01/05/2025
,,,,,,"বারো বছর বরশি বাইলো তবুও আধার গিললো না ",,,,,,
দর্শক আমাদের কি মনে আছে সেই ব্রাহ্মণপূত্র চণ্ডিদাস আর ধূপাকন্যা রজকিনীর কথা!!!নদীর ঐপাড়ে ধূপাখালী গ্রামে রজকিনী যখন কাপড় ধুতে ঘাটে আসতো ঠিক এপাড়ে মুখোমুখি বরশি হাতে নিয়ে বসে থাকতো চন্ডিদাস। শুধু মাত্র একটু দেখার জন্য;আড় চোখে তাকিয়ে থাকতো চন্ডিদাশ। এইভাবে দিন পেরিয়ে মাস, মাস পেরিয়ে বছরের পর বছর চন্ডিদাস অপেক্ষার প্রহর গুনতো।কিন্তু এক মূহুর্তের জন্যও চন্ডিদাশ আশা হারায়নি এই ভেবে যে, হয়ত একদিন ফিরে তাকাবে। ঠিক বারো বছর পর নিরবতা কাটিয়ে রজকিনী বললো:- 'মাছ কি ধরল'? উত্তরে চন্ডদাশ খুব আবেগে আপ্লোত হয়ে বললো:- 'এইবার বুঝি টোকর দিল'। তারপর থেকে কথোপকথন শুরু,,,,অনেক লম্বা কাহিনী। জাত আর শ্রেণীবেধের কারনে তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছিল কিন্তু তারা ঠিকেই সমাজকে তোয়াক্কা না করে বৃন্দাবনে পালিয়ে গিয়েছিলো। এবং জাত- পাত,শ্রেণীবেধের উপর ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দিয়েছিল।
ত ঐ কাহিনীকে সাহিত্যকেরা/নাট্যকারেরা অনেক এংগেলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমার অবজারভেশন হলো : আমরা খুব অল্প সময়েই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দেই। একারনেই হয়তো প্রেমের ব্যর্থতা। আমরাও যদি চন্ডিদাশের মত অপেক্ষা করতে পারি তাহলে হয়ত বরশিতে একদিন মাছ টোকর দিবে।🥰🤩