21/07/2025
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি চীনে তৈরি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ সোমবার বিমান বিধ্বস্তের পর জানিয়েছে, বিমানটির মডেল ছিল এফটি-৭ বিজিআই। এটি বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগ শিশু ও মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, যেটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি দিয়ে প্রশিক্ষণের পর পাইলটদের মূল যুদ্ধবিমান চালাতে দেওয়া হয়।
সামরিক সরঞ্জাম-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকমের তথ্য অনুযায়ী, এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। এটি স্বল্প খরচে নির্মিত, এক ইঞ্জিনচালিত ও দুই আসনবিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। মূল সংস্করণ এফ-৭ এর জন্য পাইলটদের প্রস্তুত করতে এফটি-৭ বিজিআইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ এসব যুদ্ধবিমান কবে কিনেছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এফটি-৭ বিজিআই সংস্করণটি বাংলাদেশ ২০১৩ সালে চীন থেকে কিনেছে।
গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকমের ওয়েবসাইটে এই যুদ্ধবিমান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তারা জানায়, চীন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এফ-৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। ১৯৬৫ সালের নভেম্বরে এফ-৭-এর কাঠামোগত পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে এর সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন চীনা বৈমানিকেরা। ১৯৬৭ সালের জুনে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এটিকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়