31/10/2025
এক মহিলা টাওয়েল পরে নাচছে তাতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ হাজার হাজার লাইক। অন্যদিকে ভাল কন্টেন্টে ৫০০ ভিউজ ১৫০ লাইক। এটাই হয়ে গিয়েছে ফেসবুকের
খাচ্ছে নাইটি পরে, আবার ক্যাপশনে লেখা "দেওর কে আজ যা দিলাম!" ব্যাস তা দেখার জন্যই একেবারে হুড়মুড়িয়ে পড়ছে মানুষ। না জানি ভিডিওর শেষে দেওরকে কী দেবে! এটা জানার উৎসাহে।
অন্যদিকে কবি নজরুল কে নিয়ে একটা কন্টেন্ট লিখুন, মুহূর্তের মধ্যে নাক বেঁকিয়ে এড়িয়ে যাবে ফলোয়ার্সরা। ওইসব জ্ঞান দেখে কী হবে? কবিতা দেখে কী হবে?
আসল ভাল লাগা আছে ভাবির নাইটির তলায়। এই জন্যই পাবলিক ডিম্যান্ড অনুযায়ী নাইটির কদর বাড়ছে। হুড়মুড়িয়ে নাইটি পরে পরে রিলস করতে নেমে পড়েছেন ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে।
ও বাবা! তাতেই আবার নাকি লক্ষ লক্ষ উপার্জনও হয়েছে। আর এই দেখে আর একদল ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে ছায়া পরেই ভিডিও করা শুরু করেছে।
মাঝ বয়সী কিছু মহিলার কথা তো ছেড়েই দিন, তাঁরা মুখে বলছেন, "জানেন প্রেম করলে কত দুঃখ পেতে হয়?" কবিতার ভঙ্গিতে, তবে এই বলাতে ভিউজ বাড়ছে না এটাতে ক্রিয়েটিভিটিও নেই। আসল ব্যাপার হল বক্ষ বিভাজিকা প্রদর্শন।
মানে পাতি কথায় বুকের খাঁজ দেখিয়ে কবিতা বললে কবিতা কেউ শুনুক না শুনুক ভিউজ তো বাড়বে। অর্থাৎ ফেসবুকের এই মনিটাইজেশনের চক্করে বোঝা গিয়েছিল গোটা দেশ আটকে রয়েছে বক্ষ বিভাজিকা, ছায়ার কাপড় আর নাইটির গভীরতায়। "দেখুন তো আমি কী পরে আছি?" এক মহিলা খালি গায়ে স্তন ঢেকে পাবলিককে ভিডিওতে প্রশ্ন করছেন, আর তাতে পাবলিকের কী উচ্ছাস! এর থেকেই এক ধাক্কায় সেই মাসের সংসারের টাকাটা উঠিয়ে নিয়েছেন মহিলা।
কমেডিও তো দুর্দান্ত!
কী দারুণ খিস্তি। কমেডি মানেই এখন কে কত ভাল খিস্তি দিতে পারে। আর তাতেই পাবলিক হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
কী মনে হয় এটাই সমাজ? এইভাবে পেট চালানো যায়? শিক্ষার দাম কি ভুলেই যাব আমরা।?
ভাগ্যিস রিলস থেকে আয় কমানো হয়েছে নইলে আমার আপনার সন্তানকেও একদিন স্কুলে বসিয়ে শেখানো হত পড়াশুনো করে লাভ নেই ফেসবুক খুলে খাঁজ দেখো, খাঁজ দেখাও , তাতেই বাড়ি গাড়ি কিনতে পারবে বা শেখানো হত পাবলিক অ্যাট্রাক করতে বাপ, দেওর কাকু বা শ্বশুরকে নিয়ে কেমন সেক্সুয়াল কন্টেন্ট বানানো যায়। এবার একটু নিজের রুচি বদলান নইলে নতুন প্রজন্মকে আর কি শেখাবেন!!
শিক্ষামূলক প্রচারণা
সংগৃহীত (কপি-পেস্ট)