাবটি দ্বীন শিখতে উপকারে আসবে :
অর্থাৎ তিনি একটি কুরআন রেখে গেছেন হয়তো বা মাদ্রাসার কোন ছাত্রকে কিতাব হাদিয়া দিয়েছেন গণ পাঠাগার তৈরি করেছেন যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে পারে।
:ترك ولدا يستغفر له
৭)একটি সন্তান রেখে গেছেন যে তার জন্য মাগফেরাত কামনা করে:
অর্থাৎ তিনি একজন নেক্কার সন্তান লাভ করেছেন যিনি তার জন্য
সব সময় সর্ব অবস্থায় তার মাগফেরাত কামনা করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তার জন্য দোয়া করে ربي ارحمهما كما ربياني صغيرا যেখানে মনে হয় সেখানে দোয়া করে।
(সংগ্রহীত) মুফতি সিবগাতুল্লাহ নূর

20/07/2025

বিবাহ বিচ্ছেদ করার আগে ভাবুনঃ
++++++++++++++++++++++++
তালাক কেন হচ্ছে জানার জন্য গত ৯ মাস ধরে ২৪৫ জন তালাক প্রাপ্ত পুরুষ ও মহিলার সাথে কথা বলেছি কেন তালাক হলো এর ৭২% তালাক হয়েছে ভুল বুঝা বুঝি একে অপরকে অসন্মান করা।

আর ১৮℅ তালাকের কারণ পরকীয়া। ১০% তালাক স্ত্রীর উচ্চ বিলাশিতার কারনে। ৭৮℅ তালাক হয়েছে মেয়ের কারণে। ২২℅ পুরুষের দোষে।

মজার বিষয় হলো ৯২℅ তালাক প্রাপ্ত মহিলা পুরুষ তালাকের পরে অনুতপ্ত তারা বলছে সিদ্ধান্তটি ভুলছিলো। তালাক প্রাপ্ত ৮৯℅ মেয়েদের আর বিয়ে হচ্ছে না। ০৪℅ মেয়ে বিয়ের প্রতি অনিহা। ০৭℅ মেয়ে পথভ্রষ্টা। ছেলেদের মধ্যে ৮৫ ℅ বিয়ে করে সংসার করছে।
১৩℅ ছেলে বিয়ের প্রতি অনিহা। ০২ ℅ ছেলে পথভ্রষ্ট।

আরো মাজার বিষয় হলো ৬৭℅ ছেলেই কুমারি মেয়ে বিয়ে করেছে। আর মেয়েরা কুমার ছেলে পেয়েছে ০০১℅। আমি তালাকের বিরুদ্ধে তাই এই জরিপ করেছি। জারা দাম্পত্য জিবন নিয়ে হতাশ তাদের পরামর্শকের কাজ করতে চাই।

প্লিজ তালাক দেওয়ার এগে ভাবুন আবার ভাবুন দেখুন সমজতা করা যায় কিনা। সজতার পথেই সঠিক পথ যা আল্লাহ পছন্দ করেন।

দ্বিতীয় বিয়ের পরে ১২℅ মেয়ের আবারও তালাক হয়েছে। ৮৯% মেয়ে দ্বিতীয় সংসারে অসুখি। অপর দিকে মাত্র ০২℅ ছেলের আবারও তালাক হয়েছে আর অসুখি ০৩℅ পুরুষ।

অবাক করা বিষয় হলো দ্বিতীয় তালাক দেওয়া ছেলেদের স্ত্রী হয়েছিল কোন তালাক প্রাপ্ত মহিলা। আর বিধ্বা মহিলাকে বিয়ে করে চরম সুখি ৯৩℅ পুরুষ।

আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন।

সংগৃহীত।

19/07/2025

আমরা সবাই ইসলামের বিজয় চাই। কিন্তু বিজয় কিভাবে, কোন পথে হবে, কেমন হবে এ পথচলা–তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। অল্পস্বল্প যখন ভাবি তখনও সেটা খুব একটা যৌক্তিক বা গোছানো হয় না।

আমাদের ভাবনাগুলো আটকে থাকে, আবেগ, কিছুটা ক্রোধ আর ঢালাও কিছু মূলনীতির কাঠামোর ভেতরে। ফলে আমাদের চিন্তা বেশিরভাগ সময় হয় বাস্তবতাবিবর্জিত এবং অনেকটা কল্পনা নির্ভর।

এর অন্যতম কারন হল মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস এবং বাস্তবতা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা। ধারণাগুলো ভুল হলেও দীর্ঘদিনের প্রচারের ফলে বেশ ভালোভাবেই শেকড় গেড়ে বসেছে মানুষের মনে। ইসলামী শাসন এবং উম্মাহর পুনর্জাগরণ নিয়ে আমাদের চিন্তা হোঁচট খাচ্ছে বারবার। আটকে যাচ্ছে গোলকধাঁধায়। এই পপুলার মিথগুলো ভাঙ্গা দরকার। তা না হলে, গোলকধাঁধা থেকে বের হওয়া যাবে না।

এমন একটা মিথ হল, ‘স্বাধীনতা’।
আমাদের অনেকেদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, আমরা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন হয়েছি। এ ধারণা পুরোপুরি ভুল। ইউরোপীয় শক্তিগুলো এখনআমাদের সামরিকভাবে দখল করে নেই, এ কথা সত্য। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা স্বাধীন।

পশ্চিমা দখলদারদের নিয়ন্ত্রন বন্ধ হয়নি, কেবল নিয়ন্ত্রনের চেহারা বদলেছে। সরাসরি সামরিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রনের বদলে ইউরোপীয় সভ্যতা এখন নিয়ন্ত্রন করছে পরোক্ষভাবে। ঔপনিবেশিক শাসন এখনো চলছে। পার্থক্য হল, সাদা চামড়া বদলে এখন শাসন চালাচ্ছে বাদামী চামড়ার লোকেরা।

ভেবে দেখুন। মুসলিম ভূখণ্ডগুলো এখন যে ব্যবস্থায় পরিচালিত হয় সেটা একটা নিরেট ইউরোপীয়, সেক্যুলার ব্যবস্থা। এর সাথে ইসলাম এবং মুসলিমদের ঐতিহাসিক কোন সম্পর্ক নেই। ইউরোপীয় দখলদাররা এ ব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।

আমাদের সংবিধানগুলো গড়ে উঠেছে তাদের অনুকরণে। আমাদের আইন ও বিচারব্যবস্থার মূল কাঠামোও তাদের বানানো। মুসলিম বিশ্বের সেনাবাহিনীগুলো কলোনিয়াল সেনাবাহিনীর আদলে তৈরি। তাদের হাতে প্রশিক্ষিত। এবং আজো তাদের বিভিন্ন জোটের ভাড়াটে সৈন্য।

কথাটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মুসলিম দেশগুলো সেনাবাহিনীগুলো মুসলিমদের জন্য লড়াই করে না। তারা লড়াই করে পশ্চিমা সভ্যতার একাধিপত্য এবং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে।

কখনো কি শুনেছেন অমুক অঞ্চলের নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষার জন্য কোন মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে? না, শোনেননি।

কিন্তু জাতিসংঘ, ন্যাটোর অংশ হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশের সেনাবাহিনীগুলো ঠিকই কাজ করে যাচ্ছে।

কখনো শুনেছেন, কোন মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছে? অবশ্যই না। কিন্তু গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ?

হরহামেশা চলছে।

আমাদের রাজনীতি, মিডিয়া, শিক্ষাব্যবস্থা – সবগুলোর ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।

প্রতিটা ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল ইউরোপীয়দের তৈরি করা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা। তাদের দর্শন, তাদের আদর্শ মুখস্থ করা। তাদের আচার-আচরণ, পোশাক অনুকরণ করতে শেখা।

আজকের ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রগুলো ঔপনিবেশিক শাসনের ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছুই না।

এক সময় মুসলিম ভূখণ্ডগুলো ইসলামী শরীয়াহ দিয়ে শাসিত হত। শাসকদের এবং জনগণের মধ্যে ভুলত্রুটি ছিল। যুলুম ছিল, অনেক ক্ষেত্রে শরীয়াহর লঙ্ঘন ছিল। কিন্তু মূল কাঠামো ছিল ইসলামী। শাসক এবং জনগণের আনুগত্য ছিল ইসলামের প্রতি।

ইউরোপীয়রা এসে এই শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারপর সেখানে বসিয়েছে নিজেদের বানানো ব্যবস্থা।

আজ তারা চলে গেছে, কিন্তু আমরা আগাগোড়া তাদের ব্যবস্থা আকড়ে ধরে আছি। তাদের মতবাদগুলো শিখছি, শেখাচ্ছি, বাস্তবায়ন করছি। এমনকি যুদ্ধও করছি তাদের জন্য।

এটা কেমন ধরণের স্বাধীনতা?

আমরা স্বাধীন না। আমরা পরাধীন। মুসলিম উম্মাহর কোন নিজস্ব রাষ্ট্র নেই, সেনাবাহিনী নেই, সরকার নেই। আমরা কিছু নব্য ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র কাঠামোর অধীনস্ত। যে কাঠামো একদিকে ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ন্ত্রন করতে চায়। অন্যদিকে যেকোন মূল্যে টিকিয়ে রাখতে চায় পশ্চিমা সভ্যতার হেজেমনি।

তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠা এবং উম্মাহর পুনর্জাগরনের যেকোন প্রচেষ্টার সামনে প্রথমে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে এ কাঠামোই। একসময় ফিরিঙ্গি কলোনিয়াল শাসকরা যা করেছিল, বাদামী চামড়াওয়ালাদের চালানো আধুনিক ‘মুসলিম’ রাষ্ট্রগুলো দেশে দেশে তাই করবে এবং করছে। কারণ দুটো এক, অভিন্ন।

সত্যটা না চিনে স্বাধীনতার মিথ আকড়ে ধরে থাকলে- বাস্তবতাকে বোঝা এবং পরিবর্তন করা সম্ভব না।

04/07/2025
04/07/2025
02/07/2025

আমরা হকপন্থী আলেমদেরকে কিভাবে চিনবো?

হকপন্থী আলেমদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য যেনে রাখুন!

👉যারা নবী-রাসূলগণের দাওয়াতী নীতি অনুসরণ করেন: আলেমে দ্বীনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হ’ল দাওয়াতের ক্ষেত্রে নবী-রাসূলগণের নীতি অনুসরণ করা। নবী-রাসূলগণ মূলত: জীবনের সর্বক্ষেত্রে শিরক মুক্ত তাওহীদ বিশ্বাস ও ত্বাগূতদকে বর্জন এবং বিদ‘আতমুক্ত আমলের দিকে মানুষকে আহবান করেছেন। আলেমগণ মানুষকে সেদিকেই আহবান করবেন। মহান আল্লাহ বলেন,وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوْتَ- ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকটে আমরা রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে দূরে থাক’
(নাহল ১৬/৩৬)।

👉যারা হকের উপর অবিচল থাকেন: আল্লাহ বলেন,الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلاَ تَكُنْ مِنَ الْمُمْتَرِينَ ‘সত্য কেবল তোমার পালনকর্তার পক্ষ হ’তে আসে। অতএব তুমি সংশয়বাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’
(আলে ইমরান ৩/৬০)।
আলেমে দ্বীনের বৈশিষ্ট্য হ’ল হকের উপর অটল থাকা। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন,لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِى ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِىَ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ كَذَلِكَ ‘চিরদিন আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল হক-এর উপর বিজয়ী থাকবে। পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, অথচ তারা ঐভাবে থাকবে’।
(মুসলিম হা/১৯২০)।

👉যারা নিজের বিরুদ্ধে হ’লেও সর্বদা হক কথা বলেন: আলেমগণ সর্বদা হকের পথের দিশারী হবেন। যেমন কোন বক্তব্য বা ফৎওয়া প্রদানের পর পরবর্তীতে যদি তা ভুল প্রমাণিত হয়, তবে তা থেকে ফিরে আসা এবং ভুল স্বীকার করে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান একজন আলেমের জন্য আবশ্যক। এক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার জন্য ইলম গোপন করা, জেনেশুনে ভুল ফৎওয়া প্রদান করা চরম অন্যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ يَعْلَمُهُ فَكَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ، ‘কাউকে তার জ্ঞাত কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে যদি সে তা গোপন রাখে, ক্বিয়ামতের দিন তার মুখে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেওয়া হবে’।
(আহমাদ ২/৭৮৮৩; আবূদাঊদ ২/৩৬৫৮; তিরমিযী ২/২৬৪৯; ছহীহুল জামে‘ ৬২৮৪; মিশকাত হা/২২৩।)

👉যাঁরা সত্যের সংগ্রামে ও মিথ্যার মূলোৎপাটনে সীসাঢালা প্রাচীর।

👉যাঁরা নিজেদের জান-মাল আল্লাহর কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহ বলেন,
اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ ؕ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ فَیَقۡتُلُوۡنَ وَ یُقۡتَلُوۡنَ ۟ وَعۡدًا عَلَیۡهِ حَقًّا فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ وَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ مَنۡ اَوۡفٰی بِعَهۡدِهٖ مِنَ اللّٰهِ فَاسۡتَبۡشِرُوۡا بِبَیۡعِكُمُ الَّذِیۡ بَایَعۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ ذٰلِكَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
“নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত। তারা আল্লাহ্র পথে যু_দ্ধ করে, অতঃপর তারা মারে ও মরে তাওরাত, ইঞ্জীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের হক ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কে আছে? সুতরাং তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দিত হও। আর সেটাই তো মহাসাফল্য”।
(সূরা: আত তাওবা ৯: ১১১)

👉যাঁরা নিজেদের বাড়ী-ঘর ত্যাগ করে পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল ও গিরিগুহাকে নিজ আবাসস্থল বানিয়ে নিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, “বল, ‘যদি তোমাদের পিতারা, আর তোমাদের সন্তানেরা, আর তোমাদের ভাইয়েরা, আর তোমাদের স্ত্রীরা, আর তোমাদের গোষ্ঠীর লোকেরা আর ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর ব্যবসা তোমরা যার মন্দার ভয় কর, আর বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস (এসব) যদি তোমাদের নিকট প্রিয়তর হয় আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করা হতে, তাহলে অপেক্ষা কর যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর চূড়ান্ত ফয়সালা তোমাদের কাছে নিয়ে আসেন।’ আর আল্লাহ অবাধ্য আচরণকারীদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না”।
(সূরা: আত তাওবা ৯:২৪)

👉যাঁরা কখনো বন্দুকের ছায়াতলে আবার কখনো ট্যাংকের গোলায় জান্নাত খুজে বেড়ায়।

👉যাঁরা অসহায় নারী-শিশু ও মজলুমানদের ফরিয়াদের জবাবে অলী ও নাসীর (বন্ধু ও সাহায্যকারী) হয়ে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

👉যাঁরা গভীর রজনীতে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান রবের দরবারে শাহাদাতের মৃত্যুর জন্য আবেদনে মগ্ন থাকেন।

👉যাঁরা দুশমনের মোকাবেলা করতে গিয়ে হাত-পা, নাক-কান ইত্যাদি হারিয়ে পঙ্গুত্বের জীবন যাপন করছেন।

👉যাঁরা ঘোড়ার লাগাম ধরে কোন অসহায় নারী ও শিশুর চিৎকার ও মজলুম ভাইয়ের আহবানে সাড়া দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত।

👉যাঁরা পার্থিব ভোগ-বিলাসিতা তাদের লক্ষ্য নয়, বরং আখিরাতের জীবন তাদের কাছে বেশি মূল্যবান।

তবে একজন আলেমকে বহুবিধ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হ’তে হয়। প্রকৃত আলেম তিনি, যিনি আল্লাহ সম্পর্কে, তাঁর প্রেরিত জীবন-বিধান পবিত্র কুরআন এবং ছহীহ সুন্নাহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখেন। যিনি মানুষের মধ্যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় করেন। যিনি কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে জ্ঞান অর্জন ও তার প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। তাকেই প্রকৃত আলেম বলা হয়।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে হকপন্থী আলেমদের অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বি।

✍️আবু সাঈদ আল-খুদরী

01/07/2025

BALমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বার্ষিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Address

Raipura, Nursingdi
Narsingdi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rahe Nazat Page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category