01/09/2024
নিজের চিকিৎসায় ক্যান্সার জয়
মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক নতুন পদ্ধতিতে নিজের চিকিৎসা করছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ভালো ফলও পেয়েছেন। রিচার্ড স্কোলিয়ার নামের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্যান্সারমুক্ত আছেন।
"খবর বিবিসির"
স্কোলিয়ার যে ধরনের জটিল ক্যান্সারে আক্রান্ত, তাতে রোগীরা এক বছরের কম সময়ে মারা যান। ক্যান্সার নিয়ে তারই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে স্কোলিয়ারের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।
অধ্যাপক স্কোলিয়ার প্লায়োব্লাস্টোমার নামে এক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোষ্টে তিনি
জানিয়েছেন, আবারও এমআরআই পরীক্ষায় দেখা বলেছেন, আমি অত্যন্ত খুশি। গেছে নতুন করে টিউমারটি ফিরে আসেনি। তিনি
স্কোলিয়ার এয়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ। ক্যান্সারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর ভোলিয়ার এবং তার সহকর্মী ও ও বন্ধু জর্জিনা লংকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার মেলানোমা ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
এক দশক ধরে ইমিউনোথেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন তারা। এ পদ্ধতিতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষকে আক্রমণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের মধ্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গেছে।
৮৪ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অর্ধেক এখন নিরাময় পাচ্ছেন। আগে এ হার ১০ শতাংশের কম ছিল। স্কোলিয়ারের মস্তিষ্কের ক্যান্সার সারাতে এ পদ্ধতিই ব্যবহার করেছেন অধ্যাপক লংসহ চিকিৎসকদের একটি দল। অধ্যাপক ছোলিয়ার হলেন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে
আক্রান্ত প্রথম রোগী, যার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হলে তা অপেক্ষাকৃত ভালো কাজ করে। টিউমার অপসারণের জন্য কোনো অস্ত্রোপচারের আগে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। গত বছর স্কোলিয়ারকে অস্ত্রোপচারের আগে এ
থেরাপি দেওয়া হয়। স্কোলিয়ারের চিকিৎসায় সাফল্যে আশার সঞ্চার হচ্ছে।
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন লাখ মানুষ মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ পদ্ধতি চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।